বাংলাদেশ
যুক্তরাজ্য নির্বাচন: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৪ ব্রিটিশ নাগরিকের জয়
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির পক্ষে জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার প্রার্থী।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
বিজয়ী চারজন হলেন- টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, রুশনারা আলী, রূপা হক ও আপসানা বেগম।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক-নিরাপত্তা-অভিবাসন অংশীদারিত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট এবং গ্রিন পার্টির লর্না জেন রাসেল পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩০ ভোট।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত এই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন রুশনারা আলী। লেবার পার্টির রুশনারা আলী পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাসরুর পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৭ ভোট।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে এমবিই সম্মাননা পাচ্ছেন জিয়াউস সামাদ চৌধুরী জেপি
লেবার পার্টির আরেক প্রার্থী ড. রূপা হক ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন থেকে এমপি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। ২২ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়েছেন ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত রূপা হক। নিকটতম প্রার্থী কনজারভেটিভ পার্টির জেমস উইন্ডসর-ক্লাইভ পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৪৫ ভোট। লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অ্যালিস্টার মিটন ৬ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
এছাড়াও পপলার ও লাইম হাউস আসনে ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আপসানা বেগম।
এদিকে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন লেবার নেতা কেয়ার স্টারমার।
'হাতের চুম্বন' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজা তৃতীয় চার্লসের আশীর্বাদ নিয়ে সরকার গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন স্টারমার।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে অস্ত্র-জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে সব দেশের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউর
৫৪১ দিন আগে
কৃষিক্ষেত্রে এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন ২২ জন
কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা এআইপি সম্মাননা-২০২১ পাচ্ছেন ২২ জন।
এআইপি নীতিমালা-২০১৯ এর আলোকে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচটি ক্যাটাগরিতে তারা নির্বাচিত হয়েছেন।
ইতোমধ্যে নির্বাচিত ব্যক্তিদের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বীকৃত বা সরকারের নিবন্ধিত কৃষি সংগঠন শ্রেণিতে তিনজনকে এআইপি নির্বাচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সফল জননী’ হিসেবে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পেলেন চা শ্রমিক কমলি রবিদাস
তারা হলেন, কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাইখ সিরাজ, পরিবেশবিষয়ক সংগঠক হিসেবে চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন তিলোত্তমার প্রতিষ্ঠাতা সাহেলা আবেদীন ও সমবায় উদ্যোক্তা হিসেবে সাতক্ষীরার ধানদিয়া সিআইজি মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি শিখা রানী চক্রবর্তী।
জাত বা প্রযুক্তি উদ্ভাবন শ্রেণিতে নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন- এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফারায়েজুল হক আনসারী, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির কৃষি উদ্যোক্তা এম এ মতিন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য চুয়াডাঙ্গার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ।
কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প শ্রেণিতে ১০ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা এআইপি হয়েছেন।
তারা হলেন, উন্নতজাতের ফলচাষের জন্য টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের কৃষি উদ্যোক্তা মো. ছানোয়ার হোসেন, পেঁয়াজ বীজ চাষের জন্য ফরিদপুরের খান বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শাহীদা বেগম, সাথী ফসল উৎপাদন করে জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষি উদ্যোক্তা সুরেশ্বর মল্লিক, ফলচাষের জন্য চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন, জলাবদ্ধতা নিরসণে কাজ করায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অ্যাগ্রো বেইজড সোশিও ইকোনমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন, দুগ্ধ উৎপাদনে পাবনার ঈশ্বরদীর তন্ময় ডেইরি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. আমিরুল ইসলাম, মাছ চাষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আল বারাকা মৎস্য খামার অ্যান্ড হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী মাছুদুল হক চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মৌচাষি কৃষি উদ্যোক্তা মো. রফিকুল ইসলাম, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ফলচাষি সিরাজ বহুমুখী খামারের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম ও শেরপুর সদর উপজেলার ফলচাষি মা-বাবার দোয়া ফ্রুট গার্ডেন নার্সারি অ্যান্ড অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. হযরত আলী।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে এমবিই সম্মাননা পাচ্ছেন জিয়াউস সামাদ চৌধুরী জেপি
রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন শ্রেণিতে দুইজন এআইপির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তার হলেন, বৃক্ষরোপণ ও বনসাই নার্সারির জন্য গাজীপুর সদর উপজেলার লিভিং আর্ট গার্ডেনের পরিচালক কে এম সবুজ ও বারোমাসি আম চাষি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের কৃষি উদ্যোক্তা মোহা. রফিকুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শ্রেণিতে তিনজনকে এআইপি নির্বাচন করা হয়েছে।
তার হলেন, জৈবসার ও কেঁচোসার উৎপাদক নীলফামারীর ডোমার উপজেলার অন্নপূর্ণা অ্যাগ্রো সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী রাম নিবাস আগরওয়ালা, বাণিজ্যিক কৃষি খামারি হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের অমিত ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মায়া রানী বাউল ও সফল বীজ উৎপাদকারী পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবদুল খালেক।
উল্লেখ্য, এআইপি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মোট পাঁচটি বিভাগে এআইপি সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে। এআইপি কার্ডের মেয়াদকাল হচ্ছে এক বছর। এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগসুবিধা পান।
এর মধ্যে রয়েছে, মন্ত্রণালয় হতে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ; বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার; নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা ও বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সুবিধা।
কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। ২০২০ সালে এআইপি পেয়েছিলেন ১৩ জন।
আগামী রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালের এআইপি পুরস্কার দেওয়া হবে।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
২০২২ ও ২০২৩ সালের এআইপি নির্বাচনের কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
৫৪১ দিন আগে
দেশে আরও ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে নতুন করে ১৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৪ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৭ জনের করোনা শনাক্ত
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৭ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত
৫৪১ দিন আগে
আরও এক বছর আইজিপির দায়িত্বে আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছে সরকার।
শুক্রবার (৫ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইজিপি হিসেবে আবদুল্লাহ আল মামুনের নতুন মেয়াদ ২০২৪ সালের ১২ জুলাই থেকে শুরু হবে এবং ২০২৫ সালের ১১ জুলাই বা তার বর্তমান চুক্তির ধারাবাহিকতায় যোগদানের তারিখ থেকে শেষ হবে।
এর আগেও পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে তার দায়িত্বের মেয়াদ দেড় বছরের জন্য বাড়ানো হয়।
২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বেনজীর আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেন আল-মামুন।
৫৪২ দিন আগে
শনিবার রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ৭ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল মেলা
শনিবার শুরু হচ্ছে ৭ দিনব্যাপী ‘পাহাড়ি ফল মেলা-২০২৪’।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘পাহাড়ি ফল মেলা-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে ৪০ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা
প্রধান অতিথি হিসেবে শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ মেলার উদ্বোধন করবেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ‘পাহাড়ি ফল মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
মেলা শনিবার (৬ জুলাই) থেকে শুক্রবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত চলবে। এছাড়া মেলা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং, জ্বরতী তঞ্চঙ্গা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, উপজাতীয় শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক খাদ্য-পানীয় মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আয়োজনে রাজধানীতে উদ্যোক্তা মেলা
৫৪২ দিন আগে
কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সম্পর্কিত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের ৪৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কক্সবাজারে পররাষ্ট্র সচিব ও জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সভাপতি মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন- কক্সবাজার ও ভাসানচর ক্যাম্পের সমস্যা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার আরও সচেষ্ট হবে বলে আশ্বাস বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের
সভাপতি উল্লেখ করেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসন এই সমস্যার একমাত্র সমাধান।
সভায় এলপিজি, খাদ্য, চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন সেক্টরে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অধিকতর ও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় রাখাইনে প্রত্যাবাসন-সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের চলমান কর্মসূচি সম্পর্কে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা অবহিত করেন।
এ সময় জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ৪৫তম জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সভায় যোগদানের পূর্বে পররাষ্ট্র সচিব কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেন। তিনি সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি, দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মকান্ড, প্রত্যাবাসন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: সংকট গভীর হওয়ার আগেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন জরুরি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৪২ দিন আগে
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা। ৯টি জেলায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ৭৮ সে.মি., নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭২ সে.মি. এবং হাতিয়া পয়েন্টে ৮০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চিলমারী থেকে রৌমারীগামী ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
এছাড়াও ২ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলায় ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশুসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা মতিউর বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে আছে। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘণ্টা ধরে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা নিচে রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলায় ৬২ হাজার ২০০ মানুষ পানিবন্দি। এখন পর্যন্ত ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ৬০০০ মানুষ পানিবন্দি
৫৪২ দিন আগে
সৌদি আরবে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের মুসাসানাইয়া এলাকায় একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
বুধবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে আগুনের এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। নিহতের খবর পাবার পর থেকে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহতরা হলেন- আত্রাই উপজেলার তেজনন্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০), শিকারপুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে এনামুল হোসেন (২৫) ও দিঘা স্কুলপাড়া গ্রামের কবেজ আলীর ছেলে শুকবর রহমান (৪০)।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে তেজনন্দি গ্রামের ফারুক হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়- গ্রামের লোকজন, প্রতিবেশী ও স্বজনরা ভিড় করে আছেন। গ্রামজুড়েই যেন কান্না আর শোকের রোল পরে গেছে। ফারুকের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে যেন কেউ থামাতেই পারছেন না। বার বার কান্নায় ভেঙে পরছেন।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু
ফারুকের ভাতিজা পিন্টু আলী জানান, চাচা ফারুক হোসেন গার্মেন্টসে কাজ করতেন। গত প্রায় ৬ বছর আগে ধার-দেনা করে সৌদি আরবে যান। কিন্তু যাবার পর থেকেই সেখানে নানা সমস্যার মধ্যে পরে যান। গত প্রায় ৮ মাস হচ্ছে স্থায়ীভাবে সোফা তৈরির কারখানায় কাজে যোগদান করেন তিনি। এরই মধ্যে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মোবাইল ফোনে জানতে পারেন কারখানায় আগুনে ফারুক নিহত হয়েছেন।
উপজেলার দিঘা গ্রামের নিহত শুকবর আলীর জামাই বিদ্যুত হোসেন বলেন, তার শ্বশুড় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। গত আড়াই বছর আগে একমাত্র সম্বল ১১ শতক জায়গা বিক্রি করে তার সঙ্গে ধার-দেনার টাকায় সৌদি আরবে যান। এখন পর্যন্ত ধার-দেনার টাকা শোধ করতে পারেননি।
শুকবরের দুই ছেলে, এক মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বড় ছেলে শামিম হোসেন প্রতিবন্ধী। তার মাথা গোঁজার একমাত্র বাড়ির ৩ শতক জায়গা ছাড়া আর কোনো জমি নেই। কীভাবে শ্বাশুড়ি, শ্যালকদের নিয়ে চলবেন তা নিয়ে চিন্তায় পরেছেন। শুকবর আলীই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
শিকারপুর গ্রামের নিহত যুবক এনামুলের চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান, এনামুল গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলেন। অনেকটা সুখের আসায় ধার-দেনা করে সৌদি আরবে যান। সেখান থেকে কেবলমাত্র রোজগারের টাকায় ধার-দেনা শোধ করে ইটের বাড়ি নির্মান করছেন। বাড়ির কাজ শেষ হলে আগামী বছর নাগাদ দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিল তার। কিন্তু তা আর সম্ভব হলো না।
বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টা নাগাদ আগুনে পুরে মারা যাবার খবর আসে তার। তখন থেকেই একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে বাবা-মা পাথর হয়ে আছেন।
নিহতদের ৩ পরিবার থেকেই দ্রুত মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, সৌদি আরবে আগুনে পুরে ৩ জনের নিহতের খবর পেয়েছি। তাদের পরিবারের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। এছাড়া নিহতদের মরদেহ দেশে ফেরাতে ও সরকারি কোনো সুযোগসুবিধা থাকলে তা সহায়তা করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
৫৪২ দিন আগে
বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেটের শিক্ষাব্যবস্থা
চলতি বছরে টানা তৃতীয় দফা বন্যায় সিলেটের অবস্থা বিপর্যস্ত। সড়ক, কৃষি, মৎস্য, অবকাঠামোসহ নানা খাতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের উত্তর-পূর্বের এই জেলা। ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষা খাতেও।
বন্যার কারণে জেলার প্রায় ৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ আছে। এর মধ্যে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি জমে আছে আর বাকিগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ অবস্থায় ঈদের ছুটির পর থেকেই বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান।
শিখন ঘাটতি কমাতে ঈদ ও গ্রীষ্মের ছুটি কমিয়ে ২ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৬ জুন থেকে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান শুরু হয়। তবে সিলেটের অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঈদের পর আর পাঠদান শুরু হয়নি। একই অবস্থা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোরও। ঈদের ছুটির পর ৩ জুলাই থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেও বন্যার কারণে সিলেটে তা সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো থেকে জানা গেছে, বন্যার কারণে সিলেট জেলায় ৩৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে ৭৮টি। এছাড়া কয়েকটি কলেজে পানি উঠে যাওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার মোট ১ হাজার ৪৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯৮টিই এখন বন্ধ। এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ৩৭, বিশ্বনাথে ২, বালাগঞ্জে ৫৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ৩২, গোলাপগঞ্জে ২৭, বিয়ানীবাজারে ৫৪, জকিগঞ্জে ২৩, কানাইঘাটে ৪, জৈন্তাপুরে ৩, গোয়াইনঘাটে ২, কোম্পানীগঞ্জে ৬৫, দক্ষিণ সুরমায় ২২ ও ওসমানীনগরে ৭২টি বিদ্যালয় রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত এরশাদ বলেন, ৩৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আর বাকিগুলোতে পানি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাইদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বন্যার কারণে জেলায় ৭৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যালয় রয়েছে ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। কুশিয়ারা অববাহিকার এসব এলাকায় বন্যার পানি কমছেই না।’
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। পানি কমলে বাড়তি ক্লাসের মাধ্যমে এই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
সিলেটে প্রথম দফা বন্যা দেখা দেয় গত ২৯ মে। ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় সিলেটের সীমান্তবর্তী ৬ উপজেলা। ৮ জুনের পর থেকে এই বন্যার পানি কিছুটা কমে আসে।
তবে ১৬ জুন থেকে আবার বন্যা শুরু হয়। এতে সিলেট নগরসহ জেলার ১৩টি উপজেলায়ই বন্যা দেখা যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন প্রায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ। ২৫ জুন দ্বিতীয় দফার বন্যার পানি কমা শুরু হয়।
১ জুলাই থেকে ফের অতিবৃষ্টিতে ঢল নামলে আবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে ফের দেখা দিয়েছে বন্যা
৫৪২ দিন আগে
লাও গণপ্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান
ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. লুৎফর রহমান বুধবার (৩ জুলাই) সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে লাও গণপ্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট থোঙলুন সিসউলিথের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
এই সময় রাষ্ট্রদূত রহমান লাওসের রাষ্ট্রপতি ও জনগণের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।
রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ ও লাওসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংলাপ সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক দ্রুত সই করতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসের প্রেসিডেন্টের কাছে হাইকমিশনার জকি আহাদের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ আসিয়ান’র সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও গভীর করার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করে এবং এই লক্ষ্যে আসিয়ান’র সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার মর্যাদায় আসিয়ান প্রক্রিয়ায় সমপৃক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ আসিয়ান’র বর্তমান চেয়ার হিসেবে লাওসের জোর সমর্থন কামনা করে। লাওসের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের এই আকাঙ্খা ইতিবাচকভাবে বিবেচনার কথা জানান।
লাও গণপ্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সফলতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীরতর করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত রহমান লাওসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের সাদর আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
৫৪২ দিন আগে