রাজনীতি
শেখ হাসিনার গলায় গামছা দিয়ে টেনে আনা হবে: শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশের টাকা লুটপাট করে, মানুষ হত্যা করে ভারতে পালিয়ে থাকা যাবে না। পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার গলায় গামছা দিয়ে টেনে আনা হবে, বিচার করা হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দুদু বলেন, ‘শেখ পরিবার ব্রান্ডেড খুনি, ব্রান্ডেড লুটেরা, ব্রান্ডেড চোর। তার দল আওয়ামী লীগ। শেখ মুজিব খুনি ও দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিকারী।’
তিনি বলেন, ‘এত টাকা লুট করে, গণহত্যা করে কোথায় পালাবেন মা (শেখ হাসিনা) আপনাকে গলায় গামছা দিয়ে টেনে আনা হবে।’
পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ দূর করতে সরকারের প্রতি বিএনপি নেতার আহ্বান নির্বাচন নিয়ে দুদু বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ খোঁচাখোঁচি করছে। পিআর ফি-আর কী যেন বলছে। কারণ নির্বাচন দিলেই তো বিএনপির জয়। প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন আগামী নির্বাচন সহজ হবে না। ষড়যন্ত্র চলছে। তাই তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিএনপি হবে আগামী দিনের চালক এবং আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান।
৩ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ দূর করতে সরকারের প্রতি বিএনপি নেতার আহ্বান
আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলমান অনিশ্চয়তা ও সংশয় দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিকশিত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না, কারা এমন সন্দেহ তৈরি করছে? সরকার চুপ করে বসে আছে কেন? চারপাশে তাকান, মন্ত্রণালয়গুলোতে কারা বসে আছে তা কি জানেন না? কারা মিছিল করছে, কারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, তা কি দেখতে পাচ্ছেন না? আপনাদের জানা উচিত।
সাবেক বিরোধী দলের চিফ হুইপ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ আবু সায়েদ, মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামের মতো অনেকের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এই সরকারের প্রধান হয়েছেন।
ফারুক বলেন, এখনো জাতীয় নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে ভীতি ও সংশয় রয়ে গেছে। এই সংশয় দূর করা সরকারের দায়িত্ব। কলকাতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের ভেতরে কিছু গোপন এজেন্ট বসে আছে যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
তিনি অবিলম্বে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ ও গোপন এজেন্টদের তালিকা প্রকাশ করে, তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এটা হলে জনগণের সন্দেহ আর থাকবে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভারতের মদদে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক অর্জনকে খাটো করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। এই আন্দোলন বিএনপি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পূর্ণ সমর্থনে সফল হয়েছিল বলেও যোগ করেন তিনি।জামায়াতকে ইঙ্গিত করে ফারুক বলেন, কিছু দল রাজনৈতিক ভণ্ডামিতে লিপ্ত। নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও তারা আবার মসজিদে গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ঘটনার উদাহরণ দেন, যেখানে এক মসজিদের ইমাম দাবি করেন তিনি একটি সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তবে অভিযোগ ছিল তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর যোগসূত্র রয়েছে।
পড়ুন: দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চালু হচ্ছে অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় উপস্থিত এক তরুণ ইমামের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, মসজিদে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। আর একইসঙ্গে নির্বাচন নিয়ে ভীতি ছড়ানোও গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফারুক সব শিক্ষার্থীদের আগামীকাল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠেয় ভোটে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দমন-নিপীড়নের মধ্যেও ছাত্রদল টিকে আছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ আঁকড়ে ধরে। জিয়াউর রহমানের আদর্শ, খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব আর তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় ছাত্রদল আগামীকালের কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি।’
ফারুক শিক্ষার্থীদের জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাস রেখে ছাত্রদল প্যানেলকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি ডাকসু নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অতীতের কথা স্মরণ করে ফারুক বলেন, অতীতে আন্দোলন- সংগ্রামের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানিসহ সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আহত অবস্থায় দেখতে হয়েছে।তিনি বলেন, ‘হৃদয়ে সাহস নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে, খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে এবং তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরের শিক্ষার্থীদের জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাস রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেলকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে বিএনপি নেতা সরকারের প্রতি ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানেরও আহ্বান জানান।
৩ দিন আগে
জামায়াত আমিরের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে দলটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এসময় হুমা খানের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক জুনিয়র উপদেষ্টা ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম খান।
সাক্ষাতের শুরুতেই হুমা খান জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন ও তার পূর্ণাঙ্গ সুস্থতা কামনা করেন। পরবর্তীতে আন্তরিক পরিবেশে উভয়পক্ষ পারস্পরিক মতবিনিময় করেন।
চলতি বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার আয়োজিত ‘জুলাই স্মরণ সভায়’ জামায়াত আমিরের দেওয়া বক্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মিস হুমা খান।
পড়ুন: জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার
আলোচনায় তারা বাংলাদেশে বিদ্যমান মানবাধিকার পরিস্থিতি, গুম-খুনের বিচারসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে খোলামেলা মতবিনিময় করেন। হুমা খান জামায়াতের প্রস্তাবিত সংস্কার কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে জামায়াত আমির তাকে বিস্তারিত অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, এসময় ডা. শফিকুর রহমান জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলকে নিজের দলের উদ্যোগে ‘জুলাই শহীদদের’ স্মরণে প্রকাশিত ইংরেজি সংস্করণের ১২ খণ্ডের বই উপহার দেন।
দলটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমান প্রমুখ।
৩ দিন আগে
পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: সরকার
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং পৃথিবীর কোনো শক্তি এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকে ১০ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন— স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। এ ছাড়া বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে) খোদা বকশ চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, গত কিছু দিনে কিছু ঘটনা ঘটেছে, সেটির আলোকেই এই বৈঠক। যেসব ঘটনা ঘটছে, স্থানীয় প্রশাসন যেন এ ধরনের ঘটনা আরও শক্তভাবে মোকাবিলা করে, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জুলাইকে সামনে রেখে যে রাজনৈতিক ঐক্য হয়েছিল, সেটাকে ধরে রাখার বিষয়েও জোর দেওয়া হয় বৈঠকে। নির্বাচন সামনে রেখে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক করা হয়। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
পড়ুন: শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন
প্রেস সচিব বলেন, ‘যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার মনে করে দেশের স্বার্থে জনগণসহ সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ থাকা অপরিহার্য।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছেন যে আসন্ন দুর্গাপূজায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে নানা রকম ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘গত বছরের দুর্গাপূজা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। তাই এবছরও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আগেভাগেই সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
প্রেস সচিব বলেন, পতিত ও পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি যখন দেখছে দেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িতদের বিচার যত দ্রুততর হচ্ছে, তত তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এটি কেবল আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যু। তারা দেশের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করার জন্য সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
৪ দিন আগে
শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, সেদিনই বিএনপির নির্বাচনের অর্ধেক প্রচারণা হয়ে যাবে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন। তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরবেন সেদিন অবিস্মরণীয় ইতিহাস তৈরি হবে। সেদিনই বিএনপির নির্বাচনের অর্ধেক প্রচারণা হয়ে যাবে।
তিনি তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘জনাব তারেক রহমান মেধা, যোগ্যতা, শ্রম ও নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগ্রামে আমরা তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি এবং তার রাজনৈতিক পরিপক্বতা দেখেছি। তার নেতৃত্বে এই জাতি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, শিগগিরই ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যার মাধ্যমে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।”
‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের একসপ্তাহে আগে অথবা তারও আগে নির্বাচন হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এ পথে যারা কাঁটা বিছানোর চেষ্টা করছে, বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের সবার প্রতি নসিহত, দেশ এখন নির্বাচনী আবহে আছে, সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশকে অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত করতে হবে। কোনো অতিরিক্ত সাংবিধানিক বা বিশেষ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা উচিত নয়।
পড়ুন: আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশে গভীর চক্রান্ত চলছে: রুহুল কবির রিজভী
বিএনপি নেতা বলেন, অতিরিক্ত সাংবিধানিক ব্যবস্থা’, ‘সুপার-সাংবিধানিক ব্যবস্থা’ বা ‘বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ’— সব একই জিনিস বোঝায়। এগুলো তখনই দরকার যখন স্বাভাবিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়া কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, এখনও আমাদের সংবিধান বহাল আছে এবং রাষ্ট্র সেই অনুযায়ী চলছে। তাহলে এগুলো কেন করতে হচ্ছে, কাকে সন্তুষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে এগুলো করা হচ্ছে, আমরা তো একটা স্ট্যাবল জাতি চাই।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার জন্য, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাংবিধানিক ধারা মেনেই গঠিত হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টারা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন। সংবিধানিক ধারাবাহিকতায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি, তাই এখন সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করারও কোনো কারণ নেই।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বলেছেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রদের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাহলে কি ছাত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ভেঙে গেছে? অবশ্যই না! তাই আমরা আশা করি, সবার মধ্যে সুস্থ বুদ্ধির উদয় হবে, তিনি বলেন।
সালাহউদ্দিন বিশেষজ্ঞ ও উপদেষ্টাসহ সবাইকে আহ্বান জানান যেন তারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক নীতির মধ্যে থেকেই কাজ করেন এবং মতামত দেন, যাতে দেশে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গুমের রাজনীতি বন্ধ হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
৪ দিন আগে
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশে গভীর চক্রান্ত চলছে: রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে দেশে গভীর এক চক্রান্ত চলছে, যা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আমি সরকারকে বলতে চাই— আমার দৃঢ় অনুভূতি হচ্ছে, দেশে গভীর এক চক্রান্ত চলছে ।
তিনি এ চক্রান্তের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান আমলেও মাজার আক্রমণ করা বা লাশ পুড়িয়ে দেয়ার কথা শোনা যায়নি। এখন হঠাৎ করে এসব নৈরাজ্য কেন করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
রিজভী বলেন, সময় এগিয়েছে, আমাদেরও এগোনোর কথা ছিল। হঠাৎ এখন কেন এসব হচ্ছে? এ ধরনের কাজই শেখ হাসিনা করতেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলতেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে, বিএনপি পাকিস্তানপন্থি দল, বিএনপি ইসলামী জঙ্গিদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, এসব অপতথ্য এবং অপপ্রচার করতেন। এই অপতথ্য অপপ্রচার করার পরেও উনি এটা কোনোভাবেই প্রমাণ করতে পারেননি।
জামায়াতকে পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ওই দল বিএনপিকে ভারতপন্থী দল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আপনারাই তো ৫ আগস্টের পর বললেন ভারতের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক আছে। অথচ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আপনারাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, তিনি একসময় মদিনা সনদের ভিত্তিতে দেশ চালানোর অঙ্গীকার করেছিলেন।
তিনি বলেনন, কিন্তু বাস্তবে কী হলো? তার এক মন্ত্রীর লন্ডনে ১৪০টি বাড়ি, তার সন্তানদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি, আবার চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পাশে সরকারি ৭২ বিঘা জমিতে ৩০টি বাংলো তৈরির পরিকল্পনা— অথচ সাধারণ মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে।
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে ছাত্রদল বিজয়ী হবে: রিজভী
কোভিডের সময় অক্সিজেনের অভাবে অসংখ্য মানুষ মারা গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের ওপর বিপদ আসে, আমরা দেশেই থাকি, আমাদের নেত্রী দেশেই থাকেন, মিথ্যা মামলায় পাঁচ-ছয় বছর তিনি নির্যাতনে কারাবন্দি অবস্থায় থাকেন, আমরা কোনো পন্থি দল নই, বাংলাদেশপন্থি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।
প্রবক্তা মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রিজভী বলেন, আজ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও আমরা সমবেত হয়েছি মহান মানুষকে স্মরণ করতে, যিনি আল্লাহর বাণী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। যদি আমরা সামান্যতম অনুকরণ করতাম বা আমরা লালন করতাম তাহলে এই দেশ থেকে অন্যায়-অনাচার, কুপ্রবৃত্তি, পাপাচার, হানাহানি রক্তারক্তি সব বন্ধ হয়ে যেত।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নবীর অনুসারী দাবি করলেও বাস্তবে তাকে আমরা কেউ অনুসরণ করি না। তাকে আমরা কেউ অনুকরণ করি না। এটাই হলো মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
রিজভী বলেন, মহানবী (সা.) বিভক্ত আরব সমাজকে একত্রিত করেছিলেন এবং সবার জন্য সমাধান দিয়েছিলেন। আজ আমরা মদিনা সনদের কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে কিছুই মানি না।
এই আনন্দ ও প্রার্থনার দিনে আসুন আমরা নবীর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেই, যিনি আল্লাহর বাণী এনেছিলেন। যদি আমরা তার উদাহরণ অনুসরণ করি, তাহলে সমাজ থেকে দুর্নীতি, লোভ, ঘৃণা দূর হবে। আমরা সৎভাবে বাঁচতে পারব এবং শান্তি ফিরে আসবে।
৫ দিন আগে
হামলায় নূরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়েছে: রাশেদ খান
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিশক্তি হ্রাস (শর্ট টাইম মেমরি লস) হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নুরের শারীরিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
রাশেদ খান বলেন, ছোটখাটো অনেক বিষয় ভুলে যাচ্ছেন নুর। তার নাক দিয়ে এখনও রক্ত ঝরছে। সরকার থেকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার আশ্বাস দেওয়া হলেও সরকারের একটি মহল চায় না নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হোক।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের অবহেলা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নুরের শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হতে পারে।
অন্য দিকে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আমাদের নেতাকর্মীদের নাম জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
৫ দিন আগে
সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না: এটিএম আজহার
সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও রংপুর-২ আসনের এমপি পদপ্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃশ্যমান সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করলে জনগণ তা মেনে নেবে না। সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতাও পাবে না। অবিলম্বে সংবিধান সংশোধন করে তার আলোকে ভোট করতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান জারি রাখার জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধরা জীবন দেননি।’
গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পলিপাড়া ও পাকার মাথায় উপজেলা জামায়াত আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম আজহার বলেন, ‘জামায়াত সবাইকে আপন করে নিতে চায়। এই দলের নেতা-কর্মীরা সবার আপনজন। কিন্তু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জামায়াত থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে একটি মহল। তার পরেও এই দলের নেতা-কর্মীরা মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকে।’
আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্র করে আল্লামা সাঈদীকে মেরে ফেলেছে দাবি করে এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্দুকের নলের সামনে পরিবারকে জিম্মি করে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী নেওয়া হয়েছিল। এখন সবাই দেখছে সেই সাক্ষীরা প্রকাশ্যে নির্ভয়ে এসে সত্য কথাগুলো বলে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা: ডা. তাহের
ভোট সম্পর্কে এটিএম আজহার বলেন, ‘অন্য দলের নেতারা বিভিন্ন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, নানা ওয়াদা দিয়ে ভোট নেয়। কিন্তু ভোট পাওয়ার পর সেই নেতারা আর এলাকায় না এসে নিজেদের উন্নয়ন করে। কারণ তারা মানব রচিত সংবিধানের আলোকে পরিচালিত সংসদের শাসক। মানব উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই আল কোরআনের আইন প্রয়োগ করতে হবে, সৎ লোকদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটাই স্লোগান— আল্লাহর আইন চাই। সেটা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সৎ লোককে ভোট দিতে হবে। সৎ লোকের মাধ্যমে প্রচলিত আইন পরিবর্তন করে জামায়াতের ছায়াতলে আসতে হবে। জামায়াতের ছায়ায় এলে অন্তত নামাজ পড়বেন, মিথ্যা বলবেন না, রোজা রাখবেন।’
পথসভায় মধুপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মণ্ডলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির কামরুজ্জামান কবির, নায়েবে আমির শাহ রুস্তম আলী, সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
৫ দিন আগে
জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে বললেন বিএনপি নেতা
জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জ্বল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক বলেন, আজকে দেখলাম একটা পত্রিকায় যে, জনগণ যদি না চায় পিআর (সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি) দরকার নাই। আল্লাহ মাবুদ, আজকে পবিত্র জুম্মার দিন, আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন।
তিনি বলেন, আমি তাদের (জামায়াতে ইসলামী) বলব, দয়া করে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে আসেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, জামায়ত নির্বাচনের সময়সীমা বাড়ানোর বিভিন্ন দাবি করছে, কিন্তু একদিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, জামায়াত একদিকে বলছে পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না, অন্যদিকে গণভোট ছাড়া নির্বাচনে যাব না। আবার তিনশত প্রার্থী ইতোমধ্যে ঘোষণা করে মসজিদে মসজিদে প্রচার শুরু করে দিছে। ঘরে ঘরে শুরু করে দিছে, বেহেস্তে নিয়া যাব যদি দাঁড়ি পাল্লাকে ভোট দাও।
ফারুক বলেন, জামায়তের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে বিএনপি উদ্বিগ্ন নয়। ‘আমি আমার এলাকার মানুষকে বলেছি, কোনো কিছু করার দরকার নাই। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো। জনগণ জানে, শহীদ জিয়ার দল, বেগম খালেদা জিয়ার দল, তারেক রহমানের দল যতবারই ক্ষমতায় ছিল, বিশ্বাস ঘাতকতা করেনি।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে, বাংলাদেশে আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নাই জনগণকে হারাতে পারে। কারণ বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের দল।
পড়ুন: মৌচাকে লড়ির ধাক্কায় শিশুসহ ৫ জন আহত
ফারুক বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমান জুলাই-অগাস্টের ছাত্র আন্দোলনকে দেশের ১৮ কোটি মানুষের সর্বাত্মক সমর্থনে সফল করেছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদ এর সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, পিআর, মব সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসব নির্বাচনের পথে বাধা দেওয়ার জন্য তৈরি করা একটি পরিকল্পনা।
ফারুক অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আবারো দিল্লির প্ররোচণায় বাংলাদেশের কিছু লোক যদি আবার আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেন, জনগণ প্রতিহত করবে।
ফারুক আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৬ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছতে পারেনি। পাথর মেরে ছবি ভেঙে ফেলা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলা যায় না।
৬ দিন আগে
নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে গণমাধ্যম নির্দেশিকা পর্যালোচনা করবে: ইসি মাসুদ
স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনে সাংবাদিকদের গুরত্বপূর্ণ সহযোগিতার জন্য নির্দেশিকা পর্যালোচনা ও প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন এবং রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এর মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সভায় নির্বাচনের সংবাদ পরিবেশনকারী সাংবাদিকরা ‘নির্বাচন সংবাদ পরিবেশন করার জন্য নিযুক্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নির্দেশিকা ২০২৫’ সংশোধনের দাবি জানান। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্ধারিত ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইসি গত জুলাইয়ে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
অনুষ্ঠানের বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ বলেন, স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকলেই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। এর জন্য আপনার সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অন্যায়কে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে না। আমরা ভুল করতে পারি, কিন্তু আমরা কোনো অন্যায় সহ্য করব না। তাই, আমরা আপনার (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা কামনা করছি।’
আরএফইডির লিখিত দাবি সম্পর্কে বলতে গিয়ে রহমানেল মাসুদ বলেন, নির্দেশিকায় পরিবর্তনের জন্য এই দাবিগুলো পর্যালোচনা করা হবে। ‘উভয় পক্ষের জন্য, জনগণের জন্য এবং একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা যা ভালো তা করব।’
পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে আ. লীগ নির্বাচন করতে পারবে না: ইসি সানাউল্লাহ
তিনি বলেন, তারা কোনো অন্যায় সহ্য করবে না, যদি ভুলও হয়। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
ইসি মাসুদ সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন, জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে এবং গণমাধ্যম আচরণবিধির প্রস্তাবিত সংশোধনী পর্যালোচনা করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেবেন।
নির্বাচন ঘিরে আস্থার ঘাটতি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আসল সমস্যা হলো কেউই আস্থার অবস্থানে নেই।
তিনি বলেন, ‘আস্থার সংকট আমাদের জাতীয় সংকট। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি না যে সবাই খারাপ এবং আমি ভালো। আর আপনি বলতে পারেন না যে আমি খারাপ এবং আপনি ভালো। এই পরিস্থিতিতে, আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রথমেই যা বলছে- তা হলো- আস্থা ফেরাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত- যাতে আমরা একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারি.... কারণ আমাদের সকলের মূল লক্ষ্য একই। আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তীতে এগুলো সমাধান করা যেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও দুই নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমেদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও বক্তব্য দেন।
আরএফইডির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরএফইডির সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দিন জেবেল সাংবাদিকদের কাঙ্ক্ষিত প্রস্তাবিত নির্দেশিকাগুলোর উপর একটি উপস্থাপনা করেন এবং ইসির কাছে তা হস্তান্তর করেন।
৭ দিন আগে