বিশ্ব
পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থার অবনতি
রোমান ক্যাথলিকদের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। স্থানীয় সময় রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোপের অবস্থা গতকাল শনিবারের চেয়ে অবনতি হয়েছে।’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়, নিউমোনিয়া ও ফুসফুস সংক্রমণের কারণে নাজুক শারীরিক অবস্থায় রয়েছেন পোপ। তিনি অ্যাজমা সংক্রান্ত শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন। তবে ৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরুর হুঁশ আছে।
তাকে শ্বাপ-প্রশ্বাস চালিয়ে নেওয়ার জন্য উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। শরীরে প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসের দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। এছাড়িাও তার ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি শ্বাসনালির প্রদাহে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে রোমের জেমেল্লি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রিন্স আগা খান চতুর্থ আর নেই
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পবিত্র পিতার অবস্থা এখনো গুরুতর। পোপ এখনো বিপদমুক্ত নন।’ গত শুক্রবার তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরে এই প্রথম ‘গুরুতর’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসের চিকিৎসক ডা. সার্জিও আলফেরি জানান, পোপ জানেন তার শারীরিক অস্থা ভালো নয়। তিনি চান তার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে খোলাখুলি তথ্য দেওয়া হোক। এ কারণে ভ্যাটিকান থেকে প্রতিদিন তার শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২১ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিসের ফুসফুসের একটি অংশ অপসারণ করতে হয়েছিল। পরে তার ফুসফুসের চারপাশে এক ধরনের প্রদাহ তৈরি হয়। সে কারণে তিনি ফুসফুস সংক্রমণের ঝুঁকিতে ছিলেন।
গত ১২ বছরে এই পোপকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের মার্চ ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ৩ রাত হাসপাতালে ছিলেন।
৩০৯ দিন আগে
ভারতে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৮ শ্রমিকের ভাগ্য অনিশ্চিত
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানায় একটি নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া আট শ্রমিকের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করতে না পাড়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তাদের ভাগ্য।
তাদের উদ্ধারকারী দলের তদারকির দায়িত্বে থাকা এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা শ্রমিকদের উদ্ধারে নতুন করে তৈরি করা রাস্তাতেও বাধার মুখে পড়েছেন।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ধসে পড়া অংশটি দুর্গম। আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাদের বিকল্প পথ খুঁজতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৭ জনের প্রাণহানি
শনিবার সকালে তেলেঙ্গানার নাগারকুর্নুল জেলায় শ্রীশৈলম লেফট ক্যানেল (এসএলবিসি) প্রকল্পের ওপরের একটি অংশ হঠাৎ ধসে পড়ে।
যখন র্দুঘটনাটি হয় তখন সেখানে একটি লিকেজ মেরামতের জন্য সুড়েঙ্গের ভিতরে প্রায় ৫০ জন শ্রমিক ছিলেন। বাকিরা বের হয়ে আসতে পারলেও আটজন ভেতরে আটকে পড়েন।
আটকেপড়াদের মধ্যে দুজন প্রকৌশলী, দুজন কারিগরি কর্মী ও চারজন শ্রমিক রয়েছেন।
৩০৯ দিন আগে
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করল ইসরায়েল: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
আরও জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় চলমান ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করেছে ইসরায়েল। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইসরায়েল এই ঘোষণা দেয়।
শনিবার হামাস ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েল প্রায় ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে আশা করা হয়েছিল। তিন ধাপের চুক্তির প্রথম ধাপে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও জীবিত জিম্মিদের মধ্যে এই ছয়জনই ছিল শেষ দল।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, 'লজ্জাজনক অনুষ্ঠান ছাড়াই পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত' শনিবারের নির্ধারিত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করে এমন লজ্জাজনক (জিম্মি মুক্তি) অনুষ্ঠান এবং প্রচারণার উদ্দেশ্যে জিম্মিদের নিন্দনীয় ব্যবহারসহ বারবার লঙ্ঘন করেছে হামাস।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা ফিলিস্তিনি নারীর
