রেফারির বাঁশি বাজতেই মাঠের একদিকের ছোট্ট এক ফালি হলুদ অংশের দিকে ছুটল ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা। সেখানে তখন ঝরছে আনন্দের বৃষ্টি আর পুরোটা মাঠজুড়ে ছড়িয়ে আছে হতাশার কালো মেঘ। দুই গোলের ব্যবধানে জিতে ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা পিএসজি শেষ পর্যন্ত আরও একবার হেরে বসেছে। আরও একবার শেষ হয়ে গেছে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগেও ১-০ গোলে হেরে ফাইনালে আর ওঠা হয়নি লুইস এনরিকের পিএসজির। আর ২-০ গোলের অগ্রগামিতায় ১১ বছর পর ফাইনালে উঠল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
এদিন আবারও ডর্টমুন্ডের টিম ওয়ার্কের কাছে সব কৌশল পরাস্ত হয়েছে লুইস এনরিকের। সেই সঙ্গে ছিল হলুদ জার্সিধারীদের রক্ষণের অসাধারণ দক্ষতা।
ডর্টমুন্ডের ‘ইয়েলো ওয়াল’-এর সামনে নিরস্ত হয়েছে পিএসজির ৪৫টি প্রচেষ্টা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এতবার গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল না পাওয়ার এমন উদাহরণ আর নেই। তবে তার সঙ্গে ছিল তাদের পোড়া কপাল। ভাগ্যদেবী কাল তাদের প্রতি যেন অপ্রসন্নই ছিলেন। নাহলে এক ম্যাচে চারটি দারুণ গোলের সম্ভাবনা পোস্টে লেগে ফিরে আসে?
আক্রমণ, গেম বানানো, প্রতি আক্রমণ, বল দখলে নেওয়া কিংবা নিয়ন্ত্রণ- সব বিভাগেই অসাধারণ নৈপুণ্যে ম্যাচ শুরু করে পিএসজি। প্রথম ত্রিশ মিনিট ডর্টমুন্ডকে একপ্রকার কোণঠাসা করে রাখেন এমবাপ্পে-দেম্বেলেরা, কিন্তু গোলের ভালো সুযোগ কোনোভাবেই মিলছিল না। বল শট নেওয়ার আগমুহুর্তে কিংবা বক্সের মধ্যে পাস দিলেই সেগুলোকে প্রতিহত করছিলেন ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডাররা।