আবরার হত্যা
বুয়েটের আবরার হত্যা মামলার আসামি ক্লাসে যোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি ক্লাসে অংশ নেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযুক্ত আসামি রাশেদুল ইসলাম বিটু, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
এর আগে ২০২১ সালের ২২ মে বিটু কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ করায় রবিবার (০৬ আগস্ট) পর্যন্ত তিনি আর ক্লাসে আসেননি। কিন্তু রবিবার তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে আরেকটি ক্লাসে যোগ দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও এর প্রতিবাদ জানায়।
তার নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, 'এটা নিশ্চিত যে বিটু আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এবং জড়িত ছিল। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো সে ক্লাসে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমাদের ভাইয়ের খুনির সঙ্গে ক্লাসে যাওয়াটা আমাদের জন্য লজ্জার।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিটু র্যাগিংয়ের জন্য কুখ্যাত।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামির জেল আপিল গ্রহণ
আবরার হত্যা: খালাস চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেতুর হাইকোর্টে আপিল
১ বছর আগে
আবরার হত্যা: খালাস চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেতুর হাইকোর্টে আপিল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এস এম মাহমুদ সেতু খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন।
বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সেতুর পক্ষে অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল ও ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী এ আপিল দায়ের করেন।
অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল বলেন, আমরা সেতুর মৃত্যুদণ্ড আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস চেয়েছি।
গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত। পরে গত ৬ জানুয়ারি এ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলার নথি হাইকোর্টে আসে।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।
আরও পড়ুন: রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তা আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২ বছর আগে
আবরার হত্যা: দুই আসামির সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় দুই আসামির সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। রবিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান তাদের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাফাই সাক্ষ্যের জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন।
আসামিরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল ও মেফতাহুল ইসলাম জিওন। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আরও চার আসামি সাফাই সাক্ষ্য দেবেন।
মামলায় মোট ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ছয় জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে
এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন তিনজন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও আটটি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: বিচারকাজ শুরুর জন্য প্রস্তুত মামলা
আবরার হত্যা: পলাতক আসামি মোর্শেদের আত্মসমর্পণ
৩ বছর আগে
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
৪ বছর আগে
আবরার হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করা হবে: মন্ত্রী
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
৫ বছর আগে
আবরার হত্যা: চলতি সপ্তাহের মধ্যে ‘নিখুঁত অভিযোগপত্র’
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার তদন্তকারীরা চলতি সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার জন্য কাজ করছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
৫ বছর আগে
আবরার হত্যা মামলার প্রসিকিউশন টিম গঠনের প্রক্রিয়া চলছে: আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অক্টোবর (ইউএনবি)- বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত গ্রহণ করার জন্য একটি প্রসিকিউশন টিম (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দল) গঠনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
৫ বছর আগে
আবরার হত্যা: চার্জশিট না দেয়া পর্যন্ত ক্লাসে না যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর (ইউএনবি)- বুয়েট কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ দাবি মেনে নেয়ায় তারা মঙ্গলবার তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
৫ বছর আগে
আবরারের খুনিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: কাদের
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর (ইউএনবি)- বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের খুনিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
৫ বছর আগে
ভাই খুন হওয়া শহর ছাড়লেন আবরারের ভাই ফায়াজ
কুষ্টিয়া, ১৫ অক্টোবর (ইউএনবি)- বুয়েটের নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ নিরাপত্তার অভাবজনিত কারণে ঢাকা কলেজ ছেড়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হতে যাচ্ছেন।
৫ বছর আগে