হামাস এবং ইসরায়েল উভয়ের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য বন্দীদের ব্যবহার করার
অভিযোগ রয়েছে। হামাস মঞ্চে জিম্মিদের ওঠায় এবং ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দীদের পরিহিত ব্রেসলেট এবং টি-শার্টে অবমাননাকর লেখা সংযুক্ত করে এবং অসম্মানজনক ভঙ্গিতে তাদের ছবি তোলে।
ইসরায়েলি তথ্য অনুযায়ী, মোট ৬৩ জন জিম্মি গাজায় রয়ে গেছে, যাদের অর্ধেকেরও বেশি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩০৯ দিন আগে
হত্যা মামলায় ৩০ বছর জেল খাটার পর নির্দোষ প্রমাণিত
ত্রিশ বছর ধরে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন তিনি, কিন্তু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। ফলে জেলের চার দেওয়ালেই কাটাতে হয়েছে তার জীবনের তিনটি দশক। তবে ত্রিশ বছর পরে হলেও বিচারকের মুখ থেকে তিনি শুনেছেন, ‘আপনি নির্দোষ। দণ্ডাদেশ বাতিল করা হলো।’
বলছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের গর্ডন কর্ডেইরো নামে এক ব্যক্তির কথা। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করে রায় দিয়েছে হনুলুলুর একটি আদালত।
এদিন রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন কর্ডেইরো। নিজের কানকেই তিনি যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। রায় ঘোষণার এই দিনটিকে তিনি ‘ফ্রিডম ফ্রাইডে’ বলে আখ্যা দেন।
১৯৯৪ সালে মালাউই দ্বীপে টিমোথি ব্লেইসডেল হত্যা মামলায় জেল খাটছিলেন কর্ডেইরো। মাদক কারবার চলাকালে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে খুন হন ব্লেইসডেল। ওই মামলার প্রাথমিক সন্দেহভাজন ছিলেন কর্ডেইরো।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাকের পেছন থেকে ১ লাখ ডিম চুরি
হত্যা মামলার প্রথম শুনানিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে জুরি বোর্ড। মাত্র একজন বিচারক তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন; কিন্তু পরে তাকে খুন, ডাকাতি ও হত্যা চেষ্টার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলার শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন কর্ডেইরো। দণ্ডাদেশ পাওয়ার পরও তিনি নিজের দাবিতে অটল ছিলেন।
মুক্তির পর তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চেষ্টা করা সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন কর্ডেইরো। ছাড়া পাওয়ার পর প্রাথমিক অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশেষে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারব।’
এর আগে, শুনানি চলাকালে নতুন ডিএনএ নমুনা পাওয়া গেলে হাওয়াই ইনোসেন্স প্রজেক্ট তার মুক্তির জন্য দাবি জানায়।
হাওয়াই ইনোসেন্স প্রজেক্টের সহকারী নির্বাহী কেনেথ লসন বলেন, এটি অত্যন্ত আবেগঘন একটি মুহূর্ত ছিল।
‘তিনি কেঁদেছেন, তার সঙ্গে আমরাও সবাই কেঁদেছি। কর্ডেইরো বিশ্বাস করতেন যে একদিন সত্যিটা বের হবে... কিন্তু দুটি বিচার প্রক্রিয়া পার করার পর বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ন্যায়বিচারই পেলেন।’
কর্ডেইরোর আইনজীবীর অভিযোগ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলার জন্য পুলিশ ‘৪ কয়েদির’ বয়ানের ওপর ভরসা করেছেন।
তার দাবি, ওই চার সাক্ষ্যকে সাজা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্ডার-ফর-হায়ার, অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে কর্ডেইরো ওই হত্যা করেছেন—এমন বানোয়াট বয়ান দেয়। ফলে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
তবে শুক্রবারের রায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য ব্যবহার করার কোনো প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে আদালত।
কেনিথ জানান, ঘটনার দিন কর্ডেইরোর ঘটনাস্থলে না থাকার যথেষ্ট প্রমাণ থাকা স্বত্ত্বেও তা মানা হয়নি। সম্প্রতি নিহত ব্লেইসডেলের শরীরের পাওয়া ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই নমুনার সঙ্গে কর্ডেইরোর ডিএনএ মেলেনি, বরং অজ্ঞাত একটি ডিএনএ নমুনা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তি পান কর্ডেইরো।
পুলিশের গাফিলতির কারণে একজন নিরাপরাধ ব্যক্তি বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। তার পুরো পরিবার এতগুলো বছর ধরে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করেছেন বলে বিচারাদেশের পর অভিযোগ করেন তার আইনজীবী।
৩১০ দিন আগে
দুই জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, ইসরায়েল মুক্তি দিল ৬০২ বন্দিকে
যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ৬ জিম্মির দুজনকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বাকিদেরও ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় সময় শনিবারে (২২ ফেব্রুয়ারি) তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ৬০২ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
এই বন্দি বিনিময়ের মধ্য দিয়ে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। ওই ছয় জিম্মির মধ্যে রয়েছেন, এলিয়া কোহেন (২৭), তাল শোহাম (৪০), ওমরশেম তোভ (২২) ও ওমর ওয়েনকার্ট (২৩)।
ইসরায়েল থেকে যারা মুক্তি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। এছাড়া মুক্তি পাওয়া আরও ৬০ বন্দি দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলে কারাদণ্ড ভোগ করে আসছিলেন। আরও রয়েছেন আগে বন্দিবিনিময় চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছিলেন এমন ৪৭ জন। মুক্তি পেতে যাওয়া বাকি ৪৪৫ জন গাজায় যুদ্ধচলাকালীন আটক হয়েছিলেন।
দোহাভিত্তিক আল-জাজিরার খবর বলছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আরও পড়ুন: হামাস একটি অজ্ঞাত লাশ ফেরত দিয়েছে, অভিযোগ ইসরায়েলের
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার হামাসের সদস্যদের হাতে জিম্মি হয়েছিলেন তারা। তবে হিশাম আল-সায়েদ (৩৬) ও আভেরা মেঙ্গিস্তু (৩৯) প্রায় এক দশক আগে গাজায় প্রবেশ করার পর হামাসের হাতে আটক হয়েছিলেন।
এর আগে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বেশ কয়েকবার ভাঙনের মুখে পড়লেও ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া চুক্তিটি শেষ হয়েছে। চুক্তির শর্তানুসারে প্রথম ধাপে ৩৩ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এরই মধ্যে বেশির ভাগ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। কয়েকশ ফিলিস্তানিও ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় চলমান বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে জিম্মি অবস্থায় মারা যাওয়া চার ইসরায়েলির লাশ ফেরত দেয় হামাস। যাদের মধ্যে ছিল ইসরায়েলের কেফির বিবাস ও এরিয়েলের সঙ্গে তাঁদের মা জিম্মি শিরি বিবাসের মরদেহ।
আরও পড়ুন: হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা
তবে কেফির ও এরিয়েলের মরদেহ শনাক্ত করা গেলেও শিরির মরদেহের স্থলে অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ শনাক্ত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। অজ্ঞাতনামা মরদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বোনয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন।
তবে হামাস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত শিরি ও তাঁর দুই ছেলের মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের পর শিরির দেহ অন্য মরদেহের সঙ্গে মিশে গেছে বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) হামাস আরেকটি মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। ওই মরদেহটি শিরির বলে ইসরায়েলি ফরেনসিক কর্মকর্তারা পরিচয় নিশ্চিত করেছেন বলে নিহতের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।
চলমান এই অস্থিরতা স্বত্তেও শনিবার ৬ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে হামাসের সমরিক শাখা কাশেম ব্রিগেড। আগামী সপ্তাহে আরও ৪ মরদেহ হস্তান্তরের কথা রয়েছে হামাসের।
যুদ্ধ বিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে ৬৪ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির কথা রয়েছে, বিনিময়ে মুক্তি পাবেন কয়েক শ ফিলিস্তিনি। তবে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
৩১০ দিন আগে
শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুদ্ধবিমানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ও চার তারকাবিশিষ্ট পাইলট সি কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করে এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর পেন্টাগনে যে অস্থিরতা চলছে, তার সর্বশেষ ঘটনা এটি।
শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) এক ঘোষণার মাধ্যমে জেনারেল ব্রাউনকে অপসারণ করে বিমানবাহিনীর তিন তারকাবিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ড্যান কেইনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, এই সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ যাকে অপসারণ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করা দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি তিনি। বাইডেন প্রশাসনের সময়ে এ পদে নিয়োজিত হয় ব্রাউন।
একজন সম্মানিত ও দায়িত্বশীল পাইলটকে অপসারণের এ সিদ্ধান্তকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের চলমান বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচিতে (ডিইআই) নিয়োজিত সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার প্রকল্পের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ে ৯ জনের মৃত্যু
স্থানীয় সময় শুক্রবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে ৪০ বছরে সেবা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প। এ সময়কে ব্রাউনকে তিনি একজন ভদ্রলোক ও অসাধারণ নেতা হিসেবে অভিহিত করে তাকে ও তার পরিবারকে শুভকামনা জানান।
ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের পুলিশি হত্যার পর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে প্রকাশ্য সমর্থন দেওয়ায় ব্রাউন সামরিক বাহিনীতে লক্ষ্যবস্তু হয়। সামাজিক ন্যায়বিচার, বর্ণবাদ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সামারিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের বিরোধীতাকারী ট্রাম্প প্রশাসন।
পেন্টাগন আগামী সপ্তাহ থেকে ৫ হাজার ৪০০ জন বেসামরিক প্রবেশনারি কর্মী ছাঁটাই করার পাশাপাশি আগামী বছর বাতিল করা যেতে পারে এমন ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কর্মসূচি চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জেনারেল ব্রাউনের পাশাপাশি নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি ও বিমান বাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল জেমস স্লিফকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
নৌবাহিনীর প্রধান লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এবং নৌবাহিনীর প্রথম নারী প্রধান ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের আকাশছোঁয়া দাম
জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি শুনানিতেই ব্রাউনকে অপসারণ করার ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি হয়। তাকে বরখাস্ত করা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেগসেথ বলেন, ‘সব সিনিয়র কর্মকর্তাকে যোগ্যতা, যুদ্ধক্ষমতা ও আইনের আদেশ পালনে তাদের অঙ্গীকারের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।’ ব্রাউনের মনোযোগ ডিইআই-এ সামরিক দায়িত্বের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
হেগসেথ এর আগেও ব্রাউনকে লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন। নভেম্বরে এক অনুষ্ঠারে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘সবার আগে আপনাকে জয়েন্ট চিফসের চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করতে হবে।’
এছাড়া তার এক বইয়ে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণেই ব্রাউন এই পদ পেয়েছিলেন কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন হেগসেথ।
৩১০ দিন আগে
ক্রিপ্টোকারেন্সির ১৫০ কোটি ডলার চুরি
অত্যাধুনিক হ্যাকের শিকার হয়েছে ডিজিটাল মূদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সির ১৫০ কোটি ডলার। প্রধান একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অনলাইন চুরির ঘটনা।
বাইবিট শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, ডিজিটাল ওয়ালেটগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথেরিয়ামের একটি নিয়মিত স্থানান্তরে একজন আক্রমণকারী ‘কারচুপি’ করেছে। এর মাধ্যমে তিনি ক্রিপ্টোটিকে একটি অজ্ঞাত ঠিকানায় স্থানান্তর করেছেন।
এক্সচেঞ্জে তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সির ঠিকানাগুলো নিরাপদ রয়েছে বলে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, হ্যাকিংয়ের খবরে কারেন্সি তুলে নেওয়ার অনুরোধ বেড়েছে এবং সেগুলো প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: ফিলিপাইনের সাবেক ব্যাংক ম্যানেজারের কারাদণ্ড
বাইবিটের প্রধান নির্বাহী বেন ঝৌ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, হ্যাক হওয়া ক্রিপ্টো পুনরুদ্ধার না হলেও তার কোম্পানি সচ্ছল থাকবে।
তিনি বলেন, 'আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।‘
ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করা হ্যাকারদের একটি প্রিয় কৌশল। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় হ্যাকাররা, বিশেষত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি উচ্চ-ডলারের ক্রিপ্টো চুরির ঘটনায় জড়িত হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে জাপানের এফবিআই, প্রতিরক্ষা বিভাগ ও ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে জাপানের একটি ক্রিপ্টো ফার্ম থেকে ৩০৮ মিলিয়ন ডলার চুরির জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের দায়ী করে।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ চুরি: জরিমানা করা অর্থ চায় ঢাকা
৩১০ দিন আগে
হামাস একটি অজ্ঞাত লাশ ফেরত দিয়েছে, অভিযোগ ইসরায়েলের
যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় চলমান বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে জিম্মি অবস্থায় মারা যাওয়া চার ইসরায়েলির লাশ ফেরত দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েল বলেছে, তারা ফরেনসিক বিশ্লেষণ নিশ্চিত করেছে যে, হামাসের কাছ থেকে জিম্মি শিরি বিবাসের লাশ হিসেবে পাওয়া মৃতদেহটি তার নয়। শিরি বিবাসের লাশ তার দুই সন্তান এবং অন্য এক ইসরায়েলির লাশের সঙ্গে হস্তান্তর করার কথা ছিল।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফরেনসিক মেডিসিন শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় জানা গেছে, লাশটি পরিচিত কোনো জিম্মির নয়। এতে বলা হয়, ‘এটি একটি সাধারণ ও অপরিচিত ব্যক্তির মৃতদেহ।’
আরও পড়ুন: দামেস্কে পা রাখতে পেরে আপ্লুত দুই ইহুদি ধর্মাবলম্বী
হামাস চার জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
বিবাসের দুই ছেলের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত হওয়ার সময় এরিয়েলের বয়স ছিল চার বছর এবং কাফির বিবাসের বয়স ছিল ১০ মাস।
ইসরায়লি সেনাবাহিনী বলেছে, 'আমাদের কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্য এবং শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার ফরেনসিক তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের নভেম্বরে এরিয়েল ও কাফিরকে বন্দি অবস্থায় সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’
কিব্বুটজ নীর ওজের বাড়ি থেকে মায়ের সঙ্গে শিশুদের অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের বাবা ইয়ার্ডেন বিবাসকে আলাদাভাবে নেওয়া হলেও ১ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে আরেক জিম্মি অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও শান্তি কর্মী ওদেদ লিফশিটজের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা
৩১১ দিন আগে
ইউরোপকে জেগে ওঠার আহ্বান গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর
ইউরোপকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও ইউরোপীয় দেশগুলোর স্বার্থরক্ষায় সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস। এ সময় ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠনের ওপরও গুরুত্ব দিন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই বক্তব্য দেন মিতসোতাকিস।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি ) গ্রিসের থেসলানোকির একটি বাণিজ্যিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন মিতসোতাকিস।
সম্প্রতি ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে বাদ দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়; বিতর্কিত মন্তব্যও করে যাচ্ছেন অনবরত। ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে ঝুঁকছেন রাশিয়ার দিকে।
যুক্তরাষ্ট্রের এহেন কর্মকান্ড খোদ দেশটিরই বহুদিনের পররাষ্ট্রনীতির বড়সড় পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করছে। চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ইউরোপের নেতারাও।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-জেলেনস্কি দ্বন্দ্বে
মঙ্গলবারে সৌদি আরবে রুশ-মার্কিন বৈঠক নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা তখন ট্রাম্প ও জেলেনস্কির দ্বন্দ্ব ইউরোপের নেতাদের চিন্তা আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, ট্রাম্প ‘রাশিয়ার বিভ্রান্তিকর তথ্যের ফাঁদে’ পড়েছেন। কিয়েভকে ছাড়া করা বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ার কথাও সুস্পষ্ট করে জানান দেন তিনি।
তার বক্তব্যের জবাবে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে দ্রুতই আলোচনার টেবিলে বসতে জেলেনস্কিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। এ সময় জেলেনস্কিকে ‘অনির্বাচিত স্বৈরশাসক’ বলেও আখ্যা দেন তিনি।
দুই নেতার এই দ্বন্দ্ব ইউরোপীয়দের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ইউরোপে যে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠতে উদ্যোগ নিতে হবে তাদের।
এ সময় মিতসোতাকিস বলেন, ইউরোপের নিজস্ব একটি সেনাবাহিনী প্রস্তুত করার দাবি বেশ পুরনো। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ও দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে যে পরিবর্তন দেখা দিয়েছে; তা ইউরোপের সেনাবাহিনী গঠনের যে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা তা বাস্তবায়নকে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।
এর আগে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই কী ইউক্রেন জয়ের পথে রাশিয়া?
মূলত, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর উপরই নির্ভরশীল ইউরোপের দেশগুলো। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ক্রমাগত ইউরোপকে প্রতিরক্ষায় বেশি বিনিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প ।
শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইউরোপকে অবশ্যই আরও বেশি সামরিক শক্তি প্রদর্শন করতে হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলোর নতুন করে নিজেদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বৈশ্বিক কূটনৈতিকবৃন্দ।
৩১২ দিন আগে
দামেস্কে পা রাখতে পেরে আপ্লুত দুই ইহুদি ধর্মাবলম্বী
প্রায় তিন দশক পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক শহরে পা রেখেছেন দুই ইহুদি ধর্মাবলম্বী। এসময় বাবা রাব্বি জোশেফ হামরা ও ছেলে হেনরি দামেস্কের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি সিনাগগে (ইহুদি উপাসনালয়) হিব্রু ভাষায় হাতে লেখা একটি তাওরাত পাঠ করেন। বহুবছর বছর পর নিজ দেশে পা রাখতে পেরে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা। খবর আরব নিউজের।
বিংশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে জোসেফ হামরা ও ছেলে হেনরি সিরিয়া ছেড়ে পাড়ি জমান নিউ ইয়র্কে। সে সময়ে সিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল-আসাদ দেশটির ইহুদি সম্প্রদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ার কয়েক হাজার ইহুদির মধ্যে প্রায় সকলেই সিরিয়া ছাড়তে বাধ্য হন। সে সময় জোসেফও পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামসের (এইচটিএস) হাতে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন। এর মাধ্যমে প্রায় ৫০ বছর ধরে চলা আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান ঘটে।
এরপরই জোসেফ হামরার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রচারগোষ্ঠী সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্ক ফোর্সের সহায়তায় দামেস্কে সফরের পরিকল্পনা করেন। সিরিয়াতে এসে তারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
নতুন কর্তৃপক্ষ বলেছে, সিরিয়ার সব সম্প্রদায় তাদের দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে ভূমিকা রাখবে। তারা অসাম্প্রদায়িক দেশগড়ার কথা বললেও ইতোমধ্যে দেশটিতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বেশ কয়েকটির ঘটনা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ কর্মকর্তা নিহত, আহত ১০
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ শেষে ৪৮ বছর বয়সী হেনরি হামরা বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকার ইহুদি ঐতিহ্য রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের সহায়তা চাই, সরকারের নিরাপত্তা চাই।’
ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন দামেস্কের আল-কাদিমা শহরের একটি সরু গলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হেনরি ও জোসেফ তাদের এক সময়ের প্রতিবেশী ফিলিস্তিনি সিরীয়বাসীদের কাছে ছুটে যান।
পরে বেশ কয়েকটি সিনাগগে হাতে আঁকা হিব্রু অক্ষর দেখে অবাক হন। হেনরি বলেন, ‘আমি চাই আমার বাচ্চারা ফিরে আসুক এবং এই সুন্দর উপাসনালয়টি দেখুক। এটি একটি শিল্পকর্ম।’
আল-কাদিমা শহরের সিনাগগ এবং ইহুদি স্কুলটি অপেক্ষাকৃত ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকলেও, দামেস্কের পূর্বাঞ্চলীয় জোবার শহরে অবস্থিত সিরিয়ার সবচেয়ে বড় সিনাগগটি প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বহুযুগ ধরে জোবার ছিল ইহুদি সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। এই শহরে বাইবেলের নবী এলিয়ের সম্মানে নির্মিত এই বৃহৎ সিনাগগটি ধ্বংসের আগে হয়েছিল লুটপাটের শিকার।
৩১২ দিন আগে