ব্যবসা
ধস কাটিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আতঙ্কে বড় ধসের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৯ পয়েন্ট, যা গতদিনের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ার ডিএস-৩০ বেড়েছে ২৭ পয়েন্ট।
একদিনের লেনদেনে ডিএসইএসের উত্থান হয়েছে ২.৫০ শতাংশ এবং ডিএস-৩০ এর উত্থান ১.৫০ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭৭ কোম্পানির এবং দাম কমেছে ১০ কোম্পানির। ৭ কোম্পানির শেয়ারের দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’— তিন ক্যাটাগরিতেই শেয়ারের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে সবকটির।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৮ কোম্পানির ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং লাভেলো সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: বড় পতনের পর উত্থান দিয়ে শুরু শেষ কার্যদিবসের লেনদেন
সারাদিনে ৩৬৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৫১৬ কোটি টাকা। মূলত শেয়ার বিক্রির চাপ কমায় লেনদেন কমেছে বলে জানিয়েছে ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার বাজারে ৯.৮৬ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার এবং ৫.৯১ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মেঘনা কনডেন্স মিল্ক লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও বড় উত্থান
ঢাকার মতোই ভালো উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ১১৩ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯, কমেছে ৪৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ২১ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে চট্টগ্রামের বাজারে শেষ কার্যদিবসের শীর্ষ শেয়ার দেশবন্ধু পলিমার, ক্রাউন সিমেন্ট এবং এনআরবিসি ব্যাংক। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
১ দিন আগে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলো দেড়শ' পয়েন্ট, দায়ী পাক-ভারত উত্তেজনা নাকি অন্যকিছু?
বড় পতনের মুখে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। একদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে দেড়শ পয়েন্ট। সূচক হ্রাসের কারণ হিসেবে পাক-ভারত উত্তেজনাকে দায়ী করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। অনেকে আবার বলছেন গুজব ছড়িয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) লেনদেন শুরু হওয়ার প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসই'র প্রধান সূচক কমে ১২০ পয়েন্ট। এরপর লাগাতার পতনে লেনদেন শেষে সূচকের পতন ঠেকেছে ১৪৯ পয়েন্টে।
পুঁজিবাজারে অর্থ যোগানদাতা প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বাজার পতন প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্পষ্টত পাক-ভারত উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এতে করে একদিনে বাজারের এই হাল। যদি দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘ যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে পড়বে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে আবু আহমেদ বলেন, ‘রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বড় ধাক্কা খেয়েছে। তখন বাজার স্বাভাবিক করতে ফ্লোর প্রাইস চালু করা হয়েছিল। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ হলে বাজার আবারও বড় অস্থিরতার সম্মুখীন হবে।’
ঢাকার বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৪৯৫১ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শুরু করে দিন শেষে প্রধান সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮০২ পয়েন্টে। একদিনের লেনদেনে বাজার সূচক হারিয়েছে ৩ শতাংশ।
শুধু প্রধান সূচক না, শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ৪১ এবং ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪০ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে ৩৮৫ কোম্পানি দর হারিয়েছে, বেড়েছে মাত্র ৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ,বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম তলানিতে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া এ ক্যাটাগরির ২১৯ ভালো কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দর কমেছে ২১৫ কোম্পানির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই দশা; সিএসইতে সারাদিনের লেনদেন শেষে সার্বিক সূচক কমেছে ২৭০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২৭০ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৮৭ কোম্পানির। ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
তবে পাক-ভারত উত্তেজনাকে বাজার পতনের একমাত্র কারণ হিসেবে মানছে না ডিএসই। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘যদি পাক-ভারত যুদ্ধের কারণেই বাজারে পতন হয় তাহলে বাংলাদেশের বাজারের থেকে খারাপ অবস্থা হওয়ার কথা পাকিস্তান এবং ভারতের বাজারের। কিন্তু তেমনটা হয়নি। এতে করে বোঝা যায় পাক-ভারত উত্তেজনা বাজার পতনের অনুঘটক হলেও প্রধান কারণ না।’
আরও পড়ুন: ঢাকার পুঁজিবাজারে এ বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন
ভারতের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশটির সেনসেক্স সূচক প্রায় ৮০০ পয়েন্ট এবং নিফটি ১৫০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছিল, তবে বাজার খোলার কয়েক মিনিটের মধ্যে ক্ষতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে এবং লেনদেনেও ফিরেছে স্থিতিশীলতা। খাতভিত্তিক সূচকে মধ্যে মিডিয়া, ভোগ্যপণ্য এবং ওষুধ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। তবে অটো স্টক এবং ব্যাংক খাত তুলনামূলক ভালো করেছে যা বাজারের মন্দাভাব অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে।
যেখানে ভারত বাজার সামাল দিলো সেখানে বাংলাদেশ কেন ব্যর্থ- এমন প্রশ্নের জবাবে পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পাক-ভারত উত্তেজনার পুরোটাই কৃত্রিম প্যানিক। বাজারে প্যানিক সৃষ্টি করায় দরপতন হয়েছে। আগে থেকেই বাজারের অবস্থা বেহাল ছিল। এখন পাক-ভারত উত্তেজনার আতঙ্ক ছড়িয়ে বাজারকে একদম তলানিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ একটি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘অযোগ্য মানুষ দিয়ে কমিশন চালানো হচ্ছে। যতদিন না কমিশনে পরিবর্তন আনা হবে ততদিনে বাজার ভালো হবে না। বাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের ভরসা পুরোপুরি উঠে গেছে। বাজারের অংশীজনরা আর অর্থলগ্নি করতে চাচ্ছেন না। পাক-ভারত উত্তেজনা একটি ইস্যুমাত্র। মূল সমস্যা বাজার কাঠামো এবং প্রশাসনিক দুর্বলতায়।’
সূচকের পতনের মধ্যেই ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। ব্রোকারেজ হাউজের কর্তাব্যক্তিরা জানান, বুধবার লেনদেনের শুরু থেকেই বাজারে প্যানিক ছড়ানো হয়। এতে করে বিনিয়োগকারীরা দেদারসে শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলশ্রুতিতে বাজারের এ বেহাল দশা।
২ দিন আগে
১০ মাসে ৪০২০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
বাংলাদেশ চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) দশ মাসে ৪ হাজার ২০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এতে দেখা যায়, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ৩ হাজার ৬৬১ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছিল দেশের রপ্তানি খাতগুলো।
আরও পড়ুন: বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানিতে প্লাস্টিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
চলতি বছরের শুধু এপ্রিলেই রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০১ কোটি ডলারে, যা আগের অর্থবছরের এপ্রিলের ২৯৯ কোটি ডলারের তুলনায় শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
বরাবরের মতো, তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত রপ্তানির ক্ষেত্রে তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। খাতটি থেকে ৩ হাজার ২৬৪ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। ২০২৫ সালের এপ্রিলে তৈরি পোশাক পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৪০ কোটি ডলার, যা ২০২৪ সালের এপ্রিলে ছিল ২৩৮ কোটি ডলার। এতে দেখা যায় মাসিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ।
৪ দিন আগে
আসন্ন বাজেটে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আসন্ন বাজেটে ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি), ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) ও জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত 'ফিসক্যাল ইস্যুজ ফর ন্যাশনাল বাজেট ২০২৫-২৬ টু ফস্টার ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস গ্রোথ' শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।
রবিবার (৪ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
মাসরুর রিয়াজ এবং স্নেহাশীষ বড়ুয়া এফসিএ তাদের মূল প্রবন্ধে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাসের মতো মূল চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। এছাড়া শাসন ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন তারা।
তারা রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবণতাও উল্লেখ করে নীতিগত ধারাবাহিকতা এবং ব্যাপক আর্থিক সংস্কার অপরিহার্য বলেও জোর দেন তারা।
করের পরিধি সম্প্রসারণ, ভ্যাট ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বড়ুয়া।
একটি প্যানেল আলোচনার সময় শিল্প নেতারা এই অগ্রাধিকারগুলোর প্রতিধ্বনি করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সরকার বিনিয়োগকে প্রভাবিত করে এমন কর সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে এবং একটি দায়িত্বশীল ও স্বচ্ছ বাজেট উপস্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে দেশ
তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পদক্ষেপ ঘোষণা দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে বৃহত্তর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংসদে কর ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার প্রত্যাশিত কর নীতি এবং দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কারের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আখতার একটি সংহত কর ব্যবস্থার পক্ষে মত দেন এবং রাজস্ব প্রশাসন থেকে করনীতি প্রণয়নকে পৃথক করার সুপারিশ করেন।
জেবিসিসিআই সভাপতি তারেক রাফি ভূঁইয়া (জুন) ব্যবসা সহজ করার পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সরকারের মনোযোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, মারুবেনি করপোরেশনের কান্ট্রি হেড মানাবু সুগাওয়ারা, যুগ্ম মহাসচিব ইউজি আন্দো, সাবেক এনবিআর সদস্য ড. আবদুল মান্নান শিকদার এবং সরকারের সাবেক সচিব মো. আফজাল হোসেন।
সেমিনারে ব্যবসায়ী ও সরকারি উভয় খাতের বিস্তৃত অংশগ্রহণকারীরা জড়ো হন।
আরও পড়ুন: প্রতিবছরের মতো এবার বাজেট লাফিয়ে বাড়বে না: এনবিআর চেয়ারম্যান
৫ দিন আগে
ভরিপ্রতি ৩৫৭০ টাকা কমে আজ থেকে নতুন দরে বিক্রি হবে স্বর্ণ
দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস।
শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আজ (রবিবার) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা।
আরও পড়ুন: টানা দুইদিন বাড়ার পর কমল স্বর্ণের দাম
নতুন দর অনুযায়ী, সনাতন পদ্ধতি অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬১ হাজার ৩০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৪ হাজার ২৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল স্বর্ণের দাম ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এ নিয়ে চলতি বছর দেশের বাজারে ২৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এই সময়ে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৯ বার, কমানো হয়েছে ৮ বার।
৬ দিন আগে
এপ্রিলে ১৭ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজার
এপ্রিল মাসজুড়ে পুঁজিবাজার মোটেও ভালো কাটেনি বিনিয়োগকারীদের। ঈদের ছুটি কাটিয়ে শুরু হওয়া লেনদেনে লাগাতার পতনে ঢাকার বাজারে প্রধান সূচক কমেছে ৩০২ পয়েন্ট এবং বাজার পুঁজি হারিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরো মাসের লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫২১৯ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন মাস শেষে এসে ঠেকেছে ৪৯১৭ পয়েন্টে।
মাসে মোট ১৮ কার্যদিবস বাজারে লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১৫ কার্যদিবসেই হয়েছে পতন। পতনের ধাক্কায় বাজার থেকে অর্থ তুলে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, হয়নি নতুন করে অর্থলগ্নি। এতে করে বাজার হারিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকার পুঁজি।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সপ্তাহজুড়ে চলল সূচক, লেনদেন ও শেয়ারের মূল্যপতন
শুধু প্রধান সূচক নয়, মাসিক লেনদেনে বেহাল দশা শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএসেও। পুরো মাসে এ খাতের সূচক কমেছে ৭৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে, বাছাইকৃত ভালো কোম্পানির শেয়ারেও হয়েছে বড় পতন। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৯২ পয়েন্ট।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিসংখ্যান বলছে, এক মাসে ১১ হাজার ৪২৯ জন বিনিয়োগকারী নিজেদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন। বাজারে জিরো ব্যালেন্সের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চালু থাকা বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এক মাসে ১০ হাজারের ওপরে কমেছে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এভাবে বাজারে পতন হতে থাকলে দেশের পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। যারা বুকে আশা বেঁধে এখনও বাজারে আছেন, প্রতিদিনই আশাভঙ্গ হচ্ছে তাদের। বাজারের ওপর থেকে আস্থা উঠে যাওয়ায় কোনোভাবেই বাজার ঠিক করা যাচ্ছে না।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে শেয়ার ব্যবসা করছেন তারেক হোসেন। তিনি বলেন, ‘আগে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হতো, ভালো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করলে লোকসান হবে না। বিনিয়োগকারীরা মন্দ শেয়ারে বিনিয়োগ করে, তাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত কয়েক মাসে যেসব শেয়ারের দাম কমেছে তার বেশিরভাগই ভালো কোম্পানি। কী করে ১০০ টাকার শেয়ার ৩০-৪০ টাকায় নেমে আসে—এর জবাব কমিশন দিতে ব্যর্থ।’
আরেক বিনিয়োগকারী মনসুর আলী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মার্জিন ঋণের কারণে। এই ঋণ নিয়ে যারা শেয়ার কিনেছেন, ফোর্স সেলের কারণে তাদের ভালো শেয়ারও বিক্রি হয়ে গেছে। এতে করে বাজারে প্রতিটি শেয়ারের ওপর খারাপ প্রভাব পড়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের এক সদস্য বলেন, ‘মার্জিন ঋণ বাজারে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়য়েছে। এতদিন এই ঋণ প্রদান ও গ্রহণে শক্ত কোনো রীতি ছিল না। সম্প্রতি কমিশনের কাছে টাস্কফোর্স মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। মার্জিন ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ১০ কোটি টাকা, সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা এবং বাজার বিনিয়োগ না থাকলে ঋণ দেওয়া হবে না মর্মে সুপারিশ করা হয়েছে।’
