বিশ্ব
দাবানলে ভস্মীভূত লস অ্যাঞ্জেলেস উপকূল
আকস্মিক দাবানলে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ৫০ কিলোমিটার উপকূল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
দাবানলে লস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের বড় বড় ভবন। সৈকত শহর সান্তা মনিকা আর মালিবুর মাঝখানের অন্তত ৩ হাজার একর জায়গাজুড়ে বিখ্যাত প্যাসিফিক পালিসেডস। বড় বড় চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত তারকাদের বাসভবন এ এলাকাজুড়ে। দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এই এলাকাটিতেই।
প্রদেশের গভর্নর গ্যাভিস নিউসম এরইমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছাতে মহাসড়কে ভীড় করছে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে, ধোঁয়া উঠছে। এ ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে।
নগরবাসী জানিয়েছেন, প্রলয়ের গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের গাড়ি নিয়ে পর্যন্ত বের হতে পারেননি। প্রাণে বাঁচতে এক কাপড়ে পালাতে হয়েছে তাদের।
হলিউড অভিনেতা জেমস উড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে জানান, কোনোমতে তিনি পালাতে সক্ষম হয়েছেন।
আগুনের যে তীব্রতা দেখা যাচ্ছে, তাতে বাড়িঘর কিছু টিকে নেই বলে শঙ্কা করেছেন এই অভিনেতা। অনেকেই তাড়াহুড়া করে পালাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। অনেকের হাত-পা পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালালেও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছেন না।
আগুন ধীরে ধীরে সান্তা মনিকা ও মালিবো বন্দরে ছড়িয়ে পড়ছে। এরইমধ্যে বাসিন্দাদের সান্তা মনিকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। হেলিকপ্টারে করে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে পানি এনে ছিটানো হচ্ছে প্রতিনয়ত।
তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাংশ ও উদ্ধারকারী বিমানগুলো নর্থ ক্যালিফোর্নিয়ায় সরিয়ে রাখা হয়েছে। যারা পালাচ্ছেন তাদের অধিকাংশ এ রাজ্যেই আশ্রয় নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত আগুনে ২৫ হাজার মানুষ এবং ১০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বার্তায় জানিয়েছেন, যেকোনো প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাশে পাবে প্রদেশটির গভর্নর। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা বিল অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৩৫৫ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষায় অগ্রাধিকার দিতে হবে: ইউএনএইচসিআর
মানুষের প্রাণ রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ব্যুরোর পরিচালক হেই কিয়ুং জুন বলেন, ‘প্রাণ রক্ষাকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
এমন এক সময় তিনি এ মন্তব্য করলেন যখন প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কয়েক সপ্তাহ সাগরে নৌকায় ভেসে থাকার পর সম্প্রতি এসব দেশে পৌঁছান নারী ও শিশুসহ ৪৬০ রোহিঙ্গা।
এর মধ্যে ৩ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় ১৯৬ জন ও ৫ জানুয়রি ২৬৪ রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার তীরে ভিড়েন। সাগরপথে এই দুঃসহ যাত্রায় অন্তত ১০ রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটেছে। সপ্তাহ তিনেক আগে শ্রীলঙ্কায় মাটিতে নামেন আরও ১১৫ রোহিঙ্গা। এ সময়ে ১০ জনকে তারা সাগরেই হারিয়ে আসেন।থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে পাঠানো এক বার্তায় হেই কিয়ুং জুন বলেন, ‘এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সরকার এই ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের আশ্রয় দিতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রশংসাযোগ্য। তাদের রক্ষায় এসব সরকার ও স্থানীয় প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
নিজ দেশ মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। সাধারণত অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে তারা এসব দেশে পাড়ি জমান। এই সময়ে সাগর শান্ত থাকায় জীবনের ঝুঁকিও তুলনামূলক কম থাকে।
গত বছর ৭ হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা সাগরপথে নৌকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ২০২৩ সালের তুলনায় যা ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় অন্তত সাড়ে ৬ শ’ রোহিঙ্গা মারা গেছেন কিংবা নিখোঁজ হয়েছেন।
এই বিপজ্জনক নৌযাত্রায় শিশুদের অংশগ্রহণও বাড়ছে; মোট যাত্রীর ৪৪ শতাংশই তারা। ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর ৩৭ শতাংশ বেশি শিশু মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরইমধ্যে নারীদের সংখ্যাও বেড়ে প্রায় এক তৃতীয়াংশ হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, গত বছর নতুন একটি প্রবণতা যুক্ত হয়েছে। বর্ষার মৌসুমে ভয়াবহ বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেন। এমনটি আগে কখনও দেখা যায়নি।
এর কারণ হিসেবে ইউএনএইচসিআরের ধারণা, দেশ থেকে পালানোর জন্য বর্ষা মৌসুমকেই নিরাপদ মনে করেন রোহিঙ্গারা।
সাগরেই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাবাহী নৌকা
হেই কিয়ুং জুন বলেন, ‘যদিও নিজেদের সীমান্ত ও নিয়মবহির্ভূত চলাচল নিয়ন্ত্রণের বৈধ অধিকার আছে দেশগুলোর— বিশেষ করে চোরাচালান ও মানবপাচাররোধে। কিন্তু এসব পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ স্থানে পৌঁছাতে মানুষের অধিকারেরও নিশ্চয়তা থাকা দরকার।’
‘তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে আমরা দেশগুলোকে আহ্বান জানাব যাতে জীবিতদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।’
ইউএনএইচসিআর বলছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। এতে আরও অনেক বেশি রোহিঙ্গা দেশটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যেতে বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন।
নিয়মবহির্ভূত নৌচলাচল নিয়ন্ত্রণে দেশগুলোর পারস্পরিক পরিকল্পনা ও সহযোগিতা দরকার, যা এরইমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক ফোরাম বালি প্রসেসে নেওয়া হয়েছে।
চোরাচালান, মানবপাচার ও আন্তর্জাতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতায় ২০০২ সালে বালি প্রসেস গঠন করা হয়। আর শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করে সমুদ্রপথের সুরক্ষায় জোর দিতে দেশগুলোকে উৎসাহিত করছে ইউএনএইচসিআর।
৩৫৫ দিন আগে
তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৫, আহত ১৩০
তিব্বতের কাছে হিমালয়ের উত্তরাঞ্চলীয় পাদদেশে ছয় দশমিক আট মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান ও ভারতের বিভিন্ন ভবনেও এই কম্পনের ঝাঁকুনি লেগেছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়েছে। এটির উৎপত্তিস্থল এভারেস্ট অঞ্চলের উত্তর প্রবেশপথ টিংরি কাউন্টি, যা পর্বতারোহীদের জন্য জনপ্রিয় ও পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট থেকে আশি কিলোমিটার দূরে।
১০ কিলোমিটার গভীর থেকে ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা ভূমিকম্প নেটওয়ার্কস সেন্টার। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, এটির মাত্রা ছিল সাত দশমিক এক শতাংশ।
চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, এতে তিব্বতীয় অঞ্চলের অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৩০ জন। তবে এর বাইরে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় ও ইউরেসিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অংশ, নেপাল ও উত্তর ভারতে প্রায়ই ভূমিকম্প হচ্ছে।
পর্বতারোহীদের জন্য শীতকাল কোনো জনপ্রিয় মৌসুম না। নেপাল জানিয়েছে, তিব্বত সীমান্তের সাতটি পাহাড়ি জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রাণ কিংবা সম্পদহানির ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটার ব্যাসের মধ্যে তিনটি শহর ও ২৭টি গ্রাম আছে। এগুলোর মোট লোকসংখ্যা ৬৯০০ জন।
শিগেইস বিভাগের টিংরি কাউন্টিতেই অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। টিংরির চাংসুও শহরে টংলাই এলাকায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। শিগেইস বিভাগের লোকসংখ্যা প্রায় আট লাখ।
