বিশ্ব
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ১০ জন নিহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনাবাহিনীর অভিযানে ১০ জন নিহত হয়েছেন।স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এমন তথ্য দিয়েছে।-খবর সিনহুয়ারএতে বলা হয়, ‘গোয়েন্দা সূত্রে ওই এলাকাটিতে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। এতে ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০ এলাকাটির সন্ত্রাসী হামলা নির্মূল করতে বর্তমানে 'ক্লিয়ারেন্স অপারেশন' নামে একটি অভিযান চলমান রয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সেনাবাহিনী বলেছে, ‘দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিপদ নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।’
সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে।
নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ২০২২ সালে স্বাক্ষরিত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করার পর থেকে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
৩০৭ দিন আগে
সিরিয়ার সেনা ঘাঁটিতে অভিযান ইসরাইলি বাহিনীর
সিরিয়ার সেনা ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে পাওয়া অস্ত্র জব্দ বা ধ্বংস করেছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই তথ্য জানায়।
প্যারাট্রুপারস ব্রিগেডের সেনারা বলেছে, ‘অভিযানের সময় প্যারাট্রুপার্স ব্রিগেডের সৈন্যরা 'সিরিয়ার আগের সরকারি বাহিনীর ফেলে যাওয়া রাইফেল, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম খুঁজে পায়। "খুঁজে পাওয়া সবকিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।’
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে তারা এ ধরনের 'বেশ কয়েকটি' অভিযান চালিয়েছে, যার মধ্যে 'অস্ত্র শনাক্ত, জব্দ ও ধ্বংস' করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা ৪৭৪তম ব্রিগেডের এক ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে বলেছেন, অভিযানের লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার সেনাবাহিনীর ‘সমস্ত অস্ত্র ও সক্ষমতা ধ্বংস করা’।
তিনি বলেন, ‘এটি ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ যেখানে আমরা রকেট, বিস্ফোরক এবং মাইন, অন্যান্য বিস্ফোরক এবং এমনকি ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া কর্মী বাহকও খুঁজে পেয়েছি, যেগুলো আমরা ধ্বংস করেছি।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী হারমন পর্বতের চূড়ায় এবং সিরিয়া সীমান্তের বাফার জোনে 'অনির্দিষ্টকালের' উপস্থিতি বজায় রাখবে। তিনি দামেস্কের দক্ষিণের অঞ্চলটিকে বেসামরিকীকরণের আহ্বান জানান।
গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমি ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী বেসামরিক এলাকা বাফার জোনে স্থলবাহিনী মোতায়েন করে ইসরায়েল। বাফার জোনটি জাতিসংঘের ডিসএনগেজমেন্ট অবজারভার ফোর্সের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যা ১৯৭৪ সালের ডিসএনগেজমেন্ট সম্পর্কিত চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও, ইসরায়েল পরে মাউন্ট হারমনের সিরিয়ান-নিয়ন্ত্রিত অংশে ‘কৌশলগত পয়েন্ট’ হিসাবে বর্ণনা করে এবং দাবি করে যে, এই পদক্ষেপটি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে।
৩০৭ দিন আগে
মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের পিটিশনে সই
মার্কিন ধনকুবের ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিল করতে একটি পিটিশনে সই করেছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার হুমকি দিয়ে আসছেন। এতে দেশটির স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে। একারণে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত মাস্কের জন্মসূত্রে পাওয়া কানাডার নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে এই পিটিশনে সই করেছেন দেশটির নাগরিকরা।
দ্য কানাডিয়ান প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেখক কোয়ালিয়া রিড এই পিটিশনটি কানাডার হাউস অব কমন্সে উত্থাপন করেন। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি ও মাস্কের সমালোচক চার্লি অ্যাঙ্গাসের অর্থায়নে এই পিটিশনটি হয়েছে।’
ট্রাম্পঘনিষ্ঠ মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি টেসলা, স্পেসএক্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর প্রধান। মায়ের সূত্রে কানাডার নাগরিক মাস্ক। কানাডার সাসকাচোওয়ান প্রদেশের রাজধানী রেজিনা তার মায়ের জন্মস্থান।
আরও পড়ুন: কানাডাকে ‘সত্যিকার অর্থে’ ৫১তম অঙ্গরাজ্য করতে চাচ্ছেন ট্রাম্প: ট্রুডো
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মাস্ককে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা রিডের পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ক ‘ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে কানাডার জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত’ হয়েছেন।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কানাডার পণ্যে উচ্চ শুল্কারোপ করেন। এছাড়াও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করার হুমকি দেন। এতে কানাডার জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
পিটিশনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া মানে মাস্ক এমন এক ‘বিদেশি সরকারের সদস্য, যারা কানাডার সার্বভৌমত্ব মুছে ফেলতে চায়।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে মাস্কের নাগরিকত্ব অবিলম্বে বাতিল করার এবং তার কানাডীয় পাসপোর্ট প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে পিটিশনে। ট্রাম্প আগেও ট্রুডোকে ব্যঙ্গ করে ‘গভর্নর’ বলেছেন। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রধান নির্বাহীদের গর্ভনর বলা হয়।
গেল জানুয়ারিতে কানাডার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন ট্রুডো, এই ঘোষণার পর মাস্ক এক্সে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানিয়েছে, সাধারণত এ ধরনের পিটিশনটি স্বীকৃতি পেতে কমপক্ষে ৫০০ স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। তাহলে সেটি হাউস অব কমন্সে উপস্থাপন করা যায় এবং সরকারিভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
রিডের পিটিশন সহজেই এই শর্ত পূরণ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জানা যায়, রোববার রাত পর্যন্ত পিটিশনে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার স্বাক্ষর পড়েছে এবং ক্রমেই স্বাক্ষরের সংখ্যা বাড়ছে। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে।
কানাডার হাইস অব কমন্সের কার্যক্রম আগামী ২৪ মার্চ পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে পার্লামেন্টের সদস্যদের ফিরে আসার আগেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩০৮ দিন আগে
এবার অধিকৃত পশ্চিমতীরে ট্যাংক পাঠাল ইসরায়েল
দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অধিকৃত পশ্চিমতীরে ট্যাংক পাঠিয়েছে ইসরায়েল। এতে পশ্চিমতীরে অস্থিরতা বাড়বে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনি কতৃপক্ষ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতানিয়াহুর সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি সেনাবাহিনীকে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। পশ্চিমতীরের শরণার্থী শিবিরে সন্ত্রাসবাদ দমনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়াও তিনি জানান, ‘অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের সেনারা এক বছর অবস্থান করবেন। এ সময় কোনো ফিলিস্তিনিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুদিন পর থেকে পশ্চিমতীরে অভিযানের তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে ইসরায়েল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর হতে পশ্চিমতীরে এ পর্যন্ত ৮০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে আট মাসের গর্ভবতী এক নারীর মৃত্যু বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করল ইসরায়েল: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
পশ্চিমতীরে নিজেদের আধিপত্য দীর্ঘস্থায়ী করতে এসব অভিযান চালানো হচ্ছে বলে মনে করছেন ফিলিস্তিনিরা। অঞ্চলটিতে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি সামরিক শাসনের অধীনে বাস করেন। এই অভিযানে গাজা উপত্যকার মতো পরিস্থিতি হতে পারে আশঙ্কা করছেন পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা।
এর আগে, পশ্চিমতীরের কিছু শরণার্থী শিবির এলাকায় সেনাবাহিনীকে দীর্ঘদিন অবস্থানের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ওই এলাকাগুলো থেকে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রাণভয়ে পালিয়ে গেছেন।
কয়েক দশক আগে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিরা এই শিবিরগুলোতে বাস করতেন। চলমান অভিযান কবে শেষ হবে, কবে নাগাদ তাদের ফিরতে দেওয়া হবে; সে বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ইসরায়েল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমতীরে এক হাজার অবৈধ বসতি নির্মাণ করবে ইসরায়েল
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী চলতি বছর পুরোটাই অবস্থান করতে পারে।’ নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যতদিন প্রয়োজন, সেনাবাহিনী ততদিন অবস্থান করবে।’
২০০২ সালে শেষবার পশ্চিম তীরে সাঁজোয়া যান পাঠিয়েছিল ইসরায়েল। সে সময় শক্তহাতে ফিলিস্তিনি আন্দোলন দমন করেছিল তেলআবিব।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক অভিযানকে অবৈধ আগ্রাসন হিসেবে নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানে পশ্চিমতীরের অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
জেনিন থেকে পালিয়ে আসা এক ফিলিস্তিনি মোহাম্মদ আল-সাদি বলেছেন, ‘পশ্চিম তীরের ভূমি আমাদের অধিকার। আমাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের বাত ইয়াম ও হোলোন শহরের পার্কিং লটে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটে।
ওই ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গভীর রাতে নিরাপত্তা পর্যালোচনা শেষে পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক ঘোষনার মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সময় ‘অপমানজনক অনুষ্ঠান’ করার অভিযোগ এনে ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি আটকে দেয় ইসরায়েল প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল-হামাস দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চুক্তির মধ্যস্ততাকারী দেশ মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বন্দিদের মুক্তি না দিলে কোনো চুক্তি হবেনা বলে জানিয়েছে হামাস। চুক্তির আলোচনা নিয়ে অগ্রগতি নিয়ে ইসরায়েল প্রশাসন থেকেও দেখা যায়নি কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ।
৩০৮ দিন আগে
