কানাডার বিপক্ষে জিতে নিজেদের কাজ সেরে রাখে পাকিস্তান। এরপর যুক্তরাষ্ট্রকে যেন হারায়- সে আশায় ভারতের দিকে চাতকপ্রাণ হয়ে তাকিয়ে ছিল বাবর অ্যান্ড কোং। তাদের সে আশা পূরণ করে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার দল। এর ফলে পাকিস্তানের শেষ আটে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখে সুপার এইট নিশ্চিত করেছেন রোহিত-কোহলিরা।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত।
বুধবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুরুতে ব্যাটিং করতে পাঠান রোহিত শর্মা। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ১১০ রান করে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫০ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। অপরপ্রান্তে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন শিবম দুবে। তাদের অপরাজিত ৭২ রানের জুটির কল্যাণেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সৌরভ নেত্রাভালকার দুটি উইকেট নেন। বাকি উইকেটটি যায় আলী খানের ঝুলিতে।
প্রথম ইনিংসের অসাধারণ বোলিং পারফর্ম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন আর্শদীপ সিং।
আরও পড়ুন: আইসিসিটি-২০বিশ্বকাপ২০২৪: ভয়ডরহীন ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াকু পুঁজি
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে হতাশা জাগানিয়া শুরু হয় ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ডাক মেরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কোহলি। সৌরভ নেত্রাভালকারের বলে উইকেটের পেছনে তিনি ক্যাচ দিয়ে ফিরলে সৌরভের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আউট হন রোহিতও। ১০ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ভারত। এখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ঋষভ পান্ত ও সূর্যকুমার যাদব।
উইকেটে স্থিতিশীলতা এনে ৩৯ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ঋষভ। ৭.৩ ওভারে আলী খানের দর্শনীয় এক ইয়র্কারে পরাস্ত হন তিনি। ফলে উইকেট গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যায় বল। ২০ বলে ১৮ রান করে ঋষভ ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন শিবম দুবে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতের।
মাঝে একবার সূর্যকুমার জীবন পাওয়ার পর আর ভুল করেননি তিনি। ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ
এ ম্যাচে হারলেও সুপার এইটের আশা শেষ হয়ে যায়নি যুক্তরাষ্ট্রের। আগামী শুক্রবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। শেষ আটে খেলতে ওই ম্যাচে জয় পেতেই হবে স্বাগতিকদের।
অন্যদিকে, শেষ আটের টিকিট পেতে যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে আইরিশদের সমর্থন করবে পাকিস্তান। ম্যাচটি স্বাগতিকরা হারলে আর আগামী ১৬ তারিখে নিজেদের ম্যাচে আইরিশদের পরাজিত করলেই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে বাবর আজমের পাকিস্তান।