স্বল্প স্কোরের এ ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে সাত উইকেটে হারিয়েছে তারা।
আজ ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত যে ভুল নেননি তা বরিশালকে ১০৮ রানে আটকে দেয়াই প্রমাণ করে। এ রান তোলা ফরচুন বরিশালের আট উইকেটকে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাজঘরে ফেরত পাঠায় তারা। জবাবে ১৮ ওভার ৫ বল খেলে তিন উইকেটের বিনিময়ে ১০৯ রান করে সাত উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় ঢাকা।
শুরুতে ৫৪ রানে তোলতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। পরে চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক ও ইয়াসির আলীর করা ৫৫ রান তাদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। মুশফিক ও ইয়াসির যথাক্রমে ২৩ ও ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। জেতার জন্য শেষ দুই ওভারে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। তাসকিন আহমেদের করা ১৯তম ওভারে ইয়াসিরের মারা দুটি ছক্কা তাদের জয়কে সহজ করে দেয়।
এর আগে, প্রথমে ব্যাটিং করতে গিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কের স্কোরে পৌঁছাতে পারেননি। তাদের মধ্যে দুজন শূন্য রানে আউট হন।
বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পাওয়া ডানহাতি ওপেনার সাইফ হাসান ১৪ ডেলিভারি মোকাবিলা করে মাত্র ৯ রান করেন। পরের দুই ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন ও আফিফ হোসেন স্কোর বোর্ডে কিছু যোগ করার আগেই সাজঘরে ফেরত যান। টপঅর্ডারের চারজনের মধ্যে কেবল তামিম ইকবালই দুই অঙ্কের স্কোর ছুঁতে পেরেছেন। তামিম ৩১ বল খেলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩১ রান করেন।
তামিম ও তৌহিদ হৃদয় চতুর্থ উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৭ রানের জুটি গড়েন। তৌহিদ ৩৩ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করেন।
ঢাকার পক্ষে ডানহাতি স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি তার টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ২০ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। আর শফিকুল ইসলাম দুটি এবং রুবেল হোসেন ও নাঈম হাসান একটি করে উইকেট নেন।