দলের ভীষণ প্রয়োজনে আরও একবার ঝলক দেখালেন এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্তিনেস। কোপা আমেরিকার গত আসরে সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে ২৮ বছর পর দলকে ল্যাটিন আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন করার পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফের দেখান বীরত্ব।
আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করা দিবু মার্তিনেসের বীরত্বে শুক্রবার (৬ জুলাই) কোপা আমেরিকার চলতি আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন লিওনেল মেসিরা।
এদিন ১-১ গোলের সমতার পর ম্যাচ সরাসরি পেনাল্টিতে গড়ালে প্রথম শটটিই মিস করেন মেসি। এরপর একুয়েডরের পরপর দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে ফুটবল বিশ্বের প্রশংসায় ভাসছেন মার্তিনেস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ‘দিবু বন্দনা’।
ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মেসি মিস করার পর সমর্থকদের আমি বলি- আমরা এখনই বাড়ি ফিরছি না। এখনই বাড়ি ফিরতে আমি প্রস্তুত নই; এই দলটি আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে।’
মেসিও যে মানুষ, তারও ভুলভ্রান্তি হতে পারে- সেকথা স্বীকার করে নিয়ে দিবু বলেন, ‘পেনাল্টি যে কেউ মিস করতে পারে। তবে লিওনেল সবসময় বিশ্বের সেরা।’
আরও পড়ুন: মেসির পেনাল্টি মিসের পর দিবুর কীর্তিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত ৪ বার টাইব্রেকার শুটআউটে দাঁড়িয়েছেন দিবু; জিতেছেন চারটিতেই।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ পর্যন্ত মোট ২৪টি শট নেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে, এর ১২টিতেই প্রতিপক্ষ গোল করতে পারেনি। বাকি ১২টি শটের একটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে, দুটি বাইরে চলে যায়, আর ৯টি শট ফিরিয়ে দিয়েছেন ‘বাজপাখি’ খ্যাত এই গোলরক্ষক।
এই অসাধারণ দক্ষতার পেছনে রহস্য কী- সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর জন্য আমি প্রচুর প্র্যাকটিস করি। অনুশীলন চলাকালে আমি অন্তত ৫০০টি স্পট কিক ঠেকানোর চেষ্টা করি। বিশ্বসেরা দলের গোলরক্ষক হয়ে মাঠে সেরা পারফরম্যান্সই দেওয়ার চেষ্টা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমার দেশের প্রাপ্য। মানুষ টাকা খরচ করে আমাদের খেলা দেখতে চায়। সমর্থকদের কণ্ঠের আবেগ আমাকে উৎসাহ দেয়, তাদের উল্লাস আমাকে উত্তেজিত করে। এসব নিয়ে আমি গর্বিত। একজন গোলরক্ষক এবং ব্যক্তি হিসেবে আমি আরও উন্নতি করতে চাই।’
আগামী বুধবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ভেনিজুয়েলা-কানাডা ম্যাচজয়ীদের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে লিওনেল মেসির দল।