ব্যবসা
লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইতে সূচক কমেছে ১৬.৬৭ পয়েন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৪৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে শেয়ার বাজার পর্যবেক্ষণে এই চিত্র দেখা যায়।
আগের দিনগুলোর তুলনায় লেনদেন কার্যক্রম কিছুটা স্থবির ছিল। প্রথম দুই ঘণ্টায় ১৫২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। আর বুধবার একই সময়ে হওয়া লেনদেনের পরিমাণ থেকে ১৭২ কোটি টাকা এবং মঙ্গলবার ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা কমেছে। আজ ৫৪ হাজার ৬৪৭টি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৫ কোটি ২৫ লাখ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, ১৪০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে এবং ৮৪টি কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে আর ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ব্লু-চিপ শেয়ারগুলো ডিএস৩০ সূচকে ১ দশমিক ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩২ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ ব্যাংককে ৬৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
৩ ঘণ্টা আগে
টানা চতুর্থ দিনেও পুঁজিবাজারের সূচকে পতন
বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও সূচকের পতন হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে। যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কমেছে। গতকাল মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে ডিএসই সূচক কমেছে ১১২.৬৫ পয়েন্ট
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে মোট ৩৭৩টি কোম্পানি লেনদেন করেছে। এর মধ্যে ১৪০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টির শেয়ার। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র মনোভাবকেই তুলে ধরে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৩ দশমিক ০৭ পয়েন্টে স্থির হয়। এদিকে ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক শূন্য দশমিক ৭৯ পয়েন্ট সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। তবে ডিএস৩০ এর ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর সূচক ১১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসই সূচক ৬৪.৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে
২১ ঘণ্টা আগে
এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬০ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের প্রতিশ্রুতির পরিমাণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মজুমদার বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের বাস্তবায়িত নীতিগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
অর্থ সচিব বলেন, ‘আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতিগত পদক্ষেপগুলো ভাল ফলাফল দিয়েছে। তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা এডিবির সঙ্গে ৬০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে সফলভাবে আলোচনা করেছি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এই তহবিল পাওয়ার আশা করছি।’
একই সময়সীমার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হওয়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘শুরুতে, এই ঋণগুলো যথাক্রমে ৩০ কোটি ডলার এবং ২৫ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল, তবে পরে অনুকূল আলোচনার কারণে তা দ্বিগুণ হয়।’
সরকার আইএমএফের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে উল্লেখ করে ড. মজুমদার বলেন, 'আমরা এ বছর আইএমএফের সহায়তায় অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার চেয়েছি। ৪ ডিসেম্বর আইএমএফ’র প্রতিনিধি দল সফরের সময় আলোচনা শেষ হবে এবং আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
অর্থ সচিব তার নীতিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতায় আস্থা প্রকাশ করেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
১ দিন আগে
কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
সমস্যা থাকলেও কোনো ব্যাংক বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকও উন্নতির দিকে রয়েছে। তবে কিছু ব্যাংকে এখনও সমস্যা আছে। তবে আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধ করব না।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাতকে স্থিতিশীল রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিকে জোর দিয়ে তিনি বলেন, সরকারি ব্যয় কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তবে ‘সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ও ভাতা এতে প্রভাবিত হবে না’ বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অপ্রয়োজনীয় বা রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
৭ ব্যাংককে ৬৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের ঘাটতি মেটাতে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সাংবাদিকদের জানান, ‘অতিরিক্ত টাকা না ছাপিয়েই এই সহায়তা করা হচ্ছে। কারণ তহবিলটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির অধীনে আন্তঃব্যাংক ঋণের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।’
শিখা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজন অনুযায়ী এই সহায়তা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। এটি নির্ভর করবে ব্যাংকগুলোর চাহিদার ওপর।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমাতে ৮ মাস লাগবে: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর
এ পর্যন্ত ১০টি আর্থিকভাবে স্থিতিশীল ব্যাংক এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ৭টি তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংককে অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
এই তারল্য সহায়তা সত্ত্বেও, কিছু ব্যাংক এখনও আমানতকারীদের অর্থ দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। আগের সরকারের আমলে জালিয়াতির মাধ্যমে আগ্রাসী ঋণ বিতরণের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি রোধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
৬ দিন আগে
বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসই সূচক ৬৪.৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রথম ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে।
এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনের রেকর্ডে দেখা যায়, ৫৩ হাজার ৭৬৩ লেনদেনের মাধ্যমে ৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে।
এ সময়ে ১৬৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৬৯টি কোম্পানি লেনদেনে করেছে। এর মধ্যে ৩১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ার মূল্য।
মঙ্গলবার প্রথম ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫৩৮০ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২০০ দশমিক ২৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ ২১ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৯৩ দশমিক ৭১ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দুই শেয়ারবাজারেই দরপতন, ডিএসইর সূচকে কমেছে ৩৫ পয়েন্ট
৬ দিন আগে
সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
দীর্ঘমেয়াদি উপযুক্ত লাভসহ আর্থিক সঞ্চয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উপায় হলো সঞ্চয়পত্র। বিভিন্ন কিস্তিতে এর মুনাফা লাভের পাশাপাশি, মেয়াদ পূর্ণ হলে ফিরতি মূলধন নানা আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক হয়। অপরদিকে, অনেকেই সঞ্চয়পত্র নবায়নের মাধ্যমে সঞ্চয় বৃদ্ধি এবং মুনাফাপ্রাপ্তির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। উভয় ক্ষেত্রেই পদ্ধতিগত বিষয়গুলো মূলত ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ তথা সরকার এবং সঞ্চয়পত্রটি যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে। চলুন, মেয়াদ শেষে সঞ্চয়পত্রের নগদায়ন বা নবায়নেরর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই।
সঞ্চয়পত্র নগদায়নের উপায়
প্রদানকারী ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে মেয়াদ শেষে সঞ্চয়পত্রের নগদায়নে সাধারণত ২ থেকে ৩ কার্যদিবস সময় লাগে। কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া কিছুটা বেশি সময় নিতে পারে।
নগদায়নের জন্য প্রতিটি ব্যাংকের নিজস্ব ফরম রয়েছে। টাকা উত্তোলনের জন্য প্রথমে ওই ফরমটি পূরণ করতে হবে। এরপর, ফরমে স্বহস্তে সই করে সেটি সঞ্চয়পত্র কেনা ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
যদি ক্রেতা সশরীরে ব্যাংকে উপস্থিত হতে বা সই করতে অপারগ হন, তবে তার নমিনি নগদায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে, ক্রেতার শারীরিক অবস্থার প্রমাণ হিসেবে চিকিৎসকের সনদ দেখাতে হবে।
এছাড়া, নমিনির বাইরে বিনিয়োগকারীর মনোনীত ব্যক্তি শুধু মুনাফার অর্থই নগদে উত্তোলন করতে পারবেন। তবে এজন্য সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা বা মালিকের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতিপত্র এবং মুনাফা কুপনের ছাড়পত্র দিতে হবে। সঞ্চয়পত্রের আসল অর্থ কোনোভাবেই অনুমতিপত্র বা অথরাইজেশন লেটারের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায় না।
তবে, অনলাইন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াগুলোর প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মূলধন মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার দিনই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এমনকি মুনাফাগুলোও কিস্তি অনুযায়ী সঠিক সময়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে। এই সমস্ত লেনদেনের জন্য ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) সিস্টেম ব্যবহৃত হবে। এর ফলে, বিনিয়োগকারী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে মুনাফা বা মূলধন উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে যেতে হবে না।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
সঞ্চয়পত্র পুনরায় চালু করার পদ্ধতি
নতুন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়করণ ব্যবস্থা থাকায় নথিপত্র সংক্রান্ত জটিলতাগুলো দূর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে সঞ্চয়পত্র রিনিউ পদ্ধতির পরিবর্তনগুলো নিম্নরূপ:
