বিশ্ব
আইসিসির পরোয়ানায় ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফিলিপাইন সরকার তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হংকং থেকে দেশে আসার পর আইসিসির নির্দেশে পুলিশ দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের চালানো অভিযানে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সারা দুতার্তে
আইসিসি দুতার্তের শাসনামলে মাদক নির্মূলের নামে চালানো অভিযানে হত্যাকাণ্ডগুলোকে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে। এর মধ্যে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণাঞ্চলের শহর দাভাওয়ের মেয়র থাকাকালীন সময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে ২০১৯ সালে ফিলিপাইনকে রোম সংবিধি থেকে প্রত্যাহার করে নেন দুতার্তে।
দুতার্তে প্রশাসন ২০২১ সালের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক আদালতের তদন্ত স্থগিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। আইসিসির আদালত হলো সর্বশেষ অবলম্বন। আইসিসির আর বিচার করার এখতিয়ার নেই—এমন যুক্তি দিয়ে সেসময় তার প্রশাসন বলেছিল, ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে একই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারলে পদত্যাগ করবেন দুতার্তে
২৯৩ দিন আগে
ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের হয়ে যেতে বললেন ইলন মাস্ক
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়া উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্ক। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় রবিবার (৯ মার্চ) এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক লেখেন, ‘এক্সিট ন্যাটো নাউ (এখনই ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাও)।’
ওই পোস্টকে সমর্থন করে মাস্ক আরেক পোস্টে বলেন, ‘ইউরোপের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সত্যিই ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের পিটিশনে সই
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) ওপর শুল্কারোপ করার হুমকি দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প।
এ ছাড়াও তার পুতিন-প্রীতিও ইউরোপীয়দের শঙ্কায় ফেলেছে। শুধু তাই নয়, ন্যাটোর ছত্রছায়ায় ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে নিরাপত্তা পেয়ে থাকে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্য, ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে ইউরোপকে বাদ দিয়ে এককভাবে নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো থেকে বের হওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন ট্রাম্প ঘনিষ্ট মার্কিন ধনকুবের মাস্ক।
আগামী মাসে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)। এমন সময়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ও মাস্কের এসব পোস্ট ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে ট্রাম্প ও তার বন্ধু মাস্কের এসব বক্তব্য সত্ত্বেও এখনও যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবেই দেখছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন।
আরও পড়ুন: ওপেনএআই কিনতে প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার প্রস্তাব মাস্কের
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশলে কোনো পরিবর্তন আনা হবে কিনা; জানতে চাইলে এমন সম্ভাবনা তিনি নাকচ করে দেন তিনি।
উরসুলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও বৃহৎ পরিসরে তাদের স্বার্থ মূলত এক। তিনি বলেন, ‘মতের অমিল আমাদের থাকবেই, তবে সেগুলো সমাধান করেই এগিয়ে যেতে হবে।’
ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, যে গত ২৫ থেকে ৩০ বছর যাবত ন্যাটো যে নীতিতে চলেছে, তা এখন সেই অর্থে আর প্রাসঙ্গিক নেই।’
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বাঁক বদল; ইইউ ও ন্যাটো নিয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে মার্কিন সুরে যে পরিবর্তন এসেছে, তাকে ইউরোপের জন্য একটি ‘সতর্ক বার্তা’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ইউরোপকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সজাগ হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন উরসুলা।
২৯৪ দিন আগে
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, সুপেয় পানির সংকটে পড়তে যাচ্ছেন গাজাবাসী
খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে উপত্যকাটির অনুর্বর এলাকায় খাবার পানি পরিশোধনে একটি বিলবণীকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিদের অনাহারে মারতে ইসরায়েল এই নীতি গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
স্থানীয় সময় রবিবার (৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে গাজায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।-খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
২০ লাখের বেশি বাসিন্দার গাজা উপত্যকায় গেল সপ্তাহে পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধের প্রথম দিকেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। বিলবণীকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রমজানে উপত্যকাটির বাসিন্দারা নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। আর এ ধাপে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। গত ১ মার্চ প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের মেয়াদ আরও বাড়াতে হামাসকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল।
এদিকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের অর্ধেককে মুক্তি করে নিতে চাচ্ছে তারা। কিন্তু হামাস চাচ্ছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করতে, যেটা আরও কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাও প্রত্যাহার চাচ্ছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনটি।
হামাসের কাছে বর্তমানে ২৪ জীবিত জিম্মি ও ৩৫টি ইসরায়েলি মরদেহ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলোচনা এগিয়ে নিতে সোমবার একটি প্রতিনিধি দল কাতারে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
রবিবার হুঁশিয়ারি করে হামাস জানিয়েছে, খাদ্য ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হলে জিম্মিদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। বিপরীতে সব ধরনের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
পনেরো মাসের যুদ্ধে গাজা ও সেখানকার সব অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের জন্য হাসপাতালসহ বেশিরভাগ স্থাপনায় বর্তমানে জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু সর্বশেষ তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধায় মারার নীতি। এরমধ্য দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সব নিয়মকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।’
ফিলিস্তিনিদের চলাচলের স্বাধীনতা সুরক্ষায় কাজ করা ইসরায়েলি সংস্থা গিসা জানিয়েছে, ‘ওই বিলবণীকরণ কেন্দ্র থেকে দৈনিক গড়ে ১৮ হাজার ঘনমিটার পানি পরিশোধন করা হতো। জেনারেটর ব্যবহার করে দুই হাজার ৫০০ ঘনমিটার পানি পরিশোধন করা সম্ভব, যা একটি অলিম্পিক সুইমিংপুলের সমপরিমাণ।’
২৯৪ দিন আগে
ফ্রিল্যান্ডকে হারিয়ে ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মার্ক কার্নি
কানাডার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় রবিবার (১০ মার্চ) ভোটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে তিনি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হবেন। এক অস্থির সময়ে কানাডার দায়িত্ব নেবেন কার্নি। এমন এক সময় তিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হলেন, যখন দেশটি দীর্ঘদিনের মিত্র প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে আছে।
নেতৃত্ব প্রতিযোগিতায় এক লাখ ৫২ হাজার দলীয় সদস্য ভোট দিয়েছেন। এতে ৫৯ বছর বয়সী কার্নি পেয়েছেন ৮৬ শতাংশ ভোট। ফলে সহজেই তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে তিনি পরাজিত করতে পেরেছেন।
এর আগে চলতি বছরের গত ৬ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয়প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কানাডায় খাদ্য ও বাসস্থানের মূল্যবৃদ্ধি, অভিবাসন বেড়ে যাওয়ায় ট্রুডোর ওপর পদত্যাগের চাপ দিতে থাকে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা। নিজ দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। নানামুখী চাপের কারণে আগামী অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও জানুয়ারিতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার কথা জানান ট্রাম্প। এ ছাড়াও কানাডার পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি, যা গত সপ্তাহে কার্যকর হয়েছে।
কানাডার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ট্রাম্প মারাত্বক আঘাত হেনেছে বলে মনে করেন কানাডীয়রা। এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন উত্তর আমেরিকার দেশটির নাগরিকরা। তারা আমেরিকাতে ভ্রমন, এমনকি প্রতিবেশী দেশটির পণ্য কেনাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বহুদিন ধরে চলা কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। কানাডাবাসী বর্তমানে এমন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চান, যিনি আমেরিকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পরিবর্তে ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।
তবে এসবের মধ্যেও জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। রবিবার লেবার পার্টি কাকে ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিবেন; তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে মার্ক কার্নির নাম।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মোকাবিলায় কানাডা কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিচ্ছে?
কে এই মার্ক কার্নি?
কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি ইংল্যন্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দায়িত্ব পালনকালে তিনি সফলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক নানা সংকট মোকাবিলা করেছেন।
কানাডাতে ব্যাংক সুদের হার সর্বনিম্ন ১ শতাংশে নামিয়ে এনে ঋণ দেওয়া অব্যাহত রেখে বাজারে অর্থের প্রবাহ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন মার্ক কার্নি, এ কারণে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।
তিনি যে কেবল ঋণ সম্পর্কে একটি ভালো নীতি তৈরি করেছিলেন, তাই নয়; জনগণের কাছে এমনভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন যা সবার বোধগম্য হয়। তিনিই প্রথম কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান যিনি সুদের হারকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এত কম রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপ পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ অনুসরণ করেছে বলে জানা যায়।
জানুয়ারিতে কার্নিকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পর থেকেই মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে একের পর এক সমর্থন পেয়ে চলেছেন তিনি।
নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় কার্নির একক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠায় তিনটি বিষয় মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নেলসন ওয়াইজম্যান। তার ভাষ্যে, প্রথমত, ক্রিষ্টিয়া ফ্রিল্যান্ড (অন্য প্রার্থী) ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
ট্রুডোর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ায় ফ্রিল্যান্ডও পিছিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। দ্বিতীয়ত, সংসদে থাকা লিবারেল সদস্যদের সমর্থন আদায়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তৃতীয়ত, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি অন্যতম একটি বিষয়, কার্নির পেশাগত অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করতে পারে বলে ধারণা দেন ওয়াইজম্যানে।
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বিল্যান্ড মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন, এরকম সংবেদনশীল একটি মুহূর্তে কার্নির শান্ত স্বভাব ও অসাধারণ পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত অনেক কানাডিয়ানকে আশ্বস্ত করেছে।’
আরও পড়ুন: কানাডাকে ‘সত্যিকার অর্থে’ ৫১তম অঙ্গরাজ্য করতে চাচ্ছেন ট্রাম্প: ট্রুডো
কার্নির এই শান্ত স্বভাব কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রের সম্পূর্ণ বিপরীত বলে মনে করেন তিনি। বিল্যান্ডের মতে, পলিয়েব্র একদম পুরোদস্তুর একজন রাজনীতিবিদ। তিনিও ট্রাম্পের মতো জনপ্রিয়তাবাদী বক্তব্য দেন।
ট্রাম্পের শুল্কারোপের ফলে কানাডার অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব রুখে দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সমাধান করে দেশের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করবে এমন এক সরকারপ্রধান চান কানাডার নাগরিকরা। কানাডার নির্বাচন উত্তর আমেরিকার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হয়ে উঠছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২৯৪ দিন আগে
গবেষণায় ট্রাম্পের তহবিল বন্ধের প্রতিবাদে বিজ্ঞানীদের বিক্ষোভ
বিভিন্ন সংস্থা থেকে কর্মীছাঁটাই ও জীবন-রক্ষাকারী গবেষণার রাস টানতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর কেন্দ্রীয় সরকারের গবেষণা তহবিল কাটছাঁট করছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
জবাবে শুক্রবার (৭ মার্চ) গবেষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, প্রকৌশলী, নির্বাচিত কর্মকর্তারা রাস্তায় নেমে আসেন। নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, বোস্টন, শিকাগো, ম্যাডিসন ও উইসকনসিনে সড়কে নেমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এ সময়ে মার্কিন সরকারের এসব সিদ্ধান্তকে ‘নজিরবিহীন’ বলে আখ্যা দেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে সহস্রাধিক লোক বিক্ষোভ করছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের গবেষক জেসি হেটনার। ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর নিজের রাগ ঝাড়তে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আর কখনোই এতো ক্ষুব্ধ হইনি। তারা সবকিছুতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নয়নে মার্কিন তহবিল বাতিল
এ সময়ে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের প্রধান হিসেবে রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রের নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হেটনার। কারণ এরআগে টিকা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন কেনেডি জুনিয়র।
হেটনার বলেন, ‘আপনি যদি এমন একজনকে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দায়িত্ব দেন, যিনি মনে করেন পৃথিবীটা হচ্ছে সমতল ও গোল। সেটা তো ঠিক না। কাজেই বিজ্ঞানে অর্থ ঢালেন, ধনকুবেরদের না। বিজ্ঞানে ভর করেই গড়ে উঠেছে আমেরিকা।
গ্রোভার নামের এক বিজ্ঞানী বলেন, ‘বর্তমানে যা কিছু ঘটছে, তা নজিরবিহীন।’
২৯৫ দিন আগে
ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা
স্কটল্যান্ডে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনপন্থি ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন‘ নামের একটি সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে বলে দায় স্বীকার করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি।
ট্রাম্পের গাজা নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও পরিকল্পনার কারণে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি মানুষ ও তাদের সমর্থকরা। এরই জেরে এই হামলা ঘটিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সংগঠনের সদস্যরা।-খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়।’
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
সংগঠনটির কর্মীরা জানায়, ট্রাম্প গাজাকে নিজের সম্পত্তির মতো মনে করে, যা খুশি তাই করতে পারে না—তারই প্রতিবাদ এটা।
তারা বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে চাই, আমাদের প্রতিরোধ থেকে তার নিজের সম্পত্তিও নিরাপদ নয়।’
ফিলিস্তিনিনের এই হামলাকে ট্রাম্প ‘বাচ্চাসুলভ, অপরাধমূলক’ কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তার পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আসবে না। এই ঘটনায় স্কটল্যান্ড পুলিশ রিপোর্ট পেয়েছে বলে জানিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলমান বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হঠাৎ হামলা চালায় হামাস। সে সময় প্রায় ১ হাজার ২০০ অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলি নিহত হন। পাশাপাশি আরও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।
এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পরের দিন থেকে গাজাজুড়ে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আকাশ ও স্থলপথে গত প্রায় ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এরপরে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। প্রথম ধাপ শেষ হলেও দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে গাজার মানুষের ভাগ্য।
এরইমধ্যে পুর্নগঠনের নামে উপত্যকাটির বাসিন্দাদের স্থায়ীভাবে অন্যত্র সরিয়ে গাজা দখলের প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। তবে তার এই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনিরা।
২৯৫ দিন আগে
সিরিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলায় নিহত ১ হাজার ছাড়াল
সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের অনুগতদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ডে এক হাজারেরও বেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৯ মার্চ) যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একটি গোষ্ঠী এমন তথ্য দিয়েছে।
মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ১৪ বছরে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের ঘটনা এটি।
ব্রিটিশভিত্তিক সিরীয় অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ৭৪৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৫ সদস্য ও আসাদসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীর ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। খুব কাছ থেকে গুলি করে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
এছাড়া লাতাকিয়া শহরের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ও খাবার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সংঘাতের শুরু হয়েছে। দামেস্কো সরকারের জন্য যা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে মাসতিনেক আগে সিরিয়ার কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছে তারা।
সরকার জানিয়েছে, আসাদ বাহিনীর অবশিষ্টাংশের হামলার জবাব দিচ্ছে তারা। আর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার জন্য ব্যক্তিগত হামলার ঘটনাকে দায়ী করা হয়েছে।
আলবীয়দের ওপর প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড
আলবীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সরকার-অনুগত সুন্নি মুসলমানরা শুক্রবার প্রথম এই প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে, যা আসাদ সরকারকে ক্ষমতচ্যুত করতে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শামের জন্য বড় ধাক্কা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এপি জানিয়েছে, বাড়ির সামনের ফটক ও সড়কে আলবীয়দের গুলি করে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। নিহতদের বেশিরভাগই পুরুষ। বিভিন্ন গ্রামে তাদের অনেক বাড়িঘর লুট করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য কয়েক হাজার আলবীয় বাসিন্দা পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে উপকূলীয় শহর বানিয়াস। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, বাড়ির ভেতরে, ঘরের ছাদেও পড়ে আছে মরদেহ। কবর দেওয়ার মতো সেখানে কেউ নেই।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় এক সপ্তাহে নিহত অন্তত ৩৭০: জাতিসংঘ
একজন বাসিন্দা বলেন, ‘শুক্রবার খুবই কাছ থেকে পাঁচজনকে হত্যা করা হলেও তাদের মরদেহ কবর দিতে দেয়নি বন্দুকধারীরা।’
সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর পরিবার নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বানিয়াসের ৫৭ বছর বয়সী বাসিন্দা আলী শেহা বলেন, ‘তাদের গ্রামে অন্তত ২০ প্রতিবেশী ও সহকর্মীকে বাড়ি কিংবা দোকানে হত্যা করা হয়েছে।’
আসাদ সরকারের অপরাধের দায়ে প্রতিশোধমূলকভাবে এসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বাসিন্দারা বলছেন, ‘আশপাশের শহর ও গ্রাম থেকে আসা বিদেশি যোদ্ধা ও জঙ্গিরা রয়েছেন বন্দুকধারীদের মধ্যে।’
আলী শেহা বলেন, ‘এটা খুবই খারাপ। রাস্তায় পড়ে আছে মরদেহ।’
পালিয়ে যাওয়ার সময় ফোনে এপিকে এসব কথা বলছিলেন তিনি। তখন শহর থেকে তিনি ২০ কিলোমিটার দূরে। এই আলবীয় বলেন, ‘তার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ১০০ মিটারের কম দূরত্বে বন্দুকধারীরা জড়ো হচ্ছিল। বাড়িঘর ও বাসিন্দাদের ওপর তারা এলাপাতাড়ি গুলি ছুড়ছে।’
তার নিজের জানা একটি ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যার আগে ধর্ম নিশ্চিত হতে বাসিন্দাদের পরিচয়পত্র দেখেন বন্দুকধারীরা। কিছু বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, লুটতরাজ করেছে ও গাড়ি চুরি করে নিয়ে গেছে তারা।’
সিরীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আসাদ অনুগতদের কাছ থেকে অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকারি বাহিনী। সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে উপকূলীয় শহরটির সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাসিন্দারা বলছেন, একদিন আগে নিহত ৩১ জনের মরদেহ শনিবার সকালে গণকবর দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯টি শিশু ও চার নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
গেল কয়েক দশক ধরে আসাদের সমর্থকদের বড় একটি অংশ ছিল আলবীয়রা। শিয়া মুসলমানদের একটি শাখা হচ্ছেন তারা। আসাদ সরকারের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ পদে ছিলেন দেশটির এই সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর লোকজন।
নতুন সরকার দাবি করছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে আসাদ অনুগতরাই এই হামলা চালিয়ে আসছে।
২৯৫ দিন আগে
ট্রাম্পের মোকাবিলায় কানাডা কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিচ্ছে?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ মোকাবিলায় কানাডায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নিকে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রবিবার ( ৯ মার্চ) ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতৃত্ব বাছাইয়ের ভোটে জয়ী হয়ে কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৫৯ বছর বয়সী সাবেক এই ব্যাংকারের।
এর আগে চলতি বছরের গত ৬ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয়প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর, ঘোষণা ট্রাম্পের
কানাডায় খাদ্য ও বাসস্থানের মূল্যবৃদ্ধি, অভিবাসন বেড়ে যাওয়ায় ট্রুডোর ওপর পদত্যাগের চাপ দিতে থাকে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা। নিজ দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। নানামুখী চাপের কারণে আগামী অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও জানুয়ারিতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার কথা জানান ট্রাম্প। এ ছাড়াও কানাডার পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি, যা গত সপ্তাহে কার্যকর হয়েছে।
কানাডার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ট্রাম্প মারাত্বক আঘাত হেনেছে বলে মনে করেন কানাডীয়রা। এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন উত্তর আমেরিকার দেশটির নাগরিকরা। তারা আমেরিকাতে ভ্রমন, এমনকি প্রতিবেশী দেশটির পণ্য কেনাও বন্ধ করে দিয়েছেন।এমন পরিস্থিতিতে বহুদিন ধরে চলা কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। কানাডাবাসী বর্তমানে এমন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চান, যিনি আমেরিকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পরিবর্তে ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।
তবে এসবের মধ্যেও জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। রবিবার লেবার পার্টি কাকে ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিবেন; তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে মার্ক কার্নির নাম।
কে এই মার্ক কার্নি?
কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি ইংল্যন্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দায়িত্ব পালনকালে তিনি সফলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক নানা সংকট মোকাবিলা করেছেন।
কানাডাতে ব্যাংক সুদের হার সর্বনিম্ন ১ শতাংশে নামিয়ে এনে ঋণ দেওয়া অব্যাহত রেখে বাজারে অর্থের প্রবাহ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন মার্ক কার্নি, এ কারণে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।
তিনি যে কেবল ঋণ সম্পর্কে একটি ভালো নীতি তৈরি করেছিলেন, তাই নয়; জনগণের কাছে এমনভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন যা সবার বোধগম্য হয়। তিনিই প্রথম কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান যিনি সুদের হারকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এত কম রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপ পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ অনুসরণ করেছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের পিটিশনে সই
জানুয়ারিতে কার্নিকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পর থেকেই মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে একের পর এক সমর্থন পেয়ে চলেছেন তিনি।
নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় কার্নির একক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠায় তিনটি বিষয় মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নেলসন ওয়াইজম্যান। তার ভাষ্যে, প্রথমত, ক্রিষ্টিয়া ফ্রিল্যান্ড (অন্য প্রার্থী) ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
ট্রুডোর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ায় ফ্রিল্যান্ডও পিছিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। দ্বিতীয়ত, সংসদে থাকা লিবারেল সদস্যদের সমর্থন আদায়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তৃতীয়ত, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি অন্যতম একটি বিষয়, কার্নির পেশাগত অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করতে পারে বলে ধারণা দেন ওয়াইজম্যানে।
লিবারেল পার্টির যেসব নেতারা সংসদে নিজেদের পদ হারানোর ভয়ে ছিলেন এবং যারা মনে করেন ফ্রিল্যান্ডের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা কম; তারা কার্নিকে সমর্থন দিয়েছেন বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বিল্যান্ড মনে করেন, ট্রাম্প যেভাবে কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন, এরকম সংবেদনশীল একটি মুহূর্তে কার্নির শান্ত স্বভাব ও অসাধারণ পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত অনেক কানাডিয়ানকে আশ্বস্ত করেছে।’
কার্নির এই শান্ত স্বভাব কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রের সম্পূর্ণ বিপরীত বলে মনে করেন তিনি। বিল্যান্ডের মতে, পলিয়েব্র একদম পুরোদস্তুর একজন রাজনীতিবিদ। তিনিও ট্রাম্পের মতো জনপ্রিয়তাবাদী বক্তব্য দেন।
ট্রাম্পের শুল্কারোপের ফলে কানাডার অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব রুখে দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সমাধান করে দেশের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করবে এমন এক সরকারপ্রধান চান কানাডার নাগরিকরা। কানাডার নির্বাচন উত্তর আমেরিকার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হয়ে উঠছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২৯৬ দিন আগে
হাম নির্মূলের ঘোষণা দেওয়ার পরেও যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে সংক্রমণ
যুক্তরাষ্ট্রে সচরাচর হামের প্রাদুর্ভাব দেখা না দিলেও চলতি বছরে উল্টো চিত্র দেখছে দেশটি। টিকার সাফল্যের কারণে ২০০০ সালে হাম নির্মূল হওয়ার ঘোষণা দিলেও আবারও যুক্তরাষ্ট্রে জেঁকে বসেছে হাম। সম্প্রতি টেক্সাস ও নিউ মেক্সিকোসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রামক এই ভাইরাসটি।
এমনকি গত সপ্তাহে ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো হামে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। এতে উদ্বেগ বেড়েছে দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে।
গত সপ্তাহে মার্কিন রোগ নিযন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) ২০১৫ সালে পরে প্রথম হামে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। টেক্সাসে হামের আক্রান্ত হয়ে শিশু মারা যাওয়ার পর সেখানের নিজেদের টিম পাঠানোর ঘোষণা দেয় সিডিসি।
