বিশ্ব
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
নতুন বছরের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তিনটি ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বুধবার (২ জানুয়ারি) স্থানীয় কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন।
উত্তর গাজার বিচ্ছিন্ন এলাকা জাবালিয়ার একটি বাড়িতে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটেছে। গেল প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে উপকূলীয় অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাবালিয়া। অক্টোবরের শুরুর দিক থেকে সেখানে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী। খবর এপির।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক নারী ও চারটি শিশুসহ জাবালিয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করছে।
আরও পড়ুন: গাজার ২ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ জন নিহত
আল-আকসা মার্টায়ারস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আরেক ইসরাইলি হামলায় এক নারী ও একটি শিশু নিহত হয়েছে।
একটি শিশুর মরদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া এক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘আপনারা কী নতুন বছর উদযাপন করছেন? উপভোগ করুন, যখন আমরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছি। গেল দেড় বছর ধরে আমাদের ওপর দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে।’
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, রাতে বুরেইজ এলাকা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা করা হয়েছে। এই হামলার মাধ্যমে সেই জবাব দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় হামলাটি চালানো হয়েছে খান ইউনিসে। এতে অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় নাসের হাসপাতাল ও ইউরোপীয় হাসপাতালে তাদের মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ২০০ অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরাইলিকে হত্যা করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এছাড়া আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃতদের মধ্যে প্রায় ১০০ ইসরাইলি এখনো গাজায় বন্দি আছেন ও তিনজন নিহত হয়েছেন।
এরপর থেকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৫ জন নিহত
৩৬১ দিন আগে
গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে যুদ্ধ হয়: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী
গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) সম্পর্কে গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরাক যুদ্ধ পরিচালিত হয় বলে স্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড।
বুধবার(১ জানুয়ারি) হাওয়ার্ড বলেছেন, এটি হতাশাজনক যে, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) শনাক্ত করতে গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানগুলোতে ভুল হয়েছিল। তবে তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, অস্ট্রেলিয়াকে যুদ্ধে জড়িত করার সিদ্ধান্তটি জাতীয় স্বার্থে ছিল।
ন্যাশনাল আর্কাইভ অব অস্ট্রেলিয়ার (এনএএ) ২০০৪ সালের পূর্বের মন্ত্রিসভার নথি প্রকাশের সঙ্গে তার মন্তব্যগুলো মিলে যায়।
প্রতি বছর ১ জানুয়ারি এনএএ ২০ বছর আগের মন্ত্রিসভার নথি জনসম্মুখে প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন
২০০৩ সালের নথিগুলোর কিছু নিখোঁজ হওয়ার কারণে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বিলম্বে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, হাওয়ার্ডের সরকার ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছিল। ওই বছরের কয়েক মাস আগে মার্চে অস্ট্রেলিয়াকে প্রকাশ্যে ইরাক যুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা হয়।
২০০৪ সালের একটি তদন্তে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইরাকের গণবিধ্বংসী অস্ত্রের পরিমাণ এবং প্রকৃতি সঠিকভাবে বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হাওয়ার্ড বুধবার বলেছেন, যুদ্ধে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।
বল প্রয়োগের অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের কোনো অনুমোদন ছাড়াই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ২০০৩ সালের মার্চ মাসে ইরাক আক্রমণ শুরু করেছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মিশনটি ছিল ‘ইরাককে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে নিরস্ত্র করা, সন্ত্রাসবাদে সাদ্দাম হোসেনের সমর্থন শেষ করা এবং ইরাকি জনগণকে মুক্ত করা।‘ যা আসলে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় টিফার আওতায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক মে মাসে
৩৬২ দিন আগে
ভারতে হোটেল থেকে একই পরিবারের ৫ জনের লাশ উদ্ধার
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ উত্তর প্রদেশের একটি হোটেল থেকে চার শিশু ও তাদের মাসহ একই পরিবারের পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজ্যের রাজধানী লখনউতে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ৯ ও ১৬ বছর বয়সী দুই নাবালকও রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুদের এক ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে খুনের দায়ে নিহতের হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
লখনউ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আগ্রা শহরের বাসিন্দা ওই পরিবার।
৩৬২ দিন আগে
আফগান নারীদের কাজে নিলে এনজিও বন্ধ করবে তালেবান
২০২১ সালে আফগানিস্তনের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশের নারীদের ওপর বেশকিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে শাসকগোষ্ঠী তালেবান। তাদের সর্বশেষ নির্দেশনায় এবার চাকরি করার সুযোগও হারাচ্ছেন আফগান নারীরা।
নারীদের নিয়োগ দিলে আফগানিস্তানে পরিচালিত সব দেশি-বিদেশি সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান।
ইসলামী অনুশাসন মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে আফগান নারীদের কাজে না নিতে দেশটিতে পরিচালিত এনজিওগুলোকে অনুরোধ করার দুই বছর পর এই ঘোষণা দিল গোষ্ঠীটি।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে এক্স-এ প্রকাশিত এক চিঠিতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, (তালেবান সরকারের) সর্বশেষ আদেশ না মানলে এনজিওগুলো আফগানিস্তানে কার্যক্রম পরিচালনা করার লাইসেন্স হারাবে।
এদিকে, গত দুই বছরে আফগানিস্তানে নারীদের কর্মপরিসর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে মন্তব্য করে তালেবানকে এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো-মার্তিনেস বলেছেন, ‘(তালেবানের) এ ধরনের সিদ্ধান্ত আফগান নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানে প্রভাব ফেলবে।’
‘আমরা এমন একটি দেশের বিষয়ে কথা বলছি, যেখানকার বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে এবং তাদের অনেকেই মানবিক সংকটের মুখোমুখি। এখন দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকেরই অধিকারকে অস্বীকার করা হচ্ছে- বিষয়টি নিয়ে আমরা স্পষ্টতই খুব উদ্বিগ্ন।’
আফগানিস্তানে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোর সব কার্যক্রমের নিবন্ধন, সমন্বয়, নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্ব পালন করে থাকে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার আবারও তালেবান নিয়ন্ত্রিত নয়- এমন (বেসরকারি) প্রতিষ্ঠানে নারীদের সব ধরনের কাজ থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশের ব্যত্যয় ঘটালে তার সব কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি লাইসেন্সও বাতিল করা হবে।
চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, আফগানিস্তানে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা অপরিহার্য হয়ে পড়লেও দেশটিতে নারী সহায়তাকর্মীদের একটি বড় অংশকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সব দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় আফগানিস্তান: তালেবান
জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টম ফ্লেচার বলেছেন, তালেবানের নৈতিক পুলিশ নারী, এমনকি পুরুষ কর্মীদেরও কাজে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটিতে কর্মরত মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
তবে সংস্থাগুলোর এই অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে তালেবান।
অন্য এক আদেশে তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বলেছেন, নারীদের কর্মকাণ্ড বা চলাফেরা দেখা যায়- ভবনের এমন স্থানগুলোতে জানালা রাখা যাবে না। এমনকি জানালা থাকলেও সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
এক্স-এ পোস্ট করা চার দফার ওই নির্দেশনা অনুসারে, এই আদেশটি নতুন ভবনের পাশাপাশি বিদ্যমান ভবনগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
জাতিসংঘ এই নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন সোতো নিনো-মার্তিনেস।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চাকরিসহ সব ধরনের উন্মুক্ত স্থানে আফগান নারীদের আনাগোনা ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। এমনকি নারীদের ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি শিক্ষা অর্জনের অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।
৩৬২ দিন আগে
দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করে তার বাসভবনে তল্লাশির জন্য পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির একটি আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত অফিস (সিআইও), জাতীয় তদন্ত অফিস (এনওআই) ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত ইউনিট।
পরোয়ানা জারি হলেও গ্রেপ্তার কার্যকর করার কোনো সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়নি আদালত। তবে দেশটিতে আদালতের এ ধরনের রায় কার্যকর করতে সাধারণত এক সপ্তাহ সময় থাকে।
এই রায়ের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারের পর আত্মহত্যার চেষ্টা দ. কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধানের
যৌথ তদন্ত ইউনিট ইয়ুনকে ১৮, ২৫ ও ২৯ ডিসেম্বর তিনবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলে, তবে অভিশংসিত এই প্রেসিডেন্ট ওই সমন গ্রহণ করতে এবং নিজের জন্য প্রতিরক্ষা আইনজীবী নিয়োগের নথি জমা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর বিদ্রোহ ও অন্যান্য অভিযোগে সিউলের পশ্চিম জেলা আদালতে ইয়ুনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আবেদন করে ইউনিট।
পরোয়ানা জারির অনুরোধের কয়েক ঘণ্টা পরই অবশ্য ইয়ুনের পক্ষ থেকে লিখিত মতামত জমা এবং সিউল আদালতে প্রতিরক্ষা আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে।
৩৬২ দিন আগে
ইথিওপিয়ায় বরযাত্রীর ট্রাক নদীতে পড়ে নিহত ৬৬
ইথিওপিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বরযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রাক নদীতে পড়ে অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির একটি হাসপাতালের পরিচালক এই তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার(২৯ ডিসেম্বর) বিয়ের অতিথিদের ভাড়া করা পুরোনো একটি ট্রাক অতিরিক্ত যাত্রীদের নিয়ে গেলান সেতু থেকে পড়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীরা বলছেন,এর আগেও এখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় সিদামা অঞ্চলের বোনা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক লেমা লাগিদে সোমবার বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ঘটনাস্থলেই ৬৪ জন এবং হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব রোগী আরও জরুরি অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের হাওয়াসার একটি বড় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যন্ত গ্রামটিতে উদ্ধার অভিযান দেরিতে হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন,উত্তাল নদীতে পরে যাওয়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধার কাজে তারা কেবল লাঠি দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন।
সেরাক বোকো নামের এক গ্রামবাসী এপিকে বলেন, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ট্রাকে গান বাজছিল এবং স্যুট পরা লোকজন নাচছিল ও হাত নাড়ছিল।
ইথিওপিয়ার গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিবহনের জন্য বাসের পরিবর্তে ট্রাক ভাড়া করা সাধারণ ব্যাপার। কারণ, এতে তারা তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে এবং অনেক লোক বহন করতে পারে। ট্রাকের বেশিরভাগই পুরুষ ছিল। কারণ তাদের সাংস্কৃতিকভাবে কনেকে তার বাড়ি থেকে বরের বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফাসিল আতারা বলেন, 'সড়কটি ভালোভাবে নির্মাণ না করা এবং সতর্ক চিহ্ন না থাকায় নদীর আশপাশে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটে। ‘
দুর্বল অবকাঠামো এবং গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বহনের কারণে ইথিওপিয়ায় অতীতেও একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত আগস্টে আমহারা অঞ্চলে একটি বাস উল্টে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়।
৩৬৩ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৭৯
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে ১৭৫ জন যাত্রী নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ছেড়ে আসে জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬। এর মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ান এবং দুইজন থাই নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া ছয়জন ফ্লাইট ক্রু ছিলেন।
বিমানটি চাকা না খুলেই অবতরণ করে এবং রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। ফলে রানওয়ের বাইরের দেয়ালে আঘাত করে। এই সংঘর্ষে বিমানটির মাঝের অংশ ভেঙে যায় এবং এতে আগুন ধরে যায়।
বিমানের পেছনের অংশ থেকে দুইজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে বিমানটির বেশিরভাগ অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বাকি ১৭৯ জন যাত্রী ও ক্রুর মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটি দেখা দেয়। সেকারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রথমবার অবতরণের চেষ্টা করার পর, ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে বিমানটি পুনরায় আকাশে উঠে যায় এবং দ্বিতীয়বার পেটের অংশ দিয়ে অবতরণের চেষ্টা করে। এর পরই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে আগুন ধরে যায়া। এরপর কালো ধোঁয়ার বড় কুণ্ডলি উঠতে শুরু করে। আরেকটি ফুটেজে দেখা যায়, অবতরণের চেষ্টা করার আগে বিমানের ডান দিকের একটি ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া ও আগুন বের হচ্ছে।
পরিবহন, ভূমি ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা একটি টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে জানান, বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ফ্লাইট ডেটা ও ভয়েস রেকর্ডার উভয়ই উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবহন মন্ত্রণালয় আরও জানায়, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
৩৬৪ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কার্টার সেন্টার।
রবিবার কার্টার সেন্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এ ক বার্তায় বলে, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, আজ বিকেলে জর্জিয়ার প্লেইন্সে মারা গেছেন।’
১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিমি কার্টার। তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
কার্টারের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে। এতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি, উভয় দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
কার্টার ১৯৭৭ সালে পানামা খাল চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা ২০০০ সাল থেকে পানামাকে পানামা খাল অঞ্চলের পূর্ণ অধিকার ফিরিয়ে দেয় এবং এর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে।
এছাড়াও, তিনি ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষরের সাক্ষী ছিলেন। এটি তৎকালীন মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন স্বাক্ষর করেছিলেন।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শেষে, কার্টার ও তার স্ত্রী একটি বেসরকারি সংস্থা কার্টার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন।
কার্টার ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক, যিনি বিশালা এলাকাজুড়ে বাদাম খেতের মালিক ছিলেন।
কার্টারের স্ত্রী রোজালিন ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা গেছেন। ৭৭ বছর ধরে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবন হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
কার্টার ছিলেন দেশের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সাবেক প্রেসিডেন্ট।
৩৬৪ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: দুজন বাদে নিহত ১৭৯
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অগ্নিবিধ্বস্ত বিমানটি থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুজনকে উদ্ধার করতে পেরেছে উদ্ধারকর্মীরা; বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মুয়ান শহরের বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে অবতরণ করছিল জেজু এয়ারের ওই ফ্লাইটটি। এ সময় রানওয়ে থেকে পিছলে ছিটকে গিয়ে কংক্রিটের দেওয়ালে ধাক্কা মারলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
দেশটির জাতীয় অগ্নিনির্বাপন সংস্থা জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩২টি ফায়ার ট্রাক ও বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৫৬০ জন দমকলকর্মী, পুলিশ ও সেনাসদস্য উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
নিহতদের মধ্যে ৮৩ জন নারী, ৮০ জন পুরুষ এবং বাকি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এমনকি, এখন পর্যন্ত বিমানটির আরোহীদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারেনি বলে জানিয়েছে অগ্নিনির্বাপন সংস্থা।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় ১৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৮৫
মুয়ান অগ্নিনির্বাপন সংস্থা প্রধান লি জিয়ং-হিয়ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। অগ্নিকাণ্ডে বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কেবল বিমানের লেজের অংশটি শনাক্তযোগ্য ছিল।
লি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানটি পাখির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কিনা- দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকারি তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে এটি অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২৮ আরোহী নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের শেষ মুহূর্তে এমন বিমান দুর্ঘটনা দেখল দেশটি।
৩৬৫ দিন আগে
দ. কোরিয়ায় ১৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৮৫
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রানওয়ে থেকে ছিটকে কংক্রিটের দেওয়ালে ধাক্কা মারার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এতে অন্তত ৮৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
দেশটির জাতীয় অগ্নিনির্বাপন সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে মুয়ান শহরের বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে অবতরণের সময় জেজু এয়ারের একটি ফ্লাইটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
অগ্নিনির্বাপন সংস্থা জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন নারী ও ৩৯ জন পুরুষ রয়েছেন। এছাড়া দুইজন ক্রুকে বিমান থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩২টি ফায়ার ট্রাক ও বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মুয়ান অগ্নিনির্বাপন সংস্থা প্রধান লি জিয়ং-হিয়ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। অগ্নিকাণ্ডে বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কেবল বিমানের লেজের অংশটি শনাক্তযোগ্য ছিল।
লি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানটি পাখির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কিনা- দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকারি তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
বিমানটি ব্যাংকক থেকে ফিরছিল এবং আরোহীদের মধ্যে দুজন থাই নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবহন মন্ত্রণালয়।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি পোস্টের মাধ্যমে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে এটি অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২৮ আরোহী নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের শেষ মুহূর্তে এমন বিমান দুর্ঘটনা দেখল দেশটি।
৩৬৫ দিন আগে