খালটির খনন শেষ হলে আশকোনা হজ ক্যাম্পের পাশ থেকে শুরু করে বনরূপা হাউজিং পর্যন্ত ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ খালের বিভিন্ন জায়গায় পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে এবং কসাইবাড়ি, আশকোনা, কাউলা ও বনরূপা হাউজিং এলাকার জলাবদ্ধতা অনেকাংশে দূর হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিক বলেন, ‘আশকোনা, প্রেমবাগান ও হজ ক্যাম্পের সামনে বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। এ জন্য এলাকার জনগণ আমাদের দায়ী করছেন। কিন্তু ঢাকার এ অংশটি পুরো অপরিকল্পিত, যার-যার মতো করে বাসাবাড়ি ও হাউজিং করে নিয়েছেন। কোন দিক দিয়ে পানি নিষ্কাশন হবে সে চিন্তা করেননি। এতে চূড়ান্তভাবে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। হাউজিং কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সিটি করছে, বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, কিন্তু পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো সিটি কাজ করেনি। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব কীভাবে করা যায় সে চিন্তা তারা করেনি।’
‘এ খালটি সিভিল এভিয়েশনের। আমরা সিভিল এভিয়েশনকে অনেক অনুরোধ করেছি, অনেকবার বলেছি। কিন্তু বৃষ্টি তো আর কারও জন্য অপেক্ষা করে না। এই ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার খাল খনন করে দেয়ার জন্য সিভিল এভিয়েশনকে বারবার অনুরোধ করেছি। তারা বলছে আমরা করতে পারব না, আপনারা করে দেন। জায়গা সিভিল এভিয়েশনের, খাল সিভিল এভিয়েশনের, অথচ কাজ করে দিতে হবে সিটি করপোরেশনকে,’ যোগ করেন আতিক।
ওয়াসা ও সিভিল এভিয়েশনের উদ্দেশে ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, ‘আপনারা দায়িত্ব নেন, অথবা আমাদের ফান্ড দেন, আমরা কাজ করতে চাই। আপনারা দায়িত্ব নেবেন না, টাকা আপনাদের কাছে রেখে দেবেন। এটা হয় না। গত তিন মাস ধরে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায় বন্ধ রয়েছে। এ ধরনের কাজ করতে গেলে প্রচুর টাকা লাগে। তারপরও আমরা অপেক্ষা করিনি। এই ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার খাল আমাদের যা কিছু আছে তা দিয়েই খনন করতে শুরু করেছি। আমরা এলাকার জনগণের সমর্থন চাই। আমরা মনে করি আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা জনগণের কষ্ট লাঘব করব।’
ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম ও ডিএম শামীম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।