প্রাণহানি
আন্দোলনের সময় পুলিশের প্রাণহানি নিয়ে ভুল তথ্যের বিষয়ে সতর্ক করল সরকার
জুলাই-আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে জনগণ ও কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি কিছু সংবাদমাধ্যম এবং ব্যক্তি এই সময়ের মধ্যে পুলিশের মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’
বিক্ষোভ বা সহিংসতার ঘটনায় আহত বা নিহত কর্মকর্তা বা কনস্টেবলদের একটি বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করেছে পুলিশ বিভাগ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
অভ্যুত্থানের সময় আরও পুলিশ নিহত হয়েছে বলে কেউ দাবি করলে প্রমাণ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
৩ সপ্তাহ আগে
কর্মস্থলে বাড়ছে মৃত্যু; গত ৬ মাসে ৪৭৫ জনের প্রাণহানি
২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অলাভজনক সংস্থা সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) পরিচালিত সর্বশেষ জরিপে উঠে এসেছে এ চিত্র।
১৫টি জাতীয় ও ১১টি স্থানীয় সংবাদপত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই জরিপে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৪২০টি পৃথক কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে ২০২৩ সালের একই সময়কালে ২৮৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ৩৮৯ জন শ্রমিক।আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রদেশে বন্যা সতর্কতা জারি, বহু প্রাণহানির আশঙ্কা
একই সময়ের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির সংখ্যার বৃদ্ধি উদ্বেগজনক বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে পরিবহন কর্মস্থলে, ২৫০ জনের। এরপর পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে (যেমন- ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) ৭৪ জন মারা গেছে, কৃষিতে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, নির্মাণস্থলে ৫২ জন মারা গেছে এবং কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জরিপে সড়ক দুর্ঘটনাকে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে পরিবহন খাতের শ্রমিকসহ কর্মস্থলে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনায় ৩১০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
এছাড়াও বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তারপরে বজ্রপাত ৫১ জনের, পড়ে গিয়ে ২৩ জনের এবং ভারী বস্তুর আঘাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- রাসায়নিকের সংস্পর্শ, ডুবে যাওয়া, আগুন, বিস্ফোরণ ও ধসের ঘটনা।
ক্রমবর্ধমান প্রাণহানির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মৃত্যুর কারণে হিসেবে অনানুষ্ঠানিক খাতগুলোতে অপর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং শ্রম আইনের শিথিলতাকে দায়ী করেছেন সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির (এসআরএস) নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা।
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা রোধে বিশেষ করে পরিবহন, কৃষি, নির্মাণ ও উৎপাদন খাতের মতো খাতে কর্তৃপক্ষের তদারকি বাড়ানোর জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
এছাড়াও সরকারি সংস্থাগুলোকে কঠোর সুরক্ষা নির্দেশিকা গ্রহণ, পুঙ্খানুপুঙ্খ ঝুঁকি মূল্যায়ন পরিচালনা এবং কার্যকর প্রশমন কৌশল বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন এসআরএস পরিচালক। কঠোর পরিদর্শনের মাধ্যমে নিরাপত্তা মানদণ্ড মেনে চলা নিশ্চিত করতে শ্রমিক ও সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণে নিয়োগকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন তিনি।
এসআরএস পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইনের অধীনে, নিয়োগকর্তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশ বজায় রাখা বাধ্যতামূলক, যেখানে শ্রমিকরা সুরক্ষা প্রোটোকল মেনে চলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এসআরএস প্রশিক্ষণ সেশন এবং অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে পেশাগত নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণপ্রত্যাশী পরিবারকে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ফরাসি দূতাবাসের
হিট স্ট্রোকে ১৪ দিনে ১৫ জনের প্রাণহানি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
৪ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ফরাসি দূতাবাসের
রবিবার রাতে (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাস।
বুধবার (২৯ মে) দূতাবাস বলেছে, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, বাড়িঘর ডুবে গেছে এবং ফসল ভেসে গিয়েছে এমন সব ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় এবং পরিবারের সঙ্গে আমারাও ব্যথিত এবং আমরা এই দুর্যোগের পরে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস ফ্রান্সের
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ঝড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৭টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৭টি ইউনিয়ন ও ৯১৪টি পৌরসভার ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ফ্রান্স
৫ মাস আগে
হিট স্ট্রোকে ১৪ দিনে ১৫ জনের প্রাণহানি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
রবিবার পর্যন্ত ১৪ দিনে হিট স্ট্রোকে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম (এইচইওসি/সিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা প্রয়োগে নাইট্যাগের পরামর্শ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে রবিবার পর্যন্ত মোট ১৪ দিনে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে।
এছাড়া সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হিট স্ট্রোকে একজন মারা গেছেন এবং তিনজন অসুস্থ হয়েছেন।
গত ২২ এপ্রিল থেকে হিট স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর রেকর্ড রাখা শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রায় এক মাস ধরে দেশে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ায় সারাদেশে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে।
তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোকে ৮ দিনে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
৬ মাস আগে
ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ
সম্প্রতি চলন্ত ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মা ও তার শিশুসহ চারজনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি মনে করি, কারা এ হামলা চালিয়েছে তা শনাক্ত করতে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব।’
একই সঙ্গে অগ্নিসংযোগের হামলায় নিহতদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস 'দ্রুত' উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে।
নাশকতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তদন্তে দেখা গেছে যে এই কাজ পূর্বপরিকল্পিত ছিল, এই মারাত্মক ঘটনার পরিকল্পনা করার জন্য সভা করেছিল। আসন্ন নির্বাচন ও দেশের অগ্রগতি ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে এই নাশকতা রাষ্ট্র ও জনগণের ওপর সরাসরি হামলা।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তারা বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন, যেখানে জনগণ কোনো ধরনের ভয়ভীতি ছাড়াই ভোট দিতে পারবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
তিনি বলেন, 'অবশ্যই নির্বাচনের পর আমাদের কিছু বলার আছে, কিন্তু আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে 'দৃঢ় অবস্থান' নিয়েছে।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,‘এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তারা শান্তি সমুন্নত রাখতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।’
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বৃহস্পতিবার বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, ৯টি দেশ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ভারত, জাপান, শ্রীলঙ্কা, চীন, রাশিয়া, জাপান, উজবেকিস্তান, মরিশাস, জর্জিয়া ও ফিলিস্তিন পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে।
ওআইসি, কমনওয়েলথ ও আরব পার্লামেন্টও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউ'র চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল ইতোমধ্যে ঢাকায় এসেছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, এনডিআই-আইআরআই-এর ছোট একটি দলও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনপ্রিয় ও রাজনৈতিক সমর্থন অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তাদের মিত্রদের একটি অংশ আসন্ন নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অবরোধ আরোপের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
বিএনপির এই কৌশলগত পদক্ষেপের ফলে সারাদেশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাদের সমর্থকরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং তাদের বিতর্কিত দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর অযৌক্তিক চাপ সৃষ্টি করতে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
১০ মাস আগে
ঢাকায় প্রাণহানি-সহিংসতায় ইইউ ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শোক প্রকাশ
ঢাকার রাস্তায় প্রাণহানি ও সহিংসতার ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও এর সদস্য দেশগুলো।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল রবিবার (২৯ অক্টোবর) টুইটারে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঢাকার রাস্তায় প্রাণহানি ও সহিংসতা দেখে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো গভীরভাবে শোকাহত।’
তারা বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পথ খুঁজে বের করা জরুরি।’
এর আগে ঢাকায় রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ৬ বছরের জিএসপি+ সুবিধা দিতে ইইউ'র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেছেন, ‘আমরা সব পক্ষকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য সমস্ত সহিংসতার ঘটনা পর্যালোচনা করব।’
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা ও একটি হাসপাতাল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়।
শনিবার বিএনপির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য ও একজন রাজনৈতিক কর্মী নিহত হন। এ ছাড়া অপর এক পুলিশ সদস্য ও দুই আনসার সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউ’র সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে ইইউ'র প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ: ইআইবি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, নতুন রোগী ২৪৩ জন
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত চিকিৎসাধীন চারজনের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮২ জনে।
এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৪৩ জন রোগী। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭০৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ফরিদপুরে ৩ জনের মৃত্যু
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারী ও দুই পুরুষ মারা গেছেন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন রাজবাড়ির বালিযাকান্দির গোলাপী, রাজবাড়ির উড়াকান্দার হাবিবুর, মাগুরার চাদপুরের রুপা ও ফরিদপুরের নগরকান্দার রাজ্জাক মোল্লা।
ডা. এনামুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ২৯৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৪৩জন রোগী। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০৪ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮২ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪৩২ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
গতকাল রাতে মাত্র ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানীর জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যার ফলে যাত্রীরা আটকা পড়েন এবং প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হন। রাস্তাগুলো জলমগ্ন ছিল এবং প্রধান সড়কগুলোতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাজধানীর মিরপুর ১০, মিরপুর ১১, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, পুরানা পল্টন, গুলিস্তান, পুরান ঢাকা, বংশাল রোড, বিজয় সরণি, ইস্কাটন, ফার্মগেট, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থানরত নিম্নচাপের কারণে ঢাকা শহরে অবিরাম বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, রাজধানীতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত রাজধানীর বংশাল, সিদ্দিক বাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, খিলগাঁও, রামপুরা, পুরান ঢাকার কিছু এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি আটকে রয়েছে।
১ বছর আগে
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ মাসে ৫৭৯ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সারা দেশে এক হাজার ৩০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ৪৮৪ জন নিহত ও দুই হাজার ৪৮৫ জন আহত হয়েছেন। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের (১৬ দশমিক ৪৮) মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির দিক থেকে মোটরসাইকেলের অবস্থান শীর্ষে।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ২০৯: এসসিআরএফ
এ সময়ে ৫২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫৭৯ জন; যা মোট দুর্ঘটনা ও নিহতের যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৪৭ ও ৩৯ দশমিক ০১ শতাংশ। দুই চাকার এ ক্ষুদ্র বাহনে গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছে ৬ জনেরও (৬ দশমিক ৪৩) বেশি মানুষ।
ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং এ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এসসিআরএফের সভাপতি আশীষ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর
১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা এবং ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনা এড়াতে পদ্মা সেতুর ওপর মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা ও ঈদযাতায়াতে সকল মহাসড়কে এই বাহন নিষিদ্ধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে এসসিআরএফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে সর্বাধিক ৪৭৯টি দুর্ঘটনায় ৫৮৪ জন নিহত ও এক হাজার ১০২ জন আহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে সর্বনিম্ন ৩৯২টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪১১ ও এক হাজার ১০২।
জানুয়ারিতে ৪৩১টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮৯ জনের। এ তিন মাসে সর্বাধিক ৪২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাসড়কে; যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সড়কে নিহতের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পথচারি।
এ সময়ে ৩৭০ জন পথচারি মারা গেছেন; যা মোট নিহতের ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তিন মাসে ২১১ নারী ও ২১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মোট প্রাণহানির মধ্যে নারী ও শিশুর অবস্থান যথাক্রমে ১৪ দশমিক ২১ ও ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ সময়ে অন্যান্য গাড়িচালক ও সহকারি নিহত হয়েছেন ২০৯ জন; যা মোট প্রাণহানির ১৪ দশমিক ০৮ শতাংশ।
দুর্ঘটনার সড়কভিত্তিক পর্যবেক্ষণ
প্রতিবেদনে সড়কভিত্তিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, তিন মাসে সর্বাধিক ৪২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাসড়কে; যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আঞ্চলিক সড়কে ঘটেছে ৩২৭টি; যা মোট দুর্ঘটনার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। গ্রামীণ সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও হার যথাক্রমে ২৮৭ ও ২২ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং শহরের সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও হার যথাক্রমে ১৮৯ ও ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৭৮টি (৬ দশমিক ০১ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য স্থানে।
আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনায় ২০১৯ সালে ৪২১ জনের প্রাণহানি: এসসিআরএফ
দুর্ঘটনার সময়ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ
প্রতিবেদনে সময়ভিত্তিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, তিন মাসে সবচেয়ে বেশি ৩৭৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকালে; যা মোট দুর্ঘটনার ২৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
দুপুরে ও রাতে ঘটেছে যথাক্রমে ৩৬৪টি ও ২৪৭টি; যা মোট দুর্ঘটনার যথাক্রমে ২৭ দশমিক ৯৫ ও ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া ১৬৩টি ঘটেছে বিকালে; যা মোট দুর্ঘটনার ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। অন্যান্য সময়ে ঘটেছে বাকি ১৫২টি (১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ) দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১২ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
দুর্ঘটনার ১৬টি কারণ
পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার ১৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ। সেগুলো হলো- ১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন। ২. অদক্ষ ও অসুস্থ চালক। ৩. গাড়ির বেপরোয়া গতি। ৪. প্রচলিত আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ওভারটেকিং। ৫. নিয়োগপত্র, সাপ্তাহিক ছুটি ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকায় চালক ও সহকারিদের মানসিক অবসন্নতা। ৬. বিভিন্ন স্থানে সড়কের বেহাল দশা। ৭. জাতীয় মহাসড়ক ও আন্ত:জেলা সড়কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। ৮. দূরপাল্লার সড়কে বাণিজ্যিকভাবে বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচল। ৯. মহাসড়কে স্বল্পগতির তিন চাকার যানবাহন চলাচল। ১০. তরুণ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানো। ১১. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ও সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারির অনিয়ম-দুর্নীতি। ১২. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। ১৩. সাধারণ মানুষের সচেতনতার ঘাটতি ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকা। ১৪. চালক ও পথচারিদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা। ১৫. প্রচলিত আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শিথিলতা এবং ১৬. বিভিন্ন টার্মিনাল ও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি।
আরও পড়ুন: সড়কপথে ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে এসসিআরএফের ১২ সুপারিশ
১ বছর আগে
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এ বছর ২০৯৭ জনের প্রাণহানি
বাংলাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১৯.২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার তিনটি দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৯৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১
রবিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার একটি নতুন প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত বছর প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৬৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক হাজার ৭৫৮ জন নিহত হয়েছে।
এটি বলেছে যে এই বছরের তুলনায় এই সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৭৬৪ জন ছাত্র, যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং চার দশমিক ৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেলের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত পথচারী।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ কিশোরের মৃত্যু
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সড়ক নিরাপত্তা ফাউন্ডেশন এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
মোট দুর্ঘটনার মধ্যে ৩৭৪টি অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ৬২৯টি ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। ৯৫৮টি দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল অন্য যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে এবং ৪২টি অন্যান্যভাবে ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই হাজার তিনটি দুর্ঘটনার মধ্যে ৮৩৭টির ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকরা ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।
গ্রুপের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, আঞ্চলিক সড়কে ৮৭৯টি, জাতীয় সড়কে ৬৯৫টি এবং গ্রামের সড়কে ১০২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরএসএফ বিশ্লেষণ অনুসারে, দুর্ঘটনার ২৬ দশমিক ৮০ সকালে এবং ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ রাতে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬ বছরের কিশোর নিহত
কারণ
আরএসএফ যুবক, কিশোরদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের সহজলভ্যতা, শিথিল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নজরদারিতে অসঙ্গতি, সব যানের বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, মোটরসাইকেল চালকদের ট্রাফিক নিয়ম না মানার প্রবণতা, যুবকদের অতিরিক্তগতিতে গাড়ি চালানোর উৎসাহমূলক ভাষা বিজ্ঞাপনে ব্যবহারা করা। সড়ক ও মহাসড়কে ডিভাইডারের অভাব এবং বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর সংস্কৃতি তৈরিতে রাজনৈতিক মদদই দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সুপারিশ
গ্রুপটি তাদের প্রতিবেদনে যুবকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে এবং দ্রুতগতির যানবাহনের বিক্রি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে।
এতে ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মোটরসাইকেল ও কম গতির যানবাহনের জন্য মহাসড়কে সার্ভিস রোড নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার স্থাপন, গতি নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরএসএফ সুপারিশ করে যে রাস্তাগুলোতে এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু বন্ধ করতে গণপরিবহনের উন্নতি এবং আরও সহজলভ্য করে মোটরসাইকেল চালানোকে নিরুৎসাহিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চবির শিক্ষক নিহত
২ বছর আগে