রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠেয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানাতে দিল্লিজুড়ে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি সম্বলিত ব্যানার।
এই ব্যানারে লেখা ছিল, 'ভারতে স্বাগতম'।
প্রথম 'বিশিষ্ট' অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, 'আমাদের অন্যতম মূল্যবান অংশীদারের এই সফর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ ও গভীর বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও জোরদার করবে।’
নয়াদিল্লি সফরকালে রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠানের পর মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টানা তৃতীয়বারের মতো মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নেতাদের এই সফর ভারতের 'প্রতিবেশী প্রথম' নীতি এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সামুদ্রিক সহযোগিতার ভারতের নীতির ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন’ (সাগর) প্রতি ভারতের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন।
প্রতিবেশী দেশ ও ভারত মহাসাগর অঞ্চল থেকে যে বিশিষ্ট অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজু, সেশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ কুমার জগন্নাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া ভোজসভায় যোগ দেবেন তারা।
সোমবার রাত ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরপর তিন মেয়াদে- ১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন জওহরলাল নেহরু। এবার ৭৩ বছর বয়সী মোদিও পরপর তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন।