বাংলাদেশ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বিশ্বাসপাড়া গ্রামের একটি কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা মন্দিরে প্রবেশ করে দুটি প্রতিমার হাত ও মাথা ভেঙে দেয়।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা মন্দিরে গিয়ে ভাঙা প্রতিমা দেখতে পেয়ে বিষয়টি মন্দির কমিটিকে জানান।
খবর পেয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জন বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে মন্দিরে গিয়ে দেখি দুটি প্রতিমার হাত ও মাথা ভাঙা। আমাদের মন্দিরটি নির্জন স্থানে হওয়ায় অরক্ষিত ছিল। সেই সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা এ কাজ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রামে হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলেমিশে বসবাস করি। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িক বিভেদ নেই। তবে দুর্গাপূজার আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে বলে আমরা মনে করছি।’
স্থানীয়রা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
৯৩ দিন আগে
সম্পদ তার প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিন: প্রধান উপদেষ্টা
অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ গচ্ছিত রাখতে সুযোগ দেওয়া দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই সম্পদ প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বের বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা উন্নয়নশীল দেশ থেকে সম্পদের এই অবৈধ পাচার কার্যকরীভাবে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘যেসব দেশ ও প্রতিষ্ঠান এ পাচারকৃত সম্পদ গচ্ছিত রাখবার সুযোগ দিচ্ছে, তাদের আমি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন এই অপরাধের শরিক না হয়— এ সম্পদ তার প্রকৃত মালিককে অর্থাৎ কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ করদাতাদের নিকট ফিরিয়ে দিন।’
তা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়মই বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ ট্যাক্স হেভেনে পাচার করতে সুযোগ করে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, দেশের পাচার হওয়া অবৈধ সম্পদ পুনরুদ্ধার করা বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকার।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি ডলার অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আমরা নিরলসভাবে এই সম্পদ ফেরত আনার চেষ্টা করছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইনি প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে আমাদের এই প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দৃঢ় সদিচ্ছা ছাড়া বাংলাদেশ এই সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে: অধ্যাপক ইউনূস
তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদ পাচার ঠেকাতে এবং পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনতে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা একে একে আবিষ্কার করি দুর্নীতি ও জনগণের সম্পদ চুরি কি ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছিল এবং তার ফলশ্রুতিতে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা কি ভয়ানক নাজুক ও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল। আমরা এর অবসান ঘটাচ্ছি যেন আর কখনোই উন্নয়নকে জনগণের সম্পদ আত্মসাতের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা না যায়।‘
তিনি আরও বলেন, দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মজবুত করতে তারা কঠিন হলেও প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থার সংস্কার।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংস্থাকে পৃথক করার জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে, এবং রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসব পদক্ষেপ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এফএফডি৪ সম্মেলনে গৃহীত সেভিলা অঙ্গীকারের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ যেভাবে সেভিলা অঙ্গীকার অনুযায়ী সংস্কার বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, সেভাবে উন্নত দেশগুলোও যেন তাদের যৌথ অঙ্গীকার পূরণ করে— এমন আশা প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, `আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থায় বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনার সংস্কার, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক কর সহযোগিতার বৈশ্বিক কাঠামো, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অবৈধ ও দুর্নীতিলব্ধ অর্থ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারেও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।‘
৯৩ দিন আগে
ফেনীতে দুই কন্যাকে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ
ফেনীর পরশুরামে দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা দাবি করে ভাসুরের ছেলে জিহাদের (২২) বিরুদ্ধে পরশুরাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি উপজেলার দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামের ঘৃণা গাজী মজুমদার বাড়িতে ঘটেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, মৃত অশ্রু মজুমদারের ছেলে জিহাদ তার চাচা দুবাই প্রবাসে থাকায় ফাঁকা সুযোগে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে জিম্মি করে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এ সময় তিনি ভুক্তভোগীর দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার হুমকি দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, স্বামী এক বছর ধরে প্রবাসে থাকায় দুই সন্তান নিয়ে ওই নারী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে জিহাদ আমাকে একাধিকবার জিম্মি করে ধর্ষণ করেছে। দুই মেয়েকে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছে। এখন আমি দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম জানান, ভুক্তভোগী নারী জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে জিহাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি আরও বলেন, ভুক্তভোগী নারী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা দাবি করেছেন।
৯৪ দিন আগে
নদীগর্ভে বিলীন দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ১৩০ মিটার অংশ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ১৩০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু ও রংপুর–লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়ক।
প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অন্তত ৩০–৩৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ধসে যেতে পারে বৃহৎ এই সেতুটি।
এর আগে, গত ১১ আগস্ট সরেজমিনে দেখা গিয়েছিল, বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ধসে ৭০ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়। ১৭ আগস্ট ধস থেকে ভাঙনে পরিণত হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে দেখা যায়, বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে রংপুর–লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়কসহ লহ্মীটারী ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের প্রায় ১,৭০০ পরিবার সরাসরি হুমকির মুখে পড়েছে। ভাঙন যদি আরও তীব্র হয় তাহলে এসব পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে থেকেই বাঁধের ব্লক ধসে পড়ছিল। বিষয়টি বারবার জানালেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
কাজ শেষ হওয়ার আগেই রংপুরে নদী তীর রক্ষা বাঁধে ধস
বাঁধসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রিপন ও কাইয়ুম বলেন, প্রতিদিন ভাঙন বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। ব্যবসায়ী শাহনাজ বেগম বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শহরে যাই। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থী বাদশা মিয়া জানান, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে দেখি বাঁধ ভেঙে নদীতে চলে গেছে। কাল হয়তো রাস্তা থাকবে না।
স্থানীয় কৃষক খোরশেদ আলী বলেন, আমাদের আবাদি জমি নদীতে চলে যাচ্ছে। অথচ এলজিইডি শুধু আশ্বাস দিয়েছে, কোনো কাজ করেনি।
লহ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমরা বারবার এলজিইডিকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা শুধু বলেছে দেখবে। এখন পুরো সেতু হুমকিতে।
অবৈধ বালু উত্তোলনে ধ্বংসের মুখে তিস্তার কোটি টাকার স্পার বাঁধ
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৯৪ দিন আগে
ঢাকা উদ্যানে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ: দগ্ধ নারীর মৃত্যু
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ পারুল আক্তার (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত পারুল আক্তারের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার হাওয়া কান্দি গ্রামে। তিনি দুই সন্তানের জননী ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, গতকাল ভোররাতে ঢাকা উদ্যান এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আজ সকাল সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিমেল এইচডিইউতে তিনি মারা যান। তার শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এছাড়া তার ইনহেলেশন বার্নও ছিল।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা উদ্যানের দুই নম্বর রোডের বি-ব্লকের হক ভিলা নামে একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল এইচডিইউতে ভর্তি করা হয়।
পানির মোটরের সুইচ দিতে গিয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হন পারুল আক্তার।
৯৪ দিন আগে
গাজীপুরে ঝুট গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি ঝুট গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে, রাত ১০টা ৫৮ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের তিন ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পৌনে আটটায় মহানগরের কোনাবাড়ী থানার আমবাগ এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুন নেভাতে কোনাবাড়ি ফায়ার স্টেশনের ০২টি, চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনে ০৩টি এবং সারাবো ফায়ার স্টেশনের ১টি মিলিয়ে ৭টি ইউনিট কাজ করে।
তবে, এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
৯৪ দিন আগে
শিক্ষার্থীদের কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে: অধ্যাপক ইউনূস
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেনপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে বর্তমানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এশিয়া সোসাইটি ও এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউট আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘এ ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে সবাই উপকৃত হয়। তাই আমি বলেছি, আমাদের আঞ্চলিক অর্থনীতির কথা ভাবা উচিত। এটাই আমাদের করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে আমাদের ভারতীয়দের সঙ্গে সমস্যা হচ্ছে, কারণ তারা শিক্ষার্থীদের কার্যকলাপ পছন্দ করছে না।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও তরুণদের মৃত্যুর জন্য দায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। এটি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে উত্তেজনাপূর্ণ করেছে। পাশাপাশি ভারত থেকে অনেক মিথ্যা খবরও ছড়ানো হয়েছে যা খুবই খারাপ বিষয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যমে ইসলামি আন্দোলনের ভুয়া খবরের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এসবের সঙ্গে তালেবানের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত খবর যুক্ত করা হয়েছে। ‘এমনকি তারা বলেছে, আমি নিজেও নাকি তালেবান। আমার দাড়ি নেই, বাড়িতে রেখে এসেছি,’ মজার ছলে বলেন তিনি।
এ সময় সার্কসহ আঞ্চলিক সংস্থার গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি। আঞ্চলিক অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশও আপনার অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে। এটাই সার্কের ধারণা।’
সার্ক সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্কের পুরো ধারণা বাংলাদেশে জন্মেছে এবং বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের রাজধানীতে এই ধারণা প্রচার করেছে। সার্ক একটি পরিবারের মতো, যার মূল ভাবনা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একত্রিত করা। তরুণরা যেন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে, শিক্ষা ও ব্যবসায় অংশগ্রহণ করতে পারে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একে অপরের দেশে সফর করা, বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়াশোনা করা এবং দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: ফিনিশ প্রেসিডেন্টকে প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘এটাই মূল ধারণা। তবে কিছুকাল আগে এটি কোনো এক দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খায়নি। তাই আমরা এটিকে স্থগিত করতে বাধ্য হই। আমরা দুঃখিত, এবং সবাইকে আবারও একত্রিত করতে চাই। এটাই আমাদের সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ।’
'আমি বলেছিলাম, প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন নেপাল, ভুটান, এবং ভারতের সাতটি রাজ্যের কথাও ভাবুন। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সাতটি রাজ্য রয়েছে, যাদের সমুদ্র সংযোগ নেই। এগুলো ল্যান্ডলকড অঞ্চল।’
আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার মালয়েশিয়া। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সমঝোতায় আসা সহজ নয়, বিশেষ করে মায়ানমার, যাদের রোহিঙ্গা বিষয়ক সমস্যা রয়েছে, উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো এগিয়ে আসবে না, তবে আমরা কাজ চালিয়ে যাব। আমরা মনে করি না, এটি মিয়াননমার ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থায়ী দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে। আমাদের তা করার দরকার নেই। তাই সব সমস্যা সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গারা চাইলে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবে, তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা ও পেশায় ফিরে যেতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকবে। একে অপরের সঙ্গে বিরোধ করা কারো জন্যই উপকারী নয়। তাই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অনানুষ্ঠানিকভাবে আসিয়ানের সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে প্রধান উপদেষ্টাকে পাকিস্তানে আমন্ত্রণ
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা এটা করতে পারি। আসিয়ান একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আঞ্চলিক সমন্বয় ও আন্তঃসংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব।’
একটি পৃথক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জানান, দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার।
এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
৯৪ দিন আগে
হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: ফিনিশ প্রেসিডেন্টকে প্রধান উপদেষ্টা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বুধবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনমান অনুসরণ করেই এই বিচার পরিচালিত হচ্ছে। বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও তিনি (হাসিনা) উসকানিমূলক ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী মন্তব্য করছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা প্রত্যর্পণ চেয়েছি।’
বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, জাতিসংঘ সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আসিয়ানভুক্তির প্রচেষ্টা, শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার এবং নেপাল-ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ পাওয়ার উদ্যোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ মাসে আমরা (অন্তর্বর্তী সরকার) অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছি।’
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমাদের জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এখন তারা ফেব্রুয়ারির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’
বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার চলছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই চার্টারে সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে বলেও ফিনিশ প্রেসিডেন্টকে জানান তিনি।
৯৫ দিন আগে
অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে প্রধান উপদেষ্টাকে পাকিস্তানে আমন্ত্রণ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এই বৈঠক অুনষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকের শুরুতে পাকিস্তানে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ইউনূস।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইতালি সম্পর্ক জোরদারে প্রধান উপদেষ্টা-মেলোনি বৈঠক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানান, এই বন্যার প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য বিষয়।
এর আগে, এ বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান তাদের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
সে সময় পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিল বাংলাদেশ।
৯৫ দিন আগে
বাংলাদেশ-ইতালি সম্পর্ক জোরদারে প্রধান উপদেষ্টা-মেলোনি বৈঠক
বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যকার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশের সরকার। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকা সফরে আসতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ অক্টোবর) নিউইর্য়কে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী মেলোনি। বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসার আশা প্রকাশ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে নিরাপদ অভিবাসনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ মানবপাচারের ফাঁদে পড়ে ইতালিতে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই সেটি এক ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়। বহু বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছেন। তাই কীভাবে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বিস্তারের গুরুত্ব তুলে ধরলে ইতালির প্রধানমন্ত্রী ‘ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম’ করার প্রস্তাব দেন।
এর আগে, ২৩ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফর করেন মেলোনি। সফরে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং এবং প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনা পালাসিওসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে অংশ নেন।
এদিকে, চলতি বছরের মে মাসে নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন, মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়গুলোতে সহযোগিতা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ও ইতালির সরকার।
এ ছাড়াও নিরাপত্তা কাঠামো শক্তিশালী করতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য ও গোয়েন্দা আদান-প্রদান এবং যৌথ প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে দুই দেশ।
গত ৫-৬ মে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসির বাংলাদেশ সফরের পর এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আন্তঃদেশীয় সংগঠিত অপরাধ প্রতিরোধে সহযোগিতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ‘যৌথ কমিটি’ গঠনের উদ্যোগ নেবে দুই দেশ।
৯৫ দিন আগে