ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ব্যাটিং ধস অনেক ম্যাচে বাংলাদেশের ভালো, শক্তিশালী অবস্থান নষ্ট করেছে।
ভারতের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের হতাশাজনক ঘটনার পর বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বলেছেন, প্রথম দিনে ব্যাটিং করার সময় মনোযোগ এবং একাগ্রতার অভাব ম্যাচে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানদের সেট করার সময় মনোযোগে অনেক ত্রুটি ছিল। এটি আমাদের কষ্ট দেয়। সিনিয়র সদস্যদের বারবার মানসিক ত্রুটি দেখাটা বিশেষভাবে হতাশাজনক।’
সিডন্স টাইগারদের তাদের সামর্থ্য বোঝার জন্য এবং একটি ভালো সূচনাকে পুঁজি করে প্রতিটি সুযোগকে কাজে লাগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সিডন্স বলেন, ‘আমাদের কন্ডিশন, ম্যাচের অবস্থা, আমাদের ফলাফল এবং সামর্থ্য বিবেচনা করতে হবে। আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটা বাস্তবসম্মত এবং তারপরে আমাদের শুরুকে বড় স্কোরে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।’
আরও পড়ুন:প্রথম ইনিংসে মেহেদী ও তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪০৪ রানে অলআউট ভারত
চট্টগ্রাম টেস্টে মুমিনুল হককে দলে নেয়ার বিষয়ে সিডন্স বলেছেন: ‘এটা নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা তাকে বিশ্রাম দিয়েছিলাম কারণ সে বাংলাদেশ 'এ'-এর হয়ে খেলছিল এবং ভালো করছে না। তিনি বলেন, আমরা তাকে কিছুটা সময় দিয়েছিলাম দোলে ফেরার জন্য। জিনিসগুলি এবং সেই ব্যর্থতাগুলি ভুলে যান।’
সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসের ভালো শুরুকে বড় স্কোরে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হওয়া সম্পর্কে সিডন্স বলেছেন: ‘সাকিবের স্পিনার এবং ফাস্ট বোলারদের পিচে নেমে আক্রমণের লাইন পরিবর্তন করার চেষ্টা করার অভ্যাস রয়েছে; তবে এটি ঝুঁকিপূর্ণ। মধ্যাহ্নভোজনের পরে বোলারের তেজ কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
‘লিটনকে মাটিতে বল মারতে হবে- টি-টোয়েন্টি থেকে উত্তরণের পর থেকে সে যেটা নিয়ে লড়াই করছে।’
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম টেস্ট: জাকির অভিষেকে সেঞ্চুরি করলেও সমস্যায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের কোচিং স্টাফরা মনে করেন, প্রথম ইনিংসে যে ২২৭ রান করা হয়েছিল তার চেয়েও বেশি রান করা উচিত ছিল দলের।
সিডন্স বলেছেন, ‘প্রথম ইনিংসে আমাদের অন্তত ৩০০ রান করা উচিত ছিল।’
ভারতের উমেশ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন বাংলাদেশের ভুলকে পুঁজি করে, উভয়েই চারটি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
সিডন্স বলেন, ‘আমাদের বড় স্কোর করার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে এবং এমন একটি ভিত্তি তৈরি করতে হবে যা ব্যবহার করে ব্যাটসম্যানরা প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে পারে। আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হবে মনোবলে কোনো জড়তা না রেখে টেস্ট ম্যাচ খেলা।’