মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। বল হাতে ছিলেন লিয়াম প্লাঙ্কিট।
প্রথম বলে ১ রান নিয়ে আবু হায়দার রনিকে স্ট্রাইকে পাঠান অধিনায়ক ডেভিড মালান। পরের দুই বলে যথাক্রমে একটি চার ও একটি ছক্কা মেরে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান রনি। পরের বল থেকে আসে অতিরিক্ত ১ রান। ৫ম বলে মালান ১ রান নেয়ার পর রান আউটের শিকার হলে শেষ বলে জয়ের জন্য ৩ রানের প্রয়োজন হয়। তবে আফগান ব্যাটসম্যান মুজিব উর রহমান শেষ বলে চার মেরে দলকে জয় উপহার দেন।
শেষ বলে উইকেটে এসেছিলেন সানজামুল ইসলাম। কিন্তু টিম ম্যানেজম্যান্ট তাকে তুলে নিয়ে মুজিবকে পাঠান। পরে সানজামুল রিটায়ার্ড আউটের ঘোষণা দেন।
১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওয়ারিয়র্স উদ্বোধনী জুটিতে সংগ্রহ করে ৩০ রান। ভ্যান জিল ২২ এবং রবিউল ইসলাম রবি করেন ১৭ রান।
তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক মালান ৫১ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি ৪টি ছক্কা ও ৫টি চারে সাজানো।
৪ ওভারে ১৬ রান খরচায় জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন ২টি উইকেট লাভ করেন।
৮ ম্যাচে ওয়ারিয়র্সের এটি তৃতীয় জয়। অন্যদিকে ৯ ম্যাচে মাত্র ৩টিতে হেরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ১১.৩ ওভারে ১০৩ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেন।
৩৪ বলে ২টি ছক্কা ও ৫টি চারে ৫৪ করা সিমন্স আউট হন সৌম্য সরকারের বলে। অন্যদিকে মুজিব উর রহমানের বলে জুনায়েদ আউট হন ৪৭ রান করে। ৩৪ বলে খেলা তার ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চারের মার।
ভালো শুরুর পরও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে বড় সংগ্রহ করতে পারেনি চ্যালেঞ্জার্স। শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ৩৪ রানের ইনিংসের সুবাদে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে চট্টগ্রাম। ২১ বলে খেলা জিয়ার ইনিংসটিতে ছিল ৪টি ছক্কা।
৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ২টি উইকেট লাভ করেন সৌম্য।