রাজনীতি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের দাবি তারেক রহমানের
নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার ও মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধি করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে এসব বলেন তিনি।
বিষয়টিকে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করে এর দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারেক রহমান।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার ও মিয়ানমারের ওপর স্থায়ী চাপ সৃষ্টি করার জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট-সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সংকট সমাধান থেকে এখনও অনেক দূরে।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল
বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এই শরণার্থী সংকট শুধু একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ নয়, বরং এটি বাস্তব জীবনের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা।’
বর্তমানে কক্সবাজারে ১৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ, যা দেশের মানবিক প্রতিশ্রুতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
তবে এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ একটি সংকট হিসেবে রয়ে গেছে এবং এর বোঝা ক্রমশই এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে যা বিপজ্জনকভাবে অস্থিতিশীল বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এ সময় শরনার্থীদের ঘরে ফেরানোর জন্য সবাইকে শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও অনুসরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রতি বছর ২০ জুন বিশ্বব্যাপী বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন করা হয়। শরণার্থীদের সাহস, সহনশীলতা ও অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাদের দুর্দশা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করা হয়।
১৯২ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আগামী রবিবার (২২ জুন) চীন সফরে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই সফরের জন্য বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিসি।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও দলীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ই এই সফরের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। সায়রুল কবীর আরও জানান, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য— মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া, চেয়ারপারসনের তিন উপদেষ্টা— জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জাবিউল্লাহ ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া এবং দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
সফর শুরুর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে চীনা দূতাবাসে সাক্ষাৎ করে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচিত চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যাশারই প্রতিফলনই এই সফর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে একটি ‘প্রতীক্ষমাণ সরকার’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক, যার অপেক্ষা চলছে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত।
এই সফরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চীনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি, সদ্য-গঠিত এনসিপি ও কিছু ইসলামপন্থী দল।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি ২১ সদস্যের ‘অনন্য’ প্রতিনিধিদল ১১ দিনের সফরে চীন যায়।
ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বহুদলীয় সম্পর্ক জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সফর আয়োজন করা হয়।
১১ দিনের সফরে প্রতিনিধিদলটি বেইজিং, শানশি এবং ইউনান প্রদেশে সিপিসির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
১৯২ দিন আগে
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মগবাজারের জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এই বৈঠক করেন।
সাক্ষাৎকালে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশে অর্থবহ গণতন্ত্র, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও প্রশাসন গঠন, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান, শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের মাধ্যমে ভবিষ্যত নাগরিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের কার্যকর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আজ যোগ দিয়েছে জামায়াত
তিনি জার্মানি এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ ও গতিশীল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে অর্থবহ গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জলবায়ু উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, মানুষ হত্যা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন সহানুভূতিশীল মানসিকতা।
বৈঠকে সংগঠনের জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সদ্য কারামুক্ত এটিএম আজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
১৯৩ দিন আগে
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অনেক দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংসদে আসন নির্ণয় চাইলেও আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৃহস্পতিবারের (১৯ জুন) আলোচনা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বেমানান। এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অনেক ফেডারেল রাষ্ট্রে এ পদ্ধতির নির্বাচন আছে। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো ফেডারেল রাষ্ট্র না, এটি রিপাবলিক রাষ্ট্র। বেশ কিছু রিপাবলিক রাষ্ট্রে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন থাকলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে এ পদ্ধতি একেবারেই বেখাপ্পা।’
‘সংসদে আইন পাশ করতে গেলে কিংবা সংবিধান সংশোধন করতে গেলে দুই তৃতীয়াংশের ভোট দরকার হবে। এ পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’ যোগ করেন সালাহউদ্দিন।
বৃহস্পতিবারের আলোচনায় বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের দাবি ছিল—কোনো ব্যক্তিকে না বরং দলকে ভোট দেবে জনগণ। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে ৩০০ আসনের বিচারে তার তিনগুণ আসন নিয়ে সংসদে বসবে তারা। অর্থাৎ কোনো দল ১০ শতাংশ ভোট পেলে সংসদীয় আসন হবে ৩০টি।
এর বাইরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গোপন ব্যালটে ভোট পদ্ধতির সমর্থন জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু চারটি বিষয় বাদে (আস্থা ভোট, অর্থ বিল, সংবিধান সংশোধন, জাতীয় নিরাপত্তা) বাকি সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন ভোটদানের সিদ্ধান্তে আমরা একমত হয়েছি, তাই গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