* পরিবার সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে শুধু বিনিয়োগকৃত আসল অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় বিনিয়োগ হবে।* ৫ বছর মেয়াদি এবং ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে মুনাফাসহ আসল অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় বিনিয়োগ হবে।* এই নবায়নের ক্ষেত্রে পুনঃবিনিয়োগের তারিখ থেকে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করা হবে।* পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ত্রৈমাসিকের বদলে প্রতি মাসে প্রদান করা হবে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি
শেষাংশ
সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদীকরণ অথবা নবায়নের সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলো বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, সেভিংস স্কিমের অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পুরোদমে সক্রিয় হয়ে উঠলে মূলধনের টাকা পাওয়া নিয়ে যাবতীয় হয়রানির অবসান ঘটবে। মেয়াদপূর্তির দিনই টাকা সরাসরি অ্যাকাউন্টে ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) হলে আলাদা করে আর ব্যাংকে যাওয়া লাগবে না। বিষয়টি স্বয়ংক্রিয় নবায়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই নথিবিহীন পদ্ধতি প্রশাসনিক বিলম্বসহ সামগ্রিক জটিলতা দূর করবে, যা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সহায়ক হতে পারে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
১ সপ্তাহ আগে
শেয়ার বাজারে প্রথম ঘণ্টায় ১৯২ কোটি টাকার লেনদেন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। প্রথম ঘণ্টায় ১১টা পর্যন্ত মোট ১৯২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে ৫.৫১ কোটি শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের ৫৬ হাজার ৬৭৫ বার হাত বদল হয়েছে। বাজারে ৩৯৩টি কোম্পানি অংশ নেয়, যার মধ্যে ২২৩টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৮৩টি কমেছে এবং ৭৬টি অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৩৫৪.৪১ পয়েন্টে, ডিএসইএস শারিআহ সূচক ২.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১,১৯৭.৭৩ পয়েন্টে এবং ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচক ৮.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১,৯৮৫.৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ৬৭.৫৭ পয়েন্ট
বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ডিএসই
১ সপ্তাহ আগে
মূল্যস্ফীতি রোধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাজার থেকে অতিরিক্ত তারল্য তুলে নিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে আবারও নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, যা আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে সংশোধন করে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে অর্থ ঋণ নেবে, তার সুদের হার বাড়বে।
সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রাথমিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য নীতি সুদহার বাড়ায়। সুদের হার বাড়ানোর মাধ্যমে, ঋণের ব্যয়ও বাড়বে, যা ভোক্তাদের ব্যয় এবং বিনিয়োগ হ্রাস করে, শেষ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়তা করে।
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দ্রুত বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় আর্থিক নীতিগুলো কঠোর করছে। এই পদক্ষেপটিও একটি বৃহত্তর প্রবণতাকে অনুসরণ করে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদের হারের ঊর্ধ্বসীমা ১১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরের স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদের হারের নিম্ন সীমা ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৮ বেসিস পয়েন্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা জারি
শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি নীতিমালা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
১ সপ্তাহ আগে
বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) রুহুল আমিনকে বেক্সিমকো গ্রুপের 'রিসিভার' হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার গভর্নর ড. আহসান এইচ. মানসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত তিনজন সদস্য হলেন-নাজমা মোবারক, হাবিবুর রহমান ও ড. ফাহমিদা খাতুন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট কমিটিও পুনর্গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘রিসিভারের কাজ হবে হাইকোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতে গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: বেক্সিমকো বন্ডের সাবস্ক্রিপশন শুরু রবিবার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে গ্রেপ্তার হন।
বেক্সিমকো দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ও ফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি।
৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংককে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে এবং সেগুলো পরিচালনায় ছয় মাসের জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার প্রতিরোধে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক আইনজীবী বা অর্থ পুনরুদ্ধার প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড পোস্টাল বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা 'নগদ'-এর কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে ফরেনসিক অডিট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ও এসকেএফ
১ সপ্তাহ আগে