রাজনীতি
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই: আমীর খসরু
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশ থেকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ তরুণদের সুনামি হয়েছে, তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছে। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই। বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই।’
‘সাত বছর আগে ভিশন ২০৩০ জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই বছর আগে ২৭ দফা দিয়েছিলেন তারেক রহমান,’ যোগ করেন তিনি।
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের ফলাফল নিয়েও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে নাকি ঐকমত্য হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য না হয়ে থাকলে সেটা করবে জনগণ। ভোট ও ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার সেই সংস্কার করবে।’
বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে সেই দায়িত্ব বিএনপি পালন করবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘কারণ আমাদের মতো এতো কঠিন সময় কেউ পার করেনি। আমাদের মতো এতো ত্যাগ কেউ করেনি। ৫ আগস্ট না হলে রাষ্টর পরিচালনায় যারা আছেন তাদের অনেকে বিদেশে থাকতেন। আর আমাদের হয় জেলে, না হয় ফাঁসির কাষ্ঠে থাকতে হতো। সুতরাং বিচারকাজ বাকি থাকলে সেটা বিএনপি করবে, তোমাদের ওপর কোনো ভরসা নাই।’
এদিকে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনসমাগম। এতে কাকরাইল থেকে আরামবাগ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।দুপুর ২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই সমাবেশ শুরু হয়। কার্যালয়ের বিপরীতে সমাবেশ মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশ আয়োজন করেছে।
সরেজমিনে সমাবেশ ঘুরে দেখা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই ঢাকাসহ গাজীপুর, নারায়াণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট, ফরিদপুর থেকে পিকআপ ও বাসে করে দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে জড়ো হয়েছেন।
ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মাথায় লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের দলীয় লোগোযুক্ত ক্যাপ ও ব্যানার হাতে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
সমাবেশের কারণে কাকরাইল থেকে পল্টন ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাজীপুর থেকে আসা যুবদল কর্মী সুমন শিকদার বলেন, ‘এই সমাবেশের মূল আকর্ষণ তরুণদের প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য। বর্তমান রাজনীতি তরুণদের, তারা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন। বিএনপিও তরুণদের নিয়ে আলাদা করে ভাবছে এবং এই প্রজন্মকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ আজ
২১৫ দিন আগে
ঢাকায় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ আজ
বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন— ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী জমায়েত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি জানিয়েছেন, সমাবেশে ঢাকাসহ সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহের তরুণ-তরুণীরা অংশ নেবেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দেশের যুবসমাজের উদ্দেশে দলের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় হতাশ বিএনপি
এ ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, সোমবার (২৬ তারিখ) এক সংবাদ সম্মেলনে জিলানি বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের সমাবেশে তরুণদের বিপুল সমাগম হয়েছে। খুলনা ও বগুড়ায়ও আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এতে আমরা সমাজের সব স্তরের তরুণদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছি।
ঢাকার সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ অংশ নিয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সেচ্ছাসেবক দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সমাবেশে অংশ নিতে তরুণরা উদগ্রীব হয়ে আছে। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন এই সমাবেশ সফল করবে। সেখানে ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার-বঞ্চিত যুবকরা গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার প্রধান দাবি উত্থাপন করবে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার চলমান আন্দোলনে এই সমাবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল দেশের ১০টি বিভাগের তরুণদের নিয়ে চারটি সেমিনার ও চারটি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আশা তারেক রহমানের
৯ মে তারিখে চট্টগ্রাম থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয় এবং আজ (বুধবার) ঢাকায় তা শেষ হবে। এর মধ্যে খুলনা ও বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ করেছে দল তিনটি।
২১৫ দিন আগে
নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় হতাশ বিএনপি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করার পর এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের স্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দলের এ হতাশার কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর যে বিবৃতি উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে—সেটি অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর।
