বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
বাংলাদেশে অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপনের আহ্বান পলকের
আইটি খাতের দক্ষতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে রাশিয়ান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফশোর ক্যাম্পাস বাংলাদেশে স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্টিটাস্কি আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে তার দপ্তরে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে তারা দুই দেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ডিজিটাল কারেন্সি ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন (আইডিটিপি) ব্যবস্থার প্রবর্তন, রাশিয়ান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো রোবটিকস্, ব্লকচেইন, মেশিন লার্নিং, এআই, এআর, ভিআর ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবসা ও বিনিয়োগ, রাশিয়ান কোম্পানিগুলোর জন্য হাই-টেক পার্কে জমি বরাদ্দ, উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগে উদ্যোক্তা উন্নয়ন টেকসই স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ-রাশিয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিটের আয়োজন, ডিসেম্বরে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সামিটে রাশিয়ান আইটি কোম্পানিগুলোকে অংশগ্রহণ, এজেন্সি ফর নলেজ অন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রস্তাব রাখেন।
আরও পড়ুন:‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
রুশ রাষ্ট্রদূত এসকল বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে প্রসংশা করেন।
তিনি বলেন, অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে।
বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সৌহার্দপূর্ণ ও দৃঢ় সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
এসময় অন্যান্যোর মধ্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার থার্ড সেক্রেটারি এনথন ভারিসেনসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:গণহত্যার ৫ম বার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ
সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
আন্তর্জাতিক লিডারশিপ পুরস্কার পেলেন ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে অনন্য নেতৃত্বগুণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক লিডারশিপ পুরস্কার পেয়েছেন ‘নগদ’লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্থিক জার্নাল ‘বিজনেস ট্যাবলয়েড’মো. সাফায়েত আলমকে নিজের কর্মক্ষেত্রে তাঁর কৌশলগত, টেকসই ও দূরদর্শী পদক্ষেপের জন্য ‘ভিশনারি লিডার ইন ডিজিটাল ফাইন্যান্স’ হিসেবে পুরষ্কৃত করেছে।
টেলিকমিউনিকেশন্স, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এবং ডিজিটাল ফাইন্যান্স (ডিএফএস) খাতে মো. সাফায়েত আলমের দীর্ঘ ২৬ বছরের বর্ণিল ক্যারিয়ার রয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক খাতে তার অসংখ্য অবদান রয়েছে। বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর একজন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের উত্থানে নিজের কৌশলগত পদ্ধতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। একজন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ‘নগদ’-এর বিভিন্ন মাইলফলক স্পর্শ করায় রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দেশের বাণিজ্য খাতে তার এসব অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই তাকে ‘ভিশনারি লিডার ইন ডিজিটাল ফাইন্যান্স’ খেতাব দিয়েছে বিজনেস ট্যাবলয়েড।
২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিদের মেধা ও দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের স্বীকৃতি দিয়ে আসছে বিজনেস ট্যাবলয়েড। প্রতি বছর এই প্রকাশনাটির পছন্দ করা লোকেদের ভেতর থেকে মনোনীতদের মূল্যায়ন করে থাকে একটি স্বতন্ত্র কমিটি। উদ্ভাবন, স্বচ্ছতা, নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন মানদণ্ড এই পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচিত হয়।
এই বছর পত্রিকাটি বিশ্ব জুড়ে এমন ১০ জন লিডারকে সম্মাননা জানিয়েছে ও পুরস্কার দিয়েছে। যারা অর্থনীতিতে নিজেদের অসাধারণ কাজ দিয়ে বৈপ্লবিক কোনো পরিবর্তন এনেছেন। বাংলাদেশের ফিনটেক খাত থেকে এই পুরস্কার পাওয়া প্রথম ব্যক্তি হলেন ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম।
আরও পড়ুন: শতভাগ ভাতা বিতরণে সক্ষম নগদ: সমাজসেবা ডিজি
‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম এই পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার অবদান ও কাজকে যে এমন অভিজাত একটি পত্রিকা স্বীকৃতি দিয়েছে, সে জন্য আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। নগদ এই সময়ে বেশকিছু পরিস্থিতি বদলে দেওয়া উদ্যোগ নিয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক খাতে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বের দ্রততম বর্ধনশীল ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের যাত্রা পথে কিছুটা অবদান রাখতে পারায় আমি গর্বিত।’
২০২২ সালে এই পুরস্কার পাওয়া আরও উল্লেখযোগ্যরা হলেন, গ্রিন অন্টারপ্রনার অব দ্য ইয়ার আরব আমিরাতের মাতেও বোফা, রিয়েল এস্টেট খাতে অসামান্য অবদান রাখায় আরব আমিরাতের এসওয়াই ক্যাপিটাল এস্টেটসের শহীদ ইউসুফ, বেস্ট এইচআর ট্রান্সফরমেশনাল লিডার আরব আমিরাতের এডিএনওসি ডিস্ট্রিবিউশনের ড. শানাবাস কোয়া, ব্যাংক খাতে অসামান্য অবদান রাখায় ওমানের জায়িদ আল আব্দুল লাতিফ, সেরা স্যাটেলাইট এক্সিকিউটিভ হিসেবে সিঙ্গাপুরের ক্রিস্টিয়ান প্যাট্রো, সেরা ব্যাংকিং চেয়ারম্যান হিসেবে কাজাখস্তানের অভয় সারকুলভসহ আরও অনেকে এই পুরস্কার পেয়েছেন।
এর আগে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-কে ‘২০২০ সালের সেরা ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী’ হিসেবে পুরস্কার দেয় বিজনেস ট্যাবলয়েড। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করার পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এমএফএস প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ এরই মধ্যে অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছে। এসব পুরস্কারের মধ্যে আছে বিশ্ব তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সার্ভিস এলায়েন্সের (ডব্লিউআইটিএসএ) দেয়া ‘ডিজিটাল অপরচুনিটি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন’ পুরস্কার বা ‘২০২০ সালের সেরা ফিনটেক স্টার্টআপ’ পুরস্কারসহ আরও বেশকিছু পুরস্কার।
আরও পড়ুন: করোনা চলাকালীন এমএফএস সেক্টর আর্থিক লেনদেনের নেতৃত্ব দিয়েছে: নগদের এমডি
লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ‘নগদ’ এর মধ্যে চুক্তি সই
আইফোন ১৪: স্যটেলাইট এসওএস ও উন্নত ক্যামেরায় চমক
অ্যাপলের আইফোন ১৪ তে নতুন একটি সেবা যুক্ত করা হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে স্যাটেলাইট সংযোগ। এর মাধ্যমে জরুরি অবস্থায় মোবাইল ডাটা বা ওয়াইফাই কাজ না করলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরুরি সেবা ব্যবহার করা যাবে।
স্যাটেলাইটের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং সেই সংযোগ বজায় রাখার জন্য আইফোনের সর্বশেষ মডেলটি কোন অবস্থায় ধরে রাখতে হবে তার নির্দেশনা দেবে।
নতুন এই সেবাটি দুই বছর বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। তবে আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শুরু হবে নভেম্বরে।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্মার্টফোনে ছবি তোলার সময় একটি বড় সমস্যা হল কম আলো। নতুন আইফোনে ফটোনিক ইঞ্জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ফোনটির প্রধান ক্যামেরা ছবি তোলার সময় আগের চেয়ে ৪৯ শতাংশ বেশি আলো ধারণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: নতুন আইফোনে যে তিনটি পুরানো ফিচার মিলবে না
সিনেটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আইফোনের নতুন মডেলগুলোতে নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সেলফি ক্যামেরাতেও একইভাবে কাজ করবে। প্রধান ক্যামেরার ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সে থাকছে এফ১/৫ অ্যাপারচার। যার জন্য এই লেন্স দিয়ে অধিক পরিমাণে আলো প্রবেশ করতে পারবে।
অ্যাপলের বার্ষিক পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠান বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক প্রযুক্তি ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এই ক্যামেরা প্রযুক্তি। এবারের পরিবর্তনের কথা বলতে গেলে বড় পরিবর্তন এই ক্যামেরাতেই।
এ বছর একজন ব্যবহারকারী প্রফেসরে খুব একটা পরিবর্তন না দেখতে পেলেও ছবি তোলার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। বিশেষ করে টেলিফটো ও আল্ট্রাওয়াইড ছবি তোলায় থাকবে বিস্তর পার্থক্য।
অনুষ্ঠানে আইফোন ১৪ ও আইফোন ১৪ প্লাস দেখানো হয়েছে। তবে এবার কোনো ‘মিনি’ ভার্সন থাকছে না। পাশাপাশি এয়ারপডস প্রো’র একটি নতুন ভার্সন ও অ্যাপল ওয়াচের সিরিজ ৮ দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবছর নতুন ৫ আইফোন আনবে অ্যাপল
এক নজরে
বড় সেন্সরসহ নতুন প্রযুক্তির ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
দ্রুতগতির এফ১/৫ অ্যাপারচার, সাথে সেন্সর-শিফট ওআইএস।
কম আলোয় ৪৯ শতাংশ উন্নত ছবি।
সামনের ক্যামেরায় অটোফোকাস।
ভিডিওর জন্য নতুন অ্যাকশন মোড।
মার্কিন সংস্করণে থাকছে না সিম ট্রে।
ক্র্যাশ ডিটেকশন।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এমারজেন্সি এওএস সুবিধা।
আরও পড়ুন: অ্যাপল ছেড়ে যাচ্ছেন আইফোনের ডিজাইনার জনি আইভ
ক্যান্সার খুঁজতে দেহের ভিতর সাঁতার কাটবে রোবট
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মনে হলেও বাস্তবেই ক্যান্সার খুঁজতে দেহের ভিতর সাঁতার কাটবে ক্ষুদ্র রোবট। বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পূর্ণরূপে সার্জারি, রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু একটি টিউমার ধ্বংস করার সময় কেমোথেরাপিগুলো অনিবার্যভাবে ভালো কোষগুলোতেও আঘাত করে। ফলে নিশ্চিতভাবেই রোগীকে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর শিকার হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়।
কিন্তু ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর এই রোবট প্রযুক্তি হতে যাচ্ছে এই সব জটিলতার অবধারিত প্রশ্নের একমাত্র উত্তর। সেদিক থেকে এই ধারণাটি দেহের ভেতর অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি না করে সঠিক জায়গায় ওষুধ পৌঁছাতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। চলুন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই অসাধারণ বিকাশ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
কিভাবে কাজ করবে এই ক্ষুদ্র রোবট
হামাগুড়ি, ডিগবাজি এবং ভেসে থাকা বা সাঁতার কাটতে পারা এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রোবটের আসল উদ্দেশ্য দেহের সংকীর্ণ স্থানগুলোর স্বাভাবিক কাজগুলো তদন্ত করে সেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা। বিভিন্ন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন আকৃতি দিয়েছেন এই রোবটগুলোকে। কোনটি মাছ, কোনটি কাঁকড়া, প্রজাপতি; আবার কোন কোন বিজ্ঞানী দল ক্রমাগত আকার বদলাতে পারা রোবট তৈরি করেছেন।
পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
গবেষণায় এগুলো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ক্যান্সার কোষে পৌঁছার জন্য সফলভাবে রক্তনালীর মধ্য দিয়ে চলতে পেরেছে। সাধারণত যে কোন টিউমারের জন্য অম্লীয় পরিবেশ দায়ী, আর এই অম্লত্ব বোঝার পরিমাপক হচ্ছে পিএইচ (পটেনশিয়াল অফ হাইড্রোজেন)। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরের ভেতরটা বিভিন্ন দ্রবণের পরিপূর্ণ।
ক্ষুদ্র রোবটগুলো নিজেদের আকার পরিবর্তন করার মাধ্যমে যে কোন দ্রবণের পিএইচ কমাতে পারে। কোন দ্রবণে বিচরণের সময় সেখানকার পিএইচ কমানোর সাথে সাথে এগুলো সঙ্গে করে বয়ে চলা ক্যান্সার প্রতিরোধী ওষুধ ছেড়ে দেয়। ফলে কাছাকাছি থাকা ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
ক্যান্সার নিরাময়ে ক্ষুদ্র রোবটের সাম্প্রতিক অগ্রগতি
আকৃতি পরিবর্তনকারি ক্ষুদ্র রোবটগুলো নিয়ে কাজ করেছিলেন জিয়াওয়েন লি, লি ঝাং, ডং উ ও তাদের সহকর্মী সহ চাইনীজ এক বিজ্ঞানী। তাদের আকৃতি বদল করতে পারা ক্ষুদ্র রোবটগুলো টার্গেটকৃত স্থানে ওষুধ সরবরাহ করতে চৌম্বক শক্তি ব্যবহার করে। আর এ শক্তি যোগান দেয়ার জন্য সেগুলোকে রাখা হয় আয়রন অক্সাইড দ্রবণে। পূর্বে এই রোবটগুলো বেশিরভাগ সময়ই ওষুধ ছেড়ে দেওয়া বা দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করার সময় আকৃতি বদলাতে পারতো না। কিন্তু এখন এই সব জটিলতা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে। তাত্ত্বিকভাবে, এগুলো মানুষের রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করানো যেতে পারে এবং চুম্বকের মাধ্যমে টিউমারের দিকে আক্রমণ করা যেতে পারে।
পড়ুন: জাপানে ছোট দোকানগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে বুদ্ধিমান রোবট
একই রকম আকৃতি বদলাতে পারা রোবটে সফল হয়েছিলেন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ডের বিজ্ঞানীরাও। এদের রোবটগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে-এগুলো লক্ষ্যে না পৌছানো পর্যন্ত ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রাখে। টার্গেটের কাছাকাছি পৌঁছে এরা উচ্চ-ঘনত্বের ওষুধ ছেড়ে দেয়। অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকৃতি এগুলোকে এই উদ্দেশ্য হাসিলে আলাদা সুবিধা দেয়।
রোবটগুলোর আরো একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এদের কেন্দ্রে রয়েছে একটি দীর্ঘ গর্ত এবং পার্শ্বগুলো কোণাকৃতির। এতে করে এরা সম্মুখ দিক থেকে তরল পদার্থের ধাক্কা উপেক্ষা করে দ্রুত গতি সাঁতরে চলতে পারে।
পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
আমেরিকার বায়োনট ল্যাবসের বিজ্ঞানীরাও তৈরি করেছেন ক্ষুদ্র রোবট যেটি রক্তের প্রবাহের মধ্য দিয়ে সাঁতার কেটে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে এবং মস্তিষ্কের টিউমারগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করতে পারে। সম্প্রতি বায়োনট ল্যাবস ক্যান্ডেল থেরাপিউটিকসের সাথে যৌথ উদ্যোগে ব্রেন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অভিনব ওষুধ সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছে।
তাদের পরিকল্পনা হল ক্যান্ডেলের ওষুধ এবং বায়োনাটের দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত ক্ষুদ্র রোবটকে একত্রিত করা, যাতে কার্যকরভাবে মস্তিষ্কের টিউমারগুলোকে লক্ষ্য করা যায়। রোবটগুলো বায়োনটস নামে পরিচিত এবং এগুলো চুম্বক শক্তির মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কের টিউমার লক্ষ্যে যাত্রা করতে পারে।
স্পেনের বার্সেলোনার ক্যাটালোনিয়ার ইনস্টিটিউট ফর বায়োইঞ্জিনিয়ারিং-এর রসায়নবিদ স্যামুয়েল সানচেজ মূত্রাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য তৈরি করছেন অতি ক্ষুদ্রকায় রোবট। এগুলোতে থাকা ন্যানোমোটরগুলো মৌচাকের ন্যায় ছিদ্রযুক্ত সিলিকা ন্যানো পার্টিকেল, ক্ষুদ্র সোনার কণা এবং ইউরিস এনজাইম দ্বারা গঠিত। ৩০০ থেকে ৪০০ ন্যানোমিটার এই রোবটগুলো মূত্রাশয়ের রাসায়নিক ভাঙ্গনের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অ্যামোনিয়াতে পরিণত হয়।
পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়
