বিনোদন
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০ বছর পূর্তি উৎসব
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব শেষ হবে শনিবার (১৯ আগস্ট )। এরসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের নবম জাতীয় সম্মেলন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলায় জাতীয় নাট্যশালার বহিরাঙ্গণে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। নির্ধারিত সময়ে মঞ্চে সবার উপস্থিতিতে বেজে উঠে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...’।
এর সঙ্গে শিল্পী শাহাবুদ্দিনের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০ বছর পূর্তির উৎসব।
এর আগে পুরো আয়োজনটি ঘুরে দেখান উৎসবের আহ্বায়ক ও নাট্য ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
উদ্বোধনী পর্বের পর জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে উপস্থিত হন আমন্ত্রিত অতিথি ও দলের সবাই।
মঞ্চে উপস্থিত শিল্পী শাহাবুদ্দিন, প্রধান অতিথি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. অনুপম সেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিকার আহকাম উল্লাহ, নাট্যজন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ জামিল আহমেদ ও অভিনেতা আফজাল হোসেন।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
অনুষ্ঠানে শিল্পী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে যত নাটক দেখেছি, এর চেয়েও বেশি দেখেছি প্যারিসে। আমার এক ফরাসি নাট্যকার বন্ধু ঢাকায় ছিলেন অনেকদিন। তিনি আমাদের বিটিভির নাটক দেখে আমাকে বললেন, ‘শাহাবুদ্দিন পৃথিবীতে আমি আর কোথাও টিভিতে নাটক দেখিনি। আর এই বিষয় সে খুবই প্রশংসা করলেন। আমার বুকটা তখন গর্বে ফুলে গেল।’
শিল্পী শাহাবুদ্দিন তার বক্তব্যে আরও বলেন, মানুষ ও শিল্পীকে ভালোবাসার কথা।
উদ্বোধকের বক্তব্য শেষে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন স্মরণে প্রবর্তিত পদক প্রদান পর্ব শুরু হয়।
এবার পদকের জন্য মনোনীত নাট্যজন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৈয়দ জামিল আহমেদ।
শুরুতে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদক তুলে দেন শিল্পী শাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সিনেমার বড় বাজার তৈরি হবে: নিরব
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাকে যেই মানুষ নাটকের দীক্ষা দিয়েছেন, তার নামে পদক আমার হাতে উঠল। যা আমাকে আপ্লুত করেছে। শুরুতেই আমি সেলিম আল দীনকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, খুশি হয়েছি, ধন্য হয়েছি।’
পরে শিল্পী শাহাবুদ্দিন পদক তুলে দেন নাট্যজন জামিল আহমেদের হাতে।
পদক পেয়ে তিনি বলেন, ‘মঞ্চে উপস্থিত যারা আছেন তাদের কাছ থেকে পদক পাওয়াটা আমার জন্য সম্মানজনক। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। সেলিম আল দীনের সঙ্গে আমার কাছে সুযোগ হয়েছে। যা আমাকে আরও প্রসিদ্ধ করেছে। সবাইকে ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, বাংলা নাট্য আন্দোলনের অগ্রপথিক সেলিম আল দীনের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী আজ (১৮ আগস্ট)। ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা নাটকের এ প্রবাদপুরুষ। তিনি ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাটকের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাটকে প্রয়োগ করেছেন।
ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেলিম আল দীন ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দীন ইউসুফকে সঙ্গী করে গড়েন গ্রাম থিয়েটার। তার প্রথম রেডিও নাটক ‘বিপরীত তমসায়’। মঞ্চনাটক ‘সর্প বিষয়ক গল্প’ মঞ্চায়ন হয় ১৯৭২ সালে।
আরও পড়ুন: দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’
বিয়ে করলেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ
বিয়ে করলেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
সোমবার (১৪ আগস্ট) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফারিণ জানিয়েছেন, দুই পরিবারের উপস্থিতিতে শুক্রবার (১১ আগস্ট) গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে তাসনিয়া ফারিণ
অভিনেত্রীর স্বামীর নাম শেখ রেজওয়ান। তিনি বিদেশে কর্মরত।
জীবনসঙ্গীকে নিয়ে ফারিণ লেখেন, 'আমাদের সাড়ে আট বছরের ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের যাত্রা কাগজে রূপ নিল। আমার মনে ঠিক প্রথম দিনের মতো এখনও তুমি একই আছ। আমার জীবনে তুমি আসার পর কীভাবে যেন বদলে গেল।'
স্বামীর বর্তমান ব্যস্ততা শেষ হলে ফারিণ এই আনন্দের মুহূর্তকে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবেন বলেও জানান ফারিণ।
আরও পড়ুন: এবার সিনেমার নায়িকা তাসনিয়া ফারিণ
ডন ৩: শাহরুখের বদলে বলিউডের নতুন ডন রণবীর সিং
এক যুগ পরে আবারও নির্মাণ মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে বলিউডের দুই প্রজন্মের চিরচেনা অ্যান্টি হিরো ডন। ১৯৭৮ সালে স্বনামধন্য লেখক জুটি জাভেদ আখতার ও সেলিম খানের সৃষ্ট এই চরিত্র জীবন্ত হয়ে ওঠে বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের মাধ্যমে। অতঃপর ২০০৬ সালে এর রিমেক চরিত্রটিতে এনে দেয় আকাশচুম্বি তারকাখ্যাতি। এই খ্যাতির মধ্যমণি ছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে নির্মাণ হয় এর সিক্যুয়াল, যেটি ডন সিরিজের আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। এমনি যুগান্তকারী চরিত্রের ঝুলিতে যোগ হতে যাচ্ছে আরও একটি নাম- রণবীর সিং। বলিউডের ডন ৩ চলচ্চিত্রে কেন এই পরিবর্তন, কেমন-ই বা হতে যাচ্ছে নতুন ডন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ডন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে নতুন যুগের সূচনা করবে ডন ৩
গত ৯ আগস্ট বুধবার ডন ৩-এর টিজার প্রকাশ করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট। এখানে নতুন ডন হিসেবে রণবীর সিং-এর আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে ডন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে নতুন যুগের সূচনার সংকেত দেয়া হয়।
এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট ১৯৭৮ সালের ডন শিরোনামের ছবিটির স্বত্ব কিনে রিমেক করে ২০০৬-এ। ছবিটির সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পাঁচ বছর পর নির্মিত হয় এর সিক্যুয়াল। তারপর থেকে বার বছর পর এবার তৃতীয় সংস্করণেও অপরিবর্তিত থাকছে প্রযোজক ও পরিচালক।
আরও পড়ুন: বার্বি: মুভি দেখার আগে জেনে নিন কিছু চমকপ্রদ তথ্য
রিতেশ সিদ্ধ্যনির প্রযোজনায় সিনেমার চিত্রনাট্য ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন ফারহান আখতার। ২০২৫ সালে ছবি মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্মাণ কাজের একদম প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে চলচ্চিত্রটি। গল্প লেখার কাজটি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, যেটি গায়ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে সম্পন্ন করেছেন পরিচালক নিজে।
চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত আয়োজনে আগের মতই থাকছেন সঙ্গীত ত্রয়ী শঙ্কর-এহসান-লয়। শঙ্কর মহাদেবন, এহসান নুরানি ও লয় মেন্ডনসার সমন্বয়ে গঠিত এই টিমটি ডনের থিম মিউজিকের জন্য সুপরিচিত।
সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা যাবে যেখানে, সেটি হলো কাস্টিং। মূল নায়কের মত তার বিপরীতে থাকা হিরোইনের জায়গাও পরিবর্তন হচ্ছে। তবে ‘রমা’ নামক জনপ্রিয় চরিত্রটিতে কাকে নেয়া হবে তা এখনও অফিসিয়াল ভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
১৯৭৮-এর সংস্করণে ছিলেন জিনাত আমান, আর রিমেক সিনেমা ও সিক্যুয়ালে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কিয়ারা আদভানি ডন-৩ টিমের সঙ্গে যুক্ত হলেও রমা চরিত্রেই তিনি অভিনয় করছেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
গাদ্দার ২ ও ওএমজি ২-এর সঙ্গে সংযুক্ত করে ডন ৩-এর টিজার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হয়েছে। রণবীর সিং সঞ্জয় লীলা বোনসালি পরিচালিত বৈজু বাওরা ছবির কাজ শেষ করেই ডন ৩-এর শুটিং শুরু করবেন। আর তাকে নিয়েই ডন-এর পরবর্তী মুভিগুলো তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
ডন ৩-এ শাহরুখের জায়গায় রণবীর সিং
কোভিড-১৯ মহামারির সময়েই ডন ৩ নিয়ে বেশ কয়েকবার শাহরুখ খানের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ফারহান আখতার ও রিতেশ সিদ্ধ্যনি। এই মিটিং-এর সময়গুলোতে পরিণত এক স্ক্রিপ্টে রূপ নিয়েছিলো ডনের নতুন সংস্করণটি।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, কিং খান আবার ডন হিসেবে ফিরে আসতে খুব একটা আগ্রহী নন। তিনি এখন বিশ্বমানের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। এ ধরনের সিনেমা বিভিন্ন সংস্কৃতির বিপুল পরিধির দর্শকদের একই ছাদের নিচে আনতে সক্ষম। আগামী কয়েক বছর তিনি এ ধরনের মুভি নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান। কিন্তু ডন এ ধরনের জনরার সঙ্গে খুব একটা খাপ খায় না।
আরও পড়ুন: পাতালঘর: চরকিতে আসছে নুসরাত ফারিয়ার ওয়েব ফিল্ম
ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে ধরে রাখার জন্য পরিচালক ফারহানসহ সংশ্লিষ্ট নির্মাতারা সময়ের সঙ্গে ডনের বিবর্তনকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।
সেই সূত্রে, তারা অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খানের সঙ্গে একজন উঠতি তারকাকে একত্র করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ধুনকি ও জওয়ানের কাজ শেষ করা এসআরকে এই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
ফারহান ও রিতেশের সঙ্গে শাহরুখকে এর আগে ‘দিল ধাড়কানে দো’ ও ‘গালি বয়’-এর মত ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
‘সাড়ে ষোল’ জটিল সুন্দর গল্প: মম
ছোট ও বড় পর্দার অনেক নিয়মিত তারকা এখন ব্যস্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম সেই সাড়ির একজন।
টিভি নাটক ও সিনেমায় অনেক আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তবে ওটিটিতে যেন নতুন এক মমকে দেখলো দর্শক। তেমনি এক চরিত্র নিয়ে ‘হইচই’-এর পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই তারকা।
আগামী ১৭ আগস্ট হইচই’তে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে ওয়েব সিরিজ ‘ষাড়ে ষোল’।
আরও পড়ুন: আসছে অনম বিশ্বাসের ‘ভাইরাস’
ইয়াসির আল হক পরিচালিত এই সিরিজে সাংবাদিক রিনি চরিত্রে মমকে পাবেন দর্শক। অন্যদিকে বিখ্যাত আইনজীবী চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো।
এছাড়াও এতে আরও রয়েছেন ইন্তেখাব দিনার, শাহেদ আলী, ইমতিয়াজ বর্ষণ, কাজী নওশাবা আহমেদ ও আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ।
‘সাড়ে ষোল’তে অভিনয় প্রসঙ্গে ইউএনবিকে মম বলেন, ‘সাড়ে ষোল’ জটিল সুন্দর গল্প। সাসপেন্সে ভরা একটি সিরিজ এটি। এখানে আমি সাংবাদিক রিনি চরিত্রে অভিনয় করেছি।
মম বলেন, ‘সিরিজের পুরো টিমের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ স্ক্রিপ্টটা যখন পড়ি তখন থেকে প্যাচিয়ে একই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। এমনকি শুটিং করার সময় অনেকবার কনফিউসড ছিলাম। কিন্তু পরিচালকের প্রতি আমার ভরসা ছিল এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তার মুন্সিয়ানা দেখিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।’
সিরেজর এই চরিত্রে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে মম আরও বলেন, ‘আসলে প্রতিটি চরিত্রই আমার কাছে চ্যালেঞ্জের। কারণ আমি তো নিজের চরিত্রে মানে মম হয়ে তো অভিনয় করি না। আমার সবসময় অন্য কেউ হয়ে অভিনয়টা করতে হয়। সেই চ্যালেঞ্জটা এখানেও ছিল।’
‘সাড়ে ষোল’ সিরিজে করপোরেট ম্যানেজার রাকিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, এডিসি আলতাফ চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ, গাফফার চরিত্রে শাহেদ আলী, পাবলিক রিলেশনস অফিসার চরিত্রে আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ এবং রেজার স্ত্রী আয়েশা চরিত্রে কাজী নওশাবা আহমেদ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উন্মুক্ত হয়েছে ‘সাড়ে ষোল’ সিরিজের ট্রেলার।
আরও পড়ুন: ভিউ বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা: অপু বিশ্বাস
কলকাতায় এবারের অভিজ্ঞতা আমাকে মুগ্ধ করেছে: সাইমন সাদিক
ভিউ বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা: অপু বিশ্বাস
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিউ বাড়ানোর প্রতিযোগিতার ফলে আমাদের নানা ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। বিশেষত সাইবার বুলিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
রবিবার (৬ আগস্ট) সাইবার বুলিং সংক্রান্ত একটি অভিযোগ নিয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দায়ের করেন অপু।
সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অপু বিশ্বাস।
এসময় অপু বলেন, ‘লাল-শাড়ি সিনেমাটির নির্মাতা আমি। এটি একটি অনুদানের ছবি। কয়েকদিন আগে সুড়ঙ্গ চলচ্চিত্রটি পাইরেসির শিকার হয়েছিল। এরপর চলচ্চিত্রটির টিম ডিবির কাছে এসেছিল। পরে গোয়েন্দারা এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনেছে।’
আরও পড়ুন: ২৫ সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে অপু-বাপ্পী জুটির ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’
তিনি বলেন, ‘লাল শাড়ি ছবিটি নিয়ে পাইরেসির কথা বলতে আমি ডিবিতে এসেছি। আপনারা জানেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং অনেক বেড়ে গেছে। কারণে-অকারণে ভিউয়ার্স বাড়ানোর আশায় সাইবার বুলিং হচ্ছে। এটা মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাস্ত করে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই পরিবার নিয়ে বসবাস করি। আমাদের একটি অবস্থান আছে। হয়তো আমরা চিত্রনায়িকা, কিন্তু বিভিন্ন সময়ে অনেক নিউজের কারণে আমাদের নানা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।’
অপু বলেন, ‘আমি সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে একটি সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আবেদন করেছি। আরও একটা কথা বলতে চাই, আমরা আর্টিস্টরা বিভিন্ন দেশে যাই। সেখানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। এরকম হলে আমাদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের মায়ের মৃত্যু
ভোলায় নির্বাচনী প্রচারণায় ফেরদৌস ও অপু বিশ্বাস
কলকাতায় এবারের অভিজ্ঞতা আমাকে মুগ্ধ করেছে: সাইমন সাদিক
ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় 'লাল শাড়ি' সিনেমাটি। এর মধ্যদিয়ে অপু বিশ্বাস ও সাইমন সাদিকের জুটিকে প্রথমবার দেখলো ঢাকাই সিনেমার দর্শকরা।
দেশের গন্ডি পেরিয়ে ওপার বাংলা কলকাতায় দেখানো হলো 'লাল শাড়ি'। কলকাতায় পঞ্চম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিন নন্দনে দেখানো হয় সিনেমাটি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন নায়ক সাইমন সাদিক।
'লাল শাড়ি' দেখে হল থেকে বেরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ভিডিওতে সাইমনের অভিনয়ের প্রশংসা করতে দেখা গেছে অনেক দর্শককে। আর এতে বেশ আপ্লুত এই চিত্রনায়ক।
আরও পড়ুন: ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে এবার বলিউড নায়িকা
এরইমধ্যে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন সাইমন সাদিক।
আর এই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'কলকাতায় এবারের অভিজ্ঞতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সেখানকার কেউ আমাকে চেনে না। শুধু সিনেমায় আমার অভিনয় দেখে তারা যেভাবে আমাকে গ্রহণ করেছেন তা আমাকে অনেক সম্মানিত করেছে। আর শিল্পীদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ অবাক করার মতো।'
সরকারি অনুদানের পাশাপাশি অপু বিশ্বাস নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জয় অপু প্রডাকশনের ব্যানারে নির্মিত প্রথম ছবি ‘লাল শাড়ি’। সাইমন-অপু ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, সুদি দোয়েল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বার্বি: মুভি দেখার আগে জেনে নিন কিছু চমকপ্রদ তথ্য
বার্বি: মুভি দেখার আগে জেনে নিন কিছু চমকপ্রদ তথ্য
চলতি বছরের ২১ জুলাই মহা সমারোহে মুক্তি পেলো যুগের সব থেকে সেরা মুভি বার্বি। শুধুমাত্র প্লাস্টিকের একটি পুতুল থেকে পুরো একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা পর্যন্ত আসার মাঝে দুর্দান্ত এক সময় পাড়ি দিয়েছে বার্বি।
১৯৫৯ সালে সূচনা হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের হৃদয় দখল করা এই বার্বি পুতুল বিক্রি হয়েছে ১০০ কোটিরও বেশি।স্বতন্ত্র শিল্প ও সংস্কৃতির এই বিখ্যাত প্রতিনিধিকে ঘিরে পুরো একটি জগত সৃষ্টি হয়েছে বার্বিল্যান্ড নামে।
চলুন, বার্বি মুভি দেখার আগে ঐতিহাসিক এই পুতুলটির পেছনের কিছু চমকপ্রদ তথ্য জেনে নেই।
বার্বি পুতুলের ইতিহাস
এই ফ্যাশন পুতুলটির স্রষ্টা আমেরিকান ব্যবসায়ী রুথ হ্যান্ডলার। যেটি ১৯৫৯ সালের ৯ মার্চে বাজারে নিয়ে আসে ম্যাটেল নামের কোম্পানি। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে খেলনার বাজারে বিপ্লব ঘটিয়ে একটি সপ্রতিভ ব্র্যান্ডে পরিণত হয় বার্বি। ১০০ কোটিরও বেশি সংখ্যক বিক্রি হওয়ায়, বার্বি ম্যাটেলের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে লাভজনক পণ্যে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই পুতুলটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ক্যারিয়ারে নিজের রূপ বদলেছে। পরিবর্তনশীল সামাজিক নিয়মগুলোর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে নতুন ভাবে হাজির হয়েছে প্রতিটি প্রজন্মের শিশুদের সামনে।
ফ্যাশন মডেল থেকে মহাকাশচারী, ব্যালেরিনা থেকে ব্যবসায়ী প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠিত বার্বি অনুপ্রাণিত করে গেছে শিশুদের বাড়ন্ত মনকে।
সেই ধারাবাহিকতায় ফ্যাশন নারী পুতুল হিসেবে প্রথমে খ্যাতি পেলেও পরবর্তীতে কেন নামে এর পুরুষ সংস্করণও বের হয়। এটিও খ্যাতি পায় বিশ্বজোড়া; এমনকি বার্বি ও কেন এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পুতুল কাপল। খেলনা ব্যবসার মূল চালিকা শক্তি তো ছিলোই, কিন্তু পরবর্তীতে আনুষঙ্গিক ও পোশাকের মতো পণ্য বিক্রির বাহনেও পরিণত হয় বার্বি।
বার্বি নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য
বার্বি ও কেনের নামকরণ:
বার্বি ও কেন খেলনার জগতে দুটি বিখ্যাত জুটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু যাদের নামে এদের নাম রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে সম্পর্কটা সম্পূর্ণ আলাদা। বার্বির প্রতিষ্ঠাতা রুথ হ্যান্ডলার নিজের মেয়ে বারবারা মিলিসেন্ট রবার্টসের নামানুসারে ফ্যাশন পুতুলটির নামকরণ করেছিলেন। পুরুষ সংস্করণ কেনের নাম রাখা হয়েছিল তারই ছেলে কেনেথের নামে। অর্থাৎ বাস্তব জগতে তারা পরস্পরের ভাই-বোন।
আরও পড়ুন: আসছে অনম বিশ্বাসের ‘ভাইরাস’
২০০ টিরও বেশি ভিন্ন ক্যারিয়ার:
বার্বির সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক দিকগুলোর মধ্যে একটি হলো তার বহুমুখিতা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা। সেই ১৯৫৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বার্বি প্রায় ২০০ টিরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন ক্যারিয়ারে আবির্ভূত হয়েছে। তার ক্যারিয়ারের জগত প্রসারিত ছিলো মহাকাশচারী থেকে পাইলট, ফায়ার ফাইটার থেকে সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা থেকে র্যাপার পর্যন্ত।
ক্যারিয়ারের এই বৈচিত্র্য টিনেজার মেয়েদের উদ্দেশ্যে একটি শক্তিশালী প্রতীকী বার্তা ছিলো। বার্বির মত করে তারাও ভাবতে শুরু করে, পুরুষের মত তারাও যে কোনও পেশায় নিয়োজিত হতে পারে।
জার্মান পুতুল লিলি থেকে অনুপ্রেরণা:
বার্বির ধারণাটি প্রাথমিকভাবে লিলি নামের একটি জার্মান পুতুল থেকে উদ্ভব হয়েছিল। বিল্ড-জেইটুং নামক একটি জার্মান কমিক পত্রিকায় প্রকাশিত এক কমিক গল্পের উচ্চমানের এক কল গার্লের নাম ছিলো লিলি। রুথ হ্যান্ডলার, ইউরোপে ভ্রমণ করার সময় এই পুতুলটি তার চোখে পড়ে। আর সেই থেকে তার মাথায় অল্পবয়সী মেয়েদের জন্য একটি ফ্যাশন পুতুল তৈরির ধারণাটা আসে। পরবর্তীতে এই ধারণার অঙ্কুরেই জন্ম হয় বার্বির।
প্রথম বারবির দাম:
১৯৫৯ সালের ৯ মার্চে নিউইয়র্কে খেলনা মেলায় প্রবেশের মাধ্যমে রাজকীয় অভিষেক ঘটে বার্বি খেলনার। তখন এর ড্রেস ছিলো কালো-সাদা ডোরাকাটা সাঁতারের পোষাক। আর প্রথম আবির্ভূত বার্বির এই সংস্করণটির দাম ছিলো মাত্র ৩ আমেরিকান ডলার। তারপর থেকে বার্বির গোলাপি রঙ ধারণ করে, যেটি বার্বি পিঙ্ক (পিএমএস-২১৯) বা বার্বি গোলাপি নামে বিশ্ববিখ্যাত হয়।
আরও পড়ুন: আমি কী তুমি: মেহজাবিনকে নিয়ে ভিকি জাহেদের নতুন ওয়েব সিরিজ
আসছে অনম বিশ্বাসের ‘ভাইরাস’
আসছে নতুন এক ধরনের ভাইরাস…আপনি কী আক্রান্ত? জানতে চোখ রাখুন চরকি-র ফেসবুক পেইজে– এরকম একটা ক্যাপশন দিয়ে রবিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় চরকির অফিসিয়াল পেজ থেকে একটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়। রাত থেকেই পোস্টারটি নিয়ে দর্শক বেশ আলোচনায় করছে।
পোস্টারটি চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘ভাইরাস’-এর। ‘দেবী’, ‘দুই দিনের দুনিয়া’ খ্যাত পরিচালক অনম বিশ্বাস নির্মাণ করেছেন সিরিজটি।
কোন ভাবনা থেকে 'ভাইরাস'-এ নির্মাণ করা এমন প্রশ্নে পরিচালক অনম বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিজিটাল সময়ের ভাত খাওয়া মানুষদের জন্য এমন একটা গল্প বলতে চেয়েছি যেইটা তাদেরকে একটু হলেও ভাবায়। পুরা শ্যুটিং এর সময় এমন গরম আর রোদ ছিলো, ভাগ্য ভালো কেউ পালিয়ে যায় নাই বলেই হাসতে থাকেন তিনি। আর পালিয়ে যায় নাই তার মানে হইলো গল্পটা ছেড়ে যায় নাই, তারা গল্পের ভেতরে ছিলো।’
আরও পড়ুন: আমি কী তুমি: মেহজাবিনকে নিয়ে ভিকি জাহেদের নতুন ওয়েব সিরিজ
দর্শকদের উদ্দ্যেশ্য পরিচালক বলেন, ‘আমি চাই আপনারা কনটেন্টটা দেখুন,সমালোচনা করুক। এই সিরিজে পর্বে পর্বে আপনাদের জন্য বিভিন্ন মজা রাখা হইসে,মজা মিস কইরেন না।’
পোস্টারে দেখা যাচ্ছে শ্যামল মাওলা চাদর দিয়ে তার মুখের অর্ধেক ঢেকে রেখেছেন। বাকি অর্ধেকে ভাইরাস আক্রান্ত।
এই সিরিজে নিজের চরিত্র নিয়ে শ্যামল বলেন, ‘ভাইরাসে কাজ করার মূলে হলো অনম বিশ্বাস। তার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে ছিলো। আর সেই সঙ্গে এখানে আমার চরিত্রটাও একদম ভিন্ন। দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবে যে গল্পটা একটু অন্যরকম। যারা ভিন্নতা পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগবে আশা করছি।’
এই সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন শরীফ সিরাজ, রাশেদ মামুন অপু, গোলাম ফরিদা ছন্দা, ক্রিস্টানো তন্ময়,মারশিয়া শাওন,টুপুরসহ আরও অনেকে। সেই সঙ্গে এই সিরিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নাট্যকলা বিভাগের একঝাঁক শিক্ষার্থী অভিনয় করেছেন।
শিগগিরই চরকির পর্দায় উন্মুক্ত হবে এই সিরিজ।
আরও পড়ুন: হলিউডে ধর্মঘটের কারণে এমি অ্যাওয়ার্ড স্থগিত
আমি কী তুমি: মেহজাবিনকে নিয়ে ভিকি জাহেদের নতুন ওয়েব সিরিজ
নিজের একটি আলাদা দর্শক শ্রেণী তৈরির পাশাপাশি বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে পরিবর্তনের হাওয়া দিয়ে চলেছেন নাট্য নির্মাতা ভিকি জাহেদ। যুগের চলমান সম্প্রচার মাধ্যম ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্মেও ঘটে চলেছে তার সরব বিচরণ। সেই অবিস্মরণীয় কাজগুলোর সারিতে শামিল হওয়া আরও একটি কাজ ‘আমি কী তুমি’। গত ২৭ জুলাই চ্যানেল আইয়ের ওটিটি আই স্ক্রিনের পর্দায় দুপুর ৩টায় স্ট্রিমিং হয়ে গেলো ওয়েব সিরিজটির। নারীপ্রধান সিরিজটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন মেহজাবিন চৌধুরী। চলুন, সদ্য শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আমি কী তুমি: বৈজ্ঞানিক পটভূমির রহস্য গল্প
একদিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আট এপিসোডের সিজনকে খুব সংক্ষেপে বলা যেতে পারে রহস্য গল্প। প্রতিটি এপিসোডে সঙ্গতিপূর্ণ ভাবে রহস্যের জাল বুনে ধীরে ধীরে খোলা হয়েছে জটগুলোকে।
তবে নিজের প্রথাগত থ্রিলার ও সাসপেন্স আবহের সঙ্গে ভিকি জাহেদ এবার যোগ করেছেন বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট।
তিথি নামের একটি মেয়ের জীবনের একটাই লক্ষ্য; আর তা হলো সিনেমার নায়িকা হওয়া। শহরে একের পর এক ঘটতে থাকা নারী হত্যা এবং সিনেমায় কাজ করার ব্যাপারে পরিবারের চাপ কোন কিছুই তার পথের কাঁটা হতে পারে না। কিন্তু একদিন রহস্যময় ক্রিস্টাল বৃষ্টির পর থেকে অদ্ভূত সব ঘটনা ঘটতে শুরু করে তিথির জীবনে। শুধু তাই নয়, পুরো জীবনের মানেটাই বদলে যায় তিথির কাছে।
আরও পড়ুন: ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে এবার বলিউড নায়িকা
এমনি রহস্যে মোড়া জীবনচরিতের চারপাশ জুড়ে চিত্তাকর্ষক এক আবহের সৃষ্টি করা হয়েছে আকাশের গায়ে সবুজ বলয়রেখা দেখিয়ে। ট্রেলারের সময় থেকেই দৃশ্যটি দর্শকদের মনে একটাই সম্ভাবনার উদয় ঘটায়; আর তা হচ্ছে পৃথিবীতে এলিয়েন আগ্রাসন। কিন্তু তার সত্যতা এই প্রথম সিজনেই যাচাই করা হয়নি। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় সিজনের জন্য।
তবে প্যারালাল বা সমান্তরাল জগতের বিষয়টি এই প্রথমবারের মত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হলো বাংলাদেশি কোনও নাটকে। বাংলাদেশের প্যারালাল ভার্সন; বা সিগমা বাংলাদেশ শব্দ দুটো ইতোমধ্যেই ঠাই করে নিয়েছে দর্শকদের হৃদয়ে।
ট্রেলার বা পোস্টার দর্শন পর্যন্ত ‘আমি কি তুমি’ শিরোনামটিকে ভাবা হয়েছিলো মনস্তাত্ত্বিক অথবা প্রতীকী হিসেবে। কিন্তু তা যে আসলে আক্ষরিক, তা নিশ্চিত হওয়া গেছে সিরিজটি মুক্তির পর।
কিন্তু এরপরেও টুইস্টে ভরপুর সিজনটি নতুন কিছু রহস্যের বীজ রেখে গেছে দর্শকদের জন্য। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দিয়ে গেছে দ্বিতীয় সিজন দেখার অদম্য আগ্রহ।
ভিকি জাহেদের নৈপুণ্যে নাট্যশাস্ত্রের অভিজাত ষোলকলা
রেডরাম, দ্যা সাইলেন্স ও পূনর্জন্ম-এর দর্শকরা ভিকি জাহেদের অনন্য গল্প বলার সঙ্গে অভ্যস্ত। সেই সঙ্গে বিদেশি গল্প ও সিনেমা অনুসরণের ব্যাপারটিও জড়িয়ে আছে তার নাটক নির্মাণের সঙ্গে। কিন্তু এই অনুসরণ তাকে নগ্ন অনুকরণের দিকে ঠেলে দেয়নি। বরং তাকে সাহায্য করেছে নাট্যশাস্ত্রের অভিজাত উপাদানগুলোকে আবিষ্কার করতে এবং তা রপ্ত করতে। আর তারই প্রভাব দেখা গেছে তার প্রতিটি কাজে।
২০১৬-এর সেই ‘মোমেন্ট্স’ শর্টফিল্ম থেকে শুরু করে এই ‘আমি কী তুমি’ ওয়েব সিরিজ পর্যন্ত গল্প দেখানোর ব্যাকরণগুলোর উত্তোরোত্তর আগমন ঘটেছে তার নির্মাণশৈলীতে।
অধিকাংশ কাজে তার অনুসৃত পূর্বসূরীদের কিছুটা ঝলক থাকে। তবে এবার তিনি যেন উজাড় করে পরিবেশন করেছেন আলফ্রেড হিচকক, ডেভিড ফিঞ্চার ও মার্টিন স্করসেজের মত বিশ্বখ্যাত থ্রিলার নির্মাতাদের।
তাছাড়া এর সম্পাদনা এবং ভিজুয়াল ইফেক্টের কাজও বাংলাদেশি নাটকে আগে কখনোই দেখা যায় নি। তিনি দারুণ ভাবে দেখিয়েছেন, কিভাবে কারিগরি বিভাগের অল্প পরিবেশনা দিয়েও বিশ্ব মানের কন্টেন্ট তৈরি করা যায়।
নিজের কন্টেন্ট নির্মাণে যে তিনি কোনও রকম তাড়াহুড়ো করেন না, সে ব্যাপারে ভিকি ভক্তরা অবহিত আছেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
কিন্তু এবার আরও মজবুত ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তিনি বেশ পড়াশোনা করে তবেই মাঠে নামেন। সুতরাং দর্শক শুধু নির্মল বিনোদনই পাবেন না, তার নাটক দেখে অনেক চমকপ্রদ বিষয় সম্পর্কে জানবেনও। সেই অবাক করা তথ্যচিত্রের সাক্ষী হওয়ার জন্য হলেও দর্শকরা চোখ রাখতে চাইবেন এই নব্য নির্মাতার কাজে। এরকম বিস্ময়কর তথ্য সমৃদ্ধ কন্টেন্ট নির্মাণ করতে বাংলাদেশে এর আগে কেবল একজনকেই দেখা গেছে। তিনি হলেন প্রয়াত ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদ।
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে এবার বলিউড নায়িকা
প্রসঙ্গ যখন শাকিব খান, তখন ঘটনার পাশাপাশি রটনাও যেন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। বাংলাদেশি এই সুপারস্টারের নতুন সিনেমায় এবার তার বিপরীতে অভিনয় করতে চলেছেন একজন বলিউড নায়িকা। কে হতে যাচ্ছেন সেই নায়িকা, সে ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি মেলেনি। তবে, ইতোমধ্যে দু’-একটি নাম সিনেমাপাড়াসহ যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক উন্মাদনার খোরাক যোগাচ্ছে। চলুন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
শাকিবের বিপরীতে কোন বলিউড নায়িকা
একেবারেই অতিরঞ্জিত নয়, বরং এই হৈচৈটাকে বেশ সঙ্গতই বলা চলে। একে একে ঢালিউড, টালিউডের পর এবার বলিউড নায়িকাদের নাম শোনা যাচ্ছে শাকিব খানের বিপরীতে। তাও আবার সরাসরি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হিসেবে।
বিস্ময়কর ব্যাপার হলেও সত্য যে একদম প্রথম দিকে উঠে এসেছিল এ প্রজন্মের কিছু জনপ্রিয় বলিউড নায়িকাদের নাম। তারা হলেন ২০১২ সালের বোল বাচ্চান-খ্যাত প্রাচী দেশাই, ইনফ্লুয়েন্সার ও ২০১৯-এর রিয়েলিটি শো বিগ বস ১৩-খ্যাত শেহনাজ গিল এবং ২০১২ সালের কিয়া সুপার কুল হ্যা হাম-খ্যাত নেহা শর্মা।
আরও পড়ুন: পাতালঘর: চরকিতে আসছে নুসরাত ফারিয়ার ওয়েব ফিল্ম
এদের মধ্যে আরও একজন ছিলেন- জেরিন খান। আর ২০১০-এর ভীর, ২০১১-এর রেডি এবং ২০১২-এর হাউজফুল-২-এর মত ব্লকবাস্টারের এই নায়িকার কথাই সব থেকে বেশি শোনা যাচ্ছে। কেননা ঢাকাই সিনেমাটির জন্য এখন পর্যন্ত একমাত্র জেরিন খানের সঙ্গেই কথা বার্তা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নায়িকার নাম প্রকাশ করা হয়নি।