বিএনপিরি এই নেতা বলেন, ‘আমরা কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করিনি, এখনো করছি না। তবে আমরা শুরু থেকেই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে আসছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।’
রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার(২৫ মে) তার সরকারি বাসভবন যমুনায় আলাদাভাবে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরের দিন তিনি আরও ২০টি রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আশা তারেক রহমানের
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রতিক্রিয়া জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এই সংবাদ সম্মেলন করে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন,‘ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার গঠন করা, যা মানুষের গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।’
‘অন্যথায়, জনগণের দল হিসেবে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে,’ বলেন, বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর নির্বাচন আয়োজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এর পর রমজান, বর্ষা ও এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার মতো বিষয়গুলো রয়েছে, যা নির্বাচনকে ব্যাহত করতে পারে। আমরা সম্প্রতি এটি বলছি তা নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা বলছি।’
বিএনপির নেতা অভিযোগ করেন, নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য বিভিন্ন অজুহাত দেওয়া হচ্ছে—যেমন সংস্কার কার্যক্রম, বিচার প্রক্রিয়া ইত্যাদি। তিনি বলেন, ‘সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, তাই এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সমান্তরালভাবেই চলতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী শক্তি ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার চলবে, তবে তা স্বাধীন বিচার বিভাগের অধীনে হওয়া উচিত।
তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ এনইসি বৈঠকের পর যে বিবৃতি দিয়েছে, সেটি অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। আমরা শুরু থেকেই উপদেষ্টা পরিষদকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবিকে ‘মহাপাপ’ মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘পরাজিত শক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের উসকানি ও বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রের কারণে সরকার তার দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা বলছি, কেবল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই পারে এসব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে।’
তিনি বলেন, সরকারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবিলম্বে অনুষ্ঠানের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিৎ- এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপি আশা প্রকাশ করে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার যেন জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে দেশ চালায়, যাতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে থাকে এবং বিনিয়োগ, ব্যবসা ও বাণিজ্যে গতি আসে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকারের নিরপেক্ষতার অভাব এবং শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা জনমনে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন রোধে এবং সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষায় বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ জরুরি।’
মোশাররফ বলেন, ‘মানুষ রক্ত দিয়েছে ফ্যাসিবাদ হটিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে, কিন্তু সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ড জনমনে আবারও প্রশ্ন তুলেছে।’
ইশরাক হোসেনের শপথে বিলম্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের পক্ষে আদালতের রায় এলেও সরকার এখনও তার শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়নি। ‘আমরা আশা করি, সরকার আর দেরি না করে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও হাফিজউদ্দিন আহমেদ।
২১৬ দিন আগে
আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম: জামায়াত আমির
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দীর্ঘদিন আমরা এমন একটি সুবিচারপূর্ণ রায়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক মামলার বিচার পরিচালনার সময় আন্তর্জাতিক আইন ও দেশের অভ্যন্তরীণ আইনের কোনোটি অনুসরণ না করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘সেসময় সংবিধান কোনো বিষয় ছিল না, আইন কোনো বিষয় ছিল না। যাদের ইশারায় কোর্ট পরিচালনা করা হতো, তাদের ইচ্ছাই ছিল আইন; সেটা বৈধ হোক কিংবা অবৈধ হোক।’
মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের মুক্তিযোদ্ধা হলে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।
জামায়াতের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে দলটি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ যেখানে বিঘ্নিত হবে, সেখানে ‘নো’: জামায়াত আমির
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘গোটা বিচার প্রক্রিয়ার সময় দুটি টর্চার সেল গঠন করা হয়েছিল। একটার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সেইফ হোম’, আরেকটার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সেইফ হাউজ’। সেইফ হোমে ভিকটিম নেতাদেরকে নিয়ে নির্যাতন করে নাজেহাল করা হতো। সেখানে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সেইফ হোমে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন তাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে।’ অন্যদিকে সেইফ হাউজে এনে রাখা হতো যাদের সাক্ষী করা হতো। এসব মিডিয়ায় উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন এই বিচার প্রক্রিয়ার নিন্দা জানিয়েছে। তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা তা আমলে নেয়নি। কারণ, তারা জানতো স্বচ্ছ বিচার হলে খুন করা যাবে না।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের শহীদ, আহত ও পঙ্গু ভাই বোনদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা পুরো কর্তব্য আদায় করতে পারিনি। আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন আমাদের কোনো আচরণে এবং কোনো কথা ও কাজের মাধ্যমে কষ্ট পেয়ে থাকলে যখন যেভাবে হোক। কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, দল হিসেবেও আমরা দাবি করি না আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। এ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী বা সহকর্মীদের দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, সবার কাছে বিনা শর্তে ক্ষমা চাই। আপনারা আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।’
জামায়াতপ্রধান বলেন, ‘জামায়াত বিগত শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে ভয়ংকর জুলুমের শিকার হয়েছিল। আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা, সাজানো, ও পাতানো মামলায় এবং মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে কার্যত জুডিসিয়াল কিলিং করা হয়েছে।’
জামায়াত আমির বলেন, স্বৈরশাসনের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন, বিডিআর সদস্যরা এবং সাধারণ প্রতিবাদী জনগণ যাদেরকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। চব্বিশের বিপ্লবের সময় যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের শহীদ হিসেবে কবুলের জন্য দোয়া করেন তিনি।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আমাদের রিভিউ আবেদন শুনানির পর এটিএম আজহারুল ইসলামকে তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত
তিনি আরও বলেন, জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে আমাদের নেতারা বেঁচে থাকলে তাদের প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা-অভিজ্ঞতা দিয়ে এই জাতিকে পথ দেখাতে পারতেন। ক্যাঙ্গারু কোর্ট তাদের হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, এই মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে সীমাহীন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহা স্বীকার করেছেন কিভাবে পরিকল্পনা মাফিক, ঠান্ডা মাথায় এই নেতাদের খুন করতে হবে—তার ছক তৎকালীন বিচার বিভাগ ও সরকার মিলে তৈরি করেছিলেন। স্কাইপ কেলেঙ্কারির ঘটনা গোটা বিশ্ববাসীর নিকট নিন্দিত হয়েছে, তিরষ্কৃত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতারা তাদের সবটুকু যোগ্যতা উজার করে দিয়ে তারা বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন। দলের দুজন শীর্ষ নেতা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন বলে জানান তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পরিবারের মানুষকে খুনের অভিযোগে নেতাদের ট্রায়াল চলছে সেই পরিবারের কারো সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। সাক্ষ্য দিতে আসলে সাদা পোশাকের পুলিশ সুখরঞ্জনবালিকে অপহরণ ও নির্যাতন করে ভারতের মাটিতে ফেলে রেখেছিল। জেল খেটে দীর্ঘদিন পর তিনি দেশে ফিরেছেন।
জামায়াত আমির বলেন, আদালত আমাদের নেতাদের উপর জুলুম করে, জোর করে যা নয়- তা স্বীকার করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি রায় বাস্তবায়নের আগেও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তারা ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন নাই।তিনি বলেন, ব্রিটেনের আদালত এই বিচারকে বলেছিল জেনোসাইড টু দ্যা জাস্টিস। আজকে আমাদের আপিল বিভাগ বলেছে মিসক্যারেজ অব দ্যা জাস্টিস। ন্যায়ভ্রষ্ট রায়, অন্যায় রায়।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগের রায়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা আজহার
এর আগে সাজা দেওয়া হয়েছিল দলটির সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, সাবেক নায়েবে আমির শায়খ আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ, সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা, সাবেক নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী, সাবেক নায়েবে আমির সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুস সোবহান, সাবেক কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল খালেক মন্ডল।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা প্রতিশোধ নেইনি, আমরা ন্যায়বিচার চাই। এ রায়ের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এই রায় ছিল ইচ্ছাকৃত; গণহত্যার মাধ্যমে নেতৃত্ব শূন্য করা। একটা দেশ ও দলের নেতৃত্ব শূন্য করার মানেই হচ্ছে জনগণকে অন্ধকারের মাঝে ঠেলে দেওয়া। সত্যকে চেপে রাখা যায় না। সত্য মেঘের আড়াল ভেদ করে আলোর ঝলক নিয়ে আসে— সে সত্যটাই আজ প্রমাণিত হলো।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, নুরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিম উদ্দিন, এটিএম আজহারুল ইসলামের ছেলে তাসনিম আজহার সুমন প্রমুখ।
২১৬ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা বদলে বড় উদ্যোগ ইসির
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ প্রক্রিয়ায় ২০০১ সালের সীমানা ফিরিয়ে আনার দাবিকে ঘিরে আসা ৪০০টির বেশি আবেদন যাচাই করছে কমিশন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৬টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের দাবিতে ৪১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ আবেদনেই ২০০১ সালের সীমানা পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে।
পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভাণ্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনের জন্য জমা পড়েছে সর্বোচ্চ ১০৩টি আবেদন। এরপর রয়েছে কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসন, যার জন্য জমা পড়েছে ৯২টি আবেদন।
এ ছাড়া মানিকগঞ্জে একটি নতুন আসনের দাবিতে ৩৮টি এবং চাঁদপুরে অতিরিক্ত একটি আসনের দাবিতে ৯টি আবেদন জমা পড়েছে।
সম্প্রতি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারির পর ইসি সীমানা পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। এ প্রক্রিয়ায় জনগণের আবেদন, সর্বশেষ আদমশুমারি এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক ঐক্যতানকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার শনিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আবেদনগুলো খতিয়ে দেখছি। যেটির যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে সব আসনের সীমানা বদলাবে এমন নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যৌক্তিক আবেদন ছাড়াও আদমশুমারির তথ্য ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলের আসন কমে গ্রামীণ এলাকায় বাড়তে পারে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হতে পারে।
খসড়া সীমানা গেজেট আকারে প্রকাশ করে আপত্তির সুযোগ দেওয়া হবে। আপত্তির নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করবে কমিশন। ২০০৮ সালের পর এবারই সবচেয়ে বড় পরিসরে সীমানা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
ওই বছর ১০০টির বেশি আসনের সীমানা বদলানো হয়েছিল। তবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে খুব সামান্য পরিবর্তনই হয়।
সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেছেন, ‘আলোচনার ভিত্তিতে কাজটি না হলে আদালতে রিট হতে পারে, যা নির্বাচনে বিলম্ব ঘটাতে পারে।’
উল্লেখযোগ্য ৬৬টি আসনের মধ্যে রয়েছে— সাতক্ষীরা-৩ ও ৪, রংপুর-১, বরগুনা-১ ও ২, পিরোজপুর-১ ও ২, কিশোরগঞ্জ-২, মানিকগঞ্জ-১, ২ ও ৩, মুন্সিগঞ্জ-১, ২ ও ৩, ঢাকা-১, ২, ৩, ৭ ও ১২, গাজীপুর-৩ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ-১ থেকে ৫, রাজবাড়ী-১ ও ২, ফরিদপুর-৪, শরিয়তপুর-২, সিলেট-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০, চাঁদপুর-১ থেকে ৫, ফেনী-২ ও ৩, নোয়াখালী-১ থেকে ৪, চট্টগ্রাম-৪, ৫, ৭ ও ৮, গাইবান্ধা-৩, সিরাজগঞ্জ-২, ৫ ও ৬, যশোর-২, ঝালকাঠি-২ এবং বরিশাল-৩।
২১৬ দিন আগে
নয়াপল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের যুব সমাবেশ বুধবার
বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বড় ধরনের যুব সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী।
তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের সমাবেশে তরুণদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। খুলনা ও বগুড়াতেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। ঢাকায় আমরা আশা করছি অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন, যা পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।’
তিনি জানান, ‘ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে তরুণরা সমাবেশে যোগ দেবেন।’
জিলানী বলেন, ‘তরুণরা ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এই সমাবেশে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি তুলবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে তরুণদের অংশগ্রহণ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি
১০টি বিভাগ থেকে তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৮ এপ্রিল চারটি সেমিনার ও চারটি যুব সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন। এই কর্মসূচির শুরু হয় ৯ মে চট্টগ্রামে। এরপর খুলনা ও বগুড়ায় সমাবেশ হয়। শেষ সমাবেশটি হবে ২৮ মে (বুধবার) ঢাকায়।
ঢাকার সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে দলের রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল উপস্থাপন করবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদও সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুনা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি জানান, ‘এই দুই দিনের কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তরুণদের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সেমিনার। এতে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের তরুণ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বুধবার হবে ‘তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার’ সমাবেশ।
২১৭ দিন আগে
দেশের স্বার্থ যেখানে বিঘ্নিত হবে, সেখানে ‘নো’: জামায়াত আমির
দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছুতে জামায়াতে ইসলামী রাজি হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মানবিক করিডোর হোক আর সমুদ্র বন্দর হোক; দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছুতে আমরা হ্যাঁ বলব না। দেশের স্বার্থ যেখানে বিঘ্নিত হবে, সেখানে নো।’
রবিবার (২৫ মে) মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
করিডরের বিষয়ে তিনি বলেন, যদি এটা করতে হয় তাহলে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে পার্লামেন্টে বসে করতে হবে। আর এখন করিডোরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে, সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে বলেছেন, এমন একটি নির্বাচন হবে, যেটা ইতিহাস সৃষ্টি করবে। মানুষ হাসি মুখে ভোট দেবে। কেউ বলতে পারবে না যে, তার ভোট আরেকজন দিয়ে গেছে।
দায়িত্বশীল সম্মেলনে জামায়াত আমির বলেন, স্বৈরাচার সকল ছিদ্র বন্ধ করলেও তার পতনের ছিদ্র বন্ধ করতে পারে না। তারা সাড়ে ১৫ বছর অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে, গুম করেছে, পঙ্গু করেছে, আয়নাঘরে বন্দি করেছে, সম্পদ লুণ্ঠন করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে রাজকীয় অট্টালিকা গড়ে তুলেছে, বেগম পাড়া বানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আশা তারেক রহমানের
কুলাউড়া জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সম্মেলনের আয়োজন করে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াত।
তিনি আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এমন একটি সময় ছিল তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করত না। মানুষের সঙ্গে পশুর মত আচরণ করে আজ তারা বিদেশে পালিয়ে গেছে। দুঃখের বিষয় যাবার আগে তারা তাদের নেতাকর্মীদের কিছু না বলে নিজেদের জান নিয়ে পালিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ শান্তিতে কাউকে বসবাস করতে দেয়নি। তারা জুলুমের সীমা অতিক্রম করেছিল। তা সত্ত্বেও তারা জালিমের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদে তারা সোচ্ছার ছিল বলে উল্লেখ করেন জামায়াত আমির।
তিনি বলেন, আমরা গরু-ছাগল চোরদের ঘৃণা করি। কিন্তু যারা কলমের খোঁচায় রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করে, তাদের বেলায় আমরা নীরব থাকি। তা মোটেও কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা পেশা ও ধর্ম দেখে মানুষকে মূল্যায়ন করবো না। শত নির্যাতন সত্ত্বেও আমাদের কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলীর পরিচালনায় দায়িত্বশীল সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, মৌলভীবাজার-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুর রব প্রমুখ।
২১৮ দিন আগে
মুফতি আমীর হামজাকে সংসদ সদস্য প্রার্থী ঘোষণা করল জামায়াত
মুফতি আমীর হামজাকে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৫মে) বিকালে কুষ্টিয়ার আব্দুল ওয়াহিদ অডিটোরিয়ামে জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশে মুফতি আমীর হামজাকে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জোয়ার্দারের সঞ্চালনায় এবং জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য আলমগীর বিশ্বাস, অধ্যাপক খন্দকার এ কে এম আলী মহসীন।
আরও পড়ুন: সংস্কার-নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় সংশয় তৈরি হয়েছে: জামায়াত আমির
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল গফুর, কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, কুষ্টিয়া শহর আমীর এনামুল হক, ছাত্রশিবিরের শহর শাখার সভাপতি সেলিম রেজা, জেলা সভাপতি খাজা আহমেদ।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া-(সদর) আসনে পরপর দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
২১৮ দিন আগে
দুই দফায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
রবিবার (২৫ মে) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংস্কারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির প্রধান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, রাজনৈতিক নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দফার বৈঠকে –– মাওলানা সাদিকুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নুরুল হক নূর, মাওলানা মুসা বিন ইজহার এবং মুফতি মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন রাজী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা পৃথকভাবে ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
