বাংলাদেশ
জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলেই ওয়েবসাইট ব্লক, রোববার থেকে কার্যকর
অনলাইন জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের জন্য নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মাদ জসিম উদ্দিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে, যা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর পরিপন্থী এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
এই ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার একাধিক প্রজ্ঞাপন ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয়, তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
সরকারের সতর্কতার পর ইতোমধ্যে ক্রিকইনফো, জনকণ্ঠ, ঢাকা পোস্টসহ আরও বেশ কয়েকটি পত্রিকা তাদের অ্যাডসেন্স পরিবর্তন করেছে উল্লেখ করে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।
৭২ দিন আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ৭ দফা অঙ্গীকার
বহুল আলোচিত ‘ঐতিহাসিক জুলাই সনদে’ স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এতে স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো সাত দফা অঙ্গীকার করেছেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫–এ স্বাক্ষর করা হয়।
অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করা হয়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ অঙ্গীকার ও ঘোষণা করছি যে:
১. জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
২. রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের সম্মিলিতভাবে জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন হিসেবে সনদকে সংবিধানে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করব না, উপরন্তু উক্ত সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
৪. গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ১৬ বছরের সংগ্রাম এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবে।
৫. গণঅভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।
৬. সংবিধান, নির্বাচন, বিচার, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থায় সংস্কারের বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি প্রণয়ন বা সংশোধন করা হবে।
৭. সনদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থি দল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি।
এর আগে বিকালে জাতীয় সংগীতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
৭২ দিন আগে
‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরের মাধ্যমে ‘নতুন বাংলাদেশের সূচনা’ হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ঐতিহাসিক জুলাই সনদ-২০২৫ স্বাক্ষরের এই মুহূর্ত ‘একটি মহান দিন’ এবং এটি ‘নতুন বাংলাদেশের সূচনা’ নির্দেশ করে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. ইউনূস বলেন, রাজনীতিকেরা আজ শুধু দেশের জন্য নয়, বিশ্ববাসীর কাছেও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তারা জাতিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।
ড. ইউনূস জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করে বলেন, “তাদের ত্যাগ ও সাহসের কারণেই আজকের এই সুযোগ এসেছে। আসুন, আমরা তাদের স্মরণ করি।”
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রিয়াজ সনদে স্বাক্ষর করেন। পরে এতে যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রমুখ জুলাই সনদে সাক্ষর করেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা।
৭৩ দিন আগে
ঐতিহাসিক ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বহুল আলোচিত ‘ঐতিহাসিক জুলাই সনদে’ স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫–এ স্বাক্ষর করেন তারা।
এর আগে বিকালে জাতীয় সংগীতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এতে উপস্থিত হন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।
৭৩ দিন আগে
ঐতিহাসিক ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয়েছে বহুল আলোচিত ‘ঐতিহাসিক জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রিয়াজ এবং আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
এছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রমুখকে দেখা গেছে।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা।
৭৩ দিন আগে
‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
তারা অভিযোগ করেন, বহুল আলোচিত জুলাই সনদে তাদের নিরাপত্তা ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ভ্যানসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয় । এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভের পর সকাল থেকে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে দক্ষিণ প্লাজায় জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। এরপর শতাধিক মানুষ সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন।
দুপুর ১টার দিকে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে, পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিকেল ২টার দিকে সংসদ ভবন এলাকা ও আশপাশের সড়ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসে। পরবর্তীতে আংশিকভাবে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সংসদ এলাকা ও আশপাশের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও খামারবাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সংসদ ভবনের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা যোগ দিলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানিয়েছে তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
৭৩ দিন আগে
সবাইকে জুলাই সনদ সইয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ সই হবে আজ শুক্রবার। জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠানে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি সব টিভি ও অনলাইন গণমাধ্যমকে সরাসরি সম্প্রচার করার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এক বার্তায় বলেন, আমরা সব টিভি ও অনলাইন মিডিয়াকে আহ্বান জানাচ্ছি ১৭ অক্টোবর বিকেল ৪টায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের জন্য।
তিনি বলেন, প্রতিটি বাংলাদেশি—আপনারা যেখানে যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন, বাড়িতে কিংবা ভ্রমণে, দোকান কিংবা কারখানায়, কর্মস্থলে, ফসলের ক্ষেতে কিংবা খেলার মাঠে—অবশ্যই এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হোন!
