রাজনীতি
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত
গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর ফ্যাসিস্ট ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ১৭ জুলাই দেশের সকল জেলা ও মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করবে জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (১৬ জুলাই) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ গোপালগঞ্জ জেলায় এনসিপির পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে পতিত স্বৈরাচারের দোসর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নৃশংস হামলা চালিয়েছে। তারা এনসিপির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের গাড়িতে হামলা করে এবং তাদের অবস্থানস্থল এসপি’র অফিসেও হামলা চালায়।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় এনসিপির বহু সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। তাদের সৃষ্ট সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আগামীকাল ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সকল জেলা ও মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কর্মসূচি পালনের জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
১৬৬ দিন আগে
ইসি ওয়েবসাইটে ‘নৌকা’ সরিয়ে ‘তুলা’ প্রতীক যুক্ত
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জামায়াতে ইসলামী দলের প্রতীক ‘তুলা’।
বুধবার (১৬ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নৌকা প্রতীক এখনও নির্বাচনী প্রতীকের তফসিল অনুযায়ী বহাল আছে। তবে জনগণের বিভ্রান্তি এড়াতে এটি ওয়েবসাইট থেকে সরানো হয়েছে।’
চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন তাদের এই প্রতীক কেবল ওয়েবসাইট থেকে সরিয়েছে বলে জানান তিনি। তবে একে বাতিল করা হয়নি, বরং এটি নির্বাচন কমিশনের মূল তালিকায় রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: প্রহসনের নির্বাচনের জন্য দোষ স্বীকার সাবেক সিইসি নূরুল হুদার
সচিব আখতার আহমেদ আরও বলেন, ‘নৌকা প্রতীক অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। এটি এখনও সংরক্ষিত প্রতীক হিসেবেই থাকবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কারও চাপের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক ‘তুলা’ বিষয়ে তিনি বলেন, আদালতের রায়ের আলোকে এটি ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১৬৬ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চ্যালেঞ্জে সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা বিএনপির
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকারকে সমন্বিত সহযোগিতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারকে বিএনপি পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বনানীর একটি হোটেলে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিষয়ে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি রপ্তানির সঙ্গে প্রায় ১৫–১৬ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত। ফলে শুল্ক ইস্যুটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘ব্যবসায়ী নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক আলোচনা থেকে বাংলাদেশ যেন বাস্তবসম্মত সমাধানে পৌঁছাতে পারে, সে লক্ষ্যেই বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা করতে চায়।
আরও পড়ুন: শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা আশাব্যঞ্জক: বাণিজ্য উপদেষ্টা
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, আন্তর্জাতিক পোশাক রপ্তানি বাজারে ভারতের সঙ্গে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের সরাসরি প্রতিযোগী।
বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়, তাহলে এসব প্রতিযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বড় ধরনের সুবিধা পাবে, যা বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
তিনি সতর্ক করে বলেন, শুল্ক সমস্যার সমাধান না হলে বাংলাদেশ কয়েক লাখ মানুষের কর্মহানি, শিল্প কারখানা বন্ধ এবং হাজার হাজার ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প বিপর্যয়ের ঝুঁকি নিতে পারবে না।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, অ্যাপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিআই)-এর চেয়ারম্যান আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ এবং প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ।
১৬৭ দিন আগে
নির্বাচন বিলম্ব ঘটাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে: অভিযোগ ডা. জাহিদের
জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব ঘটাতে পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘একটি সুস্পষ্ট চক্রান্ত চলছে, যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো যায়, তাহলে কয়েকটি পক্ষ এতে লাভবান হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রাঙ্গণে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২১ জুলাইয়ের পেশাজীবীদের আলোচনাসভার ভেন্যু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তবে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. জাহিদ। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আমরা আশাবাদী যে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে।’
রাজধানীর পুরান ঢাকায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো ধরনের অন্যায় বা অপরাধকে সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবারের (১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘অপরাধ মানেই অপরাধ—এতে কোনো দলীয় পক্ষপাত নেই, বিএনপি কোনো অন্যায়কে সমর্থন করে না।’
আরও পড়ুন: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার
ডা. জাহিদ বলেন, অপরাধকে রাজনীতিকরণ করা বা কোনো পক্ষকে দোষারোপ করতে গিয়ে তা বাড়িয়ে বা কমিয়ে তুলে ধরা সঠিক নয়। অন্যায়কে সব সময়ই অন্যায় হিসেবে দেখতে হবে। কোনো সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তি কখনো অন্যায়ের পক্ষে থাকতে পারে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এমনটি বিশ্বাস করি।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে করা অশালীন মন্তব্যগুলোর সমালোচনা করেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘আমরা শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শের অনুসারী। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়। আমরা কোনো চক্রান্তের অংশ হতে চাই না।’
সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে ধৈর্য ধরার, সত্য বলার ও দ্বৈত আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। ‘বিএনপি কখনো অন্যায়কে সমর্থন করে না, বরং ন্যায়বিচার চায়। বিএনপি গণপিটুনি বা বিচারবহির্ভূত সহিংসতাকে সমর্থন করে না,’ বলেন ডা. জাহিদ।
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর জামায়াতে ইসলামীর নেতার ‘বিএনপিকে জনগণ লাল কার্ড দেখিয়েছে’ মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি তার বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। আমার মনে হয়, যারা এমন মন্তব্য করেন, তারা হয়তো রাজনৈতিক বোধ ও অভিজ্ঞতার ঘাটতিতে ভোগেন। জনগণ ঠিক করে দেবে কে লাল কার্ড পাবে আর কে সবুজ।’
তিনি ঝালকাঠি থেকে নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ‘বিএনপি মুজিববাদের রক্ষক হয়ে উঠছে’ অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘আমি ওই খবর দেখেছি। কারা আসলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে এবং কারা করছে না, তা জনগণের চোখে স্পষ্ট।’
১৬৭ দিন আগে
মিটফোর্ডে হত্যাকান্ডে তদন্ত কমিটি গঠন বিএনপির
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিএনপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যবহার করার সন্দেহ রয়েছে এবং কিছু মহলের উসকানিতে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এই ধরনের ঘটনা দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
সোমবার (১৪ জুলাই) বিএনপি চেয়ারম্যানের গুলশান অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে দেশের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি এবং দুষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিশ্বাসের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘এই নির্মম হত্যার পেছনের সত্য উদঘাটন করতে আমরা একটি উপযুক্ত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ কমিটি গঠন করেছি, যারা প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করবে এবং তা জনসমক্ষে নিয়ে আসবে।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে, বিশেষ করে একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল ও তার শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে খলনায়ক হিসেবে তুলে ধরার জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যার বিরুদ্ধে দল কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের
ফখরুল বলেন, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এরইমধ্যে ঢাকা মিটফোর্ড এলাকার লাল চাঁদ সোহাগ নামে একজন ভাঙারি ব্যবসায়ীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, সরাসরি কোনো প্রমাণ না থাকলেও পুলিশের অভিযোগে নাম উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাংগঠনিক পদক্ষেপ—আজীবন বহিষ্কার—গ্রহণ করেছে দল।
বিএনপি নেতা জানান, নিহতের পরিবার ইতোমধ্যে মামলার বিবৃতিতে অসঙ্গতি থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, আসল দোষীদের জায়গায় রিপোর্টে তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। দুঃখজনকভাবে, নির্মম হত্যায় সরাসরি যুক্ত প্রকৃত অপরাধীরা এখনও চিহ্নিত বা গ্রেফতার হয়নি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নাম বা পরিচয় প্রকাশ করতে পারেনি।
১৬৮ দিন আগে
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের
পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনাকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন মির্জা ফখরুল। এ ধরনের ঘটনা জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করতেই ব্যবহার করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ হত্যার ঘটনা কোনো রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার হচ্ছে কি না এবং এর মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করার জন্য বিশেষ কোনো মহলের প্ররোচনায় এ ধরনের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।’
তিনি জানান, রাজধানীর মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি ‘তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
এ ঘটনায় কমিটির সদস্যরা প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবেন এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলে জানান দলটির মহাসচিব। তিনি বলেন, এই মর্মান্তিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছি, কারণ এ ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে বিকৃত করা হচ্ছে এবং দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও তার শীর্ষ নেতার (তারেক রহমান) ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি সুপরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিটফোর্ডে হাসপাতালের বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না আনসারদের: ডিজি
