বাংলাদেশ
মানবতাবিরোধী অপরাধে আ.লীগ নেতা হানিফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি
জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ দলটির আরও তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন— অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম, সহিদুল ইসলাম।
শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে ১৪ অক্টোবর হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন— কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, জেলা সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। তবে চারজনই পলাতক রয়েছেন।
এর আগে, রোববার (৬ অক্টোবর) হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেন প্রসিকিউশন। এতে সুনির্দিষ্ট তিনটি অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে রয়েছে উসকানিমূলক বক্তব্য, ষড়যন্ত্র ও কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ছয়জন। একইসঙ্গে আহত হন বেশ কয়েকজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসানুল হক ইনু ও মাহবুবউল আলম হানিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। পরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা।
নিহতরা হলেন— আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, আব্দুল্লাহ আল মুত্তাকিন, মো. উসামা, বাবলু ফারাজি ও ইউসুফ শেখ শহীদ খান।
৮৩ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংকে ‘এস আলম গ্রুপ’ সংশ্লিষ্ট অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে গ্রাহকদের মানববন্ধন
দেশের ব্যাংকিং খাতে এস আলম গ্রুপের কথিত ‘অবৈধ নিয়োগ ও একচেটিয়া দখলদারিত্ব’ বাতিলের দাবিতে আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে মানববন্ধন করেছে ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম।
মানববন্ধনে বক্তারা ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এস আলম গ্রুপের প্রভাব খাটিয়ে ইসলামী ব্যাংকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পর্যায়ে দেওয়া অবৈধ নিয়োগগুলো অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা সারা দেশ থেকে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী শাহিন আহমেদ খান, মো. মোতাসিম বিল্লাহ, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. ইমাম হোসাইন, অ্যাডভোকেট ওয়ালিউল্লাহ, হাফিজুর রহমান এবং ডিএম শওকত আলী বক্তব্য দেন।
সচেতন পেশাজীবী গ্রুপ, ইসলামী ব্যাংক সিবিএ এবং সচেতন ব্যাংকার সমাজও একই দাবিতে পৃথকভাবে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
অদক্ষ কর্মীদের কারণে ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ক্ষতি ১৫০০ কোটি টাকা
বক্তারা অভিযোগ করেন, এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ২০১৭ সালের পর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পদে ৮ হাজার ৩৪০ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে, যাদের অধিকাংশেরই মূল উৎস চট্টগ্রাম অঞ্চল। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শুধুমাত্র পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে দাবি করা হয়। দেশের ৬৩ জেলার প্রার্থীদের বঞ্চিত করে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ায় ব্যাংকের সেবার মান ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন, পেশাদার সেবা দিতে অক্ষম এবং আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার কারণে গ্রাহকদের যোগাযোগে সমস্যা তৈরি হয়।
বক্তারা অবিলম্বে এসব অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে সারা দেশ থেকে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র মাধ্যমে একটি মূল্যায়ন পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।
এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৫ হাজার ৩৮৫ জন কর্মকর্তাকে ডাকা হলেও মাত্র ৪১৪ জন অংশ নেন। গণ-অনুপস্থিতির কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবশিষ্ট ৪ হাজার ৯৭১ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করেছে। তাদের মধ্যে ৪০০ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, কথিত ‘ব্যাংক লুটেরা এস আলম’ এবং তার নিয়োগ দেওয়া অযোগ্য কর্মকর্তাদের অপসারণ না করা হলে গ্রাহকরা ধীরে ধীরে ইসলামী ব্যাংক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
৮৪ দিন আগে
প্রতারণা: মশিউর সিকিউরিটিজের সঙ্গে লেনদেন না করার পরামর্শ ডিএসইর
বিনিয়োগকারীদের মশিউর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সঙ্গে যেকোনো ধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন ও ডিপোজিটরি পার্টিসিপ্যান্ট (ডিপি) কার্যক্রম স্থগিত করার পর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জানানো হয়।
রবিবার (৫ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসই জানায়, মশিউর সিকিউরিটিজের বর্তমান গ্রাহকদের শেয়ার অন্য ট্রেডিং কোম্পানিতে স্থানান্তর করতে হবে। শেয়ার স্থানান্তরের জন্য বিনিয়োগকারীদের সিডিবিএল ফরম–১৬ পূরণ করে আবেদন করতে হবে। যদি কোনো পাওনা অর্থ বা শেয়ার প্রাপ্য থাকে, তবে আগামী ৩০ অক্টোবর ২০২৫–এর মধ্যে ডিএসইর ওয়েবসাইট থেকে অভিযোগ ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে।
ফরমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন পোর্টফোলিও ইত্যাদি সংযুক্ত করে আবেদন পাঠাতে হবে নিম্নোক্ত ঠিকানায়— চিফ রেগুলেটরি অফিসার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি, ডিএসই টাওয়ার, হোল্ডিং নং ৪৬, রোড নং ২১, নিকুঞ্জ–২, ঢাকা–১২২৯।
গ্রাহকরা প্রয়োজনে ইনভেস্টর কমপ্লেইন্টস, আরবিট্রেশন অ্যান্ড লিটিগেশন বিভাগে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ফোন: ০২–৪১০৪০১৮৯ (এক্সটেনশন ১৬৪১–১৬৪৫)
মোবাইল: ০১৭১৩–২৭৬৪১৫, ০১৭১৩–৩৬৯৩৬৩, ০১৭১৩–৪২৫৮৩১, ০১৭৩০–৩৩১৮৬৬
ই–মেইল: [email protected]
ডিএসই জানায়, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এবং সঠিক সময়ে তথ্য নিশ্চিত করতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মোট ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা গ্রাহকের কনসোলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্ট (সিসিএ) থেকে এবং ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
দেশের মূলধনবাজার ইতিহাসে এটিই কোনো একক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের সর্ববৃহৎ প্রতারণার ঘটনা বলে ধারণা করা হয়।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, মশিউর সিকিউরিটিজ ছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্রোকারেজ হাউস, যার মোট বিও অ্যাকাউন্ট প্রায় ২ লাখ এবং এর মধ্যে সক্রিয় ছিল প্রায় ৪৪ হাজার।
৮৪ দিন আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে দলগুলো
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে এক ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যে পৌঁছেছে দলগুলো। এটি বড় ধরনের অর্জন। তবে গণভোটের সময়সূচি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো কিছু মতভেদ রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে মনে করি। ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, তাদের সম্মতির জন্য একটি গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছেন।”
আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বেলা পৌনে ১২টায় শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নির্ধারণ, বিশেষ করে সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কারের সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা।
আরও পড়ুন: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে ঐকমত্য কমিশন
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য বড় রকমের অর্জন এবং একটি বড় রকমের পদক্ষেপ এবং একটি প্রথম পদক্ষেপ। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী, অন্যান্য বিষয়গুলোতেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই ঐক্যগুলো তুলতে পারব।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে আইনসভা তৈরি হবে, সেই আইনসভা যেন মৌলিক সাংবিধানিক সংস্কারগুলো করতে পারে এবং তাকে টেকসই করতে পারে, এজন্য এই আইনসভাকে চিহ্নিত করা বা আলাদা বৈশিষ্ট্য দেয়া দরকার ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, এ বিষয়ে ইতোপূর্বে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন অনেকে এ বিষয়ে কিছুটা সরে আসছেন। অধিকাংশ দলই এখন এরকম মত দিচ্ছে যে ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় সুপ্রিম কোর্টের মতামত প্রয়োজন নাও হতে পারে। এ জন্য দলগুলোকে ধন্যবাদ। আশা করি, একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিতে পারব। প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আমরা ১৫ অক্টোবরের মধ্যে একটি মিমাংসায় আসতে পারব।
তিনি জানান, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে তিন চতুর্থাংশ দলের কাছে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেকে নাম দিয়েছেন, অনেকে এখনও দেননি। দ্রুত নাম দিতে তিনি দলগুলোকে অনুরোধ করেন।
দুই-এক দিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আবারও বৈঠকে বসবে কমিশন বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, আলোচনায় অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের তিন-চতুর্থাংশই ইতোমধ্যে সনদে সই দেওয়ার জন্য তাদের প্রতিনিধিদের নাম কমিশনে পাঠিয়েছে।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, কমিশনের মেয়াদ ১৫ অক্টোবরের পর বাড়ানোর প্রয়োজন তারা আর দেখছেন না।
তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে কমিশনের পরবর্তী বৈঠক হবে আগামী ৮ অক্টোবর। এছাড়া জুলাই সনদের বাস্তবায়নসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রস্তাবের আইনি ও সাংবিধানিক কাঠামো পরিষ্কার করতে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকের পরিকল্পনাও রয়েছে।
৮৪ দিন আগে
নরসিংদীতে চাঁদাবাজদের ছাড়িয়ে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা
নরসিংদী শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে আটক করা দুই চাঁদাবাজকে ছাড়িয়ে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে নরসিংদী পৌর শহরের আরশিনগর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম সদর উপজেলার বীরপুর এলাকার পুরানপাড়া থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে শহরের আরশিনগর মোড়ে কয়েকজন ব্যক্তি যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছিলেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ দুইজনকে হাতেনাতে আটক করে। আটকের খবর পেয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিতে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে এসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে হুমকি দেয়। পুলিশ আটক ব্যক্তিদের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে বিনা উসকানিতে তারা পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালায় এবং কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে।
এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারান। এ সুযোগে সন্ত্রাসীরা দুই চাঁদাবাজকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফরিদা গুলশানা কবির বলেন, আনোয়ার হোসেনের ঘাড় ও পায়ে আঘাতজনিত রক্ত জমাট বেঁধেছে। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বীরপুর এলাকা থেকে ফেরার পথে দেখি, কয়েকজন চলন্ত যানবাহন থেকে জোরপূর্বক চাঁদা তুলছে। আমি দুইজনকে হাতেনাতে আটক করি। কিছুক্ষণ পর ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী এসে আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমি মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারাই।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘চাঁদাবাজদের ছাড়িয়ে নিতে ইজারাদারের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।’
অন্যদিকে, নরসিংদী পৌরসভার সিএনজি-অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ইজারাদার মো. আলমগীর মোবাইল ফোনে ইউএনবিকে বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। পৌরসভার দেওয়া নিয়মনীতি অনুসরণ করেই ইজারার টাকা তোলা হয়। পুলিশ বাধা দেওয়ায় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। পুলিশের ওপর হামলার খবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কলিমুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ফোন রিসিভ করে জানান, তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন।
৮৬ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার
খাগড়াছড়িতে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা সড়ক অবরোধ এবার পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে জুম্ম ছাত্র জনতা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
মানবিক কারণ ও প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার করায় যেকোনো সময় ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হতে পারে।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদার ভিত্তিতে সহসাই ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হবে।
খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ গত মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক মারমা স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ডাকা ওই অবরোধ ঘিরে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় তিনজন নিহত হন এবং সেনা কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ আহত হন।
গুইমারার রামসু বাজার ও আশপাশে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। জেলা সদরের মহাজনপাড়া, নারিকেল বাগান ও স্বনির্ভর বাজারে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
৮৬ দিন আগে
দেশের আইনি কাঠামোয় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সুযোগ নেই: বার কাউন্সিল চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছেন, দেশের আইনি কাঠামোয় পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একক অঞ্চলভিত্তিক নির্বাচন করবে। জামায়াত তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রচারের জন্য পিআর ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহের মহেশপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কাজল বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব অংশীজন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠনে কাজ করবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। আর আওয়ামী লীগের তৈরি সন্ত্রাসবিরোধী আইনেই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ব্যারিস্টার কাজল আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবেন, আমরা সকলে তার পক্ষেই কাজ করব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি বাস্তবায়নে বিএনপি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর সুষম উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা হবে। তরুণ প্রজন্ম হবে বিএনপির আগামী সরকারের প্রধানতম শক্তি। তারুণ্যের শক্তিকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।
৮৮ দিন আগে
চট্টগ্রামে লাইসেন্সবিহীন ট্রলার দখল করে সাগরে মাছ শিকার, নীরব মৎস্য দপ্তর
চট্টগ্রামে এফ.ভি. কোহিনুর-২ নামে একটি ফিশিং ট্রলার লাইসেন্স ও সেইলিং পারমিশন ছাড়াই অন্তত পাঁচবার বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মাছ আহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জাহাজটির মালিকের লিখিত অভিযোগ সত্ত্বেও চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বরং দায়িত্বে অবহেলার কারণে দখলদার চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
ট্রলারের মালিক মো. বেলাল উদ্দিন জানান, শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি তার মালিকানাধীন কোহিনুর-২ অবৈধভাবে দখল করে লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় একাধিকবার সাগরে মাছ ধরেছেন। বিষয়টি তিনি সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তারকে লিখিতভাবে জানালেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া ৫ বার ট্রলার সাগরে গেছে, অথচ মৎস্য দপ্তর, নৌ পুলিশ কিংবা কোস্টগার্ড কেউই পদক্ষেপ নেয়নি। এতে বোঝা যায়, দখলদাররা ভেতরে ভেতরে শক্তিশালী মহলের আশ্রয় পাচ্ছে।’
অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, কোতোয়ালী থানা ও মেরিন হোয়াইট ফিশ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সালিশে উভয় পক্ষের মধ্যে কোটি টাকার সমঝোতা হলেও সেটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তবুও গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভোরে আবারও কোহিনুর-২ সাগরে ফিশিংয়ে যায়।
মালিক বেলাল উদ্দিন দাবি করেন, ভাড়াটিয়ারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মৎস্য দপ্তরের অনুমতি পাওয়ার কথা বলেছেন। অথচ প্রমাণস্বরূপ তার কাছে ফোন কলের রেকর্ডও রয়েছে। আগেও তিনি আগ্রাবাদ মৎস্য দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু সেখান থেকেও কোনো আইনি ব্যবস্থা হয়নি।
চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান স্বীকার করেছেন, ট্রলারটির লাইসেন্স দুই বছর আগে বাতিল করা হয়েছিল এবং বর্তমানে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে শুনানাধীন। তিনি জানান, ‘আমাদের অনুমতি ছাড়াই ভাড়াটিয়ারা সাগরে চলে গেছে। আমরা কোস্টগার্ড ও নেভিকে জানিয়েছি, কিন্তু জাহাজটি ধরা সম্ভব হয়নি।’
তবে মালিক বেলালের অভিযোগ— দপ্তরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া মেলেনি।
কোস্টগার্ডের কমান্ডার মো. ওমর ফারুক জানান, লাইসেন্স ইস্যু ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া মৎস্য দপ্তরের দায়িত্ব। কিন্তু দপ্তরের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় জাহাজটি এখনো অবাধে সমুদ্রে যাতায়াত করছে।
আইন অনুযায়ী লাইসেন্সবিহীন কোনো ট্রলার সাগরে যাওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। অথচ কোহিনুর-২ জাহাজ বারবার সাগরে গিয়ে বিপুল পরিমাণ মাছ আহরণ করছে— অথচ মৎস্য দপ্তর দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় জেলে ও মালিকপক্ষের অভিযোগ, দখলদার চক্র মৎস্য দপ্তরের ভেতরের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এতটা সাহসী হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে— লাইসেন্সবিহীন ট্রলার যদি বারবার সাগরে যেতে পারে, তবে আইনের প্রয়োজন কোথায়? আর মৎস্য দপ্তর নামক সরকারি প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা আসলে কী?
৮৮ দিন আগে
ঢামেকে চিকিৎসাধীন এক হাজতির মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ( ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আমির হোসাইন (৩৮) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ৬০১ নং ওয়ার্ডে তিনি মারা যান।
কারারক্ষী আরমান জানান, গতকাল (বুধবার) রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমিরকে ঢামেকে ভর্তি করানো হয়। পরে আজ সকাল ১১ টার দিকে ৬০১ নাম্বার ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নিহত আমির কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি হিসেবে ছিলেন।তার হাজতি নম্বর ৮৫২৬/২৫। তবে কোন মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি কারারক্ষী আরমান।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৮৮ দিন আগে
দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) অংশগ্রহণ শেষে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ১০ মিনিটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ওঠেন প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধি দল।
বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে বিদায় জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টা দুবাই হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে নির্ধারিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: আসন্ন নির্বাচন ঘিরে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
এর আগে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন অধ্যাপক ইউনূস। পরে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ হলে ‘রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে সফর শেষ করেন।
২৬ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ—এর ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা এবং অধিবেশনের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন।
পরে ২৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে উল্লেখ করে তার সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
এ ছাড়া নিউইয়র্কে সোশ্যাল বিজনেস, ইয়ুথ অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইউনূস।
নিউইয়র্ক সফরে তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ঢাকা থেকে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেন। এ ছাড়া জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দলে যুক্ত হন।
৮৯ দিন আগে