যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান এই বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তিনি বলেছেন যে মুশফিক দলের বাকি সদস্যদের সাথে সফরের জন্য ‘চুক্তিবদ্ধ’।
এনটিভির বরাত দিয়ে ইএসপিএনক্রিকইনফো এ তথ্য জানিয়েছে।
মুশফিক বলেন, ‘আমি পাকিস্তান সম্পর্কে আমার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছি এবং তারা (বিসিবি) এটি মেনেও নিয়েছে। আমি মনে করি এটি বেশ পরিষ্কার। ভবিষ্যতে এটি পরিবর্তন হবে না। যারা পাকিস্তানে যাচ্ছেন তাদের প্রতি আমি শুভ কামনা জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ তিন ধাপে পাকিস্তান সফর করছে। প্রথম ধাপে (জানুয়ারি) লাহোরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও দ্বিতীয় ধাপে (ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে) রাওয়ালপিন্ডিতে একটি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। আগামী ৩ এপ্রিল করাচিতে একমাত্র ওয়ানডে এবং ৫ এপ্রিল থেকে একই মাঠে শেষ টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০তে জিতেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে প্রথম টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
এদিকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে জয় পায়।
নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার যিনি পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
পাকিস্তান সফরের আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল বলেছিলেন, পাকিস্তান সফর করতে চান কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার প্রতিটি খেলোয়াড়েরই রয়েছে। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের পর মত বদলান নাজমুল। মুশফিকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
‘আমরা আশা করি এবার পাকিস্তান সফরে যাবে মুশফিক। শুধু সে নয়, আমি মনে করি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা প্রত্যেক ক্রিকেটারের পাকিস্তান সফরে যাওয়া উচিত। কিছু কিছু সময় আপনাকে অবশ্যই দেশ নিয়ে ভাবতে হবে। আমাদের সবার কাছে পরিবারের গুরুত্ব বেশি, কিন্তু দেশ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেন নাজমুল।
‘সে (মুশফিক) তার সতীর্থদের কাছ থেকে ধারণা নিতে পারে (নিরাপত্তার বিষয়ে)। সে আমার সাথেও কথা বলতে পারে। আমি মনে করি তার অন্যদের সাথে কথা বলা এবং পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত,’ বলেন তিনি।