���������������������
কক্সবাজারে ঋণ খেলাপির দায়ে নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল
ঋণ খেলাপির দায়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে যাচাই-বাছাইয়ের সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ৪৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজার জনতা ব্যাংক লালদীঘি শাখা থেকে 'ফিস প্রিজারভারস' নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহ উদ্দিন আহমদ সহ অন্য পরিচালকরা প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ এখনও সেই ঋণের একজন জামিনদার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
আরও জানা যায়, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো(সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই।
এই বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমার যেসব ঋণ খেলাপি ছিল, সবকিছু আদালতের মাধ্যমে সমাধান করেছি। তারপরও কেন বাতিল করেছে বুঝতে পারছি না। আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করব।আশা করি ফিরে পাব।
এই বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ. শাহীন ইমরান বলেন,ঋণ খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা আরেকটি অবরোধ চলছে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো এর আগে সাতটি অবরোধ পালন করে।
অবরোধে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং রাস্তার কর্মসূচিতে জনসাধারণের কম প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
আগের অবরোধের মতো এবারও ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেশি।
আরও পড়ুন: সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা আজ পর্যাপ্ত এবং উত্তেজনা ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও জনসাধারণকে তাদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এছাড়া ঢাকার রাস্তায় রিকশা আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং কিছু ব্যক্তিগত যানবাহনকেও রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে।
গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন এ অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
মধ্যরাতের ঠিক আগে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
গাবতলীতে রাত ১১টা ৯ মিনিটে পদ্মা লাইনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের (মিডিয়া সেল) উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, আগারগাঁওয়ে রাত ১১টার দিকে বেতার ভবনের সামনে ভূঁইয়া পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে রবিবার
নির্বাচন বর্জন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
বর্তমান সংসদ বিলোপ এবং সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছে নতুন নিবন্ধিত দল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ।
কমিশনকে দ্বাদশ নির্বাচনে না যাওয়া প্রসঙ্গে অবগত করতে শনিবার (২ ডিসেম্বর) দেওয়া এক চিঠিতে এ তথ্য জানায় দলটি।
দলটি চিঠিতে জানায়, জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার রুদ্ধ করে, রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে, সংসদ বহাল রেখে এবং সশস্ত্র-দলীয় গুন্ডা ব্যবহার করে নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় বানোয়াট নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন নয়। এটি গণতন্ত্র হত্যা এবং জনগণকে অস্বীকার করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগতকরণ।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিপক্ষকে মাঠে নামতে না দিয়ে একপক্ষীয় খেলা যেমন খেলা নয়, ধোকা ও দস্যুতা; তেমনি গণতান্ত্রিক জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু কেনা-বেচার দালাল দিয়ে একপক্ষীয় নির্বাচন কোনো নির্বাচন নয়, রাষ্ট্র বিধ্বংসী প্রহসন।
স্বাধীন ভোটাধিকার ছাড়া নাগরিকত্ব ও গণতন্ত্র এবং রিপাবলিক অস্বীকার হয়, রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস হয়, মিথ্যা ও অবৈধতা এবং দুর্নীতি ও স্বৈরতা দস্যুতা রাষ্ট্রের ভিত্তি হয়ে যায়, জনগণের মালিকানা ও স্বাধীনতা ধ্বংস হয়ে যায়।
দলটির প্রধান ইমাম হায়াত বলেন, সংসদ বহাল রেখে রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির নির্বাচন করে জনগণের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার হরন করে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখা রাজনীতি নয়, চরম অপরাজনীতি।
তিনি জানান, ‘বলপূর্বক একচেটিয়া ভুয়া নির্বাচন তথা কোনো জালিয়াতির সংসদ ও সরকার; জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং অবৈধ লোকদের প্রণীত সকল আইন অবৈধ হয়ে থাকবে। চলমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন প্রহসন ভোট ডাকাতির ব্যবস্থা মাত্র।’
তিনি আরও জানান, ক্ষমতাবলে সংসদ সদস্যরা প্রশাসন ও পুলিশ, সবাইকে ব্যবহার করে সশস্ত্র দলীয় গুন্ডা দিয়ে সন্ত্রাস করে ভোটকেন্দ্র জবরদখল করে ভুয়া নির্বাচন আমরা বিগত নির্বাচনে দেখেছি, এবারও তাই হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
হায়াত বলেন, ‘আমরা বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম এবং আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন দল ও দলীয় সাংসদ প্রশাসন ও পুলিশ এবং দলীয় সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী দিয়ে কিভাবে ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনগণের ভোটাধিকার হরন করেছে।’
জীবনের নিরাপত্তা ছাড়া সপরিবারে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব নয়। আর বুথ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন সেনাবাহিনীর সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়া নিরাপদ নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকার এখন অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন ইমাম হায়াত।
তিনি বলেন, সংসদ বিলোপ ও সেনাবাহিনীর সরাসরি দায়িত্বে নির্বাচন ছাড়া কোনো গণতন্ত্র হত্যার নির্বাচন ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখার ভুয়া নির্বাচনে শরিক হয়ে দেশ ও জনগণের সঙ্গে ইনসানিয়াত বিপ্লব বেঈমানি বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।
এর আগে চলমান পরিস্থিতিতে ইনসানিয়াত বিপ্লব নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার, সংঘাতমুক্ত, জালিয়াতিমুক্ত, নিরাপদ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচটি দাবি পেশ করেছিল।
১) ক্ষমতাসীন দলীয় নিয়ন্ত্রণ ও অন্যায় দলীয় প্রভাবমুক্ত এবং সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে।
২) নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে।
৩) নির্বাচনের এক মাস আগে থেকে নির্বাহী প্রসাশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও ট্রান্সফার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে দিতে হবে।
৪) প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অনলাইন সিসিটিভি ক্যামরা থাকতে হবে।
৫) সংবাদমাধ্যম/সংবাদিক ভোটকেন্দ্রে অবাধ প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল যোগ দিয়েছে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে রবিবার
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো রবিবার সকাল থেকে সারাদেশে ফের ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ শুরু করতে যাচ্ছে।
এই কর্মসূচির উদ্দেশ্যও ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
রবিবার সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হবে। ৩১ অক্টোবর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর নবম দফা অবরোধ কর্মসূচি।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
এর আগে বৃহস্পতিবারও বিরোধী দলের দিনব্যাপী হরতাল শেষ হওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে নতুন করে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো আট দফায় অবরোধ পালন করেছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে তারা ২৯শে অক্টোবর দেশব্যাপী ভোর-সন্ধ্যা হরতালও পালন করে। যা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার পর শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
শিগগিরই সহিংস সংঘর্ষ নয়াপল্টনের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মাঝপথে সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
৭ জানুয়ারির তফসিল বাতিলের দাবি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের
ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার এবং সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসককে বদলি করতে শনিবার (২ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কমিশনের ইচ্ছার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন আমরা না চাইলে কোনো বদলি হবে না।
তিনি বলেন, তারা ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার ও সুমনগঞ্জের একজনের বদলি চান।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে এবং সুনামগঞ্জের ডিসি দিদার-ই-আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীকে ময়মনসিংহে বদলি করা হয়েছে এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরীকে সুমনগঞ্জের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
ফুরিয়ে আসছে ইসিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়
সিসিক মেয়র-কাউন্সিলরদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিনিময়
সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার সকালে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সভায় সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা অংশ নেন।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেট-১ আসন একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন। তাই এ আসনে জনগণের নির্বিঘ্ন ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সিলেট মহানগরীর ভোটারদের কাছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলাররা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের সুখে-দুঃখে আপনারা সবসময় পাশে থাকেন। সেইসঙ্গে সরকারের মাঠ পর্যায়ের সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়। তাই ভোটারদের নির্বাচনমুখী করতে কাউন্সিলদের বিকল্প নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। বিগত ১০ বছর সিসিক মেয়র পদ আওয়ামী লীগের না হলেও উন্নয়ন বরাদ্দ বিন্দুমাত্র কম দেয়নি সরকার। কারণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশ ও জনগণই মুখ্য, অন্য কিছু নয়।আরও পড়ুন: সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
সভায় ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোখলেছুর রহমান কামরান, জগদীশ চন্দ্র দাশ, আজাদুর রহমান আজাদ, মো. তৌফিক বক্স, শান্তনু দত্ত সন্তু, এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, জাহাঙ্গীর আলম, মো. ছয়ফুল আহমদ বাকের, আব্দুর রকিব বাবলু, মোস্তাক আহমদ, শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল, নাজমুল হোসেন, রুহেল আহমেদ এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর সালমা সুলতানা, নার্গিস সুলতানা, মোছা. হাজেরা বেগম, বাবলী আক্তার, ফাতেমা বেগম, নারগিস সুলতানা রুমি, রেবেকা বেগম, শাহানা বেগম শানু, রুহেনা খানম মুক্তা প্রমুখ।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ক্রিকেট কোচ ও ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
অভিনন্দন বার্তায় জি এম কাদের বলেন, বিজয়ের মাসে এই বিজয় প্রত্যাশিত ছিল। বোলিং, ব্যাটি ও ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা যে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তা অসাধারণ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পরবর্তী টেস্টেও টাইগারদের বিজয়ের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে একইভাবে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
আরও পড়ুন: টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
রংপুর-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ফরম নিলেন জিএম কাদের
বিএনপির অনেকে নির্বাচনে অংশ নিলেও, একাংশ অগ্নিসংযোগ ও অবরোধের আশ্রয় নিয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আশাবাদী প্রার্থীরা বিপুল ধুমধাম ও উৎসবের মধ্যেদিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির একটি অংশ নির্বাচনের পরিবর্তে ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে অবরোধ ও হরতাল করছে এবং আসন্ন নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে তাদের অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, নির্বাচনের প্রস্তুতির সাম্প্রতিক তথ্যগুলো ঢাকার বিদেশি মিশনের সঙ্গে ইমেলের মাধ্যমে শেয়ার করা হতে পারে।
সারাদেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে মোট ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ১৫ দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩০টি থেকে মোট ১ হাজার ৯৬৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
আওয়ামী লীগের ৩০৩ জন, জাতীয় পার্টির ৩০৪ জন, জাকের পার্টির ২১৮ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৫১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৪২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১১৬ জন এবং আরও কয়েকটি দলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রার্থীদের অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি বৈশিষ্ট্য, যা করতে ইসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এছাড়া এতে বলা হয়েছে, প্রায় ৩৩ জন সাবেক বিএনপি এমপি ও নেতাসহ ৭৪৭ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ‘এটি আসন্ন নির্বাচনের অংশগ্রহণমূলক প্রকৃতিকেও প্রকাশ করে।’
এই বছরের ১-৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচন বিমুখ করতে পারেনি। জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।’
চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এক্ষেত্রে সবার আগে নিজ নিজ উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত ইউএনওদের বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, পর্যায়ক্রমে ইউএনওদের বদলি করতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম ধাপের বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মোট ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে।
এর আগে একই কারণ দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় ইসি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয় ৩০ নভেম্বর।
এদিকে, জমা দেওয়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মোট ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল
বিএনপি ভোটে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার: ইসি আনিছুর