রবিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল।
এদিন অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী আদালতে সাক্ষ্য দেন। কিন্তু এদিন দুই শিক্ষিকা আদালতে উপস্থিত হননি এবং তাদের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ না থাকায় আদালত জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া দুই শিক্ষিকা হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তার।
অরিত্রীর মায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। একই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী সাক্ষ্য দেন।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত বছর ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।
আসামিদের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণে অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত বছর ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।