বাংলাদেশ
ডাকসুর প্রথম সভায় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর অনুষ্ঠিত প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এসএম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খানসহ ডাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
সভা শেষে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘এই নির্বাচনে কেউ হারেনি। আমরা সবাই মিলে কাজ করব। ডাকসুতে কারও ব্যক্তিগত জয় বা পরাজয় নেই—এটি শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাই প্রজন্মের বিজয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রশ্ন করবেন, আর আমরা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার জবাব দেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের যেকোনো সমস্যা আমাদের জানাতে পারবেন। আমরা তাদের মতামত শুনে মাসিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করব।’
আরও পড়ুন: ডাকসুর মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ: ফারুকী
জিএস এসএম ফরহাদ বলেন, ‘আমরা সবার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে চাই। শিক্ষার্থীদের দাবি ও সমস্যাগুলো তুলে ধরার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি করে বাস্তবায়নে নামব।’
তিনি জানান, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ পদে সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত করা হবে।
সভায় নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা গঠনমূলক নীতিমালা প্রণয়ন, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি, এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রথম সভার শুরুতে নির্বাচিত নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য। পরে ডাকসুর ভিপি, কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদসহ মোট ২৮টির মধ্যে ২৩টি পদে বিজয়ী হন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা। বাকি পাঁচটির মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র ও একটিতে বামপন্থী প্যানেলের প্রার্থী জয়ী হন। আজকের সভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ডাকসু কমিটির কার্যক্রম শুরু হলো।
১০৬ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনকে ডাকসুর সঙ্গে মেলানো যাবে না, মডেল হিসেবে কাজ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ডাকসু নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না, তবে এ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে মডেল হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
ডাকসু নির্বাচন চলছে। ইতোমধ্যে ভোট নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ এসেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'কোন পাল্টা অভিযোগের কথা আমরা শুনিনি। আমরা গতকালকেও আলোচনা করেছি। উপাচার্য মহোদয়ের কাছ থেকে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, তারা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন। আমরাও আশা করছি খুব ভালো একটা নির্বাচন হবে। সকালে আমি মিডিয়ায় দেখেছি, যতক্ষণ দেখেছি (ভোট) ভালোভাবেই হচ্ছে।'
ডাকসু নির্বাচন মডেল কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, 'যারা এখানে (ডাকসু) ভোট দিচ্ছে তারা সবাই শতভাগ শিক্ষিত সমাজ। জাতীয় নির্বাচনকে এটার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। কিন্তু এটা তো একটা মডেল হিসেবে কাজ করবে। এখানে যারা প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার হচ্ছেন তারা একেবারে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। জাতীয় পর্যায়ে কিন্তু আবার ঠিক এ রকম হবে না। কিন্তু এটা ডেফিনেটলি একটা মডেল।'
পড়ুন: দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চালু হচ্ছে অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, 'অনেক বছর পর একটা নির্বাচন হচ্ছে। এটা ডেফিনেটলি একটা মডেল। আমরা আশা করব আল্লাহ দিলে আপনাদের সবার দোয়ায় যাতে নির্বাচনটা (ডাকসু) ভালোভাবে হয়ে যায়।'
উপদেষ্টা বলেন, '(ডাকসু নির্বাচনে) সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং ভোটও দিচ্ছে। সকালবেলা আমার মিডিয়া রিপোর্টগুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে।'
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, আমরা আজকে সভায় মূলত জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছি।
১১১ দিন আগে
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য দূতাবাসের জরুরি বিজ্ঞপ্তি
নেপালে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে জরুরি নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে ঘর বা হোটেলে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে কাঠমান্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেপালে বর্তমানে বসবাসকারী বা আটকে পড়া সকল বাংলাদেশি নাগরিককে বাইরে না যাওয়ার এবং নিজ নিজ স্থান বা হোটেলে অবস্থান করার জন্য কঠোরভাবে পরামর্শ দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে ভ্রমণেচ্ছুক সকল বাংলাদেশি নাগরিককে আপাতত নেপাল ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে—
· মো. সাদেক: +৯৭৭ ৯৮০৩৮৭২৭৫৯।
· সারদা: +৯৭৭ ৯৮৫১১২৮৩৮১।
১১১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচনে লাইভ করার সময় সাংবাদিকের মৃত্যু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ঢাবির কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তরিকুল শিবলী (৪০) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিক জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ঢাবির কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় লাইভে ছিলেন তরিকুল শিবলী। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: দুটি ব্যালট দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
তরিকুল শিবলীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায়। বর্তমানে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
১১১ দিন আগে
ডাকসুর মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ: ফারুকী
উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা লেখেন তিনি।
উপদেষ্টা লেখেন, ‘ডাকসুর মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ। এরপর চলে আসবে জাতীয় নির্বাচনের ট্রেন। সবাইকে নির্বাচন মোবারক!’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে লাইলাতুল ইলেকশনের জননী, ব্যাংক লুটেরা, গুমের মাস্টারমাইন্ড (মূল পরিকল্পনাকারী), বিডিআর-শাপলা-জুলাই ম্যাসাকারের (গণহত্যা) প্রধান পরিকল্পনাকারী, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি খুনী হাসিনা যে কথা বলেননি, ‘যে ভোট রাতেই করে ফেলা যায় সেটা দিন পর্যন্ত রাখা হলো কেনো? সময়ের কাজ সময়ে না করা এই জাতির বড় দূর্বলতা’।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
এদিকে, আজ সকাল ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুরো জাতির দৃষ্টি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এ নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে।
ডাকসুর চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী।
অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। এ ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর) শিটে। প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে।
আগে ৮ কেন্দ্রে ৭১০ বুথ ছিল। পরে সেটি বাড়িয়ে ৮১০ করা হয়েছে, যাতে আবাসিক-অনাবাসিক ভোটারদের কোনোভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি পোহাতে না হয়।
প্রার্থী তালিকায় রয়েছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বামজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেল। নির্বাচনী লড়াইয়ে ভিপি ও জিএসসহ অন্যান্য পদে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী প্রার্থীও।
১১১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: কারচুপির অভিযোগ বাগছাসের, ভিপিপ্রার্থী কাদের-বাকেরের ক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মূলত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টিএসসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুল কাদের বলেন, ‘এত ষড়যন্ত্রের পরও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সবসময়ই একটি গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ভেতর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরাসরি ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।’ তার দাবি, বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আবিদ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: দুটি ব্যালট দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
কাদের বলেন, ‘আমরা দেখেছি কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে প্রার্থীরা হাসাহাসি করছে, ভোট চাইছে। এগুলো কী ধরনের নির্বাচন? আমি রাব্বানী স্যারকে ফোন করে বলেছি— এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কোথায়? তিনি বলেছেন— আমি তো আছি, আসছি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।’
বৈষম্যবিরোধী সমর্থিত প্যানেলের এই প্রার্থীর আরও অভিযোগ, এমফিল ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বারবার আঁতাত করা হয়েছে। আজ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কেন এমফিল নিয়ে এত আগ্রহ ছিল। এ প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করেই নির্বাচনে কারচুপি হচ্ছে।’
‘আমরা বুঝতে পারছি, কেন ছাত্রদল বয়সসীমা তোলার জন্য চাপ দিয়েছিল? নির্বাচন কমিশন কাদের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব করেছে? সবকিছু এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। যাদের বড় তালিকায় আনা হয়েছিল, তারাই এখন ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে।’
আব্দুল কাদেরের অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই আচরণবিধি কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের দিন তার কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বহুবার জানিয়েছি নিয়মশৃঙ্খলা মানা হচ্ছে না, অথচ ইসি শুধু আশ্বাস দিয়েছে। আসলে তারা কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে, সেটা এখন শিক্ষার্থীদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
এ অবস্থায় তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না ডাকসু আবার এমন এক গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হোক। আমরা আলোচনা করে পরবর্তী অবস্থান জানাব।’
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: অনিদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, ছাত্রদলের জেসানকে সমর্থন
এদিকে, একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ‘একুশে হলে ভোট দেওয়ার পেপার আগে থেকে পূরণ করা ছিল। পরে সেখানে বিষয়টি ধরতে পারলে কার নামে পূরণ করেছিল আগে থেকে পূরণ করা ছিল সেটি জানতে চাইলে তারা বলেনি। ওই হলে একজন পোলিং অফিসার জড়িত ছিল। এমন ঘটনা আমরা ইউল্যাব কেন্দ্রেও শুনেছি।’
বাকের বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চেয়েছিলাম, এখনো চাই। আশা করি, শিক্ষার্থীরা যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে নেবেন। যারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য বিভিন্ন পন্থা তৈরি করছে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের রুখে দেবে।’
বাগছাসের এই নেতা আরও বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ থেকে ৪ শ’ ভোট কনভার্স (কারচুপি অর্থে) করা হচ্ছে। আমরা এখনো আশা রাখতে চাই, কারা ক্ষমতা চুরি করতে চায় সেটা বের করবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতা চুরি করেছিল, এমন হলে নতুন করে দরকার হলে ঢাবিতে আবার অভ্যুত্থান হবে।’
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘শামসুন্নাহার হলে সাদা দলের লোক ইমব্যালান্স তৈরির আশঙ্কা তৈরি করেছেন। এই যে আশঙ্কার কথা আমরা দীর্ঘদিন বলে আসছি। আজকের সেই আশঙ্কা মাঠে দেখা যাচ্ছে। ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্কিত হবে। আমরা শুনছি এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’
১১১ দিন আগে
নুরাল পাগলার মাজারে হামলা, মসজিদের ইমামসহ গ্রেপ্তার ১৮
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানো, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ হামলায় হতাহতের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গোয়ালন্দে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, মাজার ভাঙা, মারামারিতে আহত, নিহত, সম্পদ লুটপাট, কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলার অপরাধে আজ সকাল পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম লতিফ হুজুর, যিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। আজ ভোরে তাকে মানিকগঞ্জের চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়াও দরবার ভাঙা, মারামারিতে আহত, নিহত, সম্পদ লুটপাট, কবর হতে লাশ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় নিহতের পিতা মো. আজাদ মোল্লা (৫৫) বাদী হয়ে গতকাল (সোমবার) রাতে একটি মামলা করেছেন বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নুরাল পাগলার দরবার থমথমে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
গত ২৩ আগস্ট (শনিবার) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান নুরাল পাগলা। ওই দিন রাতে দরবারের ভেতরে ১২ ফুট উঁচু করে দাফন করা হয়। বিষয়টি শরিয়ত পরিপন্থি বলে অভিযোগ তোলেন ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি।
এরপর গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, ভাঙচুর চালায়। এ সময় নুরাল পাগলার ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং দুপক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
১১১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: দুটি ব্যালট দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট চলাকালে একজন শিক্ষার্থীকে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ একাধিক ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাবির কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি প্রশাসন জানিয়েছে, ভোট চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুইটি ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি যে অনিচ্ছাকৃত ভুল তা অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পারেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করে।
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১১১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
আজ সকাল ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণার পর আজকের দিনটি ক্যাম্পাস রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
ভোট দেওয়ার পর এক শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘এই প্রথমবার আমি ভোট দিলাম, আর আমি খুবই আনন্দিত যে এমন একজন নেতাকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি যিনি আমার কণ্ঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।’
সহপাঠীদেরও ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি নিজের পছন্দমতো স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছি। আগের দিনে শুনতাম, কিছু সংগঠন শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করত, এমনকি তাদের হয়ে ব্যালটে ছাপ মেরে দিত। কিন্তু এবার এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোটের আহ্বান সাদিকের, আচরণবিধি লঙ্ঘনের নিন্দা
ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম সামগ্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির পূর্বাভাস দিয়ে নিজের সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুরো জাতির দৃষ্টি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এ নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে।
১১১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোটের আহ্বান সাদিকের, আচরণবিধি লঙ্ঘনের নিন্দা
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট (জিএস) পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম মঙ্গলবার ডাকসু নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সব প্রার্থী ও ভোটারদের দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রশ্নটি ছিল একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জুলাই আন্দোলনের চেতনা বিজয়ী হবে।’
সাদিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ‘এই ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আরও পড়ুন: ডাকসুতে ভোট দিলেন শিবির ও ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি-জিএস প্রার্থীরা
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে নিজের ভোট প্রদান করেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আটটি কেন্দ্রে একযোগে এ ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো জাতির নজর এখন এখানে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা হিসেবে এ নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী তাDদের ভোট প্রদান করবেন।
১১১ দিন আগে