দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসের শেষের দিকে ইতালির রোমে যাওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৩ ইউএন ফুড সিস্টেম স্টকটেকিং মোমেন্ট ইতালির রোমে ২৪ থেকে ২৬ জুলাই জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
এটি রোম-ভিত্তিক জাতিসংঘ সংস্থা (এফএও, ইফাদ, ডব্লিউএফপি, ডব্লিউএফপি), ইউএন ফু সিস্টেমস কোঅর্ডিনেশন হাব এবং বৃহত্তর ইউএন সিস্টেমের সহযোগিতায় ইতালির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর রোমে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সফরকালে তার ইতালীর প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোমে ফুড সিস্টেম সামিটে বক্তব্য দেবেন এবং তার ইতালি সফরে জ্বালানি, অভিবাসন, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অর্ধ ডজন দ্বিপক্ষীয় নথি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নত বন্যা ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের নদী ড্রেজিংয়ে সহায়তার প্রস্তাব চীনের
বাংলাদেশ এবং ইতালি নিয়মিত অভিবাসনকে উৎসাহিত করতে এবং অনিয়মিতদের প্রতিরোধ করার জন্য গতিশীলতা এবং অভিবাসনের বিষয়ে একটি সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে আলোচনা করছে।
‘আমরা অভিবাসন ইস্যুতে আমাদের সহযোগিতায় আরও এগিয়ে যেতে চাই। বিশেষ করে, অনিয়মিত একটি ঠেকানোর সঙ্গে সঙ্গে মাইগ্রেশনের জন্য বিদ্যমান আইনি চ্যানেল বা আইনি পথ তৈরি এবং বৃদ্ধি করা।
সম্প্রতি ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অনিয়মিত অভিবাসন, পাচার ইত্যাদি রোধে দুই দেশকে সহযোগিতা আরও গভীর করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত নুনজিয়াটা ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালি সফরের সময় একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করেন- যে দেশের নাগরিকরা কাজের জন্য কোটা থেকে উপকৃত হতে পারে সেই দেশের তালিকায় বাংলাদেশের পুনঃপ্রবেশ।
প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, উভয়ের লাভের ভিত্তিতে সহযোগিতা এবং জ্ঞান হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। ‘সুতরাং এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাত।’
আরও পড়ুন: জাতির সেবার মাধ্যমে অর্জিত মর্যাদা সমুন্নত রাখুন: সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত বলেন, সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানের জন্য সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারকও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাগ করে নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ডের জন্য জাহাজ নির্মাণ শিল্পে সহযোগিতা করতে চান। ‘আমি বলতে চাচ্ছি যে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণে এখনও সে পর্যায়ে পৌঁছায়নি। একসঙ্গে আমরা জাহাজ নির্মাণের পাশাপাশি অন্যান্য খাতে এটিতে আরও বেশি কিছু করতে পারি।’
২০২১ ফুড সিস্টেম সামিটের ধারাবাহিকতায় ২০২৩ ইউএন ফুড সিস্টেম স্টকটেকিং মোমেন্ট আয়োজন। আগের শীর্ষ সম্মেলনের সময় নেয়া পদক্ষেপগুলোর প্রতিশ্রুতি পর্যালোচনা করার জন্য সাফল্যের গল্প এবং রূপান্তরের প্রাথমিক লক্ষণগুলো ভাগ করে নিতে দেশগুলোর জন্য একটি অনুকূল স্থান তৈরি করবে। খাদ্য ব্যবস্থার সহনশীলতা আরও এগিয়ে নিতে সাহসী ত্বরণ এবং সাহসী পদক্ষেপের গতিবেগ, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাদের অভিযোজনের পক্ষে সমর্থন করা, তারা আরও ধাক্কা এবং সংকটের জন্য সম্প্রদায়ের সহনশীলতায় অবদান রাখে তা নিশ্চিত করে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনকে বাড়িয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: কুয়েত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