ব্যবসা
ডিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ল ১৪. ৪৮ পয়েন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে।
ডিএসইতে লেনদেন রেকর্ডে দেখা যায়, ৩ হাজার ২৮টি লেনদেনের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট বিনিময় হয়েছে।
এ সময়ে কেনাবেচা হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মূল্য ৮৯ কোটি টাকা।
মোট ৩৬৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর
ডিএসইতে লেনদেন করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৮টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮১টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
বৃহস্পতিবার প্রথম এক ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৩৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৪৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ বিশেষ ব্লু চিপ ৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ১ ঘণ্টায় সূচক কমল ১০.৭১ পয়েন্ট
৩৮২ দিন আগে
শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের যন্ত্রপাতিতে ভ্যাট অব্যাহতি দিল সরকার
সরকার বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবেশগতভাবে টেকসই অনুশীলনের উন্নয়নে শিপ-রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম করসহ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতি দিয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আদেশে বলা হয়, সরকার ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে সব শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে বদ্ধপরিকর।
এই রূপান্তর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জনে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত সময়ের পরে বাংলাদেশে রিসাইক্লিং করার জন্য জাহাজ আমদানি নিষিদ্ধ হবে।
ফলে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নম্বর আইন) এর ১২৬ ধারার উপধারা (৩) অনুযায়ী মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অব্যাহতির শর্তাবলি
আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি কেবল জাহাজ ভাঙা এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইয়ার্ডগুলোর বিকাশের জন্য ব্যবহার করতে হবে।
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় আমদানিকারকদের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে যন্ত্রপাতিটি কেবল এই উদ্দেশে ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট ছাড় ঘিরে অনিশ্চয়তা
এনবিআর সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে, রেয়াতি মূল্যে আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি আমদানির পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। এ সময়ের আগে কোনো যন্ত্রপাতি বিক্রি বা স্থানান্তর করা হলে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) ছাড় প্রত্যাহার করা হবে এবং অগ্রিম করসহ প্রযোজ্য সব কর পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা উভয়ই জাহাজ ভাঙা ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে এককভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নির্ধারিত পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হয়নি- তা নিশ্চিত করতে কমপ্লায়েন্স তদারকি করবেন।
এছাড়া আমদানিকারকদের ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর না করার অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। ছাড়পত্রের সময় এই অঙ্গীকারনামা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমাল সরকার
৩৮২ দিন আগে
বাংলাদেশের জন্য এডিবির ৬০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সংস্কারের জন্য ৬০ কোটি ডলারের নীতি-ভিত্তিক ঋণের (পিবিএল) অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই অর্থ দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও রাষ্ট্র-সংস্কারের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের মতো কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন-পরবর্তী উন্নয়ন তহবিলের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এডিবি এই ঋণের আবেদনে দ্রুত সাড়া দিয়েছে। এই সংস্কারগুলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়।’
এডিবির এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। দেশের কর ও মোট দেশজ উৎপাদনের অনুপাত মাত্র ৭.৪ শতাংশ যা বিশ্বে সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঋণ বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়াতে এবং একইসঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কার্যকর করতে সাহায্য করবে। এই কর্মসূচিতে ডিজিটালাইজেশন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, কর প্রণোদনা ও অব্যাহতির যুক্তিসংগতকরণ এবং করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই ঋণ বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক পরিবেশ সহজ করা এবং সমতাভিত্তিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করছে।
এদিকে, বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সহজ করতে একটি অনলাইন একীভূত প্ল্যাটফর্মে ১৩০টিরও বেশি সেবা চালু করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সুশাসন ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণের উন্নয়ন এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূলে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
৩৮২ দিন আগে
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কোটিপতির অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যাংক ব্যবস্থায় এক কোটি বা তার বেশি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তত ২৬ হাজার কোটটি টাকা তুলে নিয়েছেন মানুষ। যাদের সবাই এক কোটিপতি অর্থ উত্তোলন করেছেন।
এসব টাকা উত্তোলনের কারণে ব্যাংক হিসাবের ব্যালেন্স দেড় হাজারের বেশি মানুষের কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
দেশে প্রকৃত কোটিপতির সঠিক সংখ্যা অনিশ্চিত থাকলেও ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা থেকে একটি আনুমানিক সংখ্যা বলা যেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে এসব অ্যাকাউন্ট উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালে এক কোটি টাকার বেশি হিসাব ছিল মাত্র ৪৭টি।
২০১৫ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৫১৬ জনে। ২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে এ ধরনের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫টি, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজারে।
অর্থনীতিবিদরা সাম্প্রতিক উত্তোলনের জন্য রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ককে দায়ী করেছেন।
তাদের মতে, দুর্বল ব্যাংকগুলো কোটিপতিদের বড় অঙ্কের অর্থ বিতরণ করতে হিমশিম খায়। যার ফলে অনেকে তাদের মূলধন শক্তিশালী ব্যাংকে স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়।
ফলে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোতে একক হিসাবে একীভূত তহবিল এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এই প্রবণতার ভিত্তিতে এক কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব হিসাবের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রত্যাশার বিপরীতে সংখ্যাটা কমেছে।
আরও পড়ুন: নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
৩৮৩ দিন আগে
ডিএসইতে ১ ঘণ্টায় সূচক কমল ১০.৭১ পয়েন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার কার্যদিবসের প্রথম এক ঘণ্টায় সূচকের পতনে লেনদেন হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন রেকর্ডে দেখা যায়, ২৮ হাজার ৮৮৪টি লেনদেনের মাধ্যমে বিনিময় হয়েছে ৩ কোটি ৩১ লাখ শেয়ার ও ইউনিট। এ সময়ে লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মূল্য ৮১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা
এ সময় মোট ৩৬৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ১০১টি প্রতিষ্ঠানের, কমেছে ১৭১টি কোম্পানি রএবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৫টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
বুধবার প্রথম এক ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৫৬ দশমিক ১১ পয়েন্টে দাঁড়ায়। একইভাবে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫০ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ ৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০০ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইর সূচক বেড়েছে ১৬.৪১ পয়েন্ট, এক ঘণ্টায় ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন
৩৮৩ দিন আগে
বিএফআইইউ প্রধান পদে সাক্ষাৎকার নিয়ে উদ্বেগ
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নতুন প্রধান নিয়োগের সাক্ষাৎকার নিতে ১০ জনকে ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১১ ও ১২ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।
তবে বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মতে, এই পদের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যাংকের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি যাদের মধ্যে কয়েকজন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এস আলম গ্রুপের সঙ্গেও সম্পৃক্ত।
তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই জাতীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ করা আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার নিরপেক্ষতাকে নষ্ট করতে পারে এবং পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে।
আর্থিক অপরাধ দমনে বিএফআইইউ'র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। তাদের আশঙ্কা, দুর্নীতিতে জড়িত বা ব্যাংক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিলে ইউনিটটির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হতে পারে। কিছু সমালোচক দাবি করেছেন যে এটি পাচার করা তহবিলের পুনরুদ্ধারকে বিপন্ন করতে পারে এবং শিক্ষার্থী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগ্রামসহ অতীতের ত্যাগকে অর্থহীন করে তুলতে পারে।
তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন-বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, জহুরুল হুদা, আখতারুল ইসলাম, নুরুল আমিন, বর্তমান নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, এ কে এম এহসান, মামুন হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম খান এবং এনসিসি ব্যাংকের সাবেক একজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালকও রয়েছেন তালিকায়।
প্রার্থীদের মধ্যে জহুরুল হুদা বিশেষ সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অবসর নেওয়ার পর এস আলম গ্রুপের ট্রেনিং একাডেমিতে যোগ দেন নূরুল হুদা। এস আলম গ্রুপ ন্যাশনাল ব্যাংক অধিগ্রহণের পর তাকে ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকাকালে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত কয়েকজন প্রার্থী এস আলম গ্রুপকে অবৈধ সুবিধা দিয়েছিলেন। বিনিময়ে, তারা অবসর গ্রহণের পরে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটিতে লাভজনক পদ পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
সমালোচকরা যুক্তি দেখান যে, বিএফআইইউর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এই জাতীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক তদারকি এবং দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপগুলো ধ্বংস করে ফেলতে পারে। বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থার বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে বাছাই প্রক্রিয়ায় অধিকতর যাচাই-বাছাই ও স্বচ্ছতার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা-রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
৩৮৩ দিন আগে
বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন, 'এই প্রকল্প বাংলাদেশকে বেসরকারি খাতে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করা, অবকাঠামো উন্নয়ন ঘাটতি মেটাতে সরকারি অর্থায়নের ওপর চাপ কমানোসহ আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঋণ বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, যাতে পিপিপি বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই বেসরকারি বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা যায়।’
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
সংস্থাটি বলেছে, ‘অর্থনৈতিক পালাবদল এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ একটি রূপান্তরমূলক পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রাথমিকভাবে সরকারিভাবে পরিচালিত দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সীমিত সম্পদ এবং বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
এডিবির এই ঋণের লক্ষ্য বিআইএফএফএলকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করা। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে এমন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর সমাপ্তি সহজতর করবে।
স্ট্রেনদেনিং দ্য বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড প্রকল্প-অতিরিক্ত অর্থায়ন বেসরকারি খাতে অর্থায়নে বিআইএফএফএল-এর সক্ষমতা জোরদার করবে এবং আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষক ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আনা নতুন প্রযুক্তির সুবিধা দেবে।
আরও পড়ুন: এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্ডা
৩৮৪ দিন আগে
নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
বহুল আলোচিত বাংলাদেশি ২০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও এক হাজার টাকা মূল্যমানের নতুন নোট আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করার পর আসন্ন নোটের নকশার উপাদান নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন,নতুন নোট আসা নিশ্চিত। তবে নকশার সঠিক উপাদানগুলো নিশ্চিত করার সময় এখনও আসেনি।
মুজিব থাকছে কিনা?
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নকশায় সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিতে দিয়েছেন। নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের আইকনিক প্রতিকৃতি আর নাও থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন মুদ্রায় বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক বা জুলাই বিপ্লবের দেয়ালচিত্র তুলে ধরা হতে পারে, যা একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মূল্যবোধকে তুলে ধরবে।
তারা বলেন, সরকার নতুন নোট মুদ্রণের অনুমোদন দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করার পরে ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোর প্রচলন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আইসিবিকে স্বল্প সুদে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
নকশা সংস্কার
সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত অন্তর্দৃষ্টি থেকে বোঝা যায় যে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশের ব্যাংক নোটের দৃশ্যমান পরিচয়কে নতুন আকার দিতে প্রস্তুত।
যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তবে নকশাগুলো শেখ মুজিবুর রহমানের স্থলে ধর্মীয় স্থান, ঐতিহ্যবাহী বাংলা মোটিফ এবং কৌতূহলের জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতির উদ্দীপক চিত্রগুলো স্থান পাবে।
এই পুনর্বিন্যাসটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা সম্প্রদায় থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতি পর্যায়ক্রমে বাদ দেওয়ার একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
এই মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই নোটগুলো প্রচলনের পরিকল্পনা রয়েছে।
উত্তরাধিকারের রূপান্তর
বাংলাদেশে ২ টাকা থেকে ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রতিটি কাগজের নোটে বর্তমানে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং নোটের উভয় পাশে তার প্রতিকৃতি রয়েছে।
এমনকি ধাতব মুদ্রাতেও তার ছবি রয়েছে। এটি তার স্থায়ী উত্তরাধিকারকে তুলে ধরে। নতুন নোট চালু করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক জনগণকে আশ্বস্ত করেছে যে, বিদ্যমান সমস্ত মুদ্রার প্রচলন থাকবে।
জাতি যখন অধীর আগ্রহে এই বিশাল পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে। আসন্ন নোটগুলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে একটি নতুন আখ্যানের সঙ্গে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি দেশের এগিয়ে যাওয়ার যাত্রাকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
৩৮৭ দিন আগে
ডিএসইতে দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার প্রথম দেড় ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও সকালের দিকে লেনদেনের গতি ধীর ছিল।
আরও পড়ুন: আইসিবিকে স্বল্প সুদে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
৪০ হাজার একটি লেনদেনের মাধ্যমে ৫ কোটি ৮ হাজার শেয়ার ও ইউনিট বিনিময় হয়েছে। এ সময়ে ১১৩ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিময় হয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনে মোট ৩৬৮টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫১টি কোম্পানির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টি কোম্পানির শেয়ার মূল্য।
বৃহস্পতিবার প্রথম দেড় ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৪৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৭৩ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ শূণ্য দশমিক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইর সূচক বেড়েছে ১৬.৪১ পয়েন্ট, এক ঘণ্টায় ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন
৩৮৯ দিন আগে
ডিএসইর সূচক বেড়েছে ১৬.৪১ পয়েন্ট, এক ঘণ্টায় ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার প্রথম ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে।
দিনের ডিএসইতে লেনদেনের তথ্যে দেখা যায়, ৪ হাজার ৩৩৩টি লেনদেনের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার ও ইউনিট বিনিময় হয়েছে। এ সময় মোট ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার প্রথম ১ ঘণ্টায় ডিএসইর সূচক কমেছে ৪২.৪৯ পয়েন্ট
প্রথম ঘণ্টায় ৩৮০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ২৩২টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৮৭টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রথম ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৪২ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে দাঁড়ায়। এছাড়া ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ ৬ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানে ডিএসইতে লেনদেন চলছে
৩৯০ দিন আগে