গত মঙ্গলবার সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সংস্থাটি জানায়, হামের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে টেক্সাসে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: নেভাডায় বার্ড ফ্লুর নতুন ধরন শনাক্ত: সিডিসি
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ মার্চ) টেক্সাসের স্বাস্থ্য কর্মকতারা জানিয়েছেন, পশ্চিম টেক্সাসে আক্রান্তের সংখ্যা এরইমধ্যে ২০০-তে পৌঁছেছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিবেশি নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যেও। সেখানে ৩০ জনের শরীরে হাম শনাক্ত হয়েছে বলে স্বাথ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট হেলথ ডিপার্টমেন্টের তথ্য মতে, টেক্সাসের পাশাপাশি নিউ মেক্সিকোতেও হামের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তবে এই দুটি রাজ্যের সংক্রমণের মধ্যে সরাসরি কোনো সংযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে নিউ মেক্সিকোর স্থাস্থ্য কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিউ মেক্সিকোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা টিকা নেয়নি এমন একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হামে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। ওই ব্যক্তি কোনো চিকিৎসা সেবা নেননি, মৃত্যুর পরে তার সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়েছে।
যদিও নিউ মেক্সিকোর মেডিকেল পর্যবেক্ষক মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেননি। তবে ওই ব্যক্তি হাম আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছে অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ।
এই দুই অঙ্গরাজ্যের পাশাপাশি হাম ছড়াতে শুরু করেছে আলাস্কা, ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া, কেন্টাকি, নিউ জার্সি, নিউ ইর্য়ক, পেনসালভ্যানিয়া ও রোড আইল্যান্ডেও ধরা পড়েছে হামের সংক্রমণ।
হাম ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ। মূলত বাতাসের মাধ্যমে এটি ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির নিশ্বাস, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা সংক্রমিত হয়ে থাকেন। সিডিসির তথ্যমতে, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে।
২৯৬ দিন আগে
ব্রিটেনে গর্ভপাতের পর ‘শোক ছুটি’ পাবেন মা-বাবা
ব্রিটেনে গর্ভপাতের পর দুই সপ্তাহের ‘শোক ছুটি’ পেতে যাচ্ছেন মা-বাবারা। দেশটির লেবার পার্টির শ্রমিক অধিকার সংস্কারের অংশ হিসেবে এই ছুটি চালু করতে যাচ্ছে ব্রিটেন।
গর্ভধারণের ২৪ সপ্তাহের আগে গর্ভপাত হলে এই শোক ছুটি পাবেন তারা। নতুন আইনের মাধ্যমে শ্রমিক অধিকার সংক্রান্ত বিলটিতে এই পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিলটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে উত্থাপনের কথা রয়েছে।
এই বিলটি চূড়ান্ত হলে ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের বাসিন্দারা এই ছুটি পাবেন। এর আগে দেশটিতে গর্ভধারণের ২৪ সপ্তাহ অতিক্রম হওয়ার পর গর্ভপাত হলে কিংবা মৃত বাচ্চার জন্ম দিলে শোক ছুটি পেতেন। সংশোধিত বিলের আওতায় এখন ২৪ সপ্তাহের আগে গর্ভপাত হলেও শোক ছুটি পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ
সংশোধিত এই বিলটিরে প্রচার চালিয়েছিলেন লেবার পার্টির এমপি সারাহ ওয়ান। তার নের্তৃত্বাধীন নারী ও সমতা বিষয়ক কমিটি চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই বিলটি সারাহর জন্য একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সন্তান হারানোর পর বাবা-মায়ের শারীরিক ও মানসিক কষ্ট লাঘবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
ব্রিটেনে প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ গর্ভবতী মহিলা গর্ভপাতের শিকার হন। গর্ভধারণের প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ গর্ভপাত হয়ে থাকে।
গর্ভপাতের কষ্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্রিটেনের এক ব্যবসায়ী জোনাথান রেনল্ডষ বলেন, ‘আমি জানি এই সময়টা কতটা কষ্টকর। অনেকের মতো আমিও এই অভিজ্ঞতা করেছি। এটি অত্যন্ত কঠিন সময়।’
সংশোধিত বিলে যেসব বাচ্চার জন্মদানের সময় তার মা মারা গেছেন; তবে শিশু জীবিত রয়েছেন ওই বাচ্চার বাবাও এই শোক ছুটি পাবেন বলে জানা গেছে।
২৯৮ দিন আগে