অধ্যাপক ইউনুস শনিবার তার অবস্থান পুনরায় নিশ্চিত করেন যে, বর্তমান সরকার আগামী বছরের জুনের পর আর ক্ষমতায় থাকবে না।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ইউনুস স্পষ্টভাবে বলেছেন, প্রফেসর ইউনূস তার কথায় অটল। তিনি নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে যাবেন না এবং তার কথা রাখেন। তিনি বিএনপির সঙ্গেও এই বার্তা দিয়েছেন।
শফিকুল আলম একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা হিসেবে উল্লেখ বলেন, ‘৩০ জুন একটি নির্দিষ্ট তারিখ, এবং প্রধান উপদেষ্টা এর বাইরে যাবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আস্থা প্রকাশ করেছেন। শনিবারের তিনটি বৈঠকই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ছিল বলেও জানান তিনি।
২১৮ দিন আগে
ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আশা তারেক রহমানের
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জনগণ শিগগিরই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দেখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
জাতীয় পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (২৫ মে) রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের এখনকার প্রত্যাশা হলো—জনগণ শিগগিরই সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেখতে পাবে—যা হবে দক্ষ, যোগ্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের নেতৃত্বে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আবারও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও সময় স্পষ্টভাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। বিএনপি দাবি করেছে, জাতীয় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে।’
‘বিএনপি এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছে, তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে পুরোপুরি সহযোগিতা করে যাচ্ছে—যাতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়,’ যোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহির সরকার প্রতিষ্ঠায় যেকোনো অজুহাত বা অপ্রয়োজনীয় বিলম্বের সুযোগ নিয়ে পতিত, পলাতক এবং পরাজিত স্বৈরশাসক জেগে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে।’
তবে, তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে ফ্যাসিস্ট, ধ্বংসাত্মক ও অপশক্তির পুনর্বাসন রোধ করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবিকে ‘মহাপাপ’ মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা: রিজভী
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আবারও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও সময় স্পষ্টভাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। বিএনপি দাবি করেছে, জাতীয় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছে, তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে পুরোপুরি সহযোগিতা করে যাচ্ছে—যাতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়।
বিএনপি নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহির সরকার প্রতিষ্ঠায় যেকোনো অজুহাত বা অপ্রয়োজনীয় বিলম্বের সুযোগ নিয়ে পতিত, পলাতক এবং পরাজিত স্বৈরশাসক জেগে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে।’
তবে, তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে ফ্যাসিস্ট, ধ্বংসাত্মক ও অপশক্তির পুনর্বাসন রোধ করা সম্ভব।’
তারেক বলেন, ‘যদিও আমরা আমাদের দলীয় মতাদর্শ ও কর্মসূচি অনুযায়ী ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত পার্থক্য দেখতে পাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণ এখন ৫ আগস্টের মতোই ঐক্যবদ্ধ। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের জন্য একটি ইস্যুতে এই ঐক্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি
তারেক বলেন, ‘যদিও আমরা আমাদের দলীয় মতাদর্শ ও কর্মসূচি অনুযায়ী ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত পার্থক্য দেখতে পাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণ এখন ৫ আগস্টের মতোই ঐক্যবদ্ধ। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের জন্য একটি ইস্যুতে এই ঐক্য হয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশের নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যার ফলে বিভিন্ন পেশা এবং শ্রেণির মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নামছেন। ‘দুর্ভাগ্যবশত, তাদের দাবির প্রতি কেউ কান দিচ্ছে না।
‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনকালে রাজনৈতিক দলগুলো নানা নির্যাতন, ষড়যন্ত্র এবং দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে। এখন সব রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হওয়া উচিত পরাজিত ফ্যাসিস্টের রাজনৈতিক পুনরুত্থান রোধ করা। এর জন্য জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেশের জনগণ রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান হবে, তখন কোনো সরকারই স্বৈরাচারী হতে পারে না। এজন্য জনগণের একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।’
তারেক রহমান সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠন করার হঠাৎ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। উদ্যোগটি জাতীয় বাজেটের আগে নেওয়া হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে রাজস্ব সংগ্রহ ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে—সতর্ক করেন তিনি।
২১৮ দিন আগে