বিনোদন
সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে চলচ্চিত্র প্রদর্শন
সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উপলক্ষে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আমেরিকান ফিল্ম শোকেসের (এএফএস) সহযোগিতায় আমেরিকান সেন্টারে তথ্যচিত্রের ‘ফিফটিন মিনিটস অব শেইম’ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজনে প্রযুক্তি শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও একাডেমিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল অনলাইন আচরণ প্রসারে চলমান প্রচেষ্টার অংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি পাবলিক এনগেইজমেন্ট ডিরেক্টর ব্রেন ফ্ল্যানিগ্যান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি তার বক্তব্যে অনলাইন হয়রানি ও পাবলিক শেইমিংয়ের বাস্তব জীবনের প্রভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ডিজিটাল গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরেন। নিরাপদ ও দায়িত্বশীল অনলাইন আচরণের ওপর জোর দেন।
‘ফিফটিন মিনিটস অব শেইম’ তথ্যচিত্রটি মনিকা লিউইনস্কি এবং ম্যাক্স জোসেফ পরিচালিত। যা অনলাইন শেইমিং ও সাইবার হয়রানির ব্যক্তিগত প্রভাবকে কেন্দ্র করে তৈরি। এতে অনলাইনে অপব্যবহারের শিকার ব্যক্তিদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। প্রদর্শনী শেষে, মনের বন্ধু'র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তাওহিদা শিরোপা ডিজিটাল যুগে মানসিক স্বাস্থ্য এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষার গুরুত্ব নিয়ে একটি আলোচনা সেশন পরিচালনা করেন। এই আয়োজন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চলমান প্রতিশ্রুতির অংশ, যেখানে অনলাইন গোপনীয়তা, হয়রানি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আয়োজনটি ইন্টারনেটের সঙ্গে সচেতনভাবে যুক্ত থাকা, নিরাপদ ডিজিটাল স্পেস তৈরি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে গল্প বলার ভূমিকা তুলে ধরে। আমেরিকান ফিল্ম শোকেসের সহযোগিতায় এই আয়োজনটি যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের একটি প্রোগ্রামের অংশ, যা সাইবার হয়রানি ও মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে হচ্ছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড
২ দিন আগে
বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি গঠন করলেন অভিনেতা সোহেল রানা
ঢালিউড অভিনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা 'বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি' নামে একটি নতুন রাজনৈতিক সংগঠন গঠন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার সভাপতিত্বে দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অস্কারে যাচ্ছে লাপাতা লেডিস
নতুন দলের ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে এ মাসের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। শান্তির প্রতীক পায়রাকে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতীক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢালিউডের 'সোনালি যুগ' খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে পড়ার সময় তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
১৯৬৫ সালে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৮ সালে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সোহেল রানা ইকবাল হলের ভিপি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সদস্যপদ গ্রহণ করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচনি উপদেষ্টা নিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু
প্রবীণ ও প্রশংসিত রুপালি পর্দার অভিনেতা সোহেল রানা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরপরই প্রযোজক হিসেবে পারভেজ ফিল্মস প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন।
এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'ওরা ১১ জন' নির্মাণ করেন।
১৯৭৩ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হুসাইনের বিখ্যাত স্পাই থ্রিলার সিরিজ 'মাসুদ রানা'র গল্প অবলম্বনে 'মাসুদ রানা' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়।
অভিনেতা হিসেবে চলচিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সোহেল রানা তার ক্যারিয়ারে আজীবন সম্মাননাসহ তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
৬ দিন আগে
অস্কারে যাচ্ছে লাপাতা লেডিস
সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস খুব একটা উজ্জ্বল নয়। দীর্ঘ কয়েক দশকের ব্যবধানে মনোনয়ন পর্যন্ত যেতে পেরেছে মাত্র ৩টি সিনেমা; ‘মাদার ইন্ডিয়া’ (১৯৫৭), ‘সালাম বোম্বে!’ (১৯৮৮) এবং ‘লাগান’ (২০০১)। আগামী ৯৭-তম অস্কারে এই বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য বাছাই করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় মুভি ‘লাপাতা লেডিস’কে। চলুন, চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া নতুন সম্ভাবনার বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
লাপাতা লেডিস বৃত্তান্ত
জিও স্টুডিও, আমির খান প্রোডাকশন এবং কিন্ডলিং পিকচার্স প্রযোজিত এই সিনেমার প্রথম প্রকাশ ঘটে ২০২৩-এর ৮ সেপ্টেম্বর টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তারপর ২০২৪-এর পহেলা মার্চ-এ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াটা খুব একটা সুখকর ছিলো না। তবে ২৬ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে-এ প্রিমিয়ার হওয়ার পর থেকে দর্শক মহলে অভাবনীয় সাড়া পেতে শুরু করে স্যাটায়ারধর্মী চলচ্চিত্রটি।
মুভিটির পরিচালনায় ছিলেন বলিউডের ‘মিস্টার পার্ফেকশনিস্ট’ হিসেবে খ্যাত সফল অভিনেতা আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। প্রযোজনা কমিটিতে ছিলেন এই প্রাক্তন দম্পতির পাশাপাশি আরও ছিলেনকিরণ রাও, আমির খান, এবং জ্যোতি দেশপান্ডে।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
ছবির শ্রেষ্ঠাংশে দেখা গেছে প্রতিভা রান্তা, নিতানশি গোয়েল, ছায়া কদম, স্পর্শ শ্রীবাস্তাব, অভয় ডুবে, গীতা আগারওয়াল, রবি কিষাণ, এবং দুর্গেশ কুমারকে।
অস্কারের পথে লাপাতা লেডিস
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ভারতের ফিল্ম ফেডারেশন জুরি আসন্ন ৯৭তম অস্কারের জন্য তাদের নির্বাচিত সিনেমা হিসেবে ‘লাপাতা লেডিস’র নাম ঘোষণা করে। ছবিটি ভারতীয় সিনেমা হিসেবে অস্কারের সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের জন্য প্রতিযোগিতা করবে।
আসামের চলচ্চিত্র পরিচালক জাহ্নু বড়ুয়ার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিটিতে ছিলেন মোট ১৩ জন সদস্য। এই বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘লাপাতা লেডিস’ পেছনে ফেলেছে কানজয়ী ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’, বলিউড হিট ‘অ্যানিম্যাল’ ও মালায়ালামের ‘আট্টাম’ সহ মোট ২৯টি চলচ্চিত্রকে।
সাধারণ নিয়মানুসারে, অস্কারের আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগের জন্য প্রত্যেক দেশ থেকে শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্রের নাম গৃহীত হয়। এভাবে সারা বিশ্ব থেকে প্রাপ্ত আবেদন থেকে প্রস্তুত করা হয় ১৫টি সিনেমার সংক্ষিপ্ত তালিকা। আর এই তালিকা থেকে পরবর্তীতে অস্কারের মূল আসরে মনোনয়নে যায় ৫টি ছবি।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
অস্কার কমিটিতে ছবি জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময়সীমা আগামী ১৪ নভেম্বর। নির্বাচিত প্রতিযোগীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৭ ডিসেম্বর। অতঃপর ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম, যারা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে। সেই সূত্রে, ‘লাপাতা লেডিস’র অস্কার যাত্রায় এখনও আরও দুটি কঠিন ধাপ রয়েছে।
অস্কারের ৯৭তম আসর বসবে ২০২৫ সালের ২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়ার ডলবি থিয়েটারে।
২ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বিলুপ্ত করার বিষয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের ক্রমাগত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অবশেষে রবিবার 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড' প্রতিষ্ঠা করেছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১৫ সদস্যের নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড কমিটি প্রকাশ করে রবিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সেন্সর বোর্ড ও সার্টিফিকেশন বোর্ডের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো সেন্সর মূলত মুক্তির জন্য চলচ্চিত্রগুলো অনুমোদনের জন্য কাজ করেছিল। এর জন্য তারা চূড়ান্ত মুক্তি থেকে নির্দিষ্ট দৃশ্যগুলো কেটে ফেলা বা এমনকি পুনরায় শ্যুট করার দাবি জানাতে পারে। এতে ব্যর্থ হলে তারা একটি ছবির মুক্তি আটকে দিতে পারে।
অন্যদিকে একটি সার্টিফিকেশন বোর্ড তাদের সামনে রাখা কাজের মূল্যায়ন করবে এবং উপযুক্ত দর্শকদের জন্য এটির মুক্তির ব্যবস্থা করবে। যেমন- কিছু চলচ্চিত্র শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকদের জন্য অনুমোদিত হতে পারে, যা সিনেমা হলে সেগুলো দেখানোর সময়কে প্রভাবিত করে, অন্যগুলো সর্ব সাধারণের জন্য অনুমোদিত হতে পারে। মুক্তি, তাদের উপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।
সিস্টেমটি শৈল্পিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য বোঝানো হয়েছে, বোর্ডের সদস্যদের চূড়ান্ত বিষয়বস্তুর বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার সেন্সর বোর্ডের সংস্কার করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বা সচিবকে চেয়ারম্যান করে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করে।
একই কর্মকর্তারা সদ্য চালু হওয়া সার্টিফিকেশন বোর্ডের পদগুলো গ্রহণ করবেন এবং পুরো বোর্ড কর্মকর্তাদের এখন সার্টিফিকেশন বোর্ডের কর্মকর্তা হিসাবে স্থানান্তরিত করা হবে।
অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খান, চলচ্চিত্র নির্মাতা-চলচ্চিত্র গবেষক ও শিক্ষাবিদ জাকির হোসেন রাজু, লেখক-চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র প্রযোজক-লেখক-পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র প্রযোজক জাহিদ হোসেন, চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নতুন বোর্ডের সদস্য হবেন।
সেন্সর বোর্ড বিলুপ্ত করে যথাযথ সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনের দাবি দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের। অতীতে বোর্ডের সিদ্ধান্তে দেশের বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; যেমন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, যিনি বছরের পর বছর ধরে তার 'শনিবার বিকেল' ছবির সেন্সরশিপ নিয়ে লড়াই করেছেন।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ববর্তী শাসনের পতনের পরে, চলচ্চিত্র শিল্পের পেশাদাররা পূর্ববর্তী সেন্সর বোর্ডের সংস্কার এবং একটি নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো অনুরোধ করেছিলেন।
১৯৬৩ সালের 'সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট'-এর আওতায় ১৫ সেপ্টেম্বর সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠনের বিপক্ষে সোচ্চার হন বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক ও চলচ্চিত্র সংগঠক। 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩' এর ধারা ৩ এর উপধারা (১) অনুযায়ী নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে হচ্ছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড
সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই আপদকালীন সিনেমার জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপদকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছিলাম।
তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০২৩ সালে যেহেতু একটি আইনের গেজেট হয়ে গেছে, সেটি পর্যালোচনা করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সেন্সর যে শব্দটি সেটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যে ২০২৩ সালের আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন সেই আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডটাকে পুনর্গঠন করব।'
আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের যে আইন রয়েছে সেটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ, সেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। সেই আইনটিও নানান অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধনের জন্য আমরা কাজ করব। সে প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। যেহেতু বেশকিছু সংখ্যক সিনেমা ঝুলে রয়েছে সেগুলোকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্যই সার্টিফিকেশন বোর্ড সেটি পুনর্গঠন করা হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে একটা সার্টিফিকেশন বোর্ড করব, সেন্সরবোর্ডকে পুনর্গঠন করে।
কেন এটি পরিবর্তন করতে হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের যারা আছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। তাদের এক ধরনের কার্যক্রমের জন্যই কিন্তু সার্টিফিকেশন আইনের কথা ভাবা হয়েছিল বিগত সময়ে। নতুন আইন অনুযায়ী আমরা ছবি পরিচালনার কাজগুলো চলমান রাখব।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
৩ সপ্তাহ আগে
২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
মহা ধুন্ধুমার হতে চলেছে ২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজন। এই একই মৌসুমকে ঘিরে ঠিক হলো শাহরুখ খানের ‘কিং’ এবং রণবীর কাপুরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ। উপমহাদেশ জুড়ে ভক্তদের প্রত্যাশার সয়লাবে যেন জোয়ার তুলেছে এই ঘোষণা। সেই সঙ্গে পুরোনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চলেছে ছবি দুটি। চলুন, এখনও নির্মাণের মঞ্চে না ওঠা সিনেমা দুটি নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ঐতিহাসিক পূণর্মিলনী
শাহরুখ অভিনীত ফারাহ খানের পুনর্জন্ম কাহিনী ‘ওম শান্তি ওম’ ছিল ২০০৭-এর দীপাবলির ব্লকবাস্টার। একই সময়ে সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘সাওয়ারিয়া’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে রণবীর কাপুরের। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বক্সঅফিসে বলিউড বাদশার মুখোমুখি হতে চলেছেন রণবীর। বলাই বাহুল্য যে, এখন তিনি আর সেই ‘সাওয়ারিয়া’র রণবীর নেই।
নির্মাতা বনসালির সঙ্গে চলচ্চিত্র যুদ্ধে এসআরকে সেবার জিতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ২০১৫’তে শাহরুখের ‘দিলওয়ালে’ খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বনসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’র কাছে। এবার তৃতীয়বারের মতো কিং খানের সঙ্গে বক্সঅফিস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন ১৫ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আরও পড়ুন: ‘কাঁটা’ আসছে বঙ্গতে
শাহরুখের ‘কিং’
পরপর ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এবং ‘ডানকি’র মতো হিট মুভি দেওয়ার পর শাহরুখের এবারের চমকের নাম ‘কিং’। বহুল প্রত্যাশিত এই ক্রাইম ড্রামার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় প্রকাশিত চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে শাহরুখ-কন্যা সুহানা খানের। ছবিটির পরিচালনায় থাকবেন সুজয় ঘোষ।
এসআরকে’র রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে সিনেমার সহ-প্রযোজনায় অংশ নেবে সিদ্ধার্থ আনন্দের মারফ্লিক্স পিকচার্স।
২০১৩-এর ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর দুর্দান্ত সফলতার পর থেকে দীর্ঘ বিরতির এই প্রথম ঈদের মৌসুমে ছবি প্রকাশ করছেন কিং খান।
ছবিতে প্রধান খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। তারকাশিল্পীদের মধ্যে আরও থাকবেন সম্প্রতি সাড়া জাগানো হরর-কমেডি মুঞ্জিয়া-খ্যাত অভিনেতা অভয় ভার্মা।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ অভূতপূর্ব কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবং নজরকাড়া কিছু ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়ে সাজানো হবে মুভিটিকে। সঙ্গত কারণে বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা চলছে ছবি নির্মাণে। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হবে নির্মাণের যাবতীয় কাজ।
রণবীরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’
প্রথম দিকে ২০২৫-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়া কথা থাকলেও সময় পিছিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করা ২০২৬-এর ২০ মার্চ। সেই থেকেই ‘কিং’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত এই এপিক রোমান্টিক মুভিতে অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশল। ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান (২০২২)-এর পর এটি দম্পতি রণবীর-আলিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
বলিউডের ঈদ আয়োজনে এই পরিবর্তনের পটভূমি
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ঈদে ছবি মুক্তি থেকে বলিউডের ভাইজান-খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের সরে দাঁড়ানো থেকে। বছরের পর বছর ধরে অনেকটা একচেটিয়া ভাবেই ঈদ মৌসুমকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সালমান খানের মুভিগুলো। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ভেঙে ২০২৬ সাল থেকে যাচ্ছে একটু ভিন্ন রকমের।
২০২৫ সালের ঈদের জন্য নির্ধারিত ‘সিকান্দার’ মুভির কাজ শেষ করেই পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে পরবর্তী মেগা-বাজেটের ছবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সালমান। ব্যাপক শুটিং ও ভিএফএক্স নিয়ে এই নতুন প্রজেক্টে রয়েছে বেশ ভারী কাজের চাপ। স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তা ছবি মুক্তির দিনক্ষণকে ঠেলে দিয়েছে ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। এতে ২০২৬-এর ঈদ মৌসুমে সৃষ্টি হয় বিগ বাজেটের চলচ্চিত্র-শূন্যতা। আর এই শূন্যস্থান পূরণেই মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ‘কিং’ এবং ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
শেষাংশ
২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজনে শাহরুখ ও রণবীরের মুখোমুখি হওয়াটা জন্ম দিয়েছে নতুন মাত্রার ব্লকবাস্টার প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা। একদিকে ‘কিং’-এর আবেগপূর্ণ পিতা-কন্যার আবেগঘন চিত্রনাট্য, অন্যদিকে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ প্রেম ও সংঘর্ষের চিরনবীন পটভূমি। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০২৬-এর ঈদুল ফিতর হতে চলছে বলিউডের সবচেয়ে প্রত্যাশিত আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি। কার মাথায় মুকুট উঠবে তা নিয়ে রুদ্ধঃশ্বাস প্রতীক্ষার পাশাপাশি মুভিপ্রেমীরা পাচ্ছে এক স্মরণীয় উৎসবমুখর সপ্তাহের হাতছানি।
আরও পড়ুন: আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
৩ সপ্তাহ আগে
রাহুল আনন্দর বাড়িতে হামলাসহ দেশব্যাপী সহিংসতার বিচার দাবি সংস্কৃতিকর্মীদের
দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
৫ আগস্ট ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল জনপ্রিয় গায়ক ও সংস্কৃতিকর্মী রাহুল আনন্দের বাড়ি। এ ঘটনাসহ দেশে সংঘটিত সব অরাজকতার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করেন প্রাচ্যনাট ও রাহুলের বন্ধুরা।
সমাবেশে তারা সহিংসতা বন্ধে এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা কমপ্লেক্সের সামনে 'শিল্পা, স্থাপত্য ও শিল্পাঙ্গন ধ্বংসের বিরুদ্ধে অবস্থান' ব্যানারে শিল্পী সম্প্রদায় জড়ো হন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন তারা।
প্রাচ্যনাটের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর ও অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে যখন ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলন তুঙ্গে ছিল এবং এটি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে একটি বিশাল আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল, তখন শিল্পীরা সর্বোচ্চ সমর্থন নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও প্রাচ্যনাটের নাট্যকর্মী এবং জলের গানের ফ্রন্টম্যান রাহুল আনন্দের উপর যে নৃশংসতা চলছে তা দেখে আমরা হতবাক। শুধু শিল্পী সম্প্রদায় নয়, সবাইকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, আমরা সহিংসতার অবসান দেখতে চাই।’
আরও পড়ুন: আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
২ মাস আগে
রক কিংবদন্তি শাফিন আহমেদের মরদেহ দেশে, দাফন আজ
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী এবং কিংবদন্তি ব্যান্ড মাইলসের সাবেক প্রধান গায়ক শাফিন আহমেদের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে হৃদযন্ত্র ও কিডনি বিকল হয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই রক বেজ গিটারিস্ট, গায়ক-গীতিকার ও রেকর্ড প্রযোজক।
এই তারকা সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে দেশের সংগীত জগত।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকালে শাফিনের লাশ দেশে পৌঁছায় বলে জানান শাফিনের বড় ভাই ও মাইলস ব্যান্ডের প্রধান হামিন আহমেদ।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১টায় ভার্জিনিয়ার দার আল নূর ইসলামিক কমিউনিটি মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
হামিন আহমেদ জানান, আজ (৩০ জুলাই) বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে শাফিনের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে কিংবদন্তি এই রক তারকাকে।
হামিন আরও জানান, আগামী শুক্রবার (২ আগস্ট) বাদ জুমা বনানী কবরস্থানের পাশে গুলশান কমিউনিটি মসজিদে শাফিন আহমেদের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবার ও স্বজনদের পক্ষ থেকে সবাইকে শাফিন আহমেদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার জানাজা ও কুলখানিতে উপস্থিত হতে অনুরোধ জানিয়েছেন হামিন আহমেদ।
১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় উপমহাদেশের অগ্রণী সংগীতশিল্পী কমল দাশগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
শৈশবে ঢাকায় চলে আসার পর শাফিন আহমেদ নয় বছর বয়সে নজরুল সংগীত শেখার মাধ্যমে তার সংগীত জীবন শুরু করেন। ঢাকার সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা শেষে বড় ভাই হামিন আহমেদের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পড়তে যান। সেসময় পশ্চিমা সঙ্গীতের সংস্পর্শে আসেন তিনি।
১৯৭৯ সাল থেকে মাইলসের কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও বেজ গিটারিস্ট ছিলেন শাফিন আহমেদ। ২০০৯ সালে মাইলস ছাড়ার পর ২০১০ সালে রিদম অব লাইফ নামে নিজের ব্যান্ড গড়েন শাফিন, যা ২০১৪ সাল পর্যন্ত চলে।
মাইলস (১৯৮২) দিয়ে শুরু করে মাইলসের প্রতিটি অ্যালবামের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন শাফিন আহমেদ। মাইলস (১৯৮২) অ্যালবামের পর অ্যা স্টেপ ফারদার (১৯৮৬), প্রতিশ্রুতি (ব্যান্ডের প্রথম বাংলা অ্যালবাম, ১৯৯১), প্রত্যাশা (১৯৯৩), প্রত্যয় (১৯৯৬), প্রয়াস (১৯৯৭), প্রবাহ (২০০০), প্রতিধ্বনি (২০০৬), প্রতিচ্ছবি (২০১৫) ও প্রবর্তন (২০১৬) অ্যালবামে গান করেন তিনি।
মাইলসের প্রথম বাংলা অ্যালবাম 'প্রতিশ্রুতি'র জনপ্রিয় গান 'চাঁদ তারা' ১৯৯২ সালে বিটিভির ঈদ স্পেশালে প্রচারিত হয়। দেশজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় গানটি। তারপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মাইলসকে।
মানাম আহমেদের সুরে শাফিন আহমেদ 'ফিরিয়ে দাও', 'ধিকি ধিকি', 'নীলা', 'চাঁদ তারা সূর্য', 'কি জাদু', 'জানি তুমি'সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও সুপারহিট গানের জন্য শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়েছেন।
শাফিন আহমেদ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন 'আজ জন্মদিন তোমার' গানটি দিয়ে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর এই গানটি এখনও জন্মদিন উদযাপনের গান হিসেবে বাজানো হয়। বিশিষ্ট সংগীত প্রযোজক প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুরে গানটি প্রথম প্রিন্সের মিক্সড অ্যালবাম দাগ থেকে যায় (২০০৪)-এ প্রকাশিত হয়।
এছাড়াও শাফিন আহমেদ তোমাকে (১৯৮৭), পাগলা ঘণ্টি (১৯৯৮), ছবি আর স্মৃতিগুলো (১৯৯৯), বেস্ট অব শাফিন আহমেদ (২০০১), কতদিন দেখি না তোমায় (২০০৬), ভাইরাস (২০০৬), হারানো সুখ (২০০৭), মাই লাভ সংস (২০১০) ও মনে পড়ে আজসহ (তার মা ফিরোজা বেগমের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিস্বরূপ নজরুল গানের অ্যালবাম, ২০১৬) বেশ কয়েকটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
২ মাস আগে
ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ আর নেই
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী এবং কিংবদন্তি ব্যান্ড মাইলসের সাবেক প্রধান গায়ক শাফিন আহমেদ আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানস কমিউনিটি (বিবিএমএফসি) জানিয়েছে, হৃদযন্ত্র ও কিডনি বিকল হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় এই রক বেজ গিটারিস্ট, গায়ক-গীতিকার ও রেকর্ড প্রযোজক।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী কমল দাশগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন শাফিন আহমেদ।
তার ভাই আরেক তারকা সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদের সঙ্গে প্রথমে অ্যাকুয়েস্টিক গিটারিস্ট হিসেবে মাইলসে যাত্রা শুরু করেন এবং পরে ১৯৯১ সালে ব্যান্ডের প্রধান গায়ক এবং বেজ গিটারিস্ট হয়েছিলেন।
শৈশবে ঢাকায় চলে আসার পর শাফিন আহমেদ নয় বছর বয়সে নজরুল সংগীত শেখার মাধ্যমে তার সংগীত জীবন শুরু করেছিলেন। ঢাকার সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা শেষে বড় ভাই হামিন আহমেদের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পড়তে যান। সেসময় পশ্চিমা সঙ্গীতের সংস্পর্শে আসেন তিনি।
১৯৭৯ সাল থেকে মাইলসের কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও বেজ গিটারিস্ট ছিলেন শাফিন আহমেদ। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ব্যান্ড ছাড়েন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে পুনরায় যোগ দিয়ে ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যান্ড ছাড়েন শাফিন। তারপর ২০১৮ সালে আবার যোগ দিয়ে ২০২১ সালে চিরতরে মাইলসের সঙ্গে যাত্রার ইতি টানেন তিনি।
মাইলস (১৯৮২) দিয়ে শুরু করে মাইলসের প্রতিটি অ্যালবামের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন শাফিন আহমেদ। মাইলস (১৯৮২) অ্যালবামের পর অ্যা স্টেপ ফারদার (১৯৮৬), প্রতিশ্রুতি (ব্যান্ডের প্রথম বাংলা অ্যালবাম, ১৯৯১), প্রত্যাশা (১৯৯৩), প্রত্যয় (১৯৯৬), প্রয়াস (১৯৯৭), প্রবাহ (২০০০), প্রতিধ্বনি (২০০৬), প্রতিচ্ছবি (২০১৫) ও প্রবর্তন (২০১৬) অ্যালবামে গান করেন তিনি।
২০০৯ সালে মাইলস ছাড়ার পর ২০১০ সালে রিদম অব লাইফ নামে নিজের ব্যান্ড গড়েন শাফিন, যা ২০১৪ সাল পর্যন্ত চলে।
শাফিন আহমেদ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন 'আজ জন্মদিন তোমার' গানটি দিয়ে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর এই গানটি এখনও জন্মদিন উদযাপনের গান হিসেবে বাজানো হয়। বিশিষ্ট সংগীত প্রযোজক প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুরে গানটি প্রথম প্রিন্সের মিক্সড অ্যালবাম দাগ থেকে যায় (২০০৪)-এ প্রকাশিত হয়।
মাইলসের প্রধান গায়ক হিসেবে শাফিন আহমেদ 'ফিরিয়ে দাও', 'ধিকি ধিকি', 'নীলা', 'চাঁদ তারা সূর্য', 'কি জাদু', 'জানি তুমি'সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও সুপারহিট গানের জন্য শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়েছেন।
এছাড়াও শাফিন আহমেদ তোমাকে (১৯৮৭), পাগলা ঘণ্টি (১৯৯৮), ছবি আর স্মৃতিগুলো (১৯৯৯), বেস্ট অব শাফিন আহমেদ (২০০১), কতদিন দেখি না তোমায় (২০০৬), ভাইরাস (২০০৬), হারানো সুখ (২০০৭), মাই লাভ সংস (২০১০) এবং মনে পড়ে আজসহ (তার মা ফিরোজা বেগমের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিস্বরূপ নজরুল গানের অ্যালবাম, ২০১৬) বেশ কয়েকটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
সফল সংগীতজীবনের পাশাপাশি দেশের রাজনীতিতেও অংশ নিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। ২০১৯ সালে জাতীয় পার্টি থেকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি।
২ মাস আগে
‘কাঁটা’ আসছে বঙ্গতে
‘ফাইল আটকে ঘুষ আদায়’ সংবাদপত্রে এমন খবর প্রায়ই চোখে পড়ে। নিজেদের অবস্থানের অপব্যবহার করে অনেকেই এভাবে ‘উপরি কামাই’ করেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। তেমনই এক উপরি কামাই করা কর্মচারীর গল্প নিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে আসছে নতুন নাটক ‘কাঁটা’।
রিয়াদ মাহমুদের লেখা ও পরিচালনায় নির্মিত এই নাটকটি শুক্রবার ( ১২ জুলাই) মুক্তি পাচ্ছে বঙ্গ প্ল্যাটফর্মে।
সম্প্রতি বঙ্গ’র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুক্তি পায় এই নাটকের ট্রেইলার। এতে দেখা যায়, নাটকের মূল চরিত্র ফজলু একজন কেরানি। মানুষের ফাইল আটকে রেখে তিনি উপরি কামাই করেন। সেই কামাইতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তার সংসার, জীবনযাপন। হঠাৎ একদিন খাবার খাওয়ার সময় তার গলায় একটি মাছের কাঁটা বিঁধে যায়। এবার কী করবেন তিনি?
আরও পড়ুন: ফারুকীর ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ আসছে বঙ্গ-তে
সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল পর্যন্ত।
ভিন্নধর্মী এই নাটকটি নিয়ে বঙ্গ'র চিফ কন্টেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘কাঁটা খুবই সময়োপযোগী একটি গল্প। হাস্যরসের ছলে বর্তমান সমাজের একটি রুঢ় বাস্তবতা ফুঁটে উঠেছে এখানে। বঙ্গ সবসময়ই তাদের দর্শকদের ভিন্নধর্মী গল্প বলার চেষ্টা করে। সেদিক থেকে দর্শক ‘কাঁটা’ গল্পটির সঙ্গে খুব ভালোভাবেই সংযোগ স্থাপন করতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
কাঁটা গল্পের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক শরাফ আহমেদ জীবন। এছাড়া আরও আছেন, সোলায়মান খোকা, টুইঙ্ক ক্যারোল, সাইফুল ইসলাম রাফি ও সুষমা সরকার।
আগামীকাল থেকে বঙ্গ অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে দেখা যাবে নাটকটি।
আরও পড়ুন: আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
২ মাস আগে