শিগেইস বিভাগের কেন্দ্রীয় শহর শিগেইস তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, এটি শিগাৎসি নামেও পরিচিত। লাসা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপমশ্চিমের এ শহরটি তিব্বতের দ্বিতীয় পবিত্রতম শহর এবং পাঞ্চেন লামার বাসস্থান। ভূমিকম্পে হিমালায় পর্বতমালার নিকটবর্তী এই শহরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৩৫৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাকে একীভূত করার প্রস্তাব ট্রাম্পের
পদত্যাগ করেও মার্কিন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খোঁচা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গেল ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর সোমবার (৬ জানুয়ারি) লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তার বিরুদ্ধে নতুন করে ট্রল যুদ্ধ শুরু করেছেন ট্রাম্প। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডাকে একীভূত করে ফেলা উচিত। এতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার দরকার পড়বে না কানাডার।‘কানাডা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য। আর প্রধানমন্ত্রী হবেন ‘গভর্নর জাস্টিন ট্রুডো’, ট্রাম্পের তাচ্ছিল্য।মার্কিন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ট্রুডো পদত্যাগ করেছেন, কারণ তিনি জানতেন যে কানাডাকে টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র যে ভর্তুকি দিত, সেটা বাতিল করা হবে। কানাডা সেটা আর পাবে না। দেশটির সঙ্গে কোনো বাণিজ্যি ঘাটতিও মেনে নেবে না যুক্তরাষ্ট্র।’আগে থেকেই সীমান্তবর্তী দেশ কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম এই প্রেসিডেন্ট। নিজের দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনী প্রচারে প্রতিযোগী দেশগুলোর পণ্যে রাজস্ব বাড়ানোর ওপরও জোর দেন। প্রচারের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রাখেন বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর পণ্যে রাজস্ব বৃদ্ধি।এরআগে গেল ১৮ ডিসেম্বর ট্রাম্প বলেন, ‘কানাডাকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।’ কিন্তু ফ্যাক্টচেকাররা দাবি করেন, তার দেওয়া এই তথ্য ভুল। কারণ মার্কিন সরকারের পররাষ্ট্র সহায়তা ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, অন্তত ২০০১ সাল থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে কোনো একক দেশ হিসেবে কানাডাকে ৩৫ দশমিক এক মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ট্রুডো বলেন, ‘দলীয় আন্তঃকোন্দলের বিষয়টি আমার কাছে এতোই পরিষ্কার যে, আগামী নির্বাচনে লিবারেল মানদণ্ড আমি আর বহন করতে পারবো না।’ট্রুডোকে খোঁচা দিয়ে সামাজিকমাধ্যম ট্রুথস্যোশালে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র একীভূত হয়ে যায়, তাহলে রাশিয়া ও চীনা জাহাজের হুমকি থেকে দুই দেশ অনেক নিরাপদ থাকতে পারবে।’
৩৫৬ দিন আগে
চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩, আহত ৬২
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ শিজাংয়ে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৬২ জন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ৯টা ৫ মিনিটে জিগাজে শহরের ডিংরি কাউন্টিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া হতাহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে।
এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ এই হার ৬ দশমিক ৮ বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশের কিছু অংশ
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বত অঞ্চলে। যেখানে ভারত ও ইউরেশিয়া টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটে। এটি হিমালয়ের শৃঙ্গগুলোর উচ্চতাকেও প্রভাবিত করেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের আশপাশের গড় উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ২০০ মিটার (১৩ হাজার ৮০০ ফুট)। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের চারপাশের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি ছোট ছোট সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার (২৪০ মাইল) এবং এই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিগাজে থেকে ২৩ কিলোমিটার (১৪ মাইল) দূরে অবস্থিত।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্পে বাসিন্দারা চমকে উঠেন। তারা তাদের বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, গত ১০০ বছরে এই অঞ্চলে ৬ বা তারও বেশি মাত্রার ১০টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
