ক্রিকেটে নবাগত স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ মিশনের শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে ফিরে আসতে গতকাল ভারতের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বাবর আজমের দলের। তবে উল্টো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের একেবারে খাদের কিনারায় পাঠিয়ে দিয়েছে ভারত।
টানা দুই জয়ে একদিকে যেমন ভারতের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তানের সুপার এইট স্বপ্ন প্রায় ভাঙতে চলেছে। যদিও কাগজে-কলমে এখনো টিকে আছে তাদের আশা। তবে নিজেদের বাকি কাজটুকু ভালোভাবে শেষ করার পাশাপাশি গ্রুপের অন্য দলগুলোর জয়-পরাজয়ে ঝুলে গেছে তাদের সুপার এইট ভাগ্য।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চায় বাংলাদেশ
প্রথমে কানাডা ও পরে সুপার ওভার নাটকীয়তায় পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই শেষ আটে খেলার ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাদের হাতে আর দুই ম্যাচ। আগামী ১২ জুন ভারত ও ১৪ জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিকরা। এই দুই ম্যাচের একটি জিতলে বা কোনো ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে এক পয়েন্ট পেলেও পরের রাউন্ড যেতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তা যথেষ্ট হবে।
সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে পাকিস্তানের। তবে যদি পরের দুই ম্যাচেই যুক্তরাষ্ট্র বড় ব্যবধানে হারে, আর রান রেট বাড়িয়ে পাকিস্তান যদি বড় ব্যবধানে বাকি দুই ম্যাচ জিততে পারে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে শেষ আটের টিকিট কাটবে তারা।
আরও পড়ুন: বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের লড়াই
তবে হিসাব এখানেই শেষ নয়। কানাডাও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী ম্যাচে তাদের হারিয়ে পাকিস্তানকে ভারতের মুখের দিকে চেয়ে থাকতে হবে। ভারত যদি তাদের হারায়, তবে কানাডা বাদ পড়বে। না হলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো কানাডার সঙ্গেও হিসাব-নিকাশ মেলাতে হবে পাকিস্তানের।
মোট কথা, শেষ আটে উঠতে পাকিস্তানকে সামনের দুই ম্যাচ শুধু বড় ব্যবধানে জিতলেই হবে না। ভারত যেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা- দুই দলকেই বড় ব্যবধানে হারায় এবং আয়ারল্যান্ড যেন যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে দেয়, সেই প্রতীক্ষায় চাতকপ্রাণ হয়ে থাকতে হবে পাকিস্তানের।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডকে সুযোগই দিল না ভারত