ফুটবল খেলতে খেলতেই মাঠে লুটিয়ে পড়েন উরুগুয়ের ক্লাব নাসিওনালের ডিফেন্ডার হুয়ান ইসকিয়ের্দো। তারপর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। তবে মাঠে আর ফেরা হলো না এই ফুটবলারের। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন তিনি।
কোপা লিবের্তাদোরেসের ম্যাচে গত ২২ আগস্ট ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সাও পাওলোর বিপক্ষে নাসিওনালের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ইসকিয়ের্দো। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণে ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে তিনি কোনো খেলোয়াড়ের সংস্পর্শে না এসেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তারপর থেকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল তার। পরে নাসিওনালের পক্ষ থেকেও প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হলো তার।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ: ব্রাজিল পুলিশের তদন্তে নির্দোষ আন্তোনি
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়ার সঙ্গে যুক্ত কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্টের পর মস্তিষ্কের সেল অকার্যকর হয়ে ইসকিয়ের্দোর মৃত্যু হয়েছে। তবে এর আগে হৃদরোগজনিত কোনো সমস্যা ছিল না এই ফুটবলারের।
তার মৃত্যুতে উরুগুয়ের ফুটবল অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নাসিওনালের পক্ষ থেকে এক শোকবার্তায় বলা হয়েছে, গভীর দুঃখের সঙ্গে ক্লাব নাসিওনাল আমাদের প্রিয় খেলোয়াড় হুয়ান ইসকিয়ের্দোর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করছে। আমরা তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তার অপূরণীয় ক্ষতির জন্য পুরো নাসিওনাল পরিবার শোকাহত।
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের সভাপতি আলেহান্দ্রো দোমিঙ্গেস বলেছেন, তার মৃত্যুর খবরে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল গভীরভাবে শোকাহত।
ইসকিয়ের্দোর উদ্দেশে বুধবার ফেডারেশন আয়োজিত প্রতিটি ম্যাচে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস।
আরও পড়ুন: এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
এছাড়া, ইসকিয়ের্দোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ইন্টার মায়ামির উরুগুয়ে তারকা লুইস সুয়ারেস বলেছেন, ‘দুঃখ, বেদনা, এগুলো ব্যাখ্যা করা কঠিন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। ইসকিয়ের্দোর পরিবার-পরিজন শোক সইবার শক্তি পাক- এই কামনা করি।’
স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইসের খবর অনুসারে, দশ দিন আগে তাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ইসকিয়ের্দোর স্ত্রী।