বাংলাদেশ
ভারত সফর সংক্ষিপ্ত, কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসূ: সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সাম্প্রতিক ভারত সফর ছিল সংক্ষিপ্ত, কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
তিনি বলেন, ‘এ সফর ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসূ। আমি মনে করি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ সফর সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।’
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ২১-২২ জুন ভারতে তার রাষ্ট্রীয় সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সফর দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে এই সফরে যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
এছাড়া, ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ছিল ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর, কারণ ৯ জুন মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি ছিলেন।
২ প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আরও সংহত করতে সফরকালে ঢাকা ও নয়া দিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই এবং আরও ৩টি সমঝোতা স্মারকের পুনর্নবীকরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিগত ১৫ বছরে একটি অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। যার সুফল দু’দেশের জনগণ ভোগ করছেন।’
তিনি বলেন, বিশেষ করে ২০২৩ সালে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ সফরকালে ভারতের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল নবনির্বাচিত দুটি সরকার কীভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে একটি রূপকল্প প্রণয়ন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথ-চলা শুরু করেছে, সে ধারাবাহিকতায় ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
চলমান বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে মোদি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আরও গভীরভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
শেখ হাসিনা বলেন, মোদি আশ্বাস দিয়েছেন- বাংলাদেশ তাঁদের ‘প্রতিবেশী প্রথম’, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’, ‘সমুদ্র ও ইন্দো-প্যাসিফিক’ নীতির কেন্দ্রে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের দু’দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শুন্যে নামিয়ে আনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করি।
তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
৫৫২ দিন আগে
ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু
সাম্প্রতিক ভারত সফরের ফলাফল নিয়ে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুন নয়া দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর অনুষ্ঠিত হলো।
২ প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আরও সংহত করতে সফরকালে ঢাকা ও নয়া দিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই এবং আরও ৩টি সমঝোতা স্মারকের পুনর্নবীকরণ করা হয়।
৫৫২ দিন আগে
ভুটানে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন
ভুটানে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্য ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাজধানী থিম্পুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় থিম্পুতে এই কেন্দ্র উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাসো শেরিং তোবগে এবং বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক সচিবসহ ভুটান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ভুটান চেম্বার অব কমার্সের নেতা, বিপুল সংখ্যক ভুটানী ব্যবসায়ী, আমদানিকারক এবং কারুশিল্প ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ভুটান এবং বাংলাদেশ দু’দেশের যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে থিম্পুতে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনীকেন্দ্র স্থাপিত হলো। এটি শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশি পরিবেশ বান্ধব এবং বায়ো ডিগ্রেডেবল পাটপণ্য ভুটানসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বিদেশে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যে প্রদর্শনী কিন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ভুটান-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি পাটজাতপণ্যের উপর বিশেষ প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর সুজন দেবনাথ। তিনি পাটজাত পণ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা এবং এই শিল্পে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরেন।
উদ্বোধন শেষে ভুটানের নেতা ও ব্যবসায়ীরা প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং বাংলাদেশী পাটজাত পণ্য ঘুরে দেখেন। তারা বাংলাদেশের পাট থেকে উৎপন্ন বহুমুখী পণ্য যেমন-ব্যাগ, জুতা, কার্পেট, টিস্যুবক্স, কিচেন আইটেম, পোশাক, অফিস ফাইল, কনফারেন্স ফাইল, কলমদানী এবং গৃহসজ্জার বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দেখে অভিভূত হন। তারা অচিরেই ভুটানে বাংলাদেশী পাটজাত পণ্যের একটি স্থায়ী বাজার গড়ে উঠবে বলে মতামত প্রদান করেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা যায় যে, অদূর ভবিষ্যতে পণ্যের পরিমাণ এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। ভুটানের বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে এই প্রদর্শনী কেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর ফলে ভুটানের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশী পাটজাহ পণ্যের বাজার গড়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা
৫৫২ দিন আগে
মানব পাচারবিরোধী প্রচেষ্টার জন্য টিআইপি হিরো অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি আল-আমিন নয়ন
মানব পাচারবিরোধী লড়াইয়ে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের নাগরিক আল-আমিন নয়ন যুক্তরাষ্ট্রের টিআইপি হিরো হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
সোমবার (২৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মানব পাচারবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এরপর তিনি মানব পাচারবিষয়ক (ট্রাফিকিং ইন পারসনস বা টিআইপি) প্রতিবেদনটি প্রকাশ এবং তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে ‘টিআইপি হিরো’ স্বীকৃতি পাওয়া ব্যক্তিদের সম্মাননা জানান তিনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপক নয়ন বিমানবন্দরে বিদেশ-ফেরত ও পাচারের শিকার মানুষদের সহায়তায় কাজ করেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় নয়ন ছাড়া এ বছর আর কেউ এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পাননি। নয়ন ছাড়াও কেনিয়া, মালি, ফিলিপাইন, সার্বিয়া, স্পেন, সুরিনাম, বলিভিয়া এবং ইরাকের একজন করে মোট ৯ জন ২০২৪ সালে টিআইপি হিরোর স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এ বছর অনুষ্ঠানে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘সারা বিশ্ব থেকে নির্বাচিত ৯ টিআইপি হিরোকে ধন্যবাদ। আমাদের এই নায়কেরাই সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন।’
পাচারের শিকার থেকে টিআইপি হিরো হিসেবে মর্যাদা পাওয়ার অনুভূতি প্রসঙ্গে আল-আমিন নয়ন বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় কাজ করতে গিয়ে আমি নিজে পাচারের শিকার হয়েছিলাম। পরে দেশে ফিরে অনিয়মিত অভিবাসন ও পাচারের শিকার মানুষের পাশে থাকার কাজে যুক্ত হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার হিসেবে বিদেশ-ফেরত অসহায় মানুষ ও সারাদেশে পাচারের শিকার মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করি। এই কাজ করতে গিয়ে বহুবার নানা বিপদে পড়তে হয়েছে। এমনকি জেলেও গিয়েছি। এই পুরস্কার আমাকে আরো বেশি করে মানুষের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করবে।’
বিশ্বজুড়ে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিতভাবে কাজ করছেন—এমন ব্যক্তিদের ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর সম্মানিত করে আসছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্রের এই পুরস্কারকে মানব পাচারবিরোধী লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় পুরস্কার হিসেবে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মী নয়ন সম্পর্কে বলা হয়-ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীরা কোনো বিপদে পড়লে সবার আগে ছুটে যান নয়ন। ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে গিয়ে পাচারের শিকার হওয়া নয়ন আজ বিদেশ-ফেরত মানুষকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখান। ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার হিসেবে বিদেশ-ফেরত ও পাচারের শিকার অন্তত: ৩৪ হাজার মানুষকে তিনি সহায়তা করেছেন।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, ‘আল আমিন নয়নের মতো পাচারের শিকার ও প্রবাসী অন্ত:প্রাণ নিবেদিত মানুষ বিরল। তিনি তার কাজ দিয়ে প্রবাসীদের ‘নয়ন ভাই’ হয়ে উঠেছেন। নয়ন, তার কাজের জন্য ২০২৩ সালে ব্র্যাকের সবচেয়ে সম্মানের ‘স্যার ফজলে হাসান আবেদ মূল্যবোধ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের টিআইপি পুরস্কার তাকে নিজের কাজে নতুন শক্তি দেবে। নয়ন আসলে আমাদের সবারই হিরো।’
৫৫২ দিন আগে
দুর্নীতির খবর প্রকাশের বিরুদ্ধে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্যে ক্রাইম রিপোর্টারদের উদ্বেগ
বর্তমান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদের মালিকানা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবেদন প্রচারের সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দেওয়ার পর সোমবার (২৪ জুন) প্রতিক্রিয়া জানায় ক্র্যাব।
ক্র্যাব বলছে, গণমাধ্যমগুলো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার খবর প্রচার করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেন, এই প্রতিবেদনগুলো কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়নি, যেমনটি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে দাবি করেছে।
বিবৃতিতে ক্র্যাব সভাপতি কামরুল জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতিতে ‘ব্যবহৃত শব্দের’ ব্যবহার করা নিয়ে তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, এটি নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত অসদাচরণের প্রতি সহনশীলতার পরামর্শ দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার নীতিগুলোকে সম্ভাব্যভাবে ক্ষুণ্ন করতে পারে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ পুলিশ বরখাস্ত
ক্র্যাব আরও যুক্তি দিয়েছে, এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাদের সাংগঠনিক বক্তব্যের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ না করে আইনি প্রক্রিয়ার অবলম্বন করা উচিত। তাদের দাবি, গণমাধ্যমের সব প্রতিবেদনকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করা সমর্থনযোগ্য নয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতিকে সমর্থনের ওপরও জোর দিয়েছে সংগঠনটি। তারা অসদাচরণের অভিযোগ মোকাবিলায় বাধা দেওয়ার পরিবর্তে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণ এবং সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদনের নৈতিকতাকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করেছে। এই বিতর্ক বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতার মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
৫৫২ দিন আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও বলেছেন, চীন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সহজতর করতে মিয়ানমারের পরিস্থিতির উন্নতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কাজ করছে।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি নিজ দেশের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরিস্থিতির উন্নতি কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, লিউ উল্লেখ করেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি জটিল এবং এটি অভ্যন্তরীণভাবে সেখানে অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এমনকি মিয়ানমার সরকারেরও (এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা) বাস্তবায়নের মতো অবস্থা নেই। সেখানে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল আকারে পরিণত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, চীন বুঝতে পেরেছে যে রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের সমর্থন করায় তারা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
প্রেস সচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী চীনের সমর্থন চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। সমাধানের অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক ও উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, 'এটি (আমার পক্ষ থেকে) চীনের প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছে দেওয়া (রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে) একটি বিশেষ বার্তা।’
তিনি মন্ত্রীকে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী
৫৫২ দিন আগে
মে মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪.১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মোট পরিমাণ ২৪.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ হাজার ৬৩৩.৫ মিলিয়ন।
পটুয়াখালী-১ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোট রিজার্ভের পরিমাণ দিয়ে সাড়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ভোলা-২ আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৮৪ ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সাধারণত একটি দেশের তিন মাসের আমদানি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা থাকলে তা রিজার্ভ সংকট হিসেবে বিবেচিত হয় না।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ২৪.৪০ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে প্রায় পাঁচ মাসের আমদানি দায় পরিশোধ করতে সম্ভব।’
কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন প্রশ্ন রাখেন, ‘এটা কি সত্য যে, দুই-তৃতীয়াংশ ব্যবসায়ী দুর্নীতি, আমলাতন্ত্র ও বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে দেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করেন?’
ব্যবসা-বাণিজ্যে দুর্নীতি বন্ধে সরকার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে কি না, তাও জানতে চান ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য।
লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১০ হাজার ৫৭২ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি আরও জানান, এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
৫৫২ দিন আগে
সাবেক এনবিআর সদস্য মতিউরকে সোনালী ব্যাংকের বোর্ড থেকে অপসারণ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) মতিউর রহমানকে পরিচালনা পর্ষদ থেকে অপসারণের সুপারিশ করে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)।
এর আগে আয়ের উৎস নিয়ে বিতর্কের মুখে রবিবার তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর, স্ত্রী ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
ছাগল-কাণ্ডে মতিউরকে এনবিআরের পদ থেকে অপসারণ
৫৫২ দিন আগে
গত ১০ মাসে ১৩০.৬ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছে বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশিরা
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার নিজেদের দেশে নিয়ে গেছে বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয়রা।
একই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মোট ১৩০.৫৮ মিলিয়ন ডলার বিদেশিরা নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছে।
ফরিদপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ কে আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এছাড়াও বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের বার্ষিক আয়ের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩০.৫৮ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।’
মন্ত্রী জানান, ভারত ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার, চীন ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কা ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপান ৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়ায় ৬.২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ড ৫.৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ৩.৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ৩.২৪ মিলিয়ন ডলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩.১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া ২.৪০ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা তাদের দেশে নিয়েছেন ২১.৯২ মিলিয়ন ডলার।
৫৫২ দিন আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইতালির পররাষ্ট্রসচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে সফররত ইতালির পররাষ্ট্রসচিব রিকার্ডো গুয়ারিগ্লিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (২৪ জুন) বিকালে তিনি সচিবালয়ে এই সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম পশ্চিম ইউরোপের দেশ হিসেবে ইতালির ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের অপেক্ষায় আছি : চীনের মন্ত্রী
একইসঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির দ্বিতীয় পলিটিক্যাল কনসালটেশনে কো-চেয়ার হিসেবে যোগ দিতে আসা ইতালির পররাষ্ট্রসচিব রিকার্ডো গুয়ারিগ্লিয়াকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি পানি বণ্টন আলোচনা থেকে বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ মমতা
৫৫২ দিন আগে