বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এদিকে মাঠ ছাড়িয়ে এখন ফাইনাল ম্যাচের উন্মাদনা গড়িয়েছে টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত। ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম শুধু দলগুলোর জন্য নয়, সমর্থকদের জন্যও যুদ্ধক্ষেত্র। স্টেডিয়ামে একটি আসন নিশ্চিত করতে উন্মত্ত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত তারা।
স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিট বুথে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়। ভক্তদের ভিড়, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছেন। টিকিটের জন্য এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈনি হয়েছে। টিকিট কেনাকে কেন্দ্র করে ধৈর্য ও সহনশীলতার পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।
টঙ্গী থেকে আসা বরিশাল সমর্থক জাহাঙ্গীর আলমের জন্য টিকিট পাওয়া অগ্নিপরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পর হঠাৎ তিনি দেখেন তিনি লাইনে নেই এবং নতুন করে একটি লাইন তৈরি হয়েছে। ফলে তিনি ও তার বন্ধুরা টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন।
পোশাকশ্রমিক জাহাঙ্গীর আক্ষেপ করে বলেন, 'কীভাবে টিকিট পাব বুঝতে পারছি না। আমি পৌঁছলাম ভোর ৬টায়, কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন বাড়তে লাগল এবং আমার আশা ক্ষীণ হতে লাগল।’
এই ধরনের হতাশার গল্প অস্বাভাবিক ছিল না, কারণ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে স্টেডিয়ামের নিকটতম বুথে টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটেছে। কোনো নিরাপত্তাকর্মী বা বিসিবি প্রতিনিধি না থাকায় টিকিট কেনার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
ফাইনাল খেলা দেখার অধীর আগ্রহ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের স্কুল শিক্ষক রহমান এসেছেন ঢাকায়। তামিম ইকবালের একনিষ্ঠ ভক্ত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়ার পর রহমান বরিশালকে সমর্থন করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বন্ধুদের সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে এসেছি, তবে টিকিট পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।’