ইউরোপীয় ফুটবলের আর্থিক নিয়ম ভাঙার কারণে ৫ লাখ ইউরো জরিমানা গুনতে হচ্ছে কাতালান জায়ান্ট বার্সেলোনাকে। ক্লাবের আয়ের ব্যাপারে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ক্লাবটিকে এই জরিমানা করেছে উয়েফার শালিসি আদালত।
ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে আইন অনুসারে, ইউরোপের ক্লাবগুলোকে খরচ ও আয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। দেশভেদে নির্দিষ্ট বছরের আয়ের নির্দিষ্ট অংশ পর্যন্ত সে বছর খরচ করতে পারে ক্লাবগুলো। এ বিষয়ে প্রতিটি ক্লাবকে উয়েফার কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয়।
আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা বার্সেলোনা ২০২২ সালে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল, তাতে গরমিল পেয়েছে উয়েফা। এর জন্য প্রথমে ক্লাবটিকে তলব করে সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত উয়েফার শালিসি আদালত। তবে উয়েফার এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আপিল করে বার্সেলোনা। পরে সেই আপিল খারিজ করে শুক্রবার কাতালান ক্লাবটিকে ৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: বেতনসীমায় বড় লাফ দিলেও রিয়ালের ধারেকাছেও নেই বার্সেলোনা
উয়েফা বলছে, ওই বছর পরবর্তী ২৫ বছরের জন্য বার্সা টিভির ২৫ শতাংশ সম্প্রচার স্বত্ত্ব বিক্রির মাধ্যমে ৬৬৭ মিলিয়ন ইউরো পায় বার্সেলোনা। কিন্তু আর্থিক প্রতিবেদনে টাকার অঙ্কটি ভুলভাবে বিভক্ত করে ২৬৭ মিলিয়ন ইউরো আয় দেখায় তারা।
অন্যদিকে, বার্সেলোনার দাবি, টিভি স্বত্ত্বের আরও ১০ শতাংশ একই মেয়াদে বিক্রি করে ওই ২৬৭ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছিল তারা। প্রতিবেদনে সেটি সমন্বয় করেই হিসাব দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি, গরমিল হয়ে থাকলে তা ‘একেবারেই অনভিপ্রেত’ হিসেবে উল্লেখ করে আপিল করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
তবে আপিল খারিজ করে আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ হিসাবে গরমিল করে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করেছে বার্সেলোনা। ফলে জরিমানা তাদের দিতেই হবে।
প্রসঙ্গত, আর্থিক সংকটে পড়ে গত কয়েক মৌসুম ধরে দলবদলের বাজারে তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না বার্সেলোনার। প্রতিযোগিতামূলক দল গঠনে তাই ফ্রি এজেন্ট এবং লা মাসিয়ার তরুণদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের। এরই মাঝে তারুণ্যনির্ভর দল গড়ে চলতি মৌসুমে লা লিগায় দারুণ শুরু করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
আরও পড়ুন: মৌসুমের সর্বকনিষ্ঠ স্কোয়াড বার্সেলোনার
৯ ম্যাচের ৮টি জিতে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে কাতালানরা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরই রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া ১৭ পয়েন্ট করে নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে দিয়েগো সিমিওনের আতলেতিকো মাদ্রিদ এবং ভিয়ারিয়াল।