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি বিবেকবান রাজনৈতিক দল হিসেবে সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় সংঘটিত লালচাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও দৃষ্টামূলক শাস্তি দাবি করেছে। এই হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা বা উপস্থিতির প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে যাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলার আলোকে আজীবন বহিষ্কারের মতো সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে মামলার এজহারের অসংগতি প্রসঙ্গে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য থেকে জানা যায় যে, তাদের উল্লেখিত তিনজন অপরাধীর নামের স্থলে এমন তিনজনের নাম সংযুক্ত করা হয় যাদের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোাগ নেই।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি, নৃশংসতার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার তো দূরে থাক, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এখনও তাদের নাম-পরিচয় পর্যন্ত উদঘাটনে সক্ষম হয়নি।
এর আগেও বর্তমান সরকারের কাছে এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার এবং দ্রুত বিচারের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দাবি জানানোর কথা উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যায় দুই আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
তিনি বলেন, দৃঢ় দলীয় অবস্থান থাকা সত্ত্বেও একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে আমাদের দল এবং শীর্ষ নেতৃত্বের শালীনতা ও চরিত্রহননের দুঃসাহস প্রদর্শন করছে।’
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) এলোপাতাড়িভাবে পাথর দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ভাঙারি ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
১৬৮ দিন আগে
তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরাতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশীয় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরাতে পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একদল দুষ্টচক্র অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে—টার্গেট করে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে একটি নির্দিষ্ট ষড়যন্ত্র, যার লক্ষ্য বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা এবং উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় নেতা তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরানো ও হেয় করা।’
রবিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপিপন্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সম্পাদিত ‘তারেক রহমান: বাংলাদেশ আশার নাম’ শীর্ষক গ্রন্থটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় এ অনুষ্ঠানে।
ফখরুল বলেন, বিএনপি বর্তমানে একটি সুপরিকল্পিত, ভয়াবহ ও বিপজ্জনক সাইবার আক্রমণের মুখে পড়েছে, যা দলকে হেয় ও দুর্বল করার জন্য নানা দিক থেকে চালানো হচ্ছে।
‘সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো—প্রথমবারের মতো আমাদের নেতা তারেক রহমানকে নাম উল্লেখ করে সরাসরি টার্গেট করা হচ্ছে। তাকে নিয়ে অনেক কিছু ছড়ানো হচ্ছে, যাতে করে তার সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক,’ বলেন তিনি।
এ পরিস্থিতিতে তরুণ নেতাকর্মীদের সঠিকভাবে শিক্ষা ও রাজনৈতিক দীক্ষায় দীক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাদেরকে বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ গভীরভাবে জানতে হবে এবং তা ধারণ করতে হবে। তা না হলে, তারা রাজনীতিতে নিজেদের সঠিক অবস্থান খুঁজে পাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী এই সময়ের মধ্যে নিজেদের রাজনৈতিক জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে পারেননি। না হলে আজ আমরা যেসব কথা শুনছি, সেগুলো শুনতে হতো না।’
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার যুবদলের বিক্ষোভ
সাইবার জগতে জাতীয়তাবাদী তরুণদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে এবং আরও বেশি তরুণকে সম্পৃক্ত করে মেধাভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো—আমাদের লোকেরা পড়তে চায় না। এই অভ্যাস বদলাতে হবে। আমাদের পড়তে হবে। যত বেশি পড়ব, তত বেশি জ্ঞান অর্জন করব, ততই শক্তিশালী হয়ে লড়তে পারব। আমাদের সব কিছু নিয়েই পড়তে হবে। জানতে হবে তারা কী বলছে, এবং কীভাবে জবাব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, বুদ্ধিমত্তা ও মেধার ভিত্তিতে লড়াই ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ‘মেধার কোনো বিকল্প নেই। সেই মেধা দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তরুণ সাইবার যোদ্ধাদের মেধা দিয়ে সামনে এগিয়ে আসতে হবে।’
বিএনপি সমর্থিত সাইবার কর্মী ও ব্লগারদের অতীত আন্দোলন-সংগ্রামে অবদানের কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, ‘আমি সবসময় তাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’
তিনি বলেন, এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মানুষের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে, পাশাপাশি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমও তাদের জায়গায় শক্তিশালী। তবে বিএনপি এই সাইবার দুনিয়ায় দুর্বল, তা অকপটে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনলাইন উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করতে হবে। এই দায়িত্ব তরুণদের নিতে হবে।’
‘তারেক রহমান: বাংলাদেশ আশার নাম’ বইটিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক যাত্রা, দূরদর্শী নেতৃত্ব, ১/১১ সময়কার অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক সংগ্রাম ও রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্নচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ফখরুল বলেন, ‘তিনি বিএনপিকে সঠিক পথে পরিচালনার প্রতীক, এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এক আশার নাম।’
১৬৯ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার যুবদলের বিক্ষোভ
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