জার্মানিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে রক্ষণশীলরা
জামার্নির নির্বাচনের বুথফেরত জরিপের ফলাফলে জয়ী হয়েছে ফ্রিডরিখ মেরৎসের রক্ষণশীল দল ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন (সিডিইউ )। পাশাপাশি উত্থান ঘটেছে কট্টর ডানপন্থিদের। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয় দেশটির ২১তম পার্লামেন্ট নির্বাচন।
নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দল হিসেবে জামার্ন চ্যান্সেলর হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে চলেছেন ফ্রিডরিখ মেরৎস। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেলেও কট্টর ডানপন্থিদের সঙ্গে জোট বাঁধতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মেরৎস।
নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, জামার্নির পার্লামেন্ট বুন্দেসটাগে ৬৩০ আসনের মধ্যে মেরৎসের সিডিইউ পেয়েছে ২০৮টি আসন। অন্যদিকে এএফডি নিশ্চিত করেছে ১৫২টি আসন। তবে তাদের সঙ্গে জোট না বাঁধার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সিডিইউপ্রধান।
বুন্দেসটাগে ১২০ আসন পাওয়া মধ্য-বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটসদের সঙ্গে জোট সরকার গঠিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনের আভাস দিয়ে জার্মানিতে চলছে ভোটগ্রহণ
স্থানীয় সময় রবিবারে এক সাক্ষাৎকারে মেরৎস বলেন, তার লক্ষ্য ইউরোপকে শক্তিশালী করে তোলার মাধ্যমে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের বলয় থেকে বের হয়ে এসে স্বাধীনভাবে ইউরোপকে পরিচালনা করা। আগামী ইস্টারের আগেই তিনি সরকার গঠন করবেন বলেও জানান।
এসময় তিনি এএফডিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্কের সমর্থনের অভিযোগ তুলে তাদের সঙ্গে জোট না বাঁধার কথাও জানান। একারণে জোট সরকার গঠনের আলোচনা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
তবে সমালোচনা থাকলেও সবার নজর কেড়েছে অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার বিষয়টি। এর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো শক্ত অবস্থান গড়েছে কোনো কট্টর ডানপন্থি দল।
স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এএফডির নেতারা। জার্মানির নাৎসী অতিত এতদিন যে প্রাচীর হয়ে ছিল দলটির জন্য তা ভাঙতে পেরেই খুশি অভিবাসন বিরোধী, রুশপন্থি এই কট্টর ডানপন্থি দলটি। দ্য ফিনান্সিয়াল পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দলটির প্রধান এলিস উইদেল আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
অভিবাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নাটকীয় পট পরিবর্তনের ইঙ্গিতের মধ্যেই ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জার্মানির অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের চাপ এই নির্বাচনী প্রচারণাকে প্রভাবিত করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে মেরৎসের কঠোর অভিবাসন নীতির দাবি রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করেছিল। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কে অনিশ্চয়তার মধ্যেই এই নির্বাচনে নজর ছিলো পুরো বিশ্বের।
৩০৮ দিন আগে
ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা রাশিয়ার
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রাতভর দুই শতাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।-খবর এনডিটিভির
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা।’
এই হামলাকে ‘আকাশ সন্ত্রাস’ আখ্যা দিয়ে মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার তৃতীয়বার্ষিকীর রাতে ২৬৭টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।’
ইউক্রেনের শহর ও গ্রামগুলোতে ইরানি ড্রোন হামলা শুরু করার পর এটিই ছিল সবচেয়ে বড় আঘাত বলে জানান জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হয়ে যেতে পারে ইউক্রেন: ট্রাম্প
ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ‘১৩৮ বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। আর ১১৯টি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এ সময়ে রাশিয়া তিনটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে। এতে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিতে গেল কয়েক মাস ধরে দেশটিতে সমন্বিত ড্রোন হামলা চালাচ্ছে মস্কো। জেলেনস্কি বলেন, ‘গেল সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ১৫০টি ড্রোন, এক হাজার ৪০০ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলায় সক্ষম বোমা ও বিভিন্ন ধরনের ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।’
এ সময়ে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। ন্যায় ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।
৩০৯ দিন আগে
পরিবর্তনের আভাস দিয়ে জার্মানিতে চলছে ভোটগ্রহণ
অভিবাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নাটকীয় পট পরিবর্তনের ইঙ্গিতের মধ্যেই ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে হচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে জার্মানি নতুন একটি সরকার গঠনের পথে রয়েছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মধ্য ডানপন্থি দল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ভোটে এগিয়ে রয়েছে, তবে দেশটির কট্টর ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানিও (এএফডি) ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো শক্ত অবস্থান গড়তে চলেছে কোনো কট্টর ডানপন্থি দল।
আরও পড়ুন: জার্মানির আউসবিল্ডুং: যোগ্যতা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি
দেশটির পার্লামেন্ট বুন্দেসটাগের নিম্নকক্ষে আসনসংখ্যা ৬৩০টি। সাধারণত বুন্দেসটাগে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। এবারের নির্বাচনেও জোট সরকার গঠিত হবে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে এবারের নির্বাচনে একটি নজিরবিহীন পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। এএফডির জনপ্রিয়তার ফলে সরকার গঠনে দলটির সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর কোনো একটি। এতে করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম কোনো কট্টর ডানপন্থি দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
জার্মানির এই আগাম নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটসকে (এসপিডি) পেছনে ফেলে নির্বাচন-পূর্ববর্তী জরিপে এগিয়ে ছিল অভিবাসন-বিরোধী দল এএফডি।
জরিপে দেখা যায়, এসপিডির পক্ষে যেখানে জনসমর্থন ছিল ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ, সেখানে এএফডির পক্ষে ছিল ২০ শতাংশ সমর্থন।
জার্মানির চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের অভিবাসন-বিরোধী মনোভাব দেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে।
গত নভেম্বরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের এসপিডির নেতৃত্বে ২০২১ সালে গঠিত জোট সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয়। এরপর সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন শলৎস। পরবর্তীতে বুন্দেসটাগে আস্থা ভোটে হেরে যান চ্যান্সেলর। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের ৭ মাস আগেই দেশটিতে নিবাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
৩০৯ দিন আগে
মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন, চলছে প্রস্তুতি
ফোনালাপ পর্ব শেষে এবার মুখোমুখি বসতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ায় তার সমকক্ষ ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বের আলোচিত এই দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গেল তিন বছর ধরে চলা মার্কিন নীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। পুতিন-ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠকে শুধু ইউক্রেন যুদ্ধ নয়; বৈশ্বিক নানা বিষয়ে বৃহত্তর পরিসরে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
সের্গেই রিয়াবকভ জানান, ‘এই বৈঠক দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ। তবে বৈঠক আয়োজন একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-ট্রুডোর ফোনালাপ
এ সময় বৈঠকের প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশ দুটির রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানান ট্রাম্প। তাদের দীর্ঘ ফোনালাপের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয় তখন। ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’
ওভাল অফিসের বৈঠকের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘তিনি ও রুশ প্রেসিডেন্ট একমত হয়েছেন, তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক দল অবিলম্বে আলোচনা শুরু করবে এবং আলোচনার জন্য একে অপরকে নিজেদের রাজধানীতে আমন্ত্রণ জানাবে।’
এরপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদির দিরিয়াহ প্রাসাদে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-জেলেনস্কি দ্বন্দ্বে
তবে সেই বৈঠকে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইউক্রেনের প্রসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিয়েভকে ছাড়া করা বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ার কথাও সুস্পষ্ট করে জানান দেন তিনি।
এছাড়াও আলোচনায় ইউরোপকে অর্ন্তভুক্ত না করায় তাদের পাশ কাটিয়ে শান্তি চুক্তির আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় নেতারা।
৩০৯ দিন আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-ট্রুডোর ফোনালাপ
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ নেতাদের বৈঠক সামনে রেখে কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন যুদ্ধ ও অবৈধ মাদক ফেনটানিল নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে। এক বিবৃতিতে ট্রুডোর কার্যালয় এমন তথ্য দিয়েছে।
এমন এক সময়ে দুই নেতার মধ্যে এই কথা হয়েছে, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রোমানিয়া, পোল্যান্ডের নেতৃবৃন্দ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান ও ন্যাটো মহাসচিবের সঙ্গে জোট জি৭ নেতাদের সোমবার আলোচনার করার কথা রয়েছে। কানাডীয় পত্রিকা কোস্ট রিপোর্টার এমন খবর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-জেলেনস্কি দ্বন্দ্বে
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘ট্রাম্প ও ট্রুডো দুজনই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চাচ্ছেন। তারা সোমবারের আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছেন।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রুডো বলেন, ‘বছরতিনেক আগে রুশ অভিযানের মধ্য দিয়ে যে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সেটির অবসানের যেকোনো আলোচনার টেবিলে ইউক্রেনের জন্য একটি আসন থাকা দরকার।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই কী ইউক্রেন জয়ের পথে রাশিয়া?
এরআগে গেল সপ্তাহে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রুশ ও মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কাজ করতে দুপক্ষ একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। যদিও বৈঠকে ইউক্রেন কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।
ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধ শুরু করা ঠিক হয়নি। আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ হতো না।’
৩০৯ দিন আগে
চুরির কার্ড দিয়ে লটারি জিতে বিপাকে ফ্রান্সের বিখ্যাত চোরেরা
ফ্রান্সে চুরি করা কার্ড ব্যবহার করে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার মার্কিন ডলারের একটি লটারি জিতেছেন একদল চোর। কিন্তু টাকাটা হাতে নেওয়ার আগেই উধাও হয়ে গেছেন তারা। এখন তারা ফ্রান্সের সবচেয়ে বিখ্যাত চোরের খ্যাতি পেয়েছেন।
যে ব্যক্তির কার্ড চুরি হয়েছে, পুলিশি নথি অনুসারে তার নাম জঁ-ডেভিড ই। এবার বিজয়ীর সঙ্গে লটারির অর্থ ভাগাভাগি করতে চাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের ওয়ালেটটিও ফেরত দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।-খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন ওই চোরেরা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশটির রাষ্ট্রীয় লটারি পরিচালক লা ফ্রঁসেজ ডেস জো (এফডিজে) জানিয়েছে, ‘অর্থ নেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কেউ টিকিট জমা দিতে আসেনি।’
আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সির ১৫০ কোটি ডলার চুরি
জঁ-ডেভিডের আইনজীবী পিয়েরে ডেবুইসন বলেন, ‘এটা একেবারেই অবিশ্বাস্য কাহিনী। কিন্তু এটা সত্যি।’
চলতি মাসের শুরুতে জঁ-ডেভিড জানতে পারেন যে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তুলু থেকে তার ব্যাকপ্যাক চুরি হয়ে গেছে। যেটির মধ্যে তার ব্যাংক কার্ড ও নথিও ছিল। কার্ডটি বন্ধ করে দিতে ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু এরইমধ্যে জানতে পারেন যে স্থানীয় একটি দোকানে কার্ডটি ব্যবহার হয়েছে।
ওই দোকানি বলেন, ‘এক গৃহহীন লোক তার কাছ থেকে একটি লটারির টিকিট কিনিছেন। তারা এতোই আনন্দিত ছিল যে তাদের সিগারেট ও অন্যান্য জিনিসপাতি নিতেও ভুলে গেছেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে তারা এখান থেকে চলে গেছেন।’
এরপর ওই চোরদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন জঁ-ডেভিড। কিন্তু চোরেরা যদি ধরা দিয়ে তার সামনে চলে আসেন, তাহলে মামলা তুলে নিতে চান তিনি। পাশাপাশি লটারিতে জেতা অর্থও ভাগাভাগি করতে চান।
স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে জঁ-ডেভিড বলেন, ‘তারা না-হলে কেউই এই লটারি জিততে পারত না। কিন্তু আমাকে ছাড়াও তারা অর্থ তুলতে পারবে না।’ চোরেরা যাতে তার সাথে যোগাযোগ করে একটি চুক্তিতে আসেন, সে কারণে তার আইনজীবী প্রচারও চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাকের পেছন থেকে ১ লাখ ডিম চুরি
চোরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কোনো ঝুঁকি নেই। আমরা অর্থ ভাগ করে নিতে পারি। আপনাদের জীবন বদলে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যাবে। সময় চলে যাচ্ছে, টিকিটের মেয়াদ পার হয়ে যেতে পারে।’
৩০৯ দিন আগে