শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর অভয়মিত্রঘাটে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
এ সময় বক্তারা বলেছেন, কর্ণফুলী নদীর বন্দর মোহনা থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রক্ষার দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দরের। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের খেয়ালখুশি মতো নদীর তীর ও নদী লিজ দিয়েছে। কিন্তু কর্ণফুলী ড্রেজিং ও দখলমুক্ত করেনি। অথচ কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্ধ হয়ে যাবে চট্টগ্রাম বন্দর।
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সারাজীবন নদী ও নৌকাকে ভালোবেসেছেন। তার জন্মশতবার্ষিকীর এ শোভাযাত্রায় একটাই দাবি নদী দখল ও দূষণমুক্ত হোক।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি সব সময় নিজেকে মাঝি কুলি মজুরের সহযোদ্ধা ভাবতেন। এ মহানেতার জন্মশতবার্ষিকীতে সাম্পান মাঝিদের দাবি তাদের ঘাট ফিরিয়ে দেয়া হোক। সেই সাথে চট্টগ্রাম বন্দরকে অবশ্যই কর্ণফুলী রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্ণফুলীতে অবস্থিত। দখল-দূষণে কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্দর বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি সঞ্চালনের মতো দেশে অন্য বিকল্প বন্দর নেই। তাই কর্ণফুলী রক্ষার সকল আয়োজন চট্টগ্রাম বন্দরকেই করতে হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান ও কর্ণফুলী গবেষক অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী উপস্থিত ছিলেন।
সাম্পান শোভাযাত্রাটি বন্দর নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে শুরু হয়ে কর্ণফুলী ব্রিজ হয়ে পুনরায় অভয়মিত্র ঘাটে সমাপ্ত হয়। মাঝিদের আয়োজনে শোভাযাত্রায় দুই শতাধিক সাম্পান অংশগ্রহণ করে।