বিশ্ব
পশ্চিমতীরে এক হাজার অবৈধ বসতি নির্মাণ করবে ইসরায়েল
ফিলিস্তিন ভুখন্ডের অধিকৃত পশ্চিমতীরে প্রায় এক হাজার অতিরিক্ত ইহুদি বসতি নির্মাণ করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরইমধ্যে তারা দরপত্রও ডেকেছে সেখানে। হামাসের সাথে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাঝেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে পিস নাউ নামের অবৈধ বসতিস্থাপনবিরোধী একটি সংস্থা।
শান্তিবাদী এই সংগঠনটির তথ্যমতে, ইসরায়েলের এই পরিকল্পনাতে অঞ্চলটিতে তাদের অবৈধ বসতি ৪০ শতাংশ বাড়বে। নতুন করে ৯৭৪টি আবাসন ইউনিট স্থাপনের ফলে ফিলিস্তিনি শহর বেথেলহামের উন্নয়নে আরও বাধা সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বসতিস্থাপন পরিকল্পনার পর্যবেক্ষণ শাখার প্রধান হাগিত ওফরান বলেন, ‘নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তিটি অনুমোদন শেষে কাজ শুরু হবে। এতে অন্তত আরও এক বছর সময় লাগতে পারে।’
আরও পড়ুন: গাজায় ‘জাহান্নামের সব দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি ইসরায়েলের১৯৬৭ সালে তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিমতীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের জন্য এই তিন অঞ্চলের অধিকার ফিরে পেতে চায়। এই বসতিগুলোকে তারা শান্তির পথে বড় বাধা হিসেবে গণ্য করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন এই অবৈধ বসতি স্থাপনে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছেন। বাইডেন প্রশাসনের সময়েও বসতিস্থাপন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দ্বিতীয় মেয়াদে শুধু ইসরায়েলকে সমর্থনই নয় বরং কয়েক ধাপ এগিয়ে নিজেই গাজা দখল করতে চেয়েছেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল এরইমধ্যে পশ্চিমতীরে শতাধিক নতুন বসতি স্থাপন করেছে। পাহারের চূড়ার সামরিক ঘাঁটি থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক বসতি স্থাপনে কিছুই বাদ রাখেনি তারা।
আরও পড়ুন: চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ: জিম্মিদের ফেরত দিচ্ছে না হামাস
পশ্চিমতীরে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির বসতি রয়েছে। তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এখানে ইহুদিরা বাস করতে শুর করে। বর্তমানে ৫ লাখের বেশি অবৈধ ইহুদি বাস করছে অঞ্চলটিতে। এই অবৈধ অধিবাসীরা ইসরায়েলের নাগরিক সুবিধা ভোগ করে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিরা পশ্চিমাদের সমর্থিত ইসরায়েলের সামরিক শাসনের অধীনে রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের এই আচরণকে বৈষম্যমূলক দাবি করলেও তা মানছে না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এই পরিকল্পনা সফল হলে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক যে সমাধানের কথা বলা হচ্ছে; তা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না বলে মনে করছে পিস নাউ। এমনকি চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এজন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করে সংস্থাটি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করে হামাস। এ সময়ে বহু বিদেশি শ্রমিকসহ ২৫০ ইসরাইলি নাগরিক ও সেনাসদস্যকে তারা অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এর জবাবে গেল পনেরো মাস ধরে গাজায় নির্বিচারে সামরিক হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়, যা কার্যকর হয় গত ১৯ জানুয়ারি।
তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে স্থানীয় সময় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনো ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানায় হামাসের সামরিক শাখা কাশেম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র। পরবর্তীতে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় বন্দিবিনিময় কার্যকর হয়।
হামাসের এই কার্যক্রমে ক্ষিপ্ত হয়ে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজায় ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়া হবে’ এমন হুমকি দেয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ হুমকি দেন তিনি।
৩১৫ দিন আগে
যুদ্ধ বন্ধে ‘কার্যকর আলোচনায়’ থাকবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয়রা
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা ‘কার্যকর হলে’ পরবর্তীতে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে রাশিয়ার সাথে বৈঠকে শান্তি চুক্তিতে রাশিয়ার আগ্রহ পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ এটি।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন টেলিভিশন সিবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন রুবিও। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে তারা যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা খতিয়ে দেখবে বলে মত দেন মার্কিন এই রাজনীতিবিদ।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একজন মার্কিন আইনপ্রণেতা ও বৈঠকের পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কয়েকদিনের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বসতে যাচ্ছেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কাউকে এই আলোচনায় রাখা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই যুদ্ধ বন্ধে বসতে যাচ্ছে রুশ-যুক্তরাষ্ট্র
এছাড়াও ইউক্রেনে নিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত কেইথ কেলগ জানিয়েছেন, ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা থাকবে না। এর আগে ইউরোপীয় দেশগুলোকে ওয়াশিংটন একটি প্রশ্নাবলি পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে, কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা কী কী অবদান রাখতে পারে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। বৈঠকটি আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। ইতোমধ্যে বৈঠকে অংশ নিতে সৌদি পৌঁছেছেন রুবিও।