পড়ুন: এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আজকে কেবল এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে, কোনো মীমাংসা হয়নি। একনায়কতন্ত্র রুখতে এবং স্বৈরাচারকে প্রশ্রয় না দিতে পরপর দুইবার কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে পরের মেয়াদে আর প্রধানমন্ত্রী হবে না- এ সিদ্ধান্তে আমরা একমত। তবে পরের মেয়াদ বাদ দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।’
রবিবার আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে কমিশন। আলোচ্য বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে মতবিনিময় হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
১৯৩ দিন আগে
নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার নিষিদ্ধের খসড়া আইনে অনুমোদন ইসির
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সংসদীয় নির্বাচন আচরণবিধি ২০২৫-এর খসড়ায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই আইনে নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ কমিশনের সভার ফলাফল তুলে ধরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংসদীয় নির্বাচন প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না।’
পড়ুন: আ. লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সভাটি হয়।
সানাউল্লাহ বলেন, বিদ্যমান নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার পর নীতিগতভাবে খসড়া আইনটি অনুমোদন করা হয়েছে।
এই আইন লঙ্ঘনের শাস্তি আরও কঠোর করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পরিবর্তে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
পড়ুন: নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক ফিরে পাবে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
১৯৩ দিন আগে
জবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতৃত্বে ফয়সাল ও শাহিন
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য এই আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদকে আহ্বায়ক এবং ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়াকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন— জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাসিম হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তকি, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ এবং মুখপাত্র কামরুল ইসলাম রিয়াজ।
দায়িত্ব পাওয়ার পর ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীবান্ধব ও দলীয় লেজুড়বৃত্তিকহীন ছাত্ররাজনীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আপসহীন অবস্থানই পারে একটি কার্যকর ও গণতান্ত্রিক শিক্ষাপরিবেশ গড়ে তুলতে।‘
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
জবির যেকোনো সংকটে অতীতেও তারা সামনে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে আগামীতেও সে ধারা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন তিনি।
কমিটির সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, ‘আমাদের কাজ শিক্ষার্থীদের নিয়েই, তবে আমাদের সংগঠনের যাত্রা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি থেকে। ফলে প্রথমেই আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে চাই।’
১৯৩ দিন আগে
এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদ ও সংস্থায় নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে না, কারণ প্রস্তাবিত কাউন্সিলের কোনো জবাবদিহিতা নেই।
তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা এমন কোনো প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করতে পারি না—যার কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও কাজ আছে, কিন্তু জবাবদিহি নেই। এই ধরনের কাজসহ একটি পৃথক সংস্থা তৈরি করা ভারসাম্যহীন পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার আলোচনার দ্বিতীয় দফার অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সালাহউদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এনসিসি সংস্কার কমিশনের একটি প্রস্তাব, যাতে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ উভয়ের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিরোধীদলের মনোনীত দুইজন ডেপুটি স্পিকার এবং উভয় কক্ষের একজন করে সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এনসিসি কার্যকর থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পর নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধান উপদেষ্টা, দুইজন উপদেষ্টা, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের একটি সংস্থা দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, আশা রিজভীর
এনসিসির কার্যাবলী ও কর্তৃত্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার, অ্যাটর্নি জেনারেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার কমিশন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং সাংবিধানিক আইনে নির্ধারিত অন্যান্য পদসহ গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ব্যক্তিত্বদের নিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
প্রস্তাবিত কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের জন্য নামও সুপারিশ করতে পারবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, তারা (বিএনপি) আগে ব্যাখ্যা করেছেন কেন তারা এই এনসিসি ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারে না এবং পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে এই এনসিসির জন্য প্রস্তাবিত কার্যাবলী এবং দায়িত্বগুলো ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আইন এবং সাংবিধানিক বিধানের মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি, অথবা আপনারা (সাংবাদিকরা) জিজ্ঞাসা করতে পারেন -- এত দায়িত্ব ও ক্ষমতার মধ্যে এবং এত নিয়োগ (সম্পাদনা) করার পরেও জবাবদিহি কোথায়? জবাবদিহি আছে কি? কেউ নেই। জবাবদিহি ছাড়া আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করতে পারি না।’
এনসিসির পক্ষে এই যুক্তি খণ্ডন করে যে, এই নিয়োগগুলো প্রধান নির্বাহী (সরকারের) করে, তাই দেশে অরাজকতা তৈরি হয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের যা দরকার তা হলো একটি সুষম রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সামাজিক ব্যবস্থা এবং শাসন ব্যবস্থা। ‘যদি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকত—তাহলে এইভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হত না।’
তিনি বলেন, পুরো সংসদ বিলুপ্ত করা যাবে না বা পুরো নির্বাহী বিভাগকে এই সমস্যার জন্য দায়ী করা যাবে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যদি নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও সাংবিধানিকভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়—তাহলে নির্বাহী বিভাগ ও সংসদ স্থায়ীভাবে তাদের কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণ হারাবে। যদি (এই ব্যবস্থাগুলোতে) কোনো ত্রুটি থাকে—তবে তা একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে সমাধান করা হবে। এই কারণে, বিএনপি বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব করে।
