আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন।
এ সময় পালিয়ে থাকা তিন আসামি বাদে বাকি ২২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
চার্জ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ১৫ জানুয়ারি মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করে আদালত। এর আগে ১৩ জানুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি বিচারকাজ শুরু করার জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. কায়সারুল ইসলাম।
এর আগেদিন আবরার হত্যা মামলার পলাতক আসামি মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। তবে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
গত ৩ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় পলাতক চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত। পলাতক অন্যরা হলেন- বুয়েট থেকে বহিষ্কার ছাত্র মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
গত ৫ জানুয়ারি আদালত চারজন পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রকাশে পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে বলে, ১৩ জানুয়ারির মধ্যে তারা হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হবে।
গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহার নামীয় ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ছয়জন।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শের-ই-বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি শের-ই-বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।