দ্য স্কোরলাইন ডাজ নট টেল দ্য হোল ম্যাচ টুনাইট- ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই বলে দিলেন ধারাভাষ্যকার। আর এই বাক্যটিই ইতালি-স্পেন ম্যাচের শিরোনাম হয়ে গেল। স্কোর দেখে সত্যি সত্যিই বোঝার উপায় নেই যে, ম্যাচজুড়ে ইতালির খেলোয়াড়দের ওপর কী ভয়ঙ্কর ঝড় বয়ে গেল।
ইউরোর ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাত ১টায় মাঠে নামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও গত সেমি ফাইনালে ইতালির কাছেই পরাজিত হওয়া স্পেন।
প্রথম দেখাতেই যেন সেই পুরনো ক্ষোভ উগরে দিল লুইস দে লা ফুয়েন্তর শিষ্যরা। আর পুরো ম্যাচজুড়ে সেই বিষবাষ্প গ্রহণ করে করে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত হয়ে, এক পর্যায়ে আর না পেরে নিজেরাই নিজেদের গোলে বল ঢুকিয়ে নিস্তার চাইল ইতালি।
ম্যাচটি ১-০ ব্যবধানে নিষ্পত্তি হয়েছে বটে। তবে এই দুলাইনই পুরো ম্যাচের সারমর্ম।
প্রথমার্ধে স্পেনের নেওয়া ৯টি শটের বিপরীতে একটি শটও নিতে পারেনি ইতালি। মূলত আক্রমণে ওঠার বা শট নেওয়ার ফুরসৎ পায়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও দেখা গেল সেই একই চিত্র। স্পেনের ১১ শটের বিপরীতে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে চারটি শট নিতে পেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা, যার মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে।
মোট ২০টি শটের ৯টিই লক্ষ্যে ছিল স্পেনের। এছাড়া গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসা, জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার অসাধারণ কয়েকটি সেইভে অন্তত চার-পাঁচটি নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয়েছে লা রোহা।
এই জয়ে গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে স্বাগতিক জার্মানির পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোল নিশ্চিত করল স্পেন।
গত ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও আলো ছড়িয়েছেন ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেয়া, মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস ও উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামস। তবে ইতালির শক্ত-সমর্থ ও পেশাদার ডিফেন্ডারদের বিপরীতে একটু নিষ্প্রভ ছিল লামিন ইয়ামাল।
অন্যদিকে, এক দোন্নারুম্মা ছাড়া তার সতীর্থদের সবাই ম্যাচজুড়ে নিজেদের ছায়া হয়ে ছিলেন।