বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ফ্যাসিস্ট শাসন বিলোপ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সমতার সংগ্রামে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করেছে তুরস্কের আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাস।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ দূতাবাস দিবসটি উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এর আগে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা ও তুরস্কে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে পৃথক একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আঙ্কারায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক প্রতিনিধি ও তাদের সহধর্মিণীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে তৈরিকৃত পোস্টার এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জিহাদ এরগিনেই। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার বীরত্বপূর্ণ প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরা হয়।
রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তার স্বাগত বক্তব্যে উপস্থিত কূটনীতিক ও বিদেশি অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বলেন, তাদের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সহানুভূতির প্রতীক।
পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দিতে চায় কুনমিং চক্ষু হাসপাতাল
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ২০২৪’-এ লাখো মানুষ অধিকার, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সমতার দাবিতে রাজপথে নেমেছিল এবং আমাদের সাহসী প্রজন্ম ফ্যাসিবাদ ও খুনীদের রুখে দিয়েছিল। এই বিপ্লব ছিল ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিজয় এবং মানবাধিকারের জন্য একটি ঐতিহাসিক জাগরণ।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এই অভ্যুত্থান শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক চেতনার অনুপ্রেরণা। তিনি ‘জুলাই বিপ্লব’র শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না।
সেজন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে দোষীদের বিচার নিশ্চিতে এবং দেশে গণতন্ত্র ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পটভূমি, প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারেন।