রাজনীতি
নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অর্থায়ন প্রয়োজন: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে অর্থের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রয়োজন।
রবিবার (১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পূর্ব, এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক পিটারিস উস্তুবাসের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ই্ইউ) একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ ক্লিন এনার্জি থেকে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে এবং আরও ১০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের জন্য আগামী ২ বছর ঝুঁকিপূর্ণ: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের ৯০ শতাংশই বেসরকারি খাতের পৃষ্ঠপোষকতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার উপকূলীয় ও অফশোর বায়ু শক্তি, উভয় ক্ষেত্রেই আরও প্রকল্প গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় বায়ুশক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।
তিনি বলেন, ইউরোপের কয়েকটি দেশ বায়ু প্রকল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, তাই বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করতে এই বিষয়ে কাজ করতে পারে ইইউ। ট্রান্সমিশন লাইন ও সাব-স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে গুণগত মান ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল হওয়ায় দেশে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হারিয়েছে। এই পরিমাণ বিনিয়োগ এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আসা উচিত।
তিনি প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন, ছাদে সৌরবিদ্যুৎ বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
পিটারিস বলেন, ইইউ বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইইউ’র ৭০৬ মিলিয়ন ইউরো থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারে, যা কারিগরি সহায়তা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে অনুদান হিসেবে সরবরাহ করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্রিনহাউজ গ্যাস হ্রাস, বিদ্যুৎ নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ইইউ ‘এনার্জি কানেক্টিভিটি ইন সাউথ এশিয়া’ নামে একটি প্রকল্পে কাজ করছে।
এছাড়াও ইইউ ‘পার্টনারশিপ ফর গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ’- প্রকল্পের আওতায় টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (স্রেডা) সহায়তা করছে।
আঞ্চলিক বিদ্যুতের বাজার, ইইউ বাজার, গ্রিডের উন্নয়ন, আঞ্চলিক স্থান, নেপাল থেকে পাবলিক সেক্টরের সহযোগিতা, সমন্বিত জ্বালানি এবং পাওয়ার মাস্টার প্ল্যানের বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, দক্ষিণ এশিয়ার সেক্টর হেড অড্রে মেলোট এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জৈব জ্বালানি বাড়াতে উৎসাহিত করে: নসরুল হামিদ
শান্তি-উন্নয়নের পক্ষে আবারও নৌকায় ভোট দিন: নসরুল হামিদ
১/১১-এর মতো সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
১/১১’র পর সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ‘অস্বাভাবিক সরকার’ গঠনের গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) একমাত্র উদ্দেশ্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
রবিবার (১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় কাদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খেলা হবে অক্টোবর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাতাসে ভেসে বা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ যদি অবৈধ দল হয়, তাহলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি বা বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হচ্ছে কেন? ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত সীমারেখা মেনে চলা।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যদি বিদেশে যেতে চান, তাহলে তাকে দেশের প্রচলিত আইন অনুসরণ করে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে একজন দণ্ডিত আসামিকে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তা বিশ্বে বিরল।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা দলের নেতা-কর্মীদের ডাকলে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকারকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে, কিন্তু রাজপথে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলবোর্ড বা পোস্টার লাগিয়ে প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়: কাদের
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন বর্জন কারো জন্য সমীচীন নয়: জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটানা নির্বাচন বর্জন কোনো দলের জন্যই সমীচীন নয়।
রবিবার (১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আলোচনায় আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠেছিল। আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি যে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হওয়ার নীতিকে সমুন্নত রাখবে; এর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ।’
তিনি নির্বাচন বয়কটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘অবশ্যই আমি তাকে জানিয়েছি আগামী নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এন্ড ট্রান্সপারেন্ট হবে এবং ইলেকশন অনুষ্ঠান করা সেটি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এবং ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা যে কখনো কারো জন্য সমীচীন নয়, সেটি আমি তাকে বলেছি। একইসঙ্গে দেশে যাতে কোনো রাজনৈতিক ভায়েলেন্স না হয় যেটি ২০১৩-১৪-১৫ সালে হয়েছে এবং সময়ে সময়ে বিএনপি করে এবং এখনো করার চেষ্টা করছে, উস্কানি দিচ্ছে এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
হাসান মাহমুদ বলেন, ‘পাশাপাশি আগামী নির্বাচন জনগণ এবং অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, সুন্দর সর্বমহলে কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, সেটি আমি তার সঙ্গে আলোচনায় বলেছি।’
জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গত ৫২ বছরে জাপানের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত সহায়তার জন্য আমি জাপানি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের কথোপকথন দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্ভাবনাকেও স্পর্শ করেছে।’
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থার ঘাটতি থাকলেও তারা অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ নিতে চান।
তিনি বলেন, 'জনসাধারণের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে। আমাদের ও সরকারের ওপর কোনো আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে হয় না (মানুষ মনে করে)। আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ হয় সে চ্যালেঞ্জ আমরা নিতে চাই।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সিইসি
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জন ইউএনও ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা মনিটরিং ও মিডিয়া নজরদারির মাধ্যমে নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে যাতে আস্থার সংকট না হয় সেজন্য অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা যারা নির্বাচন পরিচালনা করব- নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা- তাদের আরপিও অনুযায়ী সঠিকভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ বা বিতর্ক মাত্রাতিরিক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, '২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাপ (দায়) আমাদের ওপর পড়েছে। তাই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
সিইসি নির্বাচনের সময় কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন থেকে আমরাও কঠোরভাবে মনিটরিং করব।
নির্বাচন নিয়ে অতীতের মতো বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক হতে পারে, তা মনে রাখতে বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, 'এটা অতীতেও হয়েছে। আমরা যদি ৫০, ৬০ ও ৭০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তবে ব্রিটিশ আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কিছু ক্ষেত্রে এটি ঘটেছিল... তবে এর মাত্রা কিছুটা কম ছিল।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'বিশ্বাসযোগ্য' বলে একটি শব্দ আছে, যা সব দেশের আইনে রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বলছে, নির্বাচন অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। ‘এটি কেবল তখনই বিশ্বাসযোগ্য হবে যখন আমরা আমাদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারি।’
প্রচার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে দমন করবে ইসি।
তিনি বলেন, এখন গণমাধ্যমের মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়, যাকে ভুল তথ্য বা কুতথ্য বলা হয়। তিনি বলেন, 'নির্বাচনে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেজন্য আমরা কঠোরভাবে এসব প্রতিহত করব।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না: মঈন খান
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালের বাঘার বাজার এলাকায় নির্ধারিত রোডমার্চের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং জনগণের ম্যান্ডেট বিহীন সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা দাবি করেন, দেশের জনগণ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে এবং তাদের (সরকারের) ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। ‘যত তাড়াতাড়ি তারা ক্ষমতা ছাড়বে, দেশের জন্য যত ভালো হবে।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী দিনগুলোতে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। ‘কারণ মানুষ বাঁচতে চায়, এ দেশের গরিব মানুষের আর বাঁচার উপায় নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের এমন মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে মানুষ বাঁচতে পারবে না।’
সুতরাং আপনি (জনগণ) আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে, উন্নত জীবনযাপন করতে এবং মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে চাইলে সরকারকে পতন করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সরকারের পদত্যাগ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই রোডমার্চের আয়োজন করে বিএনপি।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশালে ও ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনায় একই ধরনের রোডমার্চ করেছে দলটি।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়: কাদের
বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির হাতে গণতন্ত্র, ভোট, নিরাপত্তা, মুক্তিযুদ্ধ, কিছুই নিরাপদ নয়। তারা একাত্তরের বাংলাদেশ চায় না। তারা হত্যা ও সন্ত্রাস চায়। তারা দুর্নীতি ও স্বৈরাচার চায়।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানে বাংলাদেশ শ্রমিক লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশ করলে পালাবার পথ পাবে না। বিএনপির দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগকে কবরস্থানে পাঠাবে। বিএনপির রাজনীতিরই এখন কবরস্থানে যাওয়ার পালা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার যদি অবৈধ হয়, তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অবৈধ সরকারের কাছে আবেদন করলেন কেন?আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সরকারের অনুমতি নিতে হবে; অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা বলেন, যারা ভাঙচুর করতে আসবে তাদের শায়েস্তা করা হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ অনেক শান্তিপূর্ণ। তার মতো সৎ নেতা রাজনীতিতে বিরল বলেও উল্লেখ করেন কাদের।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নেত্রী ডাকলে সাড়া দিতে বলেন। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে: সালমান এফ রহমান
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় শুক্রবার রাতে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপি শাখার আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে একদল যুবক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায় বলে শনিবার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীর ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
হামলার সময় দুর্বৃত্তরা ঘরের লাইট, সিসিটিভি ক্যামেরা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে এবং আগুন দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আমরা এগুলোকে ভয় পাই না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক।
তিনি বলেন, বরং বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে নতুনভাবে চালুকৃত কেবল-কার (রোপওয়ে) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া যতবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাচাঁনো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হযয়ে বাড়ি ফেরত গেছেন। এখনো বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান সরকার সেজন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করছে।'
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ও উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ‘শ্রমিক-কর্মচারি’ কনভেনশনে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা আজ ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন।’
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
তিনি দাবি করেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা নেই। তারা যে দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকার কথা বলে, তা এখন 8 কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে... এটা ব্যাংকে আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে, যাতে তিনি রাজনীতি করতে না পারেন।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার গুরুতর শারীরিক অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় বন্দি রেখে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার ভয়ঙ্কর দানব, লুটেরা, 'বর্গিদের' মতো সরকার। তারা বিদেশে সম্পদ পাচার করে বাগান তৈরি করছে। আর আমার দেশে মানুষ অসহায় ও ক্ষুধার্ত।’
শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই শ্রমিক শ্রেণী অতীতে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। আমি বিশ্বাস করি, শ্রমিকরাই এবার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
‘ইনশাআল্লাহ, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। আমরা এই সরকারকে পদত্যাগ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব।’
মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনের সড়কে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ যৌথভাবে ‘দ্রব্যমূল্য, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল, ন্যূনতম মজুরি, শ্রম পরিস্থিতি এবং ন্যূনতম মজুরি’ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
আরও পড়ুন:দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে: সালমান এফ রহমান
বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের এক দফার দাবি আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে, কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার দোহার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সালমান এফ রহমান বলেন, আপনারা যে আন্দোলন শুরু করেছেন সেটা কখনও সফল হবে না। কারণ জনগণ আপনাদের সঙ্গে নেই।
তাই এসব বাদ দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী বাস ধরার পরামর্শ দিয়েছেন সালমান এফ রহমান।
বিদেশিরা বর্তমান সরকারকে আগামীতে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না, বিএনপি নেতাদের এই ধরনের মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর গুজব-আখ্যায়িত করে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' এর সুযোগ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াতেই ব্যস্ত।
তাদের এসব গুজব থেকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে, কেউ অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিদেশিদের একটাই চাওয়া তা হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হোক। তাদের চাওয়া এবং সরকারের চাওয়া এক। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনও অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলন করছে ফেসবুক ও ইউটিউবে। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তবে তাদের ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হয়েছে।
এই সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছে ভোট চাওয়া ছাড়াও নিরপেক্ষ ও বিরোধীদের কাছে গিয়েও ভোট চাইতে হবে। ভোট দেওয়ার যেমন স্বাধীনতা আছে, তেমনি ভোট চাওয়ারও স্বাধীনতা আছে। উন্নয়নের নানা চিত্র সবার কাছে তুলে ধরে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।'
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইলে এবং দলমত নির্বিশেষে সব ভোটারদের কাছে যেতে পারলে নৌকার জয় সুনিশ্চিত জানিয়ে আগামী নির্বাচনে করণীয় সম্পর্কে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন সালমান এফ রহমান।
বিগত ১৫ বছরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পথে ধাবমান। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে।
নারীদের জন্য সরকারের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেন দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেত্রীবৃন্দ।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না: সালমান এফ রহমান