কমিশনের কাছে লক-ইন শেয়ার, উদ্যোক্তা শেয়ার, প্লেসমেন্ট, অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও অতালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডে মার্জিন ঋণের অর্থ ব্যবহার না করার সুপারিশ জানিয়েছে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
বাজারে পুঁজি যোগানদাতা প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে বাজারে নিয়ে আসতে হবে। এসব কোম্পানি বাজারে আনতে পারলে বিনিয়োগকারীরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।’
তবে কমিশনের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাজারে বড় কোনো আইপিও আসার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এতে করে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আশু কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’
তার ওপর সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অভ্যন্তরীণ গোলোযোগ এবং পরবর্তীতে ২১ কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের মতো ঘটনা বাজারে ভালো কোনো বার্তা বয়ে আনেনি বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
৬ দিন আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নেওয়ার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের আওতায় ‘মিট বাংলাদেশ এক্সপোজিশনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি একটি পণ্যের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল এবং আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা উচিত। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আমাদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য আমাদের দুর্নীতি দুর করতে হবে এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে।’
‘দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) সম্প্রতি একটি সফল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন করেছে। সেখানে আমরা আমাদের সক্ষমতা এবং সুযোগগুলো সম্পর্কে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অবহিত করেছি,’ যোগ করেন তিনি।
এ সময়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা উদ্যোক্তা আছেন, যারা নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও বাংলাদেশকে আজ এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, আমি তাদের প্রতি আন্তরিক সম্মান জানাই। যারা এখানে নিজেদের পণ্যগুলো প্রদর্শন করতে নিয়ে এসেছেন তাদেরকে এবং বিদেশি ক্রেতাদেরও ধন্যবাদ জানাতেই চাই যোগ করেন উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে ১২০টির বেশি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। সিঙ্গাপুর, লিবিয়া, কলম্বিয়া, আলজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সোর্সিং এজেন্ট ও ক্রেতা এতে অংশ নিয়েছেন। তারা প্রদর্শনী শেষে বাংলাদেশি উৎপাদনকারী বিভিন্ন শিল্পকারখানা পরিদর্শন করবেন।
১৫ দিন আগে
ঢাকার পুঁজিবাজারে এ বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন
একের পর এক সূচকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে এবার বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন হলো ঢাকার পুঁজিবাজারে। গড়ে ৪৫০ কোটি টাকার ওপর হওয়া লেনদেন এসে ঠেকেছে ৩০০ কোটিতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা এ বছরে সর্বনিম্ন। একদিনের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি টাকা।
লেনদেন কমার পাশাপাশি প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪ পয়েন্ট। নেতিবাচকের ঘরে ছিল শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস। তবে লম্বা পতন শেষে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পতন দিয়ে লেনদেন শুরু ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানরই দাম ছিল নিম্নমুখী। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে ১১৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২১৪ কোম্পানি এবং ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি, জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানি দাম হারিয়েছে। বিশেষ করে এ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত ২১৫ কোম্পানির মধ্যে ৭১ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর নেমেছে ১১৮ কোম্পানিতে।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৫ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে। বাকি ২৩ কোম্পানির ইউনিটের দাম ছিল নিম্নমুখী এবং অপরিবর্তিত আছে ৯ কোম্পানির দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৫ কোম্পানি প্রায় ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে রেনেটা সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং ৯.৯৩ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
অব্যাহত পতন চট্টগ্রামে
ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) পতনের ধারা অব্যাহত আছে, সার্বিক সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৭ কোম্পানির মধ্যে ৭২ কোম্পানির দাম বাড়লেও কমেছে ১১৩ কোম্পানির দাম এবং ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
আরও পড়ুন: পতনের ধারা যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
গতদিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে সিএসইতে। মোট ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৬ কোটি টাকার ওপরে।
৯.৮২ শতাংশ দর বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড। অন্যদিকে ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে বিচ হ্যাচারি।
১৬ দিন আগে
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল: বাণিজ্য উপদেষ্টা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপ নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক বিএসআরএফ মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রতিনিধিদলে আমাদের অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বাণিজ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা থাকবেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে যারা কাজ করে ইউএসটিআর, তাদের সাথে আলোচনা করে কিছু ট্যারিফ ও ননট্যারিফ নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ চিহ্নিত করবে।’
আরও পড়ুন: দুই সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম কমবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, এই পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময়ে আমাদের কার্যক্রম কি হবে? এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিজে সচেতন। আমাদের যেসব দেশের সাথে বাণিজ্য রয়েছে, বিশেষ করে রপ্তানি বেশি, আমদানি কম। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম, ক্রেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র একক বৃহত্তম দেশ। সেজন্য আমাদের কাছে বিষয়টি চিন্তার। যুক্তরাষ্ট্র যখন তাদের বাণিজ্য ঘাটতি নিরূপণ করছে, সেটা পণ্যের ক্ষেত্রে করছে, সেবার ক্ষেত্রে করছে না। এজন্য আমরা কিছু কর্মসমষ্টি তৈরি করেছি।’
‘এই কর্মসমষ্টি নিয়ে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, অর্থ উপদেষ্টা ও বাণিজ্য সচিবসহ একটি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন, সেখানে যে ইউএসটিআর রয়েছে, যারা এই শুল্ক নিয়ে কাজ করেন, তাদের সাথে আলোচনা করে কিছু ট্যারিফ ও ননট্যারিফ কাঠামো রয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা আরো নিদিষ্ট কিছু পদক্ষেপ চিহ্নিত করবো,’ বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনেরা জানেন যে ডব্লিউটিও-এর ফ্রেমওয়ার্কে আমরা সারা দুনিয়ার সাথে বাণিজ্য করি। সেখানে বাণিজ্যের যে বৈচিত্র্য আমাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের, যে ২.২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্য অন্যান্য দেশের থেকে আমাদের দেশে আসে। এছাড়া আমাদের কিছু পণ্য আছে, যা দুই দেশকেই সুবিধা দেয়। সেসব পণ্যের শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারি। একই সঙ্গে আমাদের উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন রকমের অবকাঠামোগত চিন্তা করছি। যেখানে আমাদের পণ্যের মান বাড়বে, গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে ও বাণিজ্য বাড়বে।’
২৩ দিন আগে
সপ্তাহের শুরুতেই সূচকের বড় পতন দেখল পুঁজিবাজার
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সূচকের বড় পতন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় নাজেহাল অবস্থা বিনিয়োগকারীদের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৫ পয়েন্ট, যা চলতি মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস-৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০-ও কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
আজ লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৭৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ২৭০টি কোম্পানির। ৪৮টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত আছে।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমেছে। সবচেয়ে বেহাল দশা ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। তালিকাভুক্ত ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৯টির, ৬৯টিরই দাম কমেছে, আর অপরিবর্তিত আছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি এবং ৭টি কোম্পানির দর পরিবর্তন না হওয়ার বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫টি কোম্পানি।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: লেনদেনে সুবাতাস বইলেও সূচকে মন্দা
ব্লক মার্কেটে ৩০টি কোম্পানির মোট ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এর মধ্যে সানলাইফ ইনস্যুরেন্স সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা পড়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। সারা দিনে মোট ৪১৪ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৫৪০ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক দর
ঢাকার পুঁজিবাজারে করুণ দশা ব্যাংক খাতের শেয়ারে। তালিকাভুক্ত ২৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টির শেয়ারের দরবৃদ্ধি এবং আর পাঁচটির দর অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দর কমেছে ১৬টি ব্যাংকের। এক দিনের লেনদেনে এই খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
একইভাবে পতনের ছোঁয়া লেগেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও। এই খাতে মাত্র একটি কোম্পানির দাম বেড়েছে, অপরিবর্তিত আছে ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং দাম কমেছে ১৮টি কোম্পানির।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইনস্যুরেন্স খাতেও পতনের ধারা বজায় আছে। ১১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে ৩টি কোম্পানির সবগুলোরই দাম কমেছে। টেক্সটাইল খাতে ৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪১টি কোম্পানির। ওষুধশিল্প খাতে ২৪টি কোম্পানির দাম কমেছে, বেড়েছে ৭টির এবং আইটি খাতে ৮টি কোম্পানির দর কমার বিপরীতে দর বেড়েছে মাত্র একটি কোম্পানির।
সামগ্রিকভাবে পাট, প্রকৌশল, খাদ্য ও সিমেন্ট খাতের প্রবৃদ্ধি হলেও এসব খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী। বিশেষ করে সিমেন্ট খাতে পতনের দিনেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৪৭ শতাংশ, কিন্তু তালিকাভুক্ত ৭টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৪টি কোম্পানিরই।
মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষে যারা
ঢাকার পুঁজিবাজারে ৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। দিনের শুরুতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১২৫ টাকা, যা দিন শেষে শেষে বেড়ে হয়েছে ১৩১.৬০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯০ শতাংশ দর বেড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড। দিনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১২৪ টাকা, যা লেনদেন শেষে বেড়ে হয়েছে ১৩৪.৩০ টাকা।
এছাড়া ৮.৭৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে হাইডেলবার্গ মেটারিয়ালস। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ১০ এপ্রিল কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ারপ্রতি দাম ছিল ২৭৩.৬০ টাকা, যা একদিনের ব্যবধানে বেড়ে ২৯৭.৫০ টাকা হয়েছে।
ওষুধ খাতের আরেক কোম্পানি অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের দাম এক দিনে ৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ৮৫০.৯০ টাকা প্রতিটি শেয়ারের দাম দিন শেষে বেড়ে হয়েছে ৯১৪.১০ টাকা।
শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় পঞ্চমে থাকা মুন্নু অ্যাগ্রোর দাম বেড়েছে ৬.৯১ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে ৩২০ টাকার শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৪২.১০ টাকা।
পতনে শীর্ষে যেসব প্রতিষ্ঠান
ডিএসইতে পতনে শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে ৯.৯৪ শতাংশ দাম হারিয়ে প্রথমে উঠে এসেছে আল-হ্বাজ টেক্সটাইল মিলস। ১৪১.৪০ টাকার লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম দিন শেষে কমে হয়েছে ১২৮.৬০ টাকা।
ব্যাংক খাতের মধ্যে ৯.৫৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আছে প্রাইম ব্যাংক। এছাড়া সিরামিক খাতে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারের দাম কমেছে ৮.১৪ শতাংশ।
আর্থিক খাতে ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের দাম কমেছে ৭.৫০ শতাংশ এবং ৫.৯১ শতাংশ দর হারিয়ে পতনের পঞ্চমে আছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
পতন চট্টগ্রামেও
ঢাকার মতো পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ৫৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১১৯টি কোম্পানি। এছাড়া ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসইতে। সারা দিনে সিএসইতে মোট ১৫ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা এ মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: পতনের ধাক্কা দিয়ে শুরু পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবস
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও শীর্ষে আছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। এক দিনে সিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, ১১.১৬ শতাংশ দর হারিয়ে সিএসইতে তলানিতে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৪.২০ টাকা, যা সারা দিনের লেনদেন শেষে কমে ২১.৫০ টাকায় নেমেছে।
২৬ দিন আগে