তবে রুবিও জানান, ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সফরে তিনি আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেন স্থানীয় সময় রবিবারই (১৬ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে অংশ নিতে সৌদি আরব যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।
ইউক্রেন-ইউরোপীয়দের বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ
তবে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের এই আলোচনায় খোদ ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোতে উদ্বেগ প্রকাশ করে কিয়েভ। এর পাশাপাশি আলোচনায় ইউরোপকে অর্ন্তভুক্ত না করায় তাদের পাশ কাটিয়ে শান্তি চুক্তির আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় নেতারা।
এর আগে, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানায় ট্রাম্প। তাদের মধ্যে ফোনালাপের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।
ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপে ইউরোপীয় দেশগুলো আশঙ্কা করেছে, তাদের বাদ দিয়েই হয়তো এমন একটি শান্তি চুক্তি হতে যাচ্ছে, যা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলবে। বিশেষত সেটি যদি রাশিয়ার অনুকূলে হয়।
তবে তাদের এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, সৌদিতে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার কেবল সূত্রপাত হতে যাচ্ছে। অগ্রগতি হলে অবশ্যই ইউক্রেন ও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।
রুবিও সিবিসিকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপ হয়েছে। সেখানে শান্তির আলোচনায় পুতিনের আগ্রহ দেখতে পেয়েছেন তিনি। সে সময় প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এই সংঘাত বন্ধে ও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজের ইচ্ছা পোষণ করেন।’
তিনি জানান, ‘একটি ফোনকল কখনো যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি আনতে পারে না। আগামী কয়েকদিনের আলোচনা ও বৈঠকটি নিশ্চিত করবে আদৌ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে কিনা।’
আরও পড়ুন: শান্তির পথে ফিরতে চায় ইউক্রেন: জেলেনস্কি
রুবিও নিশ্চিত করেছেন যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা ইউক্রেন কিংবা ইউরোপীয় দেশগুলোকে বাদ দিয়ে হবে না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পুতিনের ফোনালাপের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও টেলিফোনে কথা বলেছেন। একটি দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য একে অপরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে সিবিসিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হলে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান রুবিও। তবে তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার ওপর যে একতরফা নিষেধাজ্ঞাগুলো দিয়েছে, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে তাদের। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে কিনা; তা নিশ্চিত করেননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রৗ।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর গেল তিন বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৩১৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ে ৯ জনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ঝড়ে অন্তত ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ভারী বৃষ্টিতে নদী উপচে পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে এক হাজারেরও বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় ৩৯ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখোমুখি হচ্ছে। এছাড়াও শত শত মানুষ বন্যায় আটকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যায় নিহত ৩, নিখোঁজ ২
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, তার রাজ্যে অন্তত আটজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে রাস্তার পানিতে গাড়ি আটকে। তীব্র বাতাসের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
গেল এক দশকে এটিকে সবচেয়ে বৈরী আবহাওয়া বলে উল্লেখ করেছেন এই মার্কিন রাজনীতিবিদ। এ সময়ে লোকজনকে রাস্তাঘাট থেকে দূরে থেকে ঘরে অবস্থান করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, সবাই রাস্তাঘাট থেকে দূরে থাকুন। এখন উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময়।
ঝড় শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুর্যোগ ত্রাণ তৎপরতার জন্য তার অনুরোধ অনুমোদন করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ এলাকা নতুন করে ভয়াবহ শীতের কবলে পড়েছে। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, ফ্লোরিডা ও জর্জিয়ার কিছু অংশে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৭
কেন্টাকি ও টেনেসির বিভিন্ন অংশে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা। তারা বলেন, কিছু সময়ের জন্য এটা অব্যাহত থাকবে। প্রচুর স্রোত প্রবাহিত হবে এবং বন্যা হবে।
৩১৫ দিন আগে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নয়নে মার্কিন তহবিল বাতিল
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উন্নত করতে দেওয়া মার্কিন সহায়তা বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব গভার্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে দেওয়া ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন এয়ারফোর্স ওয়ান পেতে দেরি, বোয়িং বিমান পরিদর্শন করলেন ট্রাম্প