সূত্র: সিনহুয়া ও অন্যান্য
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশের কিছু অংশ
৩৫৬ দিন আগে
ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালেন ট্রুডো
জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় ও নেতৃত্ব নিয়ে দলের মধ্যে ক্রমাগত অসন্তোষের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গেল ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর সোমবার (৬ জানুয়ারি) লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
তবে তার দল থেকে নতুন কাউকে স্থলাভিষিক্ত করার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন ৫৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। আগামী নির্বাচনে তার দল বড় ধরনের ধসের মুখে পড়তে পারে বলে জনমত জরিপে উঠে আসলে সরে দাঁড়াতে আইনপ্রণেতারা তাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত সংসদ মুলতবি থাকবে। এর অর্থ হচ্ছে, মে মাসের আগেই দেশটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের সময়ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন ট্রুডো। কানাডীয় পণ্যের ওপর বড় ধরনের রাজস্ব আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, এতে দেশটির অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ট্রুডো বলেন, আগামী নির্বাচনে এই দেশ সত্যিকারের নেতা নির্বাচন করবে। কিন্তু আমাকে যদি আন্তঃকোন্দল নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে আমি সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারবো না।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসেন তিনি। এরপর দুবার পুননির্বাচিত হয়ে কানাডার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ট্রুডো। কিন্তু উচ্চমূল্য ও আবাসন ঘাটতির কারণে মানুষের মধ্যে তার নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তাও কমতে থাকে।
জনমতি জরিপে দেখা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিরোধী কনজারভেটিভের কাছে তার দলের বড় পরাজয় ঘটবে। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
ট্রুডো বলেন, চারপাশে বিরোধ দূর করে উত্তাপ কমিয়ে আনার বিষয়টি তিনি ভেবেছেন। সেইসঙ্গে এমন সরকারের কথা তিনি ভাবেন, যেটি জটিল বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দেবে।
তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে উত্তরসূরি হিসেবে কে আসছেন, সেই প্রশ্নও এখন সামনে আসছে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সাবেক প্রিমিয়ার ক্রিস্টি ক্লার্ক।
৩৫৬ দিন আগে
হীরা, পান্না আর জহরতে ঘুরে দাঁড়াবে আফগান অর্থনীতি!
এতদিন পপি ফুল চাষ ও আফিম উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল ছিল আফগানিস্তানের অর্থনীতি। কিন্তু আফিম নিষিদ্ধের পর এবার বিকল্প হিসেবে খনিজ ও রত্ন সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছে দেশটির তালেবান সরকার।
মার্কিন বাহিনী আফগান ছেড়েছে বছর তিনেক হলো। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে আফগানিস্তানের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে তালেবান সরকারের তত্ত্বাবধানে।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব বলছে, শুধু আফিমই ছিল দেশটির জিডিপির ৮ শতাংশ। তালেবান সরকার আফিম নিষিদ্ধ করায় কৃষকরা প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। চাকরি হারিয়েছে এই চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত সাড়ে ৪ লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরইমধ্যে আফগানিস্তানে আফিম চাষ কমেছে ৯৫ শতাংশ। অর্থনৈতিক এ ঘাটতির সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদেশি সাহায্যের অপ্রতুলতা। ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত তালেবান এবং দেশটির তৎকালীন সরকারের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র অবকাঠামোগত উন্নতি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১৪৩ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছে নিজেদের মদদপুষ্ট সরকারকে। এখন এসব সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প রাস্তা দেখতে হচ্ছে তালেবান সরকারকে।
ভৌগলিকভাবে আফগানিস্তান খনিজ সম্পদ এবং রত্নমণিতে পরিপূর্ণ একটি দেশ। মার্কিনিরা ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ আহরণে বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। কিন্তু লাগাতার নিরাপত্তা ঝুঁকি, সরকারি দুর্নীতি, মন্দ অবকাঠামো এবং একের পর এক তৎকালীন আফগান সরকারের নীতিগত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এবার তালেবান সরকার নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেছে। আফগানিস্তানের খনিজ খননে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক, কাতার, চীন, রাশিয়া এবং ইরান। এরইমধ্যে উজবেকিস্তানের একটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে জ্বালানি তেল উত্তোলনের চুক্তি করেছে দেশটির জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়। চীন তাদের নতুন সিল্ক রোডের পরিকল্পনায় আফগান অর্থনীতির ওপর আলাদাভাবে জোর দিচ্ছে।
আফগানিস্তানের পাঞ্জসির প্রদেশ সবুজ পান্নার জন্য বিখ্যাত। প্রদেশটিতে পান্না উত্তোলন এবং এর ওপর রাজস্ব নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে সরকার। তালেবান সরকার বলছে, শুধু পান্না না; রুবি, নীলকান্তমণি, স্বর্ণ, তামা এবং লোহার মতো খনিজ উত্তোলনেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চুক্তি এবং বিনিয়োগের পাশাপাশি এরইমধ্যে লাইসেন্স প্রদান শুরু করেছে তালেবান সরকার। সবুজ পান্না উত্তোলনে এ পর্যন্ত ৫৬০টি লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। একইভাবে রুবি উত্তোলনেও দেওয়া হচ্ছে লাইসেন্স।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবনুযায়ী, গত দুই বছরে আফগানিস্তানের প্রবৃদ্ধি কমেছে ২৬ শতাংশ। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বর্তমান সরকার খনিজ সংক্রান্ত যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কার্যকর হলে দেশটির অর্থনীতির চাকা ঘুরতে সময় লাগবে না বলে মত বিশ্লেষকদের।
৩৫৬ দিন আগে
কার্টারের শেষকৃত্যে একসঙ্গে দেখা যাবে মার্কিন পাঁচ প্রেসিডেন্টকে
সবকিছু ঠিক থাকলে আমেরিকার ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যাবে দেশটির সাবেক এবং বর্তমান পাঁচ প্রেসিডেন্টকে। ওয়াশিংটনে জিমি কার্টারের চলমান শেষকৃত্যে বৃহস্পতিবার শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আমেরিকার এই শতবর্ষী প্রেসিডেন্টের মরদেহ রাখা হবে ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালে। কার্টারের উদ্দেশ্য শেষকৃত্যের মূল ভাষণটি দিবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মৃত্যুর আগে এমনটাই ইচ্ছা ছিল জিমি কার্টারের।
তবে বাইডেন প্রথম সারিতে থাকলেও মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে। শপথের ১১ দিন আগে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও দেখা যাবে শেষকৃত্যে। একই অনুষ্ঠানে বাইডেন আর ট্রাম্প- সেখানে বাইডেনের প্রতি ট্রাম্পের আচারণ কেমন হবে তা নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।
এছাড়াও শেষকৃত্যে থাকার কথা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিনটনের। পাঁচজনকে একসঙ্গে এক মঞ্চে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিরল ঘটনা- এমনটাই বলছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাসে ভিসাপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের নতুন পদ্ধতি চালু
এর আগে ২০১৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচডব্লিউ বুশের শেষকৃত্যে হাজির হয়েছিলেন ট্রাম্প। সে সময়ে বারাক ওবামার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেও হিলারি ক্লিনটন এবং বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে কোনো ধরনের করমর্দন বা বাক্যালাপ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিগত কয়েক বছরে মার্কিন রাজনীতিতে সহনশীলতা এসে ঠেকেছে তলানিতে। একে অন্যের মুখ দেখাদেখি না করার এ রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়তো রাতারাতি বদলাবে না; তবে মানবতাবাদী হিসেবে বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য কিছুক্ষণের জন্য হলেও একই মঞ্চে নিয়ে আসবে রিপাবলিকান আর ডেমোক্রেটদের।