রবিবার (১৩ জুলাই) যুবদলের সহকারী দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির এই যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশের সব জেলা ও মহানগর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করবেন।
পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: এক আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, আরেকজনের দায় স্বীকার
ঢাকায় বেলা ২টায় বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হবে। এটি ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হবে।
যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন সংগঠনের দেশব্যাপী সকল ইউনিটকে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৬৯ দিন আগে
হাসিনা পালিয়েছে, তার সিস্টেম রয়ে গেছে: আখতার হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব শেখ আখতার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে হাসিনা পালিয়েছে কিন্তু তার সিস্টেম রয়ে গেছে। চাঁদার জন্য ঢাকায় একজনকে পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রামপালে এখন ঘের দখল চলে। পালিয়ে থাকা নেতারা ঘেরের দখল নিতে চায়।
শনিবার (১২ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১২তম দিনে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আখতার আরও বলেন, বাংলাদেশে যদি কেউ ঘের দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, কমিশনের রাজনীতি করতে চায়—তাহলে বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে হাসিনাকে বিদায় করেছে, সেভাবে তাদেরও বিদায় করবে।
তিনি বলেন, রামপালে কয়লা বিদ্যুতের নামে মানুষদের জলবায়ু সংকটে ফেলা হয়েছে। মোংলা বন্দর নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, সামনের বাংলাদেশ এ যেনো কোনো গুম খুন না হয়, সেজন্য সব ক্ষেত্রে সংষ্কার দরকার। একটি দল মনে করে শুধু নির্বাচন হলেই সব সংষ্কার হয়ে যাবে। হাসিনাও তাই মনে করত। যদি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংষ্কার করা না হয়, পুলিশকে যদি নিরপেক্ষ না করা যায়—তাহলে শুধুমাত্র নির্বাচন দিয়ে গনতন্ত্র সম্ভব নয়। সংষ্কার করে তারপরেই নির্বাচন দিতে হবে।
পড়ুন: দেশে নতুন করে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম দেখা যাচ্ছে: নাহিদ ইসলাম
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ।
এসময়, দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, ড. মাহমুদা মিতু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্যা রহমাতুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বয়ক তাজনুভা জাবিন, বাগেরহাটের প্রধান সমন্বয়কারী- সৈয়দ মোরশেদ আনোয়ার, যুগ্ম সমন্বয়কারী- মো. শফিউল্লাহ, আবিদ আহমেদ, জেলা সদস্য-লাবীব আহমেদ, আল আমিন খান সুমন, অ্যাডভোকেট আল আমিন, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল বাকিসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
১৬৯ দিন আগে
হেলমেট বাহিনী নেই, পাথর বাহিনী এসেছে: ড. রেজাউল করিম
পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে জগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হেলমেট বাহিনীর অনুপস্থিতিতে বড় পাথর বাহিনীর আবির্ভাব ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদীরা ২৮ আক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে পিটিয়ে হত্যা করে লাশের ওপর পৈশাচিক নৃত্য চালিয়েছিল।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর মগবাজারে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ডের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যার প্রতিবাদে ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
ড. রেজাউল করিম বলেন, অপশাসন-দুঃশাসন এবং জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে ছিল। তারা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য জনগণের ওপর দীর্ঘ পরিসরে জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছিল। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। বরং ছাত্র-ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
পড়ুন:পুরান ঢাকায় সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত দাবি ফখরুলের
তিনি বলেন, আজ যারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দিবাস্বপ্নে বিভোর, তারা যদি পতিত স্বৈরাচারের পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করে, তাহলে তারা ১৫ মাসও ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। তারাই মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা করে নিজেদের বর্বরতার জানান দিয়েছে।
অবিলম্বে সকল প্রকার বর্বরতা বন্ধ, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানান জামায়াতের এই নেতা।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ-মুগ্ধের দেশে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলদার, হেলমেট বাহিনী, রড বাহিনী ও পাথর বাহিনীর স্থান নেই, বরং জনগণ এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অপরাধ দমনে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে জনপ্রশাসনকে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। এতে যদি আপনারা ভয় পান তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে পদত্যাগ করুন। বিপ্লবীরা নতুন করে জনপ্রশাসনকে গণবান্ধব করে ঢেলে সাজাবে, যাতে নতুন প্রশাসন খুনি, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।’
পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যায় ভিডিও থাকার পরেও হামলাকারীদের ধরা হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন তারেকের
একই সঙ্গে মিটফোর্ডে নির্মমভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ড. রেজাউল করিম।
তিনি বিপ্লবীদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ইয়াছিন আরাফাত, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়েত উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদি প্রমুখ।
১৭০ দিন আগে