নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে (রঙ্গশালা) সাত জাতি ষষ্ঠ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

সোমবার সন্ধ্যায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে প্রতিবেশি ভারতের গত ১২ বছরের আধিপত্য ভেঙে দ. এশীয় নারী ফুটবল অঙ্গনে সর্বাত্মক জয়ের রেকর্ড নিয়ে নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের চতুর্থ সাক্ষাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপালের এটি প্রথম পরাজয়।

সাবিনা খাতুন গ্রুপ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি হ্যাট্রিক এবং সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার উভয় পুরস্কার জিতে নিয়ে পাঁচ ম্যাচে আট গোল করে বাংলাদেশ দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।

বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপনা চাকমা, যিনি গোলবারের সামনে তার দক্ষতা দেখিয়েছে; তিনি টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ দল ২০১৬ সালের পর দ্বিতীয়বার তাদের স্বপ্নের সাফ নারী ট্রফি জিতেছে।

ষষ্ঠ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ফাইনালসহ পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে এবং মাত্র একটি ম্যাচে হেরেছে। ছয় ম্যাচ মিলে বাংলাদেশ মোট ২৩টি গোল করেছে।

২০১৬ সালের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ, গত শুক্রবার প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০গোলে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে, তাদের আগের তিনটি ম্যাচে টানা জয়ের পর হিমালয়ের দেশ নেপালের জন্য এটাই প্রথম পরাজয়।

একই দিনে চারবারের ফাইনালিস্ট নেপাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের নিজেদের আসন জয় করে।

এর আগে, বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৬-০ গোলে পাকিস্তানকে পরাজিত করে টানা তিন ম্যাচে পূর্ণ নয় পয়েন্ট অর্জন করে গ্রুপ এ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনালে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এছাড়াও ভারতের বিপক্ষে তারা প্রথমবারের মতো ৩-০ গোলে জয় রাভ করে।