৩৫৭ দিন আগে
ক্ষমতা ছাড়তে পারেন ট্রুডো
ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দিনকে দিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে তার নিজের দল লিবারেল পার্টি বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে। তাদের অভিযোগ, ৯ বছর ক্ষমতায় থাকা এ প্রধানমন্ত্রী এখন আর দেশের অভ্যন্তরীণ সংকট সামাল দিতে পারছেন না।
বিগত কয়েক বছর ধরে বড় রকমের শ্রম সংকট চলছে কানাডায়। এর বাইরে কানাডার পণ্য আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার অর্থনীতির চ্যালেঞ্জিংয়ের এ সময়ে গত বছর ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এরপরেই ট্রুডো নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
ডিসেম্বর থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে আসেননি। জনসমক্ষে সেভাবে তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। লিবারেল পার্টির ট্রুডো ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি রিসোর্টে ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছেন। সেখান থেকে ফিরেই হয়তো পদে থাকা না-থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সংসদে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির আসন ১৫৩টি। এর মধ্যে ২০ জন সাংসদ সরাসরি ট্রুডোর পদত্যাগ চেয়েছেন। বাকিদের অনেকেই পার্টি মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
এদিকে ট্রুডোর পদত্যাগের গুঞ্জনে ডলার বিপরীতে কানাডীয় মুদ্রার দাম বাড়তে শুরু করেছে। ২০২০ সালে ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা ৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন হলেও, বর্তমান অবস্থান করছে ডলারের মূল্যের ওপরে।
আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতের সহিংসতার অভিযোগ ট্রুডোর
তবে ট্রুডো ক্ষমতা ছাড়ার পর লিবারেল পার্টির কোন নেতা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। অনেকে ক্ষমতার চেয়ার নিয়ে দলীয় কোন্দলের শঙ্কাও করছেন।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চাইলে দল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রুডো নিজ পদ ধরে রাখতে পারেন। এদিকে দেশটির বিরোধী দল জানিয়েছে, সংসদের আগামী অধিবেশনে তারা সরকার পতনের ডাক দেবে। সব মিলিয়ে কানাডা বড় রকমের অস্থিরতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
৩৫৭ দিন আগে
ভিসা ও ইকামাসহ সাতটি সেবায় ফি বাড়াল সৌদি
ভিসা ও ইকামাসহ সাতটি সেবায় ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম আবসারের মাধ্যমে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, সৌদিতে প্রবেশ ও বহির্গমনের ভিসা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ দশমিক ৫ রিয়াল। আর বসবাসের অনুমতি ও চূড়ান্ত বহির্গমনের ফি পুনর্বিবেচনা করে যথাক্রমে ৫১ দশমিক ৭৫ রিয়াল ও ৭০ রিয়াল করা হয়েছে।
এছাড়া কর্মচারীদের রিপোর্ট ফি ধরা হয়েছে ২৮ দশমিক ৭৫ রিয়াল। আর পাসপোর্টের তথ্য হালনাগাদ করতে প্রবাসীদের দিতে হবে ৬৯ রিয়াল।
এক্স পোস্টে আবসার জানিয়েছে, ভ্রমণ ভিসায় প্রবেশ করার পর যদি কেউ হারিয়ে যান, তাহলে তাকে দেশটিতে যিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে তাকে।
সেটি হচ্ছে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভ্রমণ ভিসা হতে হবে। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার সাত দিন পর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে, কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার ১৪ দিন পর আবেদন করা যাবে না।
আর আবেদন তখনই করা যাবে, যখন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। একজনের জন্য কেবল একটি রিপোর্টই করা যাবে। আবার রিপোর্ট দাখিল পর তা প্রত্যাহার করা যাবে না বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।
৩৫৮ দিন আগে