পড়ুন: মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি কিছু আদালতের রায়, সাংবিধানিক সংস্কার ও অনুমোদনের মাধ্যমে সত্যিকারের স্বাধীন বিচার বিভাগের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রগতি হবে। ‘তাহলে এই ব্যবস্থাগুলো সুসংরক্ষিত থাকবে।’
বুধবার ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে সংস্কার আলোচনায় বিএনপি, এনসিপি এবং জামায়াতসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়। বুধবার এনসিসি গঠন এবং রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে, অধ্যাপক আলী রীয়াজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পরিচালনার জন্য একটি সাংবিধানিক সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। ‘যদিও কয়েকটি দল কিছু নীতিতে ভিন্নমত পোষণ করে, তবুও সকলেই একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দিয়েছে।’
তিনি বলেন, কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কিত দুটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে—একটি সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন থেকে এবং অন্যটি নির্বাচনী সংস্কার কমিশন থেকে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্তৃত্বের ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে, বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার, সংস্কার আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ এবং রাষ্ট্রের মৌলিক নীতিমালা, রাষ্ট্রপতির নিয়োগসহ আলোচনা হয়নি এমন বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৪ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, আশা রিজভীর
অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলে নিজের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সরকার শিগগিরই (ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।’
বুধবার (১৮ জুন) নরসিংদী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
রিজভী বলেন, স্বৈরাচারের কুৎসিত উত্থান বন্ধে গণতন্ত্রকে একটি শক্ত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নির্বাচিত হয়ে তাদের দল ক্ষমতায় গেলে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে—এমন সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে দেশ পরিচালনা করবে।
পড়ুন: মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের
বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অনেক আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যেসব সদস্যদের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফাঁসিয়ে নির্যাতন করেছিল—তাদের কেন এখনও বিচারের আওতায় আনা হয়নি?
বিএনপির এই নেতা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং বেআইনি কার্যকলাপ ও দমন-পীড়ন চালিয়েছে—এমন র্যাব, পুলিশ ও ডিবির সদস্যদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন সরকার তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে— তাহলে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা উচিত।
পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র উপায় জাতীয় নির্বাচন: আমীর খসরু
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আপোষহীন নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ‘বিএনপিকে বিভক্ত করার জন্য শেখ হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে... সংকট এখনও শেষ হয়নি। গণতন্ত্র পুরোপুরি পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে,’ বলেন তিনি।
তিনি ডেঙ্গু এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জীবন বাঁচাতে ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ডেঙ্গু ও কোভিড-১৯ এর হুমকি মোকাবিলায় একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
১৯৪ দিন আগে
মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের
জাতীয় নির্বাচনের পর প্রাসঙ্গিকতা হারানোর আশঙ্কায় মঙ্গলবারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার(১৮ জুন) ঢাকা মহানগর বিএনপির এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাকা উত্তর বিএনপির তুরাগ ইউনিটের নতুন সদস্যপদ ফর্ম বিতরণ এবং সদস্যপদ নবায়ন অভিযান শুরু করার জন্য সানবিমস স্কুল প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই বৈঠকের ফলাফলে খুশি নন, কারণ নির্বাচন তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন শেষে জনগণের সমর্থিত দল ক্ষমতায় আসবে।
জামায়াতের প্রতি তির্যক ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দল কতটা প্রভাব বজায় রাখবে তা নিয়ে দল উদ্বিগ্ন। ফখরুল বলেন, ‘এ কারণেই তারা হতাশ এবং গতকাল (মঙ্গলবার) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দেয়নি।’
পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকের ফলাফলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জামায়াত যোগ দেয়নি।
১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাৎ এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হওয়ার পর দলটি কমিশনের বৈঠকে যোগ দেয়নি বলে জানা গেছে।
ফখরুল বলেন, যখন আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচনের সময়সূচি উপযুক্ত না হওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক চলছিল এবং বিভাজন দেখা দিচ্ছিল, তখন তারেক রহমান ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন।
পড়ুন: প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় একমত বিএনপি
তিনি এই বৈঠককে একটি বিরল এবং ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেন, কারণ এটি একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ প্রশস্ত করে।
বৈঠকে ফখরুল বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক উভয়ই নির্বাচনের তফসিল সম্পর্কে তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে রমজানের এক সপ্তাহ আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একেই আমরা রাষ্ট্রনায়কত্ব বলি। বিভাজন বা সংঘাতকে উসকে না দিয়ে, এই দুই নেতা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি করেছেন।’
১৯৪ দিন আগে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
এ জন্য বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে তার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে বর্তমানে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে, চিকিৎসার জন্য প্রায় চার মাস লন্ডনে অবস্থানের পর গত ৬ মে ঢাকায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
লন্ডনে অবস্থানকালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি।
১৯৪ দিন আগে