বাংলাদেশ
বনজ সম্পদ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান
ঢাকা সেনানিবাসের শহিদ মঈনুল রোড এলাকায় একটি বকুল গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (৯ জুন) ঢাকাসহ দেশের সব সেনানিবাস ও ডিওএইচএস এলাকা এবং জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় ভিডিও টেলি কনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে একযোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ভিসা নীতির আওতায় নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে গত ৫ জুন জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেককে পরিবেশ রক্ষায় বসতবাড়ির চারপাশ ও অফিসের ফাঁকা স্থানে অন্তত তিনটি করে গাছ লাগাতে আহ্বান জানান।
সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সেনানিবাস, প্রশিক্ষণ এলাকা, ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকা, ডিওএইচএস এলাকা এবং জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় ফলদ, বনজ ও ঔষধি প্রজাতির বৃক্ষসহ সৌন্দর্যবর্ধক গাছের চারা রোপণ করা হবে।
এই কর্মসূচি চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
দেশের বনজ সম্পদ বাড়াতে ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে সবাইকে স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করতে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সেনাসদর ও ঢাকা অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
আরও পড়ুন: শাংরি-লা সংলাপে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গেলেন সেনাপ্রধান
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য
৫৬৭ দিন আগে
সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৩০তম সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যেমন বিস্তৃতি ঘটেছে তেমনি সাংবাদিকদের কল্যাণেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এই ট্রাস্ট গঠন প্রমাণ করে সরকার সাংবাদিকবান্ধব।’
আরও পড়ুন: ভোট দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে কলাপাড়ায় দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
এম এ আরাফাত আরও বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিতভাবে দুস্থ, অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন। এসব কার্যক্রম সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অঙ্গীকারের বহিপ্রকাশ।
ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ে আরও স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার কথাও এ সময় পুনর্ব্যক্ত করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
সভায় আরও ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র (বাদল), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য জাফর ওয়াজেদ, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. শাহেনুর মিয়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য দীপ আজাদ, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কলিম সরওয়ার।
আরও পড়ুন: ভিসার সময় বাড়াতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
টেলিযোগাযোগ আইন সময়োপযোগী ও বিনিয়োগবান্ধব হবে: টিআরএনবির সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী
৫৬৭ দিন আগে
তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: 'ভারতে স্বাগতম': দিল্লিজুড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-মোদির ব্যানার
শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস এবং সেশেলসের শীর্ষ নেতাদেরও মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
৮ হাজারেরও বেশি উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন বলে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে।
পরে নেতারা রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া ভোজসভায় অংশ নেবেন।
শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে নয়াদিল্লিতে কঠোর ও বহুস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
৫৬৭ দিন আগে
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৯ জুন) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে। সে সময় এই আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'এর জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং আমরা এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বারিধারায় গুলিবর্ষণ: পুলিশ কনস্টেবলদের মধ্যে কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি এরইমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় আলোচনায় আসে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদারে দুই দেশই নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে।
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, কারণ ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভুটান।
তিনি বলেন, 'আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া স্থানের যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগ কামনা করেন।
এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাম্প্রতিক ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করেন।
পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তিনি (ভুটানের প্রধানমন্ত্রী) সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে রাখেন এবং চিন্তা করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে জিমে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ হাইকমিশন দেখি। এটি আমাকে সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশের বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে এবং বাংলাদেশের সহায়তা কীভাবে ভুটানের জন্য আরও অর্থবহভাবে ব্যবহার করতে পারেন সে বিষয়ে তার পররাষ্ট্র সচিব সব সময় চিন্তা করেন।
সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় ভুটানের রাজা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের কথা উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জ্বল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, পিএমও সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
ভুটানের পক্ষ থেকে ছিলেন অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদসচিব কেসাং ডেকি এবং পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতারা
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৬৭ দিন আগে
৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেল এলিভেট পে, বাংলাদেশ থেকে খোলা যাবে বিমাসহ ইউএসডি হিসাব
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে নিজেদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সম্প্রতি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে লন্ডন ও দুবাই-ভিত্তিক আর্থিক প্রযুক্তি (ফিনটেক) প্রতিষ্ঠান এলিভেট পে।
এলিভেট পে’র ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সার, রিমোট ওয়ার্কার এবং যারা বিদেশি ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করেন, তাদের কাজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে আগুন
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। পাশাপাশি, বর্তমানে দেশে বর্তমানে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন, যারা ঘরে বসেই দক্ষ কর্মী হিসেবে পেশাদারভাবে কাজ করছেন। তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রায় পেমেন্ট, বিশেষ করে মার্কিন ডলারে পেমেন্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন জটিলতা ও হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়।
তাদের জন্য পেমেন্ট নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করে তুলতে সমাধান নিয়ে এসেছে এলিভেট পে। এলিভেট পে’র মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের নিয়োগদাতা এবং ফ্রিল্যান্স কাজের প্ল্যাটফর্ম যেমন আপওয়ার্ক, ফাইভার, পেপ্যাল, ডিল ও টপট্যাল থেকে সহজেই মার্কিন ডলারে পরিশোধিত পেমেন্টের অর্থ সংগ্রহ করা যাবে।
যখন গ্রাহকরা এলিভেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের পেমেন্ট নেবেন, সে অর্থ জমা থাকবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ১৭২ বছরের ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্গর সেভিংস ব্যাংকে। ব্যাংকটি এলিভেট গ্রাহকদের অর্থ জমা-সংক্রান্ত সেবা দেয়। এফডিআইসির সদস্য হওয়ার ফলে ব্যাঙ্গর সেভিংস ব্যাংকে গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থ আড়াই লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত এফডিআইসি বিমা সুবিধার আওতাভুক্ত থাকে। শুধুমাত্র এলিভেট ব্যবহারকারীরাই বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ফিলিপাইন থেকে এফডিআইসি-বিমাকৃত ইউএস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
অনলাইন পেশাজীবী ও ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা প্রদানে প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেদের আলাদা করে এলিভেট পে। এলিভেট অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী কনভার্সন ফি’র সুবিধা নিয়ে সাশ্রয়ী খরচে তাদের কষ্টার্জিত ডলার নিজেদের বাংলাদেশি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারবেন। এছাড়াও, এলিভেট গ্রাহকদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় কনভার্সন রেট এবং নেই কোনো সাবস্ক্রিপশন ফি।
এলিভেট পে’র প্রধান নির্বাহী খালিদ কিনান বলেন, বিশ্বের উদীয়মান বাজারগুলোর জন্য বৈদেশিক আয়ের মূল উৎস হতে যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ও রিমোট ওয়ার্ক। আপওয়ার্ক, ফাইভার ও ডিলের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো দক্ষ পেশাদারদের জন্য বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার এবং মার্কিন ডলারে উপার্জনের সুযোগ তৈরি করেছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সাশ্রয়ী খরচে এবং দ্রুত ও সহজ উপায়ে ফ্রিল্যান্সার এবং রিমোট ওয়ার্কাররা যেন তাদের পেমেন্ট লাভ করেন, তা নিশ্চিত করা। আমরা চাই, তারা যেন তাদের কষ্টার্জিত অর্থের যত বেশি সম্ভব নিজেদের কাছে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইতালিয়ান-থাইয়ের শেয়ার হস্তান্তরের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ
৫৬৭ দিন আগে
ঢাকায় দ্বিতীয় সার্কুলার ইকোনমি সামিট মঙ্গলবার
বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিটের দ্বিতীয় সংস্করণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার (১১ জুন)।
রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এ সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ।
বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে ‘লিনিয়ার’ ব্যবসায়িক মডেল থেকে ‘সার্কুলার ইকোনমি’তে রূপান্তরের পথকে সুগম ও অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করাই এ সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য।
জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ‘জিআইজেড’র সহযোগিতায় ও বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় আয়োজিত দিনব্যাপী এই সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকবে চারটি প্লেনারি আলোচনা সভা।
যেখানে বিশেষজ্ঞরা পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে সার্কুলার অর্থনীতিবিষয়ক তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশ ইকোনমি সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আরও পড়ুন: ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশেষ অতিথি থাকবেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন থিজস ওয়াউডস্ট্রা এবং বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জ্যান জানোস্কি।
চারটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো, ফরমালাইজিং দ্যা ইনফরমাল ঝুট সেক্টর, ক্লোজিং দ্য লুপ অব টেক্সটাইল ওয়েস্ট, সার্কুলার ডিজাইন: বাস্তবতা বনাম চ্যালেঞ্জসমূহ এবং ট্রান্সপারেন্সি ও ট্রেসেবিলিটি ইন সার্কুলারিটি।
এ সামিটে ইইউ ডিউ ডিলিজেন্স অ্যান্ড লেজিসেশন অন সার্কুলারিটি শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরবেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি। ব্রাসেলস স্কুল অব গভর্নেন্সের রিসার্চ সেন্টারের সহপরিচালক অধ্যাপক হ্যারি কালিমো মার্কেট ইনসেন্টিভ ফর ইকো-ডিজাইনের: দ্যা কেস অব ইকো-মডুলেশন শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরবেন।
‘এ ন্যাশনাল সার্কুলার টেক্সটাইল রোডম্যাপ ফর বাংলাদেশের’ উপর আলোচনা করবেন চ্যাথাম হাউসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্যাট্রিক শ্রোডার।
এই সামিটে ‘ম্যাপিং দ্য ওয়ে ফর দ্য আরএমজি সার্কুলারিটি’ শীর্ষক একটি ‘ব্রেকআউট সেশন’ থাকবে। যার আয়োজক বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাস।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সার্কুলারিটি বর্তমান সাসটেইনেবল ফ্যাশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। দেশের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে সার্কুলারিটি বাস্তবায়নের পথকে সুগম ও অগ্রযাত্রাকে বেগবান করাই বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিটের অন্যতম উদ্দেশ্য।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন বলেন, ‘বাংলাদেশের আছে একটি শক্তিশালী তৈরি পোশাক শিল্প এবং অন্যদিকে সার্কুলার ইকোনমি বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের রয়েছে জ্ঞান। এই দুটি একত্রিত করার মাধ্যমে আমরা উভয় পক্ষই লাভবান হতে পারি। এতে বাংলাদেশ যেমন অধিকতর টেকসই উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে লাভবান হবে, অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস তার সার্কুলারিটি অভিমুখে অগ্রযাত্রায় একটি মূল্যবান অংশীদার হিসাবে পাবে।’
জিআইজেডের ‘প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবিলিটি ইন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড লেদার সেক্টরের’ প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. মাইকেল ক্লোড বলেন, ২০৩০ সালের জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা, ২০২৫ সালের ডিকার্বনাইজেশন লক্ষ্যমাত্রা, ২০২৬/২০২৯ এ এলডিসি থেকে উত্তোরণ-এগুলো সবই অনেক দূরে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা নিকটে।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি সার্কুলার ইকোনমির দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হলে যেমন জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রাগুলির প্রতি সচেতন হতে হবে, তেমনি ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতার বিষয়ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অনবদ্য প্লাটফর্ম নারী স্পিকারদের সামিট: স্পিকার
শ্রীলঙ্কা সফরে ষষ্ঠ সামিটের প্রত্যাশা তুলে ধরলেন বিমসটেক মহাসচিব
৫৬৭ দিন আগে
লোকবল না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চালানোর মতো লোক না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন কোনো যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা দিয়ে মেডিকেলের যন্ত্রপাতি কিনছে। কিন্তু সেগুলো সংরক্ষণ বা পরিচালনার জন্য বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো পদ নেই।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব যন্ত্রপাতি চালানোর মতো লোক আছে, শুধু সেসবই কেনা হবে।
রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: প্রধান লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগে দেখব হাসপাতালে ওই যন্ত্র চালানোর মতো কোনো লোক আছে কি না। যদি থাকে তবে আমি কিনব, না হয় কিনব না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। আমি আমার যে হাসপাতাল তৈরি করেছি, সেখানেও একটা পোস্ট রেখেছি বায়োমেডিকেলের, আমরা এ বিষয়ে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি প্রাইমারি হেলথ কেয়ারকে ইমপ্রুভ করতে পারি, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মায়েদের যদি বোঝাতে পারি, তারা যেন হাসপাতালে এসে ডেলিভারি করায়, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে পারব বলে আমি মনে করি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাচ্চাদের পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে আজকে আমরা একটা মিটিং করলাম। আমরা যদি গ্রামে আঁচল নামে শিশুদের চাইল্ড কেয়ার করি, মায়েরা যখন কাজ করে তখন সেখানে বাচ্চারা থাকবে। এ বিষয়ে আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেগুলো নিয়ে আমি কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে বলেছি, প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতালের ভবন, ডাক্তারদের থাকার ব্যবস্থা, ওটি- এগুলোকে যেন মানসম্মত করা হয়। তাহলে, তখন আমি ডাক্তারকে চাপ দিতে পারব।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনেক সমস্যা রয়েছে। আমি সেখানে গতকাল (শনিবার) গিয়েছিলাম। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল, অত্যাধুনিক একটি হাসপাতাল পড়ে আছে। আমরা এ সপ্তাহে এগুলো নিয়ে বসব।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নিয়োগ হয়েছে কি না আমি জানি না, কাগজপত্র দেখে এ নিয়োগগুলো কেন স্থগিত হয়েছে, যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা কেন কাজ করতে পারছে না, তা আমরা খতিয়ে দেখব। খতিয়ে দেখে দ্রুত এটির সুরাহা করার চেষ্টা করব।
ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপের আশ্বাস
ইচ্ছে মতো ওষুধের দাম না বাড়াতে সম্প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ওষুধের দাম বাড়ানো বা না বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য আদালতকে নির্দেশনা দিতে হয়।
সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এটার ব্যাপারে একটা বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। সেটা এ মুহূর্তে এখানে বলব না।
তিনি আরও বলেন, আমি একবার না কয়েকবারই বলেছি- ওষুধের দাম যেন না বাড়ে। সরকার যে খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে এর বাইরে গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি বলেছি। এটা আমি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখব।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৫৬৭ দিন আগে
সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: বিমানমন্ত্রী
সরাসরি বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যসহ সহযোগিতার আরও নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশের নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিকের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, জনশক্তি রপ্তানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচল করলেও এক্ষেত্রে বিদ্যমান ‘এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট’ সংশোধন করে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নিয়মিত সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে এ দেশের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
সাক্ষাৎকালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া সংশোধিত এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্টের কপি বাংলাদেশকে পাঠিয়েছে। শিগগিরই দুই পক্ষ বিদ্যমান বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাবে এবং চুক্তি সই করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৫৬৭ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫ জন
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে রবিবার (৯ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৫ জন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮ জন রোগী।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৪ জন
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন ও নারী ১৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৫৬ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৮৫২ জন ও নারী ১ হাজার ২০৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৬ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আরও ১৯ জন আক্রান্ত
৫৬৮ দিন আগে
বারিধারায় কনস্টেবল হত্যা: সাত দিনের রিমান্ডে কাওসার
রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা মামলায় তার সহকর্মী কাওসার আলীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মান্নাফ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মনিরুলের ভাই কনস্টেবল মাহাবুবুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মনিরুল শনিবার থেকে কনস্টেবল কাওসারের সঙ্গে বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সের সামনে রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
দায়িত্ব পালনকালে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কাওসারের সঙ্গে মনিরুলের কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে কাওসার উত্তেজিত হয়ে মনিরুলকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে।
গুলিতে মনিরুল ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সের সামনে উপুড় হয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরও পড়ুন: ফিরলেন ৪৫ বাংলাদেশি, গেলেন ১৩৪ সেনা ও বিজিপি সদস্য
বারিধারায় পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত: যেসব বিষয় জানা গেছে
৫৬৮ দিন আগে