এবারের বিপিএলে ১১টি ম্যাচে ১৮০ বা তারও বেশি রান হয়েছে এবং এর মধ্যে ৯টিই চট্টগ্রামে। এছাড়া ৫টি ম্যাচে দুই শতাধিক রানের স্কোর হয়েছে, যার সবগুলো চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
রবিবার চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নান্নু বলেন, ‘টি২০ ক্রিকেটে বেশি রান হোক এটা সবাই চায়। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম পর্ব সফল। এখানে দর্শক ম্যাচ উপভোগ করেছে। পাশাপাশি বেশি রান হলে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।’
‘বিভিন্ন ভেন্যুতে ক্রিকেটারদের জন্য চ্যালেঞ্জটাও ভিন্ন ভিন্ন হয়। ঢাকায় ব্যাটসম্যানদের রান পেতে সংগ্রাম করতে হয়েছে, কিন্তু তারা চট্টগ্রামে ভালো করেছে। তারা সিলেটে চ্যালেঞ্জিং উইকেটের মুখোমুখি হতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
মেহেদী হাসান রানা, মোহাম্মাদ নাঈম, নাসুম আহমেদসহ বেশ কয়েকজন তরুণ এবারের বিপিএলে ভালো করছেন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, জাতীয় দলে সুযোগ পেতে তাদের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
‘কয়েকজন তরুণ দারুণ করছে। কিন্তু তাদের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আমরা দেখেছি, অনেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে খারাপ করেছে,’ যোগ করেন মিনহাজুল।
তার মতে, প্রত্যেক তরুণ খেলোয়াড়ের উচিত ১৫ বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণে নিয়মিত ভালো করা।
‘জাতীয় দলে যদি কোনো ক্রিকেটার দীর্ঘদিন থাকতে চায় তাহলে তার ১৫ বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। ঘরোয়া ক্রিকেটে যদি কেউ ৫ বছর ভালো করে তাহলে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে। যদি কোনো ক্রিকেটার দীর্ঘদিনের লক্ষ্য নির্ধারণ না করে তাহলে তার পারফরম্যান্স প্রয়োজনীয় মানের হয় না,’ বলেন তিনি।