৩১৫ দিন আগে
নতুন এয়ারফোর্স ওয়ান পেতে দেরি, বোয়িং বিমান পরিদর্শন করলেন ট্রাম্প
নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান সরবরাহে বিলম্বের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একটি বোয়িং বিমান পরিদর্শন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউস এমন খবর দিয়েছে।
পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পার্ক করে রাখা তেরো-বছর-পুরোনো একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ পরিদর্শন করেন ট্রাম্প। কাতারের রাজপরিবারের সাবেক এই বিমানটি বর্তমানে আইলস অব ম্যান নামের একটি কোম্পানি পরিচালনা করছে।
প্রেসিডেন্ট হেসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে একজোড়া ৭৪৭-৮ বিমানের জন্য বোয়িংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন ট্রাম্প। কিন্তু এই বিমান পেতে এখনো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চলমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: ট্রাম্প
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বিমান দুটো সরবরাহের জন্য তাগিদ দেওয়া হলেও অন্তত ২০২৭ সালের আগে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে বোয়িং।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক স্টিভেন চুয়াং বলেন, ‘নতুন কলকব্জা ও প্রযুক্তি যাচাই করে দেখতে একটি নতুন বোয়িং বিমানে ভ্রমণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রতিশ্রুতি অনুসারে নতুন একটি এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান সরবরাহ করতে ব্যর্থতার বিষয়টিই এখানে ফুটে উঠেছে।’
শত শত কোটি মার্কিন ডলার লোকসানের কথা বলে নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান দিচ্ছে না বোয়িং। মার্কিন বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ২০২৪ সালে নতুন একটি এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহের কথা থাকলেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর দ্বিতীয় আরেকটি সরবরাহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৮ সাল।
এই প্রকল্পের খরচ ও সরবরাহে সময়ক্ষেপণ নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করতে দেখা গেছে ট্রাম্পকে। ২০২০ সালে সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক অনলাইন আলাপে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ককে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার কাটছাঁট করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একমত ট্রাম্প-পুতিন, বসবেন সৌদিতে
গেল মাসে বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেলি অর্টবার্গ বলেন, এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে তাদের সহায়তা করছেন ইলন মাস্ক।
এছাড়া এয়ার ফোর্স ওয়ানের রঙ পরিবর্তন করে হালকা নীল থেকে গাঢ় নীল করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এরআগে ট্রাম্পের এই ধারণা নাকচ করে দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কারণ এতে নতুন করে পরীক্ষা দরকার পড়ায় এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহে আরও বিলম্ব হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
৩১৬ দিন আগে
সাইবার অপরাধ: ১০ হাজার শ্রমিককে থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে কারেন বিদ্রোহীরা
মিয়ানমারে বলপূর্বক সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়া ১০ হাজারের বেশি মানুষকে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী। শনিবার ( ১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জাতিগত মিলিশিয়া কারেন বর্ডার গার্ড ফোর্সের (বিজিএফ) মুখপাত্র মেজর নাইং মাউং জো এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
মিয়ানমারের থাই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতারণা কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার করে আনা কর্মীদের দিয়ে জোর করে নানা ধরনের অবৈধ কাজ করানো হয়। সাইবারজগত ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রগুলো।
পাকিস্তানভিত্তিক ডনের খবরে বলা হয়, থাই সীমান্তে গড়ে ওঠা ওই অবৈধ ভবনগুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের হাতে জিম্মি এসব মানুষকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বিজিএফ। এখন তাদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিজিএফ মুখপাত্র জো বলেন, ‘আমাদের ভুখন্ড থেকে সব প্রতারককে বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়েছি। এখন সেটি বাস্তবায়নে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বেপরোয়া মাদক সাম্রাজ্য বিপদ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের
একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১০ হাজার মানুষকে ধীরে ধীরে থাইল্যান্ডে স্থানান্তর করা হবে।’
তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিদিন ৫০০ জন করে শ্রমিককে স্থানান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। এরইমধ্যে ৬১ জনকে থাই সীমান্ত পার করে দেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটির তাক প্রদেশে সীমান্ত নিরাপত্তায় নিয়োজিত একটি সামরিক টাস্কফোর্স মিয়ানমারের বিজিএফের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিককে গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শুক্রবার মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় মেয়াওদি শহরতলিতে গড়ে ওঠা ‘শাও কোক্কো’ নামের একটি ভবনে টহল দিতে দেখা গেছে বিজিএফ সেনাদের। কারেন রাজ্যের সাইবার অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয় এই ভবনটিকে।
৩১৬ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা ব্রাজিলের
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রেডিও ক্লাব ক্লুবাদো পারাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সব ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতা বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ চীনের, গুগলের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি ব্রাজিলের আমদানি করা ইস্পাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র কর আরোপ করে, তবে আমরা বাণিজ্যিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। আমাদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ দেব অথবা সেখান থেকে আমদানি করা পণ্যগুলোর ওপর কর আরোপ করব।’
এই সপ্তাহের শুরুতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এটি ব্রাজিলের ইস্পাত খাতকে প্রভাবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ডো অ্যালকমিন বলেছেন, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পণ্যের বাণিজ্য 'ভারসাম্যপূর্ণ'।
তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য হলো সংলাপ, বোঝাপড়া ও বিকল্প খোঁজার পথ। সেটাই করা হবে।
৩১৬ দিন আগে
ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই যুদ্ধ বন্ধে বসতে যাচ্ছে রুশ-যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কয়েকদিনের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বসতে যাচ্ছেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কাউকে এই আলোচনায় রাখা হচ্ছে না।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একজন মার্কিন আইনপ্রণেতা ও পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।-খবর দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৌদিতে বৈঠকে ইউক্রেন উপস্থিত না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের আলোচনায় ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না কিয়েভ।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মাইকেল ম্যাককল জানিয়েছেন, ‘দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করতে সৌদি সফরে যাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একমত ট্রাম্প-পুতিন, বসবেন সৌদিতে
তবে তারা সৌদি আরবে রাশিয়ার কোনো কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ম্যাককল জানান, সৌদিতে বৈঠকের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হবে। তাদের মূল লক্ষ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করে অঞ্চলগুলোতে চূড়ান্তভাবে শান্তি আনা।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর গেল তিন বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানায় ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে এই বৈঠক হতে পারে বলেও তিনি আভাস দিয়েছিলেন তিনি।
৩১৬ দিন আগে
মালিতে স্বর্ণের খনি ধসে নিহত ৪৮
মালির পশ্চিমাঞ্চলে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি স্বর্ণের খনিতে ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কায়েস অঞ্চলের কেনিবা জেলার দাবিয়া কমিউনের একটি গ্রাম বিলালকোটোতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, খনিতে একদল নারী স্বর্ণের খোঁজার কাজ করার সময় তাদের ওপর কারিগরদের একটি ক্যাটারপিলার মেশিন পড়েছিল।
কর্মকর্তা এবং অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন, ‘৪৮ জন নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান।’ আরও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধ স্বর্ণের খনিতে ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯
সিনহুয়াকে কর্তকর্তারা বলেন, কোনো কোনো সূত্র প্রায় ৫০ জনের মৃত্যুর খবর দিচ্ছে। তবে আপাতত মৃতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা কঠিন, এমনকি প্রাথমিকভাবেও। কারণ, বেশ কিছু ব্যক্তি গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত। এ কারণে যেকোনো মুহূর্তে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দেশটির কৌলিকোরো অঞ্চলের কাঙ্গাবা জেলার ডাঙ্গা এলাকায় একটি স্বর্ণের খনিতে ধসের ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার স্বর্ণের খনিতে ভূমিধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
৩১৬ দিন আগে
নয়া দিল্লিতে রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে নিহত ১৫
নয়া দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদদলিত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জনেরও বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে ১০ নারী ও তিন শিশু রয়েছেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে চলমান আধ্যাত্মিক উৎসব ‘মহা কুম্ভতে’ যোগ দিতে যাওয়ার সময় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
আধ্যাত্মিক উৎসব ‘মহা কুম্ভ’ চলছে। তিনটি নদী গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর মিলনস্থল ‘ত্রিবেণী সঙ্গম’ এ পবিত্র স্নান করতে তীর্থযাত্রীরা যাত্রা করছে। এসময় উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায় একটি ট্রেনে চড়তে রেলওয়ে স্টেশনে প্রচুর লোকের ভিড় হয়েছিল।
নয়া দিল্লি রেল স্টেশনের একটি প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টির পরই পদপিষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাণহানির এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: ভারতে কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৭ জনের প্রাণহানি
৩১৬ দিন আগে