বাংলাদেশ
ভারতে পাচারকালে বেনাপোল থেকে ৩ কিশোর উদ্ধার
ভারতে পাচারের সময় তিন কিশোরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ জুন) সকালে বেনাপোল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার কিশোররা হলো, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের আইয়ুব খাঁর ছেলে সবুজ খাঁ (১৫), একই এলাকার সালাউদ্দীনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক অন্তর (১৬) ও আয়ুব আলীর ছেলে জহির (১৭)।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তবে এই পাচারের সঙ্গে জড়িত মাদারীপুরের সন্দেহভাজন বাবুকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভারতে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে কিশোরদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আজ তাদের ভারতে পাচার করছিল। খবর পেয়ে বেনাপোলের একটি পরিবহন অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, পাচারের উদ্দেশ্যে আনা কিশোরদের অভিভাবকদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। পাচারকারী দালালদের আটক করতে জোর অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: মানবপাচার মামলায় মিল্টন ৪ দিনের রিমান্ডে
৫৬৯ দিন আগে
ডেঙ্গুতে আরও ১৬ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে শুক্রবার (৭ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন ও নারী ১৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ১৯ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৮৩২ জন ও নারী ১ হাজার ১৮৭ জন।
৫৬৯ দিন আগে
দেশে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত
দেশে শুক্রবার (৭ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময় নতুন করে ১৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৬৭০ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯৯৩ জনে।
৫৬৯ দিন আগে
ভারতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফরে সই হতে পারে চুক্তি, সমঝোতা স্মারক: পররাষ্ট্র সচিব
পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ভারতের নয়াদিল্লিতে দ্বিপক্ষীয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, তিনি বলেন, ‘আমরা আলাদা সফর নিয়ে কাজ করছি। বর্তমানের সফর একটি বিশেষ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক সফর। আমরা পরে সময়সূচি নির্ধারণ করব।’
শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথমে ৮ জুন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও এখন ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘মূল শপথ অনুষ্ঠান হবে ৯ জুন সন্ধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকালে নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন। তিনি মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।'
এ অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেবেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালসহ বিশ্ব নেতারা। এই অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে মত বিনিময় করতে পারেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয় পাওয়ায় মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
এছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সইয়ের কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতার কিছু ক্ষেত্রে কিছু ঘোষণাও আসতে পারে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করব।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুন সরকার এসেছে এবং ভারতে নতুন সরকার গঠিত হবে। সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং এক্ষেত্রে কিছু নতুন উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে আশা করছি আমরা।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম ৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেন। আগামী ১০ জুন তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৫৪৩ সদস্যের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩টি আসনে জয়ী হয়। এরপর আগামী ৯ জুন তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি।
এর আগে মোদি তার সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানালে তা গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে জয়লাভ করায় উষ্ণ শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি।
বিদেশি নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম মোদিকে অভিনন্দন জানান।
মোদি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। গত দশ বছরে নজীরহীন মাত্রায় বেড়েছে।
এক্স-এর মাধ্যমে শেয়ার করা এক বার্তায় মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে তিনি একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
এর আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) নিরঙ্কুশ বিজয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মোদির এনডিএ জোটকে ঢাকার অভিনন্দন, দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদী
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করছেন।’
এনডিএর বিজয়ে শেখ হাসিনার কাছ থেকে টেলিফোনে অভিনন্দন পেয়েছেন মোদি বলে জানিয়েছে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।
দুই নেতা 'বিকশিত ভারত-২০৪৭' ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১' অর্জনের লক্ষ্যে নতুন ম্যান্ডেটের আওতায় ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও গভীর করতে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গত দশকে দুই দেশের জনগণের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য উন্নতির কথা স্বীকার করেন দুই নেতা। অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, জ্বালানি নিরাপত্তা, ডিজিটাল সংযোগসহ যোগাযোগ এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে রূপান্তরমুখী সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রত্যাশা করেন।
জয়লাভের পর বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: ২১-২২ জুন নয়া দিল্লি ও ৯-১২ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
৫৬৯ দিন আগে
৭ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র চালু
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সাত দিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হলো সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
শুক্রবার (৭ জুন) থেকে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক সুনজিত কুমার চন্দের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দিতে ঘোষণা দেওয়া হয়।
সিলেটের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো হচ্ছে- গোয়াইনঘাটের জাফলং, রাতারগুল, বিছানাকান্দি ও সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা, কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এবং জৈন্তাপুরের লালাখাল ও ডিবির হাওর।
আরও পড়ুন: সিলেটের ৭ উপজেলায় বন্যা, সাড়ে ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্দেশনামা না মানার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
শর্তগুলো হলো-
১. সব নৌকাতে লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে এবং পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে ঘাট থেকে নৌকা ছাড়তে হবে।
২. পর্যটকরা পানিতে নামতে পারবেন না বা পানিতে নেমে সাঁতার কাটতে পারবেন না।
৩. ভরা বর্ষা মৌসুমে পর্যটকদের শিশু ও বাচ্চা নিয়ে আসার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
৪. পর্যটকরা নৌকায় উঠে হই-হুল্লোড় করবেন না, নৌকায় উঠে সুশৃঙ্খলভাবে বসে থাকবেন।
৫. মাঝিরা পর্যটকদের সঙ্গে সবসময় ভালো আচরণ করবেন।
৬. আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হলে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে বন্ধ করা পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নৌকায় পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে।
এর আগে গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পিয়াইন ও ধলাই নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: এখনও পানিবন্দি ৬ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ
৫৭০ দিন আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটির চেয়ার নির্বাচিত রাষ্ট্রদূত মুহিত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন ৭৯তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কমিটির চেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পদটিতে তার নির্বাচিত হওয়াকে রাষ্ট্রদূত মুহিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানাবিধ উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও অভাবনীয় অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি তথা বাংলাদেশের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন হিসেবে অভিহিত করেন।
জাতিসংঘের দ্বিতীয় কমিটিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব বৈশ্বিক নানাবিধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণে অবদান রাখতে এবং অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকারগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে আমাদের সাহায্য করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দ্বিতীয় কমিটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কমিটি, যা জাতিসংঘের অর্থনৈতিক, আর্থিক এবং পরিবেশগত প্রভৃতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম তদারকি করে।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত রাষ্ট্রদূত মুহিত
এই কমিটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু পরিবর্তন, সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন, কিছু দেশের বিশেষ পরিস্থিতি, কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো এই কমিটির আওতাধীন।
রাষ্ট্রদূত মুহিত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের ২০২৪ সালের সভাপতি হিসেবে জাতিসংঘের এই ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নীতি নির্ধারণে নেতৃত্ব প্রদান করছেন।
ইতোপূর্বে তিনি জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের ২০২২ সালের সভাপতি এবং ২০২৩ সালের সহ-সভাপতি, ইউএনউইমেনের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুহিতের
৫৭০ দিন আগে
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
আরও পড়ুন: উপকূলীয় বনায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম পথিকৃৎ: প্রধানমন্ত্রী
১৯৬৬ সালের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বাঙালিদের ‘ম্যাগনা কার্টা’ বা ‘মুক্তির মহাসনদ’ ৬-দফা দাবির ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৬৬ সালের ৭ জুন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে জনগণের ওপর পাকিস্তানের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ, পীড়ন, নিপীড়ন, বঞ্চনা, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসতে ও অত্যাচারের অবসান ঘটাতে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দিনব্যাপী হরতালের ডাক দেয়।
হরতাল চলাকালে ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে সেদিন বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ ও আধা-সামরিক ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) নির্বিচারে গুলি চালালে শ্রমিক নেতা মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১০ জন নিহত হন।
পাকিস্তানি শাসকদের পাশবিকতা প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে পরিণত করে, যা পরবর্তীকালে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের ক্ষমতার পতন ঘটায়।
আরও পড়ুন: সরকার শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করেছে : প্রধানমন্ত্রী
৫৭০ দিন আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: মাঝারি জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, কর্মসংস্থান ও স্মার্ট বাংলাদেশের কথা তুলে ধরেছে
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী। এতে রাজস্ব আয়ের ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ আলী প্রথম বাজেট বক্তব্যে বলেন, এতে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আরও ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা যোগানের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণের প্রস্তাব করেন তিনি।
৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের এটিই প্রথম বাজেট।
বাজেট প্রণয়নের সময় সরকার মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস এবং রপ্তানি ও আমদানি হ্রাসের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া অর্থবছরে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ হবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। এ বছর জিডিপি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা মূল প্রক্ষেপণ ৭ দশমিক ৫ শতাংশের কম।
আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী। যা বর্তমান মূল্যস্ফীতির প্রায় ১০ শতাংশের প্রেক্ষাপটে একটি লম্বা আদেশ প্রমাণ করতে পারে।আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
আসন্ন অর্থবছরের জন্য সরকার ইতোমধ্যে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার একটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে।
মাহমুদ আলী বলেন, 'সম্পদ বরাদ্দের সময় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সম্পদ বরাদ্দের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মানবসম্পদ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ উন্নয়নে বাধ্যতামূলক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
প্রস্তাবিত ব্যয়কে সামাজিক অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো ও সাধারণ সেবা খাত- এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সামাজিক অবকাঠামো খাতে মোট বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৫৬৯ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। ভৌত অবকাঠামো খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ১১১ কোটি টাকা, যা মোট ব্যয়ের ২১ দশমিক ১২ শতাংশ। সাধারণ সেবা খাতের জন্য ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭০১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সুদের হার বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার উল্লেখযোগ্য অবমূল্যায়ন হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ প্রেক্ষাপটে সুদ পরিশোধে ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে।আরও পড়ুন: বাজেট ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিতে চায় সরকার
ঋণ পরিশোধের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী সংসদকে বলেন, বাজেট প্রণয়নে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সবার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ, খাদ্য নিরাপত্তা, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, এলডিসি থেকে উত্তরণ, ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া সহজীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগ ও শিল্প সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আলী বলেন,‘বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং সামাজিক নিরাপত্তাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম দিয়েছেন 'টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রাপথে।’
দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত '২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিকরা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে'।আরও পড়ুন: লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
৫৭০ দিন আগে
কালো টাকা সাদা করার বাজেট প্রণয়ন অসাংবিধানিক ও দুর্নীতিবান্ধব: টিআইবি
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনায় নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এক বিবৃতির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ বাতিল করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
টিআইবি জানায়, মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এই ব্যবস্থা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করার সংস্কৃতি গড়ে তুলবে। ঘোষিত অর্থ ও সম্পদের ব্যাপারে কোনো কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন করার সুযোগ না রাখা দেশে দুর্নীতিবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করছে টিআইবি।
একইসঙ্গে, ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকারকে প্রহসনে পরিণত করা হবে বলে জানায় এ সংস্থা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “‘ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম বা ডিভিএস’ চালু করার ফলে অপ্রদর্শিত অর্থ ঘোষণায় আইনি জটিলতা এবং করদাতাদের অজ্ঞতার দোহাই দিয়ে যেভাবে ‘অপ্রদর্শিত অর্থে’ ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট বা জমি কেনা বৈধ করার ঢালাও সুযোগ দেওয়া হলো- তা সত্যিই হতাশার।”
কালো টাকা সাদা করার সুযোগের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিপরীতে সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ করের বিধান বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘বিষয়টি একজন সুনাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক, একইসঙ্গে তা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। এ প্রক্রিয়ায় নৈতিক আপস করে প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায়ের স্বপ্ন স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদে কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘শুভবুদ্ধি, দূরদৃষ্টি, সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাহার করে নেবে- এমনটাই আশা।’
এছাড়াও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে কালো টাকার মালিকদের সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের মাধ্যমে কার্যকর জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
৫৭০ দিন আগে
কর সংস্কারে এফআইসিসিআইয়ের আহ্বান
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে কর সংস্কার ও এনবিআরের ডিজিটাল রূপান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আখতার বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা একটি বিস্তৃত আর্থিক পরিকল্পনা তৈরির সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যা ব্যবসায়ের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি জটিল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে।’
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস এবং বাজারের সরবরাহের দিকটি লালন করার দিকে গভীর মনোনিবেশ করে এই বাজেট অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছে।
বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য সুদের হার ৮ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করে মুদ্রানীতি কঠোর করাসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে জাভেদ বলেন, মুদ্রা সরবরাহ হ্রাস এবং সঞ্চয়কে উৎসাহিত করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) এবং স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) হার যথাক্রমে ১০ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং অবকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনশীলতা ২০ শতাংশ এবং শিল্প উৎপাদন ১৫ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করা হয়েছে। এতে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চেম্বার প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রশংসা করে। তবে, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে কিছু সমস্যা রয়েছে যা সমাধান করা উচিত।
আরও পড়ুন: বাজেটে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট ছাড় ঘিরে অনিশ্চয়তা
এই বাজেটের একটি স্ট্যান্ডআউট বৈশিষ্ট্য হলো- এর প্রগতিশীল ব্যবসা-বান্ধব পদ্ধতি, ভোক্তাদের জন্য ব্যয় হ্রাস করার দিকে দৃষ্টি দেওয়া। একটি অনুমানযোগ্য কর ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়ার প্রশংসা করা হয়,যা দীর্ঘস্থায়ী চাহিদা পূরণ করে।
একটি সম্ভাব্য করপোরেট ট্যাক্স হার প্রবর্তন ব্যবসার জন্য সঠিক ট্যাক্স পরিকল্পনা কার্যকর করে। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করপোরেট করহার ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব প্রশংসনীয়। আশা করা হচ্ছে, করের হার কমানোর প্রস্তাব বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
৫৭০ দিন আগে