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, আমরা দেখাতে চাই, রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা জাতিগত পার্থক্য সত্ত্বেও আমরা এক ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি। এখন সময় আমাদের একসঙ্গে উদযাপন করার—ঐক্যের শক্তি অনুভব করার এবং গর্ব ও আশার এই ঐতিহাসিক দিন থেকে শক্তি অর্জন করার।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করবেন।
৭৩ দিন আগে
জুলাই জাতীয় সনদ সই আজ, শেষ মুহূর্তেও রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতা
বহুল প্রতীক্ষিত জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠান আজ শুক্রবার। এ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এতে অংশগ্রহণ করবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। তবে শেষ সময়েও নানা শর্ত ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। সনদ সই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিএনপি জুলাই সনদে সই করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা (বিএনপি) অবশ্যই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব; তবে যে কথাগুলো আমরা বলছি, সেগুলো যদি লিপিবদ্ধ করা হয়। যেগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছি, সেগুলো যদি লিপিবদ্ধ করা হয়।’
জামায়াত বলেছে, তারা সরকারের সম্মানে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে, কিন্তু স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত পরে জানাবে।
তবে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে ফেসবুকে এনসিপির মিডিয়া গ্রুপে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অংশগ্রহণ করবে না। এনসিপি মনে করে, এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোনো আইনি ভিত্তি অর্জিত হবে না। এটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এনসিপি বহুবার স্পষ্টভাবে আইনি ভিত্তির প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে।’
অবশ্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে এনসিপি। দাবি পূরণ হলে পরবর্তীতে দলটি স্বাক্ষর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে বলে বার্তায় জানানো হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে সংশোধিত খসড়া না পেলে সনদে সই করবে না বলে আগেই জানিয়েছে বাম ধারার চারটি দল— বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।
দলগুলো কেন জুলাই সনদে সই করবে না, তার কারণ ব্যাখ্যা করে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানায়, জুলাই সনদের প্রথম অংশে পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি, বারবার সংশোধনী দিলেও সেগুলো সন্নিবেশিত করা হয়নি।
অন্যদিকে, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, ‘আমরা সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। এটাও চাচ্ছি যে, স্বাক্ষরের বিষয়টি শেষ হয়ে যাক। তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, জুলাই যোদ্ধাদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।’
তবে আজ (শুক্রবার) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খোলা আকাশের নিচে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এরপরও সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সব দলের স্বাক্ষর নেওয়া গেলে ভালো। তবে যদি কোনো দল পরবর্তীতে স্বাক্ষরের কথা বলে, তারা তো সনদ প্রক্রিয়ার অংশীদার—শরিক হিসেবে সেটা করতে পারবে।’
তারপরও সবাই একসঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে সই করবে বলে কমিশনের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া ও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না থাকায়’ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে সই করবে না— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘এনসিপির বক্তব্য কমিশন গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছে। তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অগ্রগামী শক্তি ছিল এবং সনদ প্রক্রিয়ায়ও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। কমিশনও মনে করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া জরুরি, এবং মেয়াদ থাকা অবস্থায় আমরা এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ দেব।’
বাম দলগুলো সনদে সই না করার ঘোষণা দিলেও তারাও আলোচনার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, আজকের (শুক্রবার) অনুষ্ঠানে জুলাই সনদ প্রণয়নের প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে ভিডিও প্রদর্শন করা হবে, এবং আগামী দুই মাস এ বিষয়ে আরও কাজ চলবে।
৭৩ দিন আগে
লালনের সম্প্রীতি ও মানবতার দর্শন জাতীয় সীমানা অতিক্রম করে: ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা লালন শাহের জীবন ও সংগীতে প্রতিফলিত হওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের চিরন্তন আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের ওপর আলোকপাত করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর অডিটরিয়ামে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত ‘লালন সন্ধ্যা’ শীর্ষক সঙ্গীত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, লালনের অন্তর্ভুক্তি, সম্প্রীতি, সহমর্মিতা ও মানবতার দর্শন জাতীয় সীমানা অতিক্রম করে এবং দুই দেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক যাত্রায় অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে অব্যাহতভাবে কাজ করে।
লালন শাহের ১৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশন, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সহায়তায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে লালন গীতির রানি ফারিদা পারভীনের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। শিল্পীগণ, গবেষকবৃন্দ, সঙ্গীতপ্রেমী, যুবসমাজ এবং সমাজের সব স্তরের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন।
কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণকারী লালনের দর্শন, সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি, জাতপাত, শ্রেণি ও আচার-অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান এবং মানবিক ঐক্যের বার্তা—ভারতের ভক্তি ও সুফি আন্দোলন এবং বাংলার বাউল ঐতিহ্যের আদর্শকে প্রতিধ্বনিত করে। তার গান উভয় দেশে এখনও গাওয়া হয়, যা শান্তি, সহনশীলতা ও অন্তর্ভুক্তির মূল্যবোধ স্মরণ করিয়ে দেয়।
৭৩ দিন আগে
হজ কার্যক্রমে সহায়তায় শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক
হজ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ১৮ অক্টোবর শনিবার ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কিছু শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মূলত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৬ সালের হজের নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার সুবিধার্থে হজের অর্থ গ্রহণকারী ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ ওই দিন খোলা রাখতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হজ নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার জন্য আমানতকারীরা যতক্ষণ পর্যন্ত উপস্থিত থাকবেন, ততক্ষণ ব্যাংকগুলোকে ওই অর্থ গ্রহণ অব্যাহত রাখতে হবে।
এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৭৩ দিন আগে