ক্যান্সার নিরাময়ে দেহের ভিতর সাঁতরে চলা রোবট প্রযুক্তির অনুপ্রেরণা
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই পুরো ধারণাটি অনেকাংশে মিলে গেছে ১৯৬৬ সালের ফিল্ম ফ্যান্টাস্টিক ভয়েজ-এর সাথে। এখানে একটি ক্ষুদ্র সাবমেরিন একদল গবেষককে নিয়ে একজন বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কে রক্তের জমাট বাঁধা অপসারণের অভিযানে যায়। এখানে দেখানো হয়, সাবমেরিনের সাথে সাথে তার আরোহীরাও সঙ্কুচিত হয়ে একদম ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে গিয়েছিল।
অতঃপর তারা রক্তনালীর রক্তপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাত্রা করে চূড়ান্ত ভাবে সেই বিজ্ঞানীর ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কল্পকাহিনী একদম হুবহু অনুকরণ করা সম্ভব না হলেও রক্তশিরায় ক্ষুদ্র রোবটের সাঁতরে চলা বিরাট এক পদক্ষেপ। দূর থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য মাছের আকৃতির ওষুধ সরবরাহকারি রোবট আরোহীসহ সঙ্কুচিত সাবমেরিনের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়।
অন্যদিকে, স্ট্যানফোর্ড বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনের অনুপ্রেরণা ছিল জাপানের অরিগ্যামি শিল্প, যেখানে কাগজ ভাজ করে বিভিন্ন আকৃতির অবয়ব তৈরি করা হয়। কিন্তু এই প্রভাবটি শুধুমাত্র কাঠামোগত দিক থেকেই ছিল। কাজের দিক থেকে এই রোবটগুলো শরীরের অভ্যন্তরে যে কোন পরিবেশে নিজেদেরকে অপরিবর্তিত রেখে ভেসে যেতে পারে।
পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
চিকিৎসা বিজ্ঞানে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন
স্ট্যানফোর্ডের রোবটগুলো শুধুমাত্র কার্যকরভাবে ওষুধ সরবরাহই করবে না, পাশাপাশি শরীরের ভেতরে ক্যামেরাও বহন করতে পারবে। এতে ডাক্তাররা রোগীদের রিয়েল-টাইম পরীক্ষা করতে পারবেন। দলটি আল্ট্রাসাউন্ড ইমেজিং ব্যবহার করে রোবটগুলোর বিচরণ ট্র্যাক করার জন্যও কাজ করছে। এটি সফলভাবে প্রয়োগ সম্ভব হলে অঙ্গ কাটার বিড়ম্বনা দূর হবে।
স্প্যানীশ রসায়নবিদ সানচেজের মূত্রাশয় ক্যান্সার বিধ্বংসী রোবটগুলোকে একদম শিরাপথে প্রবেশ করানোর পরিকল্পনা চলছে। এতে করে ক্যান্সারের কোষটির দিকে থেরাপিউটিক এজেন্টের কার্গোকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করা যাবে। এর কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহারের প্রচেষ্টা চলছে। সর্বসাকূল্যে বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে নেতৃত্ব দেয়া গেলে অ্যান্টিবডি টিউমার চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করতে পারবে। এটি যদি সম্ভব হয়, তাহলে সম্ভাব্য সব রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো যাবে।
পরিশিষ্ট
স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও অস্ত্রোপচারে রোবটের ব্যবহারিক প্রয়োগের গবেষণা চিকিৎসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় অবদান রাখছে। অস্ত্রপোচারে ক্ষুদ্র জায়গায় যতটা সুক্ষভাবে কাজ করা যায় তা ততটাই সুফল দেয়। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে আধুনিক মাইক্রোবট (ক্ষুদ্র রোবট) প্রযুক্তি। তবে মূলধারার চিকিৎসায় এই প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে উপলব্ধ হতে এখনো দীর্ঘ পথ বাকি। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই ক্রমবর্ধমান জোয়ার ক্ষুদ্র রোবটের মাধ্যমে বিপুল পরিসরে কার্যকরী স্বাস্থ্যসেবার অগ্রদূত হয়ে থাকবে।
পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
ইনস্টাগ্রাম: আইরিশ সংস্থার কিশোরদের তথ্য অপব্যবহারে বড় আকারের জরিমানা
আইরিশ এক নিয়ন্ত্রক সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামকে বড় আকারের জরিমানা করেছে। তদন্ত করে সংস্থাটি জানতে পারে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর তথ্য গোপনীয়তা নিয়ম লঙ্ঘন করে মাধ্যমটি কিশোর-কিশোরীদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করেছে।
আয়ারল্যান্ডের ডেটা সুরক্ষা কমিশন সোমবার ই-মেইলের মাধ্যমে বলেছে, কোম্পানিটিকে ৪০ কোটি ৫০ লাখ ইউরো জরিমানা করার জন্য গত সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও সম্পূর্ণ বিবরণ আগামী সপ্তাহের আগে প্রকাশ করা হবে না।
লুক্সেমবার্গের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত বছর অ্যামাজনকে ৭৪ কোটি ৬০ লাখ ইউরো জরিমানা করার পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর গোপনীয়তা নিয়মের অধীনে জারি করা বর্তমান জরিমানাটি দ্বিতীয় বৃহত্তম।
ইনস্টাগ্রামের প্রধান কোম্পানি মেটা বলেছে যে যেহেতু তদন্তটির সাথে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জড়িত ছিল তাই ‘এই জরিমানা কীভাবে গণনা করা হয়েছে তার সাথে আমরা একমত নই এবং এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করতে চাই।’
আইরিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্ত ই-মেইল ঠিকানা এবং ফোন নম্বরসহ ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বিবরণ কীভাবে ইনস্টাগ্রাম প্রদর্শন করে তার ওপর কেন্দ্র করে করা হয়। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের সর্বনিম্ন বয়স ১৩ বছর।
একজন ডেটা বিজ্ঞানীর ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টকে বিজনেস অ্যাকাউন্টে পরিবর্তিত করছে বিষয়টি নজরে আসে। তিনি দেখতে পান, এই ব্যবহারকারীদের যোগাযোগ তথ্য তাদের প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা আপাতদৃষ্টিতে তাদের প্রোফাইলে কতগুলো লাইক পড়েছে তা দেখার জন্য এমনটা করে থাকতে পারে। তবে পূর্বেই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ইনস্টাগ্রাম এই সেবাটি কিছু দেশে বন্ধ করে দিয়েছে।
ইনস্টাগ্রাম বলেছে যে তদন্তটি এক বছরেরও বেশি আগে হালনাগাদ করা পুরানো সেটিংসের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে এবং এরপর থেকে মাধ্যমটিতে কিশোর-কিশোরীদের জন্য বেশকিছু গোপনীয়তার সেবা চালু করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে- অ্যাকাউন্ট খোলার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের সেটিং প্রাইভেট অপশনে থাকবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ‘আমরা সাবধানে বাকি সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেটা গোপনীয়তা নিয়মের অধীনে আইরিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নিয়ন্ত্রক। যাদের ইউরোপীয় সদর দপ্তর ডাবলিনে অবস্থিত।
গত বছর সংস্থাটি হোয়াটসঅ্যাপকে ২২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে। অন্যান্য মেটা কোম্পানির সাথে ব্যবহারকারীদের তথ্য ভাগাভাগি করায় স্বচ্ছতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে দুই দশমিক তিন গিগাহার্জ ব্যান্ডের নতুন স্পেকট্রাম দিয়ে ফোরজি চালু করেছে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) খুলনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস এই ঘোষণা দেন। পরে বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা থেকে এই নতুন স্পেকট্রামের ব্যবহার শুরু হয়।
চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত বিটিআরসি’র সর্বশেষ স্পেকট্রাম নিলাম থেকে নতুন স্পেকট্রাম নেয়া প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি ) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার প্রধান অতিথি হিসেবে প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
তিনি বলেন, বাংলালিংক যেভাবে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দেখে, তা দেখে আমি আনন্দিত। এই ধরনের উদ্যোগ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস বলেন, খুলনা বাংলালিংকের কাছে সবসময়ই বিশেষ একটি মার্কেট। আজকের এই উদ্যোগে বাংলালিংককে সমগ্র দেশে বিস্তৃত একটি অপারেটর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যও প্রতিফলিত হয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুততর ইন্টারনেট এবং মানসম্মত ডিজিটাল সেবা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
আরও পড়ুন: দেশের ফাসটেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা’র স্বীকৃতি পেলো বাংলালিংক
সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন স্পেকট্রামের ফলে বাংলালিংক গ্রাহকরা দ্রুততর ইন্টারনেট ও আরও উন্নত ডিজিটাল সেবা পাবেন। টাইম ডিভিশন ডুপ্লেক্স ( টিডিটি ) প্রযুক্তির মাধ্যমে এই স্পেকট্রাম ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলালিংক গত আট মাসে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তিন হাজারটি নতুন বেইজ ট্রান্সসিভার স্টেশনও ( বিটিএস ) স্থাপন করেছে। চলতি বছরে বিটিআরসি’র কাছ থেকে ৪০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম নেয়ার ফলে বাংলালিংকের স্পেকট্রামের পরিমাণ ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ মেগাহার্জে উন্নীত হয়। গ্রাহক প্রতি স্পেকট্রামের হিসেবে বর্তমানে দেশের শীর্ষ বেসরকারি অপারেটর বাংলালিংক। এছাড়াও ধারাবাহিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বাংলালিংক ২০২২ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়। সম্প্রতি টানা তিন বছর দেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা’র স্বীকৃতিও পেয়েছে বাংলালিংক ।
আরও পড়ুন: জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস ডিভিশনের কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মো.মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন তুরকার , বাংলালিংকের ক্লাস্টার ডিরেক্টর এফ এম শাহরিয়ার ওমর প্রিন্স ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
সম্প্রতি, দেশের বাজারে অপো এর নতুন স্মার্টফোন অপো এ৫৭ উন্মোচন করেছে। এ সিরিজের নতুন এই ডিভাইসটি ব্র্যান্ডটির স্মার্টফোন লাইন-আপের সর্বাধুনিক ফোন। নতুন এই ফোনটিতে রয়েছে ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং, ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার ও ৮জিবি পর্যন্ত র্যাম এক্সপেনশন প্রযুক্তি সহ উপভোগ্য উপায়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফিচার। অত্যাধুনিক ফিচার ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অপো এ৫৭ স্মার্টডিভাইসটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯০ টাকা। ব্যবহারকারীদের ফোন ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে নতুন এ ডিভাইসটিতে উন্নতমানের ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে।
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে আল্ট্রা-লিনিয়ার ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার এবং ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং, যা ব্যবহারকারীকে ফোন ব্যবহারের সেরা বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এ ডিভাইসটি ব্যবহারকারীকে হোম-থিয়েটারের মতো অভিজ্ঞতা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এটি বেইজ রেসপন্সকে উন্নত করে এবং মুভি ও গেম খেলার সময় বাড়তি মাত্রা যোগ করতে সর্বোচ্চ ভলিউমের বিষয়টি নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, স্টেরিও সাউন্ড ফিল্ড ইমার্সন বৃদ্ধি করে। আল্ট্রা ভলিউম মোড টপ ভলিউমকে ৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়, যা শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বেশ সহায়ক। এ ফিচারগুলো সমন্বিতভাবে ব্যবহারকারীদের দীর্ঘস্থায়ী ও অনন্য বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম করে তুলবে! ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় পাঁচ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয়জনদের সাথে ৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট কথা বলতে পারবেন।
অন্যদিকে, ১৫ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা ৪ ঘন্টা ভিডিও স্ট্রিমিং ও ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন। এ ফোনটি মাত্র ৩০ মিনিটে শূন্য থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ প্রাপ্ত হয়। ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় এ ডিভাইসটি মাত্র ৭২ মিনিটে পূর্ণ চার্জ প্রাপ্ত হয়!
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারি, যা ৩০ মিনিটের মধ্যে ফোনকে ৫১ শতাংশেরও বেশি চার্জ প্রাপ্ত করে। সম্পূর্ণ চার্জের মাধ্যমে ফোনটি দিয়ে ১৫ ঘণ্টা ইউটিউব স্ট্রিমিং অথবা স্ট্যান্ডবাইতে ১২.৭ দিন পর্যন্ত চার্জ থাকে।
আরও পড়ুন: অপো এফ২১ প্রো: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য সানসেট অরেঞ্জ রঙের ফ্যান্টাস্টিক ফোন
অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়
অ্যান্ড্রয়েড-১৩-এর চমকের রেশ কাটতে না কাটতেই অ্যান্ড্রয়েড-১৪ নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে গুগলের প্রকৌশলীরা। নতুন চমকগুলোর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড-১৪-এর যে ফিচারটি নিয়ে ইতোমধ্যে সমূহ সম্ভাবনার উঁকি দিচ্ছে তা হলো সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ। গুগল প্ল্যাটফর্ম ও ইকোসিস্টেমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরোশি লকহেইমার টুইটারে ঘোষণা করেছেন যে, গুগল অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ তৈরিতে কাজ করছে। চলুন, এ ব্যাপারে আরো কিছু জেনে নেয়া যাক।
কবে নাগাদ আসবে অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোন
শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির নামে নাম রাখার প্রবণতাটা গুগলের এই অপারেটিং সিস্টেমগুলোর জন্য রীতিমত প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই ১৪ নাম্বার সংস্করণটিরও নাম রাখা হয়েছে আপসাইড ডাউন কেক। এটি মুলত একটি আমেরিকান কেক যা প্যানে উল্টো করে বেক করা হয়।
২০২৩-এর মে মাসে গুগল ডেভেলপারদের বার্ষিক সম্মেলন গুগল আই/ও ২০২৩-এ অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। তবে এর ডেভেলপার প্রিভিউ বিল্ড ফেব্রুয়ারিতে এবং বেটা বিল্ড এপ্রিলে মুক্তি পেতে পারে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ অ্যান্ড্রয়েড-১৪-এর মুক্তি হতে হতে আগস্ট মাস লেগে যেতে পারে।
পড়ুন: জাপানে ছোট দোকানগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে বুদ্ধিমান রোবট
অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ-এ কি সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা
অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ব্যবহারকারীরা বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে একটি নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম হবেন। এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়ও নেটওয়ার্ক সংযোগ না থাকার মতো কোন পরিস্থিতির অবকাশ থাকবে না। নেটওয়ার্কটি ডাটা প্রসেস করতে পারবে প্রতি সেলুলার জোনে প্রায় ২ এমবিপিএস(মেগাবাইট-পার-সেকেন্ড) থেকে ৪ এমবিপিএস হবে। এটি বেশ ধীর গতির হলেও কয়েক হাজার টেক্সট লেনদেনের জন্য যথেষ্ট।
স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এমএমএস(ছবি/ভিডিও ম্যাসেজ) সহ যে কোন টেক্সটিং, ভয়েস কল করতে এবং মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন। এই নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ পৃথিবীর যে কোন স্থানে ১ থেকে ২ হাজার ভয়েস কলের জন্য যথেষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার এই নতুন পথচলায় শুরুর দিকে সংযোগ স্থাপন গতি হয়ত আশানুরুপ না হতে পারে। কিন্তু এটি জরুরী পরিস্থিতিতে, দুর্গম জায়গা বা প্রযুক্তির স্পর্শ না পাওয়া কোন গ্রামে নেটওয়ার্ক না পাওয়ার অবস্থার চূড়ান্তভাবে পরিসমাপ্তি ঘটাবে।
পড়ুন: দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করার উপায়
স্যাটেলাইট সংযোগ সমর্থিত স্মার্টফোনের অগ্রযাত্রা
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের আগের সংস্করণটিকে আপগ্রেড করলেই এই নেটওয়ার্ক সুবিধা পাওয়া যাবে নাকি একদম নতুন অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোন কিনতে হবে সে ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স এবং স্ট্র্যান্টনের টি-মোবাইল এই দিক থেকে এগিয়ে গেছে। এদের ডিভাইসটি আসন্ন স্টারলিঙ্ক ভি(ভার্সন)-২ স্যাটেলাইট দ্বারা সমর্থিত হবে।
এমনকি বিগত সংস্করণের ফোনগুলোতেও এই নেটওয়ার্ক কাজ করবে কারণ এটি পিসিএস(পার্সনাল কমিউনিকেশন সার্ভিস) স্পেকট্রামে পুরনো ব্যান্ড বা রেডিওকে কাজে লাগাবে। ফলে বেশিরভাগ টি-মোবাইল গ্রাহকদের আসন্ন পরিষেবা উপভোগ করতে নতুন ডিভাইস কিনতে হবে না। প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের স্মার্টফোনগুলোকে সরাসরি স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পরেই প্রকাশিত হয় এই তথ্যটি।
স্যাটেলাইট স্থাপনের সাথে যোগাযোগ শিল্পের সহ-পরিষেবা এখন পর্যন্ত খুব একটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, ২০২৩ সালের শেষের বিশ্ববাসী মানিয়ে নিতে শুরু করবে এরকম পরিষেবার সাথে। আর গুগলও ঠিক সে সময়েই আনতে যাচ্ছে তাদের নতুন ফোনটি। সর্বসাকূল্যে ২০২৩ সালটি হবে স্যাটেলাইট সংযোগ সমর্থিত স্মার্টফোনের অগ্রদূত।
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
শেষাংশ
গোটা বিশ্বকে এক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। সেলুলার ডেড জোনের বিড়ম্বনা আর পোহাতে হবে না স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।
নতুন প্রযুক্তি হিসেবে প্রকল্পটির বিকাশের জন্য যে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সাথে নির্মাণাধীন অ্যান্ড্রয়েড-১৪-কেও এর সিস্টেম সফ্টওয়্যারগুলোর সাথে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এর উপরই নির্ভর করছে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা, যা নতুনত্বের আবির্ভাব এবং গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করবে।
পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, পরবর্তী চেষ্টা কয়েক সপ্তাহ পর
মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) শনিবারের পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান রকেট উৎক্ষেপণ বিপজ্জনক জ্বালানি ত্রুটির কারণে আবারও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ট্যাংকের জ্বালানি নির্গতজনিত সমস্যার কারণে উৎক্ষেপণ নিয়ন্ত্রকদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও কয়েক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যা মাস পর্যন্তও গড়াতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
৩২২ ফুট উঁচু স্পেস লঞ্চ সিস্টেম নাসার এ পর্যন্ত নির্মিত শক্তিশালী রকেটটির সোমবারের চেষ্টাতেও হাইড্রোজেন জ্বালানি ত্রুটি দেখা দেয়। তবে তা তুলনামূলক কম ছিল। তবে একই সমস্যা এ বছরের শুরুর দিকে পরীক্ষামূলক চেষ্টাটি বড় আকারের ছিল।
নাসার কর্মকর্তাদের মতে, আরও মেরামত ও সিস্টেম আপডেটের জন্য মিশন ব্যবস্থাপকরা রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডে রেখেছে। যেখানে নানা পরীক্ষা চালিয়ে দেখা হবে। এ কাজ করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দুই সপ্তাহের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তী পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চেষ্টা সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরে করা হতে পারে। নাসা আপাতত অক্টোবরের শুরুতে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি বেশি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত স্পেসএক্স মহাকাশচারী ফ্লাইট নিয়ে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জোর দিয়ে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। কারণ পরীক্ষামূলক এই চেষ্টার ওপর নির্ভর করছে পরবর্তীতে নভোচারীদের সশরীরে চাঁদে পা রাখার সফলতা।
তিনি বলেন, ‘শুধু মনে রাখবেন যে এটি সঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা উৎক্ষেপণ করছি না।’
উৎক্ষেপণ পরিচালক চার্লি ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন ও তার দল ভোরবেলায় স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটে প্রায় ১০ লাখ গ্যালন জ্বালানি ঢালা শুরু করতেই নিচের দিকে ইঞ্জিন অংশে জ্বালানি নির্গতজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
গ্রাউন্ড কন্ট্রোলাররা পূর্বে ছোট ছিদ্রগুলো যেভাবে বন্ধ করেছিল সেভাবে চেষ্টা করে দেখে। সরবরাহ লাইনের একটি সীলের চারপাশে ফাঁক বন্ধ করার আশায় অতি ঠান্ডা তরল হাইড্রোজেনের প্রবাহ বন্ধ করে পুনরায় চালু করে দেখেছেন তারা। তারা দুবার চেষ্টা করেছিল এবং লাইনের মধ্য দিয়ে হিলিয়ামও প্রবাহিত করেছিল। তবুও সমাধা হয়নি।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে থামিয়ে দেয়।
মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন সাংবাদিকদের বলেন, ঠিক কি কারণে সমস্যাটি হয়েছে তা এখন নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে সকালে হাইড্রোজেন লাইনের অসাবধানতাবশত অত্যধিক চাপের কারণে কেউ একজন ভুল ভাল ঘুড়ানোর কারণে হতে পারে।
সারাফিন বলেন, ‘এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিদ্র ছিল না। নির্গত হাইড্রোজেন দুই বা তিনবার দাহ্য সীমা অতিক্রম করেছে।’
চাঁদে নভোচারীদের ক্যাপসুল পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যেই নাসা অনেক বছর অপেক্ষা করেছে। ছয় সপ্তাহের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফল হলেই ২০২৪ সালে চাঁদের কক্ষপথ দিয়ে রকেট প্রদক্ষিণ করতে পারবে এবং ২০২৫ সালে নভোচারী চাঁদে পা রাখতে পারবে। এর আগে মানুষ চাঁদে পা রেখেছিল ৫০ বছর আগে।
হাজার হাজার দর্শনার্থী যারা ফ্লোরিডার উপকূলে ভিড় জমিয়েছিল তারা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
উল্লেখ্য, গ্রীক পুরাণ অনুসারে ৪১০ কোটি মার্কিন ডলারের এই পরীক্ষামূলক অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: শনিবার উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা
‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার জগতে নেতৃত্ব দিতে ‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ডিজিটাল সংহতির আরও সুদৃঢ় করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার যুক্তরাজ্যের নিউপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিশ্বনন্দিত কমিউনিটি ইন্টারেস্ট কোম্পানি সাইবার ওয়েলসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কর্নেল জন ডেভিস (এমবিই) এবং প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাইবার ওয়েলসের বোর্ড অব ডিরেক্টর জেসন ডেভিস, বোর্ড অব ডিরেক্টর ও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার ফাহিম আজহার এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
এসময় সাইবার সুরক্ষায় বিশ্বে নেতৃত্বে যেতে প্রস্তুতি নেয়ার কথা উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাইবার ওয়েলসের মতো আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স গড়ে তুলবে। এ সকল উদ্যোগ আমাদের দেশে অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
একা কোনো দেশের পক্ষে ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা মোকাবিলা করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইসিটি বিভাগের ‘বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট’ বাংলাদেশে সাইবার সর্বোত্তম অনুশীলন নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে যুক্তরাজ্যের সাইবার ওয়েলসের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
বৈঠকে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে সাইবার ওয়েলসের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার লক্ষ্যে সাইবার ক্লাস্টার, সাইবার স্কিল গ্রোথ ওয়ার্কিং গ্রুপ, সাইবার অ্যাক্সিলারেটর উদ্যোগ এবং সাইবার ইনকিউবেশন সেন্টারের আরও উন্নয়নের বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ এবং আইন প্রয়োগকারীদের নিয়ে সাইবার প্রতিরক্ষার সবক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণের বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
এছাড়াও বৈঠকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে (করোনাকালীন) সাইবার ওয়েলসের সাথে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট’ এর মধ্যে সম্পাদিত ভার্চুয়াল চুক্তিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনাকালে গুরুত্ব দেয়া হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী একটি সুদৃঢ় ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাইবার দক্ষতায় বিনিয়োগ এবং সাইবার ওয়েলসের সাথে শক্তিশালী সাইবার বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে আরও নিবিড়ভাবে বাংলাদেশ ও সাইবার ওয়েলস একসাথে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে সাইবার সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাইবার ওয়েলসের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান জন ডেভিস (এমবিই) বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে ঈর্ষণীয় প্রতিভার স্বাক্ষর পেয়েছি। সাইবার ওয়েলস এমন একটি দেশে সাইবার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করার জন্য ন্যূনতম ভূমিকা পালন করতে পেরে গর্বিত। এর মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওয়েলসে সাইবার কোম্পানিগুলো। যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার প্রোগ্রামের কেন্দ্রে রয়েছে সাইবার ওয়েলস। ফলে আমরা সাইবার সুরক্ষায় একটি ইকোসিস্টেম হিসাবে সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগ করে নেয়ার এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করি৷ এক্ষেত্রে আরও বড় পরিসরের বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, এটা আনন্দের বিষয় যে বাংলাদেশ ই-গভ কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের সার্ট এবং সাইবার ওয়েলস যৌথভাবে সাইবার ট্রেড এবং বিনিয়োগ আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী