সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাজশাহীর দেয়া ১৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে রংপুর।
রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে ফজলে মাহমুদের ব্যাট থেকে। ২৬ বলে ২টি ছ্ক্কা ও ৩টি চারে সাজানো তার ইনিংসটি। এছাড়া এবেল ২৪ বলে ২৯ এবং মোহাম্মাদ নাঈম ১৮ বলে ২টি ছক্কা ও সমান চারে ২৭ রান করেন।
রয়্যালসের হয়ে মোহাম্মাদ নওয়াজ, শোয়েব মালিক ও কামরুল ইসলাম রাব্বী প্রত্যেকেই ২টি করে এবং ১টি উইকেট লাভ করেন মোহাম্মাদ ইরফান।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করে রাজশাহী। উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৫১ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেন রয়্যালসের লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। লিটন ১৯ রান করে মুস্তাফিজের বলে আউট হন। লিটনের চেয়ে মারমুখী ছিলেন আফিফ। তবে ১৭ বলে ৩টি ছক্কা ও ২টি চারে ৩২ রান করা আফিফ দলীয় ৫৩ রানে সাজঘরে ফেরেন।
এছাড়া ইরফান শুকুর ২০ এবং মালিক ৩৭ রান করে আউট হন। রাজশাহীর স্কোরবোর্ডকে সমৃদ্ধ করেন মূলত রবি বোপারা। তিনি ২৯ বলে ৩টি ছক্কা ও ৪টি চারে ৫০* রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া নওয়াজ ৯ বলে ১৫* রান করেন।
রংপুরের পক্ষে মুস্তাফিজ ২টি এবং আরাফাত সানি ও নবী ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে রাজশাহী। সমান ম্যাচে ৬ জয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পয়েন্টও ১২। তবে রানরেটে পিছিয়ে আছে তারা। এছাড়া ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে খুলনা টাইগার্স এবং ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা প্লাটুন।
সমান ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স রয়েছে ৫ম স্থানে। ৯ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর ছয়ে এবং ৮ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয়লাভ করা সিলেট থান্ডার পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে রয়েছে।