প্রাণহানি
মিয়ানমারের ভূমিকম্পের পর ৮৯ আফটারশক অনুভূত
মিয়ানমারে গত মাসের শেষ নাগাদ একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিন সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সাত দশমিক ৯ মাত্রার ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের পর এ পর্যন্ত মোট ৮৯টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়েছে দেশটিতে।
স্থানীয় সময় রবিবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারের আবহাওয়া ও জলবিদ্যা বিভাগ।
কম্পনগুলো ২.৮ থেকে ৭.৫ মাত্রার মতো ছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত মাসের ২৮ মার্চ দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি সংঘটিত হওয়ার পর থেকে এই আফটারশকগুলো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসব আফটারশকে দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যে কারণে অনেকেই নিজেদের বাড়ির আশেপাশের রাস্তায় তাঁবু টানিয়ে বা খোলা আকাশের নিচেই অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: সোনার শহর মান্দালয় এখন ধ্বংসস্তূপ, দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে গৃহযুদ্ধ
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের ভূকম্পনবিদ উইল ইয়েকের মতে, ‘ভূমিকম্পের মূল ধাক্কার কারণে পৃথিবীর চাপের যে পরিবর্তন হয়, তাতেই আফটারশক হয়ে থাকে।’
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মাটির উপরিভাগের ৭০০ কিলোমিটার নিচেও ভূমিকম্প হতে পারে। আর মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পটি হয়েছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। অর্থাৎ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল অনেক অগভীরে হওয়ায় কম্পনের পরিমাণ বেশি ছিল।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পটি অনেক বড় ছিল। জাপানের হিরোশিমায় আঘাত হানা মার্কিন পারমাণবিক বোমার চেয়েও বেশি শক্তি উৎপাদিত হয়েছে এই ভূকম্পন থেকে।
যখন পৃথিবীর দুটি খণ্ড হঠাৎ করে পরস্পর থেকে সরে যায়, তখনই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। যেখান থেকে ভূখণ্ডটি সরে যায়, সেটিকে ভূগর্ভের ফাটল বলা হয়। কখনো-কখনো ভূমিকম্পের ফোরশক (পূর্বাঘাত) হয়ে থাকে। বড় ভূমিকম্পের আগে যে ছোট ছোট কম্পন হয়, সেটাই ফোরশক।
ভূমিকম্পের প্রধান আঘাতকে মেইনশক (মূলকম্পন) বলা হয়। এই মূলকম্পনের পরে অনেক সময় আফটারশক হয়ে থাকে। এগুলো ছোট ছোট ভূমিকম্প, যেটা মূলকম্পনটি যেখানে ঘটে, সেখানেই হয়ে থাকে।
মূলকম্পনের ওপর ভিত্তি করে কয়েক সপ্তাহ, মাস কিংবা কয়েক বছরও এই আফটারশক হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহত প্রায় ৩ হাজার, জীবিতদেরও উদ্ধার করা হচ্ছে
২৮ মার্চ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। ভুমিকম্পে এ পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন ৪ হাজারের বেশি।
গত সপ্তাহে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মিয়ানমার জান্তা সরকারের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
ইউএসজিএসের তথ্যমতে, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি হতে পারে।
মিয়ানমার ছাড়াও থাইল্যান্ড ও চীনেও আঘাত হেনেছে এই ভূমিকম্প। তবে গৃহযুদ্ধ, খাদ্যসংকট ও অর্থনৈতিক অবনতির মধ্যে মিয়ানমারে নতুন বিপর্যয় ডেকে এনেছে এই দুর্যোগ। এতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয়। সোনার পাত উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ঝলমলে এই শহরটির বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে পড়েছে, যার নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক লাশ।
১১ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলের গ্রাসে প্রাচীন মন্দির, প্রাণহানি ২৬
নজিরবিহীন দাবানলে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রাচীন মন্দিরের বড় অংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া জাতীয় সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করা দুটি ভবন আগুনে ধসে পড়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দেশটির কর্মকর্তারা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
গেল পাঁচদিন ধরে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের মুখে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তিনশতাধিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ৩৭ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৬৮১ অব্দে শিলা রাজবংশের সময় গৌনসা মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কোরীয় উপদ্বীপটির অর্ধেকেরও বেশি সময় শাসন করেছেন তারা। উইসিং শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ডিউনগুন পাহাড়ের পাদদেশে মন্দিরটির অবস্থান।
প্রাচীন আমলে নির্মিত ভবনগুলো যদিও কোনো আবাসিক ভবন না, তবে পরবর্তীতে এখানে কিছু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার আগুনের গ্রাসের মধ্যে পড়ে যায় মন্দিরটি। এতে ৩০টি ভবনের মধ্যে প্রায় ২০টি আগুনে ধসে পড়ে।-খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তীব্র বাতাসে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে দাবানলের লেলিহান শিখা। নিহতের মধ্যে ৪ ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও একজন পাইলটও রয়েছেন।
উইসিয়ং অঞ্চলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে ওই পাইলট প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সিউল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আহতদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান সরকারি কর্মকর্তারা।
তবে নিহতদের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। নিহতরা বেশিরভাগ ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়স্ক বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: দাবানলে জ্বলছে দক্ষিণ কোরিয়া, নিহত বেড়ে ১৮
২১ দিন আগে
জানুয়ারি মাসে সড়কে ৬০৮ প্রাণহানি
২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে মোট ৬২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জন নিহত ও ১ হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭২ জন নারী ছাড়াও রয়েছে ৮৪টি শিশু।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন (১২ শতাংশ)। এ সময় চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেল দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৭ জন।
নিজেদের পর্যবেক্ষণে সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে— দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী মিলে মোট ২৬৪ জন (৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ), বাসের যাত্রী ২৮ জন (৪ দশমিক ৬০ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৪ জন (৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৯ জন (৩ দশমিক ১২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) যাত্রী ৯০ জন (১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ), নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম ১৮ জন (২ দশমিক ৯৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১২ জন (১ দশমিক ৯৭ শতাংশ)।
তাদের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে জাতীয় মহাসড়কে ২১৪টি (৩৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ), আঞ্চলিক সড়কে ২৬৫টি (৪২ দশমিক ৬৭ শতাংশ), গ্রামীণ সড়কে ৯৬টি (১৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ), শহরের সড়কে ৪২টি (৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ) ও অন্যান্য স্থানে ৪টি (শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়াও সংঘর্ষে ১৩৩টি (২১ দশমিক ৪১ শতাংশ), নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২৫৮টি (৪১ দশমিক ৫৪ শতাংশ), পথচারীকে চাপা/ধাক্কা ১৪১টি (২২ দশমিক ৭০ শতাংশ), যানবাহনের পেছনে আঘাত ৭৫টি (১২ দশমিক ৭ শতাংশ) ও অন্যান্য কারণে ১৪টি (২ দশমিক ২৫ শতাংশ) ঘটেছে।
৭২ দিন আগে
ময়মনসিংহে মোটরসাইকেল উল্টে দুই তরুণের প্রাণহানি
ময়মনসিংহে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর উল্টে গেলে ইয়াসিন ও মেহেদী নামে দুই তরুণের প্রাণহানি ঘটেছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দিগারকান্দা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নগরীর মাসকান্দা এলাকার ইয়াসিন আবির (১৯) ও পুরোহিত পাড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২০)।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় নারীসহ নিহত ২, আহত ২
ময়মনসিংহ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নূর মোহাম্মদ জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দিগারকান্দা নামক স্থানে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে দুই বন্ধু আহত হয়।
তিনি জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা মারা গেছেন বলে চিকিৎসক নিশ্চিত হয়েছেন।
৭৬ দিন আগে
আন্দোলনের সময় পুলিশের প্রাণহানি নিয়ে ভুল তথ্যের বিষয়ে সতর্ক করল সরকার
জুলাই-আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে জনগণ ও কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি কিছু সংবাদমাধ্যম এবং ব্যক্তি এই সময়ের মধ্যে পুলিশের মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’
বিক্ষোভ বা সহিংসতার ঘটনায় আহত বা নিহত কর্মকর্তা বা কনস্টেবলদের একটি বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করেছে পুলিশ বিভাগ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
অভ্যুত্থানের সময় আরও পুলিশ নিহত হয়েছে বলে কেউ দাবি করলে প্রমাণ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
১৭৪ দিন আগে
কর্মস্থলে বাড়ছে মৃত্যু; গত ৬ মাসে ৪৭৫ জনের প্রাণহানি
২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অলাভজনক সংস্থা সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) পরিচালিত সর্বশেষ জরিপে উঠে এসেছে এ চিত্র।
১৫টি জাতীয় ও ১১টি স্থানীয় সংবাদপত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই জরিপে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৪২০টি পৃথক কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে ২০২৩ সালের একই সময়কালে ২৮৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ৩৮৯ জন শ্রমিক।আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রদেশে বন্যা সতর্কতা জারি, বহু প্রাণহানির আশঙ্কা
একই সময়ের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির সংখ্যার বৃদ্ধি উদ্বেগজনক বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে পরিবহন কর্মস্থলে, ২৫০ জনের। এরপর পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে (যেমন- ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) ৭৪ জন মারা গেছে, কৃষিতে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, নির্মাণস্থলে ৫২ জন মারা গেছে এবং কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জরিপে সড়ক দুর্ঘটনাকে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে পরিবহন খাতের শ্রমিকসহ কর্মস্থলে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনায় ৩১০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
এছাড়াও বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তারপরে বজ্রপাত ৫১ জনের, পড়ে গিয়ে ২৩ জনের এবং ভারী বস্তুর আঘাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- রাসায়নিকের সংস্পর্শ, ডুবে যাওয়া, আগুন, বিস্ফোরণ ও ধসের ঘটনা।
ক্রমবর্ধমান প্রাণহানির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মৃত্যুর কারণে হিসেবে অনানুষ্ঠানিক খাতগুলোতে অপর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং শ্রম আইনের শিথিলতাকে দায়ী করেছেন সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির (এসআরএস) নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা।
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা রোধে বিশেষ করে পরিবহন, কৃষি, নির্মাণ ও উৎপাদন খাতের মতো খাতে কর্তৃপক্ষের তদারকি বাড়ানোর জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
এছাড়াও সরকারি সংস্থাগুলোকে কঠোর সুরক্ষা নির্দেশিকা গ্রহণ, পুঙ্খানুপুঙ্খ ঝুঁকি মূল্যায়ন পরিচালনা এবং কার্যকর প্রশমন কৌশল বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন এসআরএস পরিচালক। কঠোর পরিদর্শনের মাধ্যমে নিরাপত্তা মানদণ্ড মেনে চলা নিশ্চিত করতে শ্রমিক ও সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণে নিয়োগকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন তিনি।
এসআরএস পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইনের অধীনে, নিয়োগকর্তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশ বজায় রাখা বাধ্যতামূলক, যেখানে শ্রমিকরা সুরক্ষা প্রোটোকল মেনে চলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এসআরএস প্রশিক্ষণ সেশন এবং অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে পেশাগত নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণপ্রত্যাশী পরিবারকে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ফরাসি দূতাবাসের
হিট স্ট্রোকে ১৪ দিনে ১৫ জনের প্রাণহানি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
২৯০ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ফরাসি দূতাবাসের
রবিবার রাতে (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাস।
বুধবার (২৯ মে) দূতাবাস বলেছে, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, বাড়িঘর ডুবে গেছে এবং ফসল ভেসে গিয়েছে এমন সব ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় এবং পরিবারের সঙ্গে আমারাও ব্যথিত এবং আমরা এই দুর্যোগের পরে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস ফ্রান্সের
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ঝড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৭টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৭টি ইউনিয়ন ও ৯১৪টি পৌরসভার ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ফ্রান্স
৩২৩ দিন আগে
হিট স্ট্রোকে ১৪ দিনে ১৫ জনের প্রাণহানি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
রবিবার পর্যন্ত ১৪ দিনে হিট স্ট্রোকে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম (এইচইওসি/সিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা প্রয়োগে নাইট্যাগের পরামর্শ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে রবিবার পর্যন্ত মোট ১৪ দিনে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে।
এছাড়া সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হিট স্ট্রোকে একজন মারা গেছেন এবং তিনজন অসুস্থ হয়েছেন।
গত ২২ এপ্রিল থেকে হিট স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর রেকর্ড রাখা শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রায় এক মাস ধরে দেশে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ায় সারাদেশে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে।
তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোকে ৮ দিনে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
৩৪৬ দিন আগে
ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ
সম্প্রতি চলন্ত ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মা ও তার শিশুসহ চারজনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি মনে করি, কারা এ হামলা চালিয়েছে তা শনাক্ত করতে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব।’
একই সঙ্গে অগ্নিসংযোগের হামলায় নিহতদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস 'দ্রুত' উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে।
নাশকতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তদন্তে দেখা গেছে যে এই কাজ পূর্বপরিকল্পিত ছিল, এই মারাত্মক ঘটনার পরিকল্পনা করার জন্য সভা করেছিল। আসন্ন নির্বাচন ও দেশের অগ্রগতি ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে এই নাশকতা রাষ্ট্র ও জনগণের ওপর সরাসরি হামলা।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তারা বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন, যেখানে জনগণ কোনো ধরনের ভয়ভীতি ছাড়াই ভোট দিতে পারবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
তিনি বলেন, 'অবশ্যই নির্বাচনের পর আমাদের কিছু বলার আছে, কিন্তু আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে 'দৃঢ় অবস্থান' নিয়েছে।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,‘এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তারা শান্তি সমুন্নত রাখতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।’
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বৃহস্পতিবার বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, ৯টি দেশ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ভারত, জাপান, শ্রীলঙ্কা, চীন, রাশিয়া, জাপান, উজবেকিস্তান, মরিশাস, জর্জিয়া ও ফিলিস্তিন পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে।
ওআইসি, কমনওয়েলথ ও আরব পার্লামেন্টও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউ'র চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল ইতোমধ্যে ঢাকায় এসেছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, এনডিআই-আইআরআই-এর ছোট একটি দলও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনপ্রিয় ও রাজনৈতিক সমর্থন অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তাদের মিত্রদের একটি অংশ আসন্ন নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অবরোধ আরোপের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
বিএনপির এই কৌশলগত পদক্ষেপের ফলে সারাদেশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাদের সমর্থকরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং তাদের বিতর্কিত দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর অযৌক্তিক চাপ সৃষ্টি করতে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
৪৮২ দিন আগে
ঢাকায় প্রাণহানি-সহিংসতায় ইইউ ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শোক প্রকাশ
ঢাকার রাস্তায় প্রাণহানি ও সহিংসতার ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও এর সদস্য দেশগুলো।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল রবিবার (২৯ অক্টোবর) টুইটারে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঢাকার রাস্তায় প্রাণহানি ও সহিংসতা দেখে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো গভীরভাবে শোকাহত।’
তারা বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পথ খুঁজে বের করা জরুরি।’
এর আগে ঢাকায় রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ৬ বছরের জিএসপি+ সুবিধা দিতে ইইউ'র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেছেন, ‘আমরা সব পক্ষকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য সমস্ত সহিংসতার ঘটনা পর্যালোচনা করব।’
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা ও একটি হাসপাতাল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়।
শনিবার বিএনপির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য ও একজন রাজনৈতিক কর্মী নিহত হন। এ ছাড়া অপর এক পুলিশ সদস্য ও দুই আনসার সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউ’র সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে ইইউ'র প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ: ইআইবি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী
৫৩৬ দিন আগে