তবে তারা ঘোষণা দিয়েছেন যে খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা না দেয়া পর্যন্ত তারা শিক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বর্জন করবেন।
বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে বুয়েট শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।
সেই সাথে তারা খুনিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা বুধবার ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের সাথে নিয়ে সব ধরনের অপরাধ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণশপথ কর্মসূচি পালন করবেন।
বুয়েট কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিলে তারা সোমবারের ভর্তি পরীক্ষার জন্য রবি ও সোমবার তাদের আন্দোলন স্থগিত রাখেন।
১২ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত পাঁচ নোটিশে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, আবাসিক হলের অবৈধ বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যালয় সিলগালা করে দেয়ার ঘোষণা দেয় বুয়েট। সেই সাথে শিক্ষার্থীরা যাতে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানাতে পারে সে জন্য ওয়েবসাইট চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বুয়েট কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পরই এতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। এছাড়া, মামলা পরিচালনার ব্যয় বহন ও হলগুলোর প্রতিটি তলায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর প্রতিশ্রুতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) ৬ অক্টোবর রাতে শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চকবাজার থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ আসামিসহ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।