স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতের ঠিক পরেই ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
শক্তিশালী ও অগভীর এক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সুলাওয়েসিতে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন স্থানীয়রা। এখনও বিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৩৪
এদিকে, প্রায় দুই হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষকে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এক শোক বার্তায় ড. মোমেন তার ইন্দোনেশিয়ান সমকক্ষ রেতনো এলপি মার্সুদির কাছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার, দেশের মানুষ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ার প্রাণোচ্ছল ও উদ্যোমী মানুষরা এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা মামুজুতে ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি ও ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষে আটকা পড়ে থাকা ৩৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ১৮
সংস্থাটি জানিয়েছে, সেখানে কমপক্ষে ৩০০টি বাড়ি ও একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং প্রায় ১৫ হাজার লোককে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ এবং টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়াও, ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ভূ-প্রকৌশল সংস্থা এ ভূমিকম্পের সুনামির আঘাত হানার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরানে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত কমপক্ষে ৫
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে ২৬ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ। ভূমিকম্প ছাড়াও সেখানে প্রায়শই ঘটে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা এবং সুনামির আঘাত হানে।
২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালু শহরে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও ২০০৪ সালে ৯.১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় ইন্দোনেশিয়ায়। ওই ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট বিশাল সুনামিতে প্রাণ হারান দুই লাখেরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ায় এবার ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার উভয় দেশই দুর্যোগপ্রবণ হওয়ায় কর্মকর্তা ও উদ্ধারকর্মীরা যৌথভাবে ভূমিকম্পের ড্রিল এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে।’
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে বাংলাদেশের কাজ করার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।