রাজনীতি
নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব(পিআর) ব্যবস্থা চালু হবে তা জনগণ কখনো প্রত্যাশা করে না।
তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের জন্য তা প্রযোজ্য হবে না। এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য বিশেষ সুবিধা তৈরি করবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহাজাল এলাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নিহত ছাত্রদলের কর্মী জুনায়েদ আল হাবিবের পরিবারকে সান্ত্বনা ও অনুদান দিতে বিএনপিপন্থী প্লাটফর্ম 'আমরা বিএনপি পরিবার' এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ কসাইখানায় পরিণত হবে।’
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ প্রমুখ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রায়পুরা উপজেলার বাটিয়ারা মোড়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও পিয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রনেতা জুনায়েদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় জুনায়েদের চাচা শফিক বাদী হয়ে স্বাধীন ও পিয়ালসহ ১৪ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কোন ধরনের সরকার ও নির্বাচন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি উপযোগী?
৭ ঘণ্টা আগে
মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: জামায়াত আমির
জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তারা জাতির ঘাড়ে এখনও বসে আছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে দেশের মানুষ আরও নির্যাতিত হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
বিগত সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী দিনে জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে নারীদের সবোর্চ্চ সম্মানের সঙ্গে সমাজ উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনো নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। যেখানে সবাই মিলেমিশে সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হিংসামুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, যারা একদিন গর্ব করে বলতেন এ দেশে জালিম কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। দেশ থেকে জালিমদের বিতারিত করতে হবে। অথচ আজ তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
তিনি বলেন, বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ববাদ মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি প্রভুত্ব করতে আসে তাহলে জাতি তাদের উচিত জবাব দেবে।
জামায়াতের প্রধান বলেন, এমন একটি সমাজ গড়া হবে যেখানে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো বিচারপ্রার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না। বিচারক দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করবে।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষ স্বৈরাচার সরকার দ্বারা নির্যাতিত। তবে দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে নির্যাতিত ও মজলুম দল। এই দলের নেতাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে জুলুম করে গুম, খুন করা হয়েছে। বিগত সরকার জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে নানা পাঁয়তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা গণআন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রতীক কেড়ে নেয়। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে দেশপ্রেমিক আলেম-ওলামাদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
৮ ঘণ্টা আগে
৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক যুক্ত বিবৃতিতে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেছেন, 'অপশক্তির অবৈধ সরকার কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত দেখে দেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের মতো আমরা প্রবাসীরাও অবাক হয়েছি।’
তারা বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের দোসররা মানুষ হত্যা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে ৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তারা পাকিস্তানিদের মাস্টারপ্ল্যান মতো সর্ব প্রথম বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। ঢাকাসহ সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল এবং মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে শাখা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, সন্ত্রাস চলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শতশত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এই অর্জনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যরা। তাদের অবদান মুছে ফেলা যাবে না। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবস ও ১৭ মার্চের শিশু দিবস ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। ১৫ আগস্ট বাঙালির সবচেয়ে বড় শোক দিবস। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এইসব দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
'রিসেট বাটন চেপে ইতিহাস মুছার নজির বিশ্বে নাই। কাজেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির জাতীয় ইতিহাস মুছে ফেলা অসম্ভব,’ বলে উল্লেখ করেন নেতারা।
১২ ঘণ্টা আগে
৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
চাকরিপ্রার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের নিয়োগ সম্পূর্ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএসের সব প্রক্রিয়াও বাতিলের দাবি জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি, যা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে একটি দলীয় কমিশনের অধীনে সম্পন্ন করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৭ সালে ২৭তম বিসিএসের ফলাফলের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, বিসিএস নিয়োগ বাতিলের নজির রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র নির্বাচনসহ অনেক কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে: তারেক রহমান
তিনি উল্লেখ করেন, একই প্রেক্ষাপটে ২৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল বাতিল করা হয়েছিল এবং তৎকালীন সরকার পরবর্তীতে ভাইভা পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল।
৪৩তম বিসিএসের ক্ষেত্রে সরকার ২৭তম বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাত্র ২ মাসের মধ্যে যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অনুগতদের নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনে আওয়ামী প্রেতাত্মাদের আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ দেওয়া বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, 'আমরা মনে করি, এই নিয়োগ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অবিস্মরণীয় আত্মত্যাগের সঙ্গে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।’
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীকে বঞ্চিত করে দলীয় বিবেচনায় ও সুপারিশকৃত ৪৩তম বিসিএস বাতিল করতে দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াদের শ্বেতপত্রের দাবি ফারুকের
১৩ ঘণ্টা আগে
১৫ আগস্ট, ৭ মার্চসহ জাতীয় দিবসে বাতিলের প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার 'রিসেট বোতাম’ টিপে বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দলের ভ্যারিফায়েড ফেকবুক পেজে এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
এতে বলা হয়, তারা ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সব ম্যুরাল ও ভাস্কর্য ভেঙেছে কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে ভেঙেছিলেন। তারা ৭ মার্চ এর জাতীয় দিবস বাতিল করেছে, কারণ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস বাতিল করেছে তারা। কারণ তারা শেখ মুজিবকে জাতির পিতা স্বীকার করে না, বাংলাদেশে এখন পাকিস্তানের জাতির পিতার জন্মদিন পালিত হয়।
বিবৃতিতে দলটি বলেছে, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করেছে তারা, কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সঙ্গে তাদের কর্মকাণ্ডের আদর্শিক মিল রয়েছে। তারা ৪ নভেম্বরের সংবিধান দিবস বাতিল করেছে, যে সংবিধান গড়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার উপর ভর করেই।
এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এতে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষ তীব্র ঘৃণাভরে অবধৈ সরকারের এই অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও সহিংসতার অভিযোগ নানকের
১ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিরপুরে নিহত ফয়জুল ইসলাম রাজন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে শাহআলী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহআলী থানার সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাহ আলম ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।
মিরপুর-১০ এলাকায় রাজন হত্যার ঘটনায় গত ১৬ আগস্ট মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে মিরপুর-১০ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় ফয়জুল ইসলাম রাজন গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত রাজনকে মিরপুর-৬ এলাকার আজমল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ফয়জুল ইসলাম রাজন হত্যায় জড়িত মো. শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২ দিন আগে
আওয়ামী লীগের প্রণীত ‘কালা কানুন’ দিয়েই তাদের বিচার হোক: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা কোনো জুলুম ও অবিচার কারও ওপর চাই না। তারা দীর্ঘদিন যেসকল কালাকানুন করেছিলেন, তাই দিয়ে তাদের বিচার হোক।
তিনি বলেন, ‘তারা যেন তাদের সঠিক পাওনাটা পান। তাদেরকে যেন পাওনা থেকে বঞ্চিত করা না হয়। যার যেটা পাওনা সেইটাই যেন পান।’
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের রুকন(সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের মানবতা, গণতন্ত্রকে এবং জনগণের ইচ্ছা ও আশা-আকাঙক্ষাকে জবাই করা হয়েছিল। ঐদিনই সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল।
তিনি বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু দুর্বৃত্ত ছাড়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মজলুম ছিলেন। আর মজুলুমদের সামনের কাতারে ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াত প্রধান বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর বহু ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ আবার আপন পথ ফিরে পেয়েছে।
তিনি বলেন, সেই দিনের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। বহু শিশু এই দৃশ্য দেখার পর একনাগারে অনেকদিন রাতে ঘুমাতে পারেনি, চিৎকার দিয়ে উঠেছিল। কিন্তু মজলুমরা তার বিচার পায়নি।
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
জামায়াতের আমির বলেন, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে সাজানো-পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিল তারা। এখন তাদের নাম সাহস করে কেউ নেয় না। তাদের দল (আওয়ামী লীগ) যারা করে তারাও সেই নাম নিতে চায় না। আমরা মজলুম জনগণ তাদের নাম নেব কেন?
তিনি বলেন, তাদেরকে তারা নিজেরা নিষিদ্ধ করার ইতিহাস আছে। তারা যখন বাকশাল কায়েম করে তখন তাদের দলসহ সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। আর এবার আল্লাহর সাহায্য নিয়ে জনগণ তাদের দলকে নিষিদ্ধ করেছে।
ডা. শফিকুর বলেন, সাড়ে ১৫ বছর দাপটের সাথে তারা দেশ শাসন করেছেন। ক্ষমতায় আসার মাত্র ২ মাসের মাথায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর গায়ে তারা আঘাত করে ৫৭ জন চৌকস ও দেশপ্রেমিক, প্রতিশ্রুতিশীল সেনা কর্মকর্তাকে বেদনাদায়কভাবে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার ঘটনায় তদন্তের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল, তা জনগণকে ধোকা দেওয়ার জন্য। নেপথ্যের নায়কদেরকে, হুকুমদাতাদেরকে, দৃষ্কৃতিকারীদেরকে আড়াল করার জন্য।
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক-নায়িকারা তাদের অপরাধের পাওনা এখনো পায়নি। এ পাওনা তাদেরকে পেতে হবে।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল খুনিদের বিচার করতে হবে। তবে
অগ্রাধিকারভিত্তিতে আগে সাম্প্রতিক গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। তাদের বিচার এজন্য করতে হবে- শহীদদের তাজা রক্ত এখনো ভাসছে। আহতরা কাতরাচ্ছে। সাক্ষী মজুদ। আলামত জীবন্ত ও স্পষ্ট। যত দ্রুত সম্ভব ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে ওদেরকে সঠিক পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার অরাজনৈতিক একটি সংগঠন হেফাযতের ওপর ক্র্যাকডাউন করা হয়েছিল। তা ছিল আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটি ছিল আরেকটি গণহত্যা। কতজনকে হত্যা করা হয়েছে তা আজও জাতি জানতে পারেনি।
আরও পড়ুন: যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
জামায়াত আমির বলেন, সাড়ে ১৫ বছর তারা গর্ব ও অহংকারের সাথে দেশ শাসন করেছেন। দম্ভ ও দাপটে তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করেনি। সমস্ত মানবতাকে নিয়ে দফায় দফায় উপহাস করেছে। আল্লাহ সাময়িক কিছু পরিণতি তাদেরকে দিয়েছেন মাত্র।
তিনি বলেন, তারা অপকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে আরেকটি রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছে আনসারলীগ, বিচারলীগ ও নানারকম দাবি দাওয়ার লীগ নামে।
জামায়াত আমির বলেন, তারা অনেকে দাড়ি ও টুপি পড়ছেন (আর্টিফিসিয়াল কিনা জানি না)। একদিকে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধোকা দিচ্ছে ও বিশ্ববাসীকে মেসেজ দেওয়া যে, আমরা যতদিন ছিলাম ততদিন চরমপন্থার উত্থান হতে দেইনি। আমরা নাই এখন বাংলাদেশে চরমপন্থা আছে।
তিনি বলেন, সবচাইতে যারা চরমপন্থী তারাই যারা তাদের সন্তানদের হাতে হাতুরি তুলে দিয়েছিল এবং মাথায় হেলমেট পড়িয়েছিল। তাদের চাইতে বড় চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী বাংলাদেশে আর জন্মায়নি।
জামায়াত প্রধান বলেন, তারাই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। আমরা করিনি। তাদের শাসনামল পুরোটাই ছিল চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের। জামায়াত সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে বলেও জানান দলটির প্রধান ডা. শফিকুর।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা কোনো সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নিয়ে কোনো প্রতিশোধ নেবো না। তারা যেমনটি আইন হাতে তুলে নিয়ে মানুষকে দুঃখ-কষ্ট দিয়েছেন, মানুষের ওপর জুলুম করেছেন, আমরা সেটা করবো না। কিন্তু ন্যায়বিচার পেতে আমরা বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে জুলুমের প্রতিকার চাইব। আমরা সেই প্রতিকারটিই চাচ্ছি। গণঅভ্যত্থানের পর মজলুম দল হিসেবে প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার ছিল জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের। কিন্তু ৫৪ হাজার বর্গমাইলের দেশের কোথাও একটিও প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি।নেতাকর্মীদের প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, 'আমরা ভবিষ্যতে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই। তাই আমাদের সীমাহীন ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
৪ দিন আগে
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়: জামায়াতের আমীর
জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ক্রেডিট কোনো দলের নয়, এর ক্রেডিট শুধু ছাত্র-জনতার। ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন মেধাবী সেনা অফিসারের ত্যাগ দিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ৫ আগস্ট হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন জামায়াতের আমীর।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দেশে যে সাময়িক পরিবর্তন এসেছে তাকে স্থায়ী রূপ দিতে সৎলোকের শাসন ও আল্লাহর আইন প্রয়োজন। যেখানে দল-মতের উর্ধ্বে সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে। আমরা কাজের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রকৃত ভালোবাসা অর্জন করতে চাই।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ভেদাভেদ চাই না। এমন সমাজ তৈরি করতে হবে যেখানে মসজিদের মতো মন্দিরেও পাহারার প্রয়োজন হবে না।’
কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের রুখে দিতে আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াতের আমীর বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডবে মানুষ হত্যার উল্লাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। সেই বাংলাদেশ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আবার পথে ফিরেছে। আমাদের ছাত্র ও যুবসমাজ সেই অসাধ্য সাধন করেছে। যে জাতির দেড় বছরের শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধরা রাজপথে নামতে পারেন সেই জাতিকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি মজলুমের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারা আমাদের শীর্ষ নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি দিয়ে শহীদ করেছে। আজ তারা ইতিহাসের মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মহানগরীর কয়েক হাজার কর্মীর সমাগম হয়। বেলা ৩টার আগেই কুশিয়ারা কনভেনশন হলের ভেতর লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা উত্তরের আমীর হাফিজ আনওয়ার হোসাইন খান ও জেলা দক্ষিণের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান।
৬ দিন আগে
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াদের শ্বেতপত্রের দাবি ফারুকের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি আরও বলেন, 'যারা দেশ ছেড়ে গেছে বিশেষ করে শত মায়ের বুক খালি করে কীভাবে ভারতে পালিয়ে যেতে পেরেছে সেই ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি হঠাৎ করে ভারত থেকে দেশে ফেরার ইচ্ছা জানিয়েছে সে কথা তুলে ধরেন ফারুক।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেভাবে ভারতে পালিয়ে গেছেন সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ঢোকা আপনার জন্য এত সহজ হবে না। সীমান্ত বর্তমানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে বিজিবি কঠোরভাবে সুরক্ষিত করে রেখেছে, আওয়ামী লীগ নয়।
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সহায়তায় ভারত বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বছরের পর বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং রাতে আর ভোট হবে না। এই আন্দোলন বৃথা যাবে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি এক মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এই মানববন্ধনে ফারুক বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনার জন্য, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের অধীনে নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় যেখানে দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন দেশের মানুষের চাওয়া ড. ইউনূসের সরকার যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
বিগত সরকারের আমলে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪০ লাখ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জনগণ এখন প্রশ্ন করছে, রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অনুযায়ী কেন এই ৪০ লাখ মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
৬ দিন আগে
চট্টগ্রামের পূজামণ্ডপে ইসলামী গানের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার শিবিরের
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন আকাশের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, '১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জে এম সেন হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব চলাকালে সংঘটিত এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের জড়িত থাকার অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা চালানো শুরু হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও স্পষ্ট করে বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি তানজীর হোসেন জুয়েল 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য' প্রচারের তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: ছাত্ররাজনীতির যৌক্তিক সংস্কার চাইলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল
৬ দিন আগে