রাজনীতি
৫ আগস্টের পরও জুলুমের পরিবর্তন হয় নাই: মুফতি ফয়জুর করিম
গত ৫ আগস্টের পর ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জুলুমের পরিবর্তন হয় নাই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই।
তিনি বলেন, জুলুম, অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও বৈষম্য দূর করার জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, আমরা মুক্তি পাব। আমরা কি দেখলাম! সেই চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অন্যায়, দখলদারি ও হত্যা। এরজন্য মানুষ জীবন দেয় নাই, রক্ত দেয় নাই।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন জেলা উত্তরের আয়োজনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে চাঁদার হাত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু চাঁদার পরিবর্তন হয় নাই। জুলুমের হাত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জুলুম বন্ধ হয় নাই। অত্যাচারের হাত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু অত্যাচার বন্ধ হয় নাই। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে জুলুমের পরিবর্তন হয় নাই।
ফয়জুল করিম বলেন, আমি একটা কথা বলতে চাই যেমনিভাবে তেঁতুল গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না, মাদার গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না। তেমনিভাবে চোরের মাধ্যমে চুরিমুক্ত দেশ হতে পারে না, জালেমের মাধ্যমে জুলুমমুক্ত দেশ হতে পারে না ও দুর্নিবাজের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত দেশ হতে পারে না।
মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ৫ আগস্ট মানুষ শাহাদাত বরণ ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে বৈষম্য দূর করার জন্য, নির্বিগ্নে চাকরি এবং স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার জন্য। আজকে আমরা কি দেখছি। সেই ডাকাত, খুনি ও লুটেরা আবার ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত করছে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চাঁদাবাজ বা দুর্নীতিবাজদের দল আমরা করব না। ওদেরেকে ভোট দেব না। ওদের পিছনে আমরা হাঁটব না।
নতুন নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যারা নতুন নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন তাদেরকে বিগত নির্বাচন কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। যদি আপনি ভালো একটি নির্বাচন উপহার দিতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কোনো অবস্থাতেই আপনাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিরপেক্ষ, নির্দলীয় ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যেই নির্বাচনে প্রত্যেকটা মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যাকে পছন্দ তাকে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ হন তাহলে আগামীর বাংলাদেশে এমন এক সূর্য উদিত হবে- যেখানে বৈষম্য থাকবে না, জুলুম থাকবে না, অত্যাচার থাকবে না, অবিচার থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে। যেখানে সকল শ্রেণির মানুষের অধিকার থাকবে। আর সেই বাংলাদেশ হলো ইসলামী বাংলাদেশ। ইসলাম ব্যতিত বার বার দল ও নেতা পরিবর্তন করবেন, কিন্তু দুর্নীতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। এসময় তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি ভোলার গ্যাস দিয়ে বরিশাল বিভাগে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার দাবি জানান। একইসঙ্গে ভোলা-বরিশাল সেতুরও দাবি করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলামের সঞ্চলনায় গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ওবায়েদুর রহমান বিন মোস্তফা প্রমুখ।
১০ ঘণ্টা আগে
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারের সমালোচনা রিজভীর
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আলুর দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে থাকলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমতেই থাকবে।’
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী প্রশ্ন তোলেন, ডিম ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? তারপরও কেন বাড়ছে ডিমের দাম? তারপরও সয়াবিন তেলের দাম বেশি কেন?
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরও নিম্ন আয়ের মানুষ যেমন কৃষক, রিকশাচালক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
বিএনপি নেতা আক্ষেপ করে বলেন, 'জনগণ কিছুটা স্বস্তির প্রত্যাশা করেছিল, কিন্তু তারা যদি তা না পায় তবে গণতান্ত্রিক চেতনা, ত্যাগ, রক্তপাত এবং বহু প্রাণহানি সবই বৃথা যাবে।’
তিনি কিছু উপদেষ্টার বেপরোয়া বক্তব্য দেওয়ার এবং সাধারণ মানুষ যখন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তখন। তাদের খেয়ালখুশি মতো কাজ করার সমালোচনা করেন। ‘এটা চলতে দেওয়া যায় না’।
আরও পড়ুন: ৬ বছরে প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন খালেদা জিয়া
রিজভী আরও বলেন, ‘বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টাদের অবশ্যই বিপ্লবী হতে হবে, গতিশীল মানসিকতা থাকতে হবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিরা কখনো জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে না।’
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে সহকর্মী চালকদের হত্যার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করেন সাধারণ রিকশাচালকরা।
রিজভী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহত ও পঙ্গুদের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটোর) পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমি দেখেছি এখনো অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কাতরাচ্ছেন। হাত-পা ও দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। রাষ্ট্র কি এর দায় নেবে না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদার সেনানিবাসের বাড়ি ফেরতের দাবি জানালেন বিএনপির আলাল
১০ ঘণ্টা আগে
খালেদার সেনানিবাসের বাড়ি ফেরতের দাবি জানালেন বিএনপির আলাল
ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিএনপির আস্থা রয়েছে।
আলাল বলেন, 'মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই খালেদা জিয়াকে মাত্র একটি পোশাকে তার বাসভবন থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়েছে। ওই বাড়ির ট্রমা থেকে তাকে সুস্থ করে তুলতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
বিএনপি প্রধানকে অন্যায়ভাবে তার সেনানিবাসের বাসা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি তার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আলাল বলেন, সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী হিসেবে সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিত থাকাটা স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে তিনি তা করতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘সেনাকুঞ্জে আমরা খালেদা জিয়ার যে অভিব্যক্তি প্রত্যক্ষ করেছি তা ছিল পাখির মতো, যাকে বছরের পর বছর শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং অবশেষে মুক্ত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
দীর্ঘ ১১ বছর পর বৃহস্পতিবার(২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন খালেদা জিয়া।
জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলাল দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সরকার সামরিক অঞ্চলে বরাদ্দে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়ার ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করে।
পরে, ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর তাকে সেই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয় যেখানে তিনি ৩৮ বছর ধরে বসবাস করেছিলেন। তার স্বামী জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮১ সালে জিয়া নিহত হওয়ার পর তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ টোকেন মূল্যে ওই ২ দশমিক ৭২ একর সম্পত্তি তাকে বরাদ্দ দেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি নবগঠিত কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চায়। ‘আমরা আশা করি, কমিশন অতিরিক্ত কথাবার্তা না বলে তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার যোগ্যতার পরিচয় দেবে।’
তিনি আরও বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনি প্রক্রিয়ার সূচনা হলো। ‘আমরা আশা করি, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে সরকার যে সংস্কার কাজ শুরু করেছে তা দ্রুত সম্পন্ন হবে।’
আরও পড়ুন: ৬ বছরে প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন খালেদা জিয়া
১০ ঘণ্টা আগে
কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
মেহেরপুর, ২২ নভেম্বর (ইউএনবি)- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে। এই যৌক্তিক সময় কতদিন বা কত বছর তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাহী বিভাগ সংস্কারের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলেই নির্বাচন হতে পারে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকালে মেহেরপুরের ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের দলগুলোসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ চলছে।
আরও পড়ুন: জামায়াত ক্ষমতায় আসলে জনগণ-রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে: সেলিম উদ্দিন
গোলাম পরওয়ার বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে তাদের সঙ্গেই জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের চারদিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চারদিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। জনরোষে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার আত্মীয় স্বজনরা। তার বিচার জনগণই করবে বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা।
পরওযার বলেন, তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জনগণের উপর নির্ভর করবে। তবে কোনো দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত। আইনি প্রক্রিয়ায় খুনি শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করা হবে বলেও তিনি জানান।
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইনসহ অন্যান্য নেতারা।
এতে আরও বক্তব্য দেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুব উল আলম, সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সোহেল রানা, গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমির ডা. রবিউল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ডলার, গাংনী পৌর জামায়াতের আমির আহসানুল হক প্রমুখ।
১৩ ঘণ্টা আগে
৬ বছরে প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন খালেদা জিয়া
১২ বছর পর বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো উপস্থিত হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার পর ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথম তিনি জনসমক্ষে উপস্থিত হলেন এবং রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন। শেষবার তিনি ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীকে নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে পৌনে ৪টার দিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান আমন্ত্রণপত্রটি খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ নেতাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠার স্মরণে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হচ্ছে।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একাধিকবার চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
তাকে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেছে বিএনপি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে তিনি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হন।
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড সাময়িক স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়। শর্তসাপেক্ষে তাকে গুলশানের বাসভবনে থাকার এবং দেশ ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এভাবে তিনি ৭৭৬ দিন ছিলেন।
৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদা জিয়াকে তার শাস্তি থেকে সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
১ দিন আগে
ফখরুলের সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সার্ক নিয়ে আলোচনা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সার্ককে সক্রিয় করা সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা আবেদ উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সবসময়ই ভালো। বিএনপি সরকারের আমলে ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, বিশেষ করে আমরা ভুটান থেকে আমদানি করা সবজির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছিলাম।’
বিএনপি নেতা উল্লেখ করেন, তারা ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মাধ্যমে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তর পরিসরে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভুটানের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন। ‘আমরা সহযোগিতার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেছি, কারণ ভুটানের প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। তারা এখনও এই সম্ভাবনার ২৫ হাজার মেগাওয়াট অনুসন্ধান করতে পারেনি, যা থেকে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারে।
খসরু বলেন, আলোচনায় সার্ককে পুনরুজ্জীবিত ও শক্তিশালী করা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তর সংহতি জোরদারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন ছিল সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার একীভূত করা, যে স্বপ্ন আমরা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ার সংহতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল: আমির খসরু
১ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল: আমির খসরু
প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় শেখ হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সেই দৈত্য সৃষ্টি যাতে আর সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে বুধবার (২০ নভেম্বর) কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জনসভায় আমির খসরু বলেন, ‘ক্ষমতার বন্টন ও ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। ইতোমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার করেছেন।’
‘আগামী দিনে জনগণ যদি বিএনপিকে রায় দেয়, তাহলে তারেক রহমান জাতীয় সরকার গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সরকার সেই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত জনসভায় উলিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী মিঞার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপমন্ত্রী ও দলটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ প্রমুখ।
জনসভায় জেলা ও উপজেলার থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হন।
২ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
‘আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। আমরা কখনও কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে- কাকে রাজনীতি করতে দেবে, আর কাকে দেবে না; এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের নয়।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি, এটি একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও কখনও তিনি মাথা নত করেনি; তিনি মাথা উঁচু করে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
বন্যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছেন। শত নির্যাতনের পরও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
২ দিন আগে
রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীতে এক কর্মশালায় ভার্চুয়াল সমাপনী বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। তাই যেকোনো মূল্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই অধিকার আদায় করতে হবে।’
বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না বা জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক মুক্তি মানে সব জনপ্রতিনিধিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি বলেন, সরকার, বিরোধী দল, রাজনৈতিক দল, স্থানীয় নেতা যেমন উপজেলা বা পৌরসভার চেয়ারম্যান, সদস্য বা কাউন্সিলর কাউকেই তাদের ব্যক্তিগত মর্জি অনুযায়ী কাজ করতে দেওয়া উচিত নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সবাইকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যেকোনো গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।’
তারেক বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের রাজনৈতিক, ভোটাধিকার ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে লিপ্ত। ‘এটি এমন একটি সংগ্রাম ছিল, যার জন্য অনেক জীবনকে উৎসর্গ এবং গুরুতর নিপীড়ন ও দমনকে সহ্য করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই বলি, ষড়যন্ত্র কখনো থেমে থাকে না। আপনারা (বিএনপির নেতা-কর্মীরা) পত্রিকার সাম্প্রতিক খবর থেকে যেমন দেখেছেন, তেমনি বুঝতে পারছেন কোথাও একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' স্লোগানের কথা স্মরণ করেন বিএনপি নেতা। এই স্লোগান ছিল মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মজবুত ভিত্তি স্থাপনের প্রতীক। আমি একজন সহকর্মী হিসেবে আপনাদেরকে অনুরোধ করব এবং নেতা হিসাবে আপনাদেরকে আদেশ করব: আজ থেকে কেউ আমার নামের পাশে 'দেশনায়ক' বা 'রাষ্ট্রনায়ক' ব্যবহার করবেন না।’
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপি। সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসবে যদি তাদের নেতাকর্মীরা দেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ ও আচরণ করে।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের জন্য বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেকেই এখন বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু যখন অন্য কেউ তা নিয়ে ভাবেনি, তখন বিএনপি বহু বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাব অপরিবর্তনীয় নয়। ‘আমরা যেকোনো ভাল প্রস্তাব বা পরামর্শ পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
৩১ দফা প্রস্তাব গ্রামীণ এলাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে অবহিত ও মতামত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে জনগণকে পরিষ্কার ধারণা দিতে গ্রামাঞ্চলসহ সারা দেশে ছোট ছোট সভা করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করেন।
তারেক রহমান দুর্নীতি রোধে প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ, শিক্ষকদের ভালো বেতন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের শিক্ষার মানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’
তিনি মানসম্মত সেবা প্রাপ্তিসহ একটি সুস্থ জাতি গঠনে স্বাস্থ্য খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘ দুর্নীতি কমাতে পারলে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব।’
বৈশ্বিক শ্রমবাজার মূল্যায়ন এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ ও স্বল্প-দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে দলের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
৩ দিন আগে
আস্থা ফেরাতে নির্বাচনি রোডম্যাপ দিন: অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে জনগণ সন্দেহ করতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি সরকারের উপদেষ্টাদের অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, 'দেশ চালানোর দায়িত্ব আপনাদের (উপদেষ্টাদের) নয়। দ্রুত একটি নির্বাচনের আয়োজন করুন এবং রাজনীতিবিদদের এই কাজটি করতে দিন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি আরও বলেন, তাদের দল ইতোমধ্যে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর কাছে তাদের প্রস্তুত করা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছে, যা দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে যথেষ্ট হবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। সেখান থেকে আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোনটা গ্রহণ করবেন আর কোনটা বাতিল করবেন, কিন্তু সর্বোপরি পর্যন্ত আসল কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচন করা।’
তিনি বলেন, ‘একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করুন এবং আপনি কখন কী করবেন তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। সেটা করতে পারলে মানুষের আস্থা থাকবে। জনগণ নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়, কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চায়।’
বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ বিএনপি